লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২২
অথৈ: সরে দাড়াবো কেনো আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি বলে বল্টু কে নিয়ে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টার আফিস রুম থেকে বের হয়ে মামু আফিস রুমে দিকে যেতেই হঠ্যৎ করে আফিসে কোণার একটা রুমে চোখ যেতেই দেখি রুম থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। নিশ্চায় মামু আফিসে আগুন লেগেছে। কাউকে ডাকি না আমি বরং আগে দেখে আসি। কিনতু আগুন নেভানো জন্য তো পানি দরকার । পানি পানি ওই তো টেবিলের উপর এক জগ পানি। ওটা আগে নিয়ে বেশি আগুন হলে পরে ডেকে নেবো বলে আমি পানি ভরতি জগটা নিয়ে রুমে সামনে দাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে পানি ডেলে দিলো। তারপর চোখ খুলে দেখি আগুন নেভানো দুরে কথা আরো বেশি জ্বলে উঠলো। উঠবে না বা কেনো আমি যে সত্যাকারে আগুনে পানি ডালি নি ডেলেছি মানুষের গায়ে আর সেই মানুষ আগুন হয়ে আমার সামনে দাউ দাউ করে জ্বলছে।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
পরশ: এটা কি করলে তুমি ( চিৎকার করে)
অথৈ: এমন ভাবে চিৎকার করে য়ে ওনার চিৎকারে দোওয়ালে হটগুলো ভয়ে কাঁপে ( মনে মনে) আসলে আমি ভেবে ছিলাম রুমে আগুন লেগেছে।
পরশ: কি আগুন লেগেছে মানে
অথৈ: রুম থেকে ধোয়া বের হচ্ছিলো তাই ভেবেছিলাম। তাই আগুন নেভানো জন্য পানি ডেলে ছিলাম। এখন তো দেখছি আপনার থেকে ধোয়া বের হচ্ছে। আচ্ছা আপনি smoking করেন। যানেন না smoking করা স্বাস্থ্য জন্য হানি কারক। আপনার জন্য কতো মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। আপনার কোনো অধিকার নেই অন্যর ক্ষতি করার।
পরশ: চুপ একদম চুপ। জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে না। আমি তোমার জ্ঞান শুনবো। হচ্ছে করছে
অথৈ: আপনি জানেন না জ্ঞান দিলে শুনতে হয়। আর আমার জ্ঞান দিতে খুব ভালো লাগে।
পরশ’ : কি মেয়ে এটা বলে আমি ওখান থেকে চলে আসলাম। রুমে এসে দেখি আসলাম সাহেব রুমটা পরিষ্কার করে ফেলেছে।
আসলাম সাহেব: স্যার আমার রুম পরিষ্কার হয়ে গেছে। একি আপনি ভেজা কেনো। বৃষ্টিতো হচ্ছে না তাহলে
পরশ: আপনার কাজ শেষ আপনি এখন আসুন
আসলাম সাহেব: ঠিক আছে।
অথৈ: এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা চলে গেলে যাক গে। মামু রুমে চাই। মামুর রুমে যেয়ে মামুকে জরিয়ে ধরলাম।
মামু: ভাগ্নীনে কি খাবি বল
অথৈ: ঝালমুড়ি
মামু: ঝালমুড়ি। এতো খাবার রেখে ঝালমুড়ি।
অথৈ: হ্যা ঝালমুড়ি। আমার এখন ঝালমুড়ি খেতে ইচ্ছে করছে তাই
মামু: ok ভাগ্নী। বলেতে ফোন বেজে ওঠলো। এই দেখো ফোন বাজছে আমি ফোনটা রিসিভ করে নেই বলে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে লাগলো।
পরশ: এই ফাইলটা স্যার কে দেখানো উচিত বলে আমি স্যার রুমে সামনে এসে বললাম may I come in sir
মামু: ও পরশ এসো। এ কি তুমি ভেজলে কি করে
পরশ: আসলে স্যার আমি বলতে অথৈ বলে উঠলো
অথৈ: মামু
মামু: sorry ভাগ্নী। আজ আর হচ্ছে না। আর একদিন খাওয়া বো। আমাকে এখনি য়েতে হবে। পরশ তুমি বরং বাড়ি চলে যাও না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে। আর যাওয়ার সময় অথৈকে ড্রপ করে দিও আমি আসছি বলে চলে গেলো
পরশ: স্যার আমার কথা শনুন ও শিট
অথৈ: লাভ নেই মামু শুনবে না। এখন চলুন
পরশ: চলো
অথৈ: এই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা ভালো কথা বলতে পারে শুধু রেগে রেগে কথা বলে। রাগ যেনো ওনার পরম আত্মীয় । বলে আমি ওনার পিছু পিছু গিয়ে গাড়িতে ওঠে বসলাম।
পরশ: রুমলটা কোথায় রাখলাম।
অথৈ: কানা নাকি সামনে তো রয়েছে।
পরশ: এই তো রুমাল। বলে আমি রুমলটা নিজের নাকে বেধে নিলাম। যাতে এই কুকুর থেকে এলাজি না হয়।
অথৈ: দেখো ঢং করছে ( মনে মনে)
পরশ: গাড়ির বেলটা বেধে নাও বলে আমি গাড়ি চালানো শুধু করলাম।
অথৈ: দেখো এমন ভাব নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে যেনো দুনিয়াতে শুধু ওনি গাড়ি চালাতে পারেন। একি গাড়ি থামলো কেনো ( মনে মনে) আপনি গাড়ি থামালেন কেনো।
পরশ: নামো
অথৈ: নামবো মানে আমার বাড়ি এখনে অনেক টা পথ বাকি।
পরশ: নামতে বলছি
অথৈ: না
পরশ: এই মেয়ে এই ভাবে বললে হবে না বলে আমি গাড়ির দরজায় খুলে নেমে ওকে গাড়ির থেকে হাত ধরে।
নামালেম।
অথৈ: আরে আপনি আমাকে নামাচ্ছেন কেনো।
পরশ: এই নাও ৫০ টাকা এখান থেকে আটো ধরে বাড়ি চলে যাও বলে আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম।
অথৈ: মাএ৫০ টাকা কেনোরে পকেটে আর টাকা ছিলো না। আর একটু বেশি দিলে কি হতো। কিপটে কোথাকর। আমি বলছি আমাকে ৫০ টাকা দিয়েছিস তো তোর পকেট যদি একদিন ফাকা না করতে পারি তাহলে আমার নাম অথৈ না হুহ্
১ মাস পর
আবির: আপি কোথায় যাচ্ছি আমরা।
অথৈ: শপিং মলে
আবির: আপি শপিং মলে। কিন্তু টাকা
অথৈ: টাকা আছে
আবির: টাকা কোথায় পেলি।
অথৈ: আরে ভাই আমি না আম্মুর ব্যাগ থেকে চুরি করেছি।
আবির: কি আম্মুর ব্যাগ থেকে। আম্মু তোকে বকা দেবে।
অথৈ: ও রোজ দেই। এবার চলতো।
আবির: চলো
অথৈ: আ কতো বড় শপিং মল। কি সুন্দর সুন্দর ড্রেস। আমি ড্রেস দেখলে পাগল হয়ে যাই। এই ড্রেসটা কি সুন্দর। না ওটা বেশি না লাল রং টা আরো সুন্দর। আসলে আমি কি করবো বলুন আমি না শপিং মলে আসলে আমার সব ড্রেস গুলো সুন্দর লাগে। সবগুলো নিতে ইচ্ছে করে এটা কি আমার দোষ। আমার দোষ না দোষ তো আমার চোখ। কেনো
যে সবগুলো ড্রেস পছন্দ করে। ওয়াও এই ড্রেস টা আর বলতে পারছিনা এতো সুন্দর। ওটা আমার জন্য তৈরি হয়েছে। আবির দেখ এই ড্রেসটা পড়ে আমাকে রানী এলিজাবেথ লাগবে না।
আবির: হ্যা কিন্তু আপি প্রাইজ টা দেখ একবার।
অথৈ: কতো আর হবে ৫-৬ হাজার টাকা।
আবির: না আপিবপুরা ১৫০০০ টাকা।
অথৈ: এ্যা
আবির: এ্যা না হ্যা
অথৈ: আমি তো ১০০০০ টাকা এনেছি। সব দোষ আম্মু ব্যাগে আর কিছু টাকা রাখলে কি হতো কোনো ক্ষতি তো হতো না বরং লাভ হতো আমার ড্রেসটা হয়ে যেতে আর আম্মু বিনা খরচে রানী এলিজাবেথ কে দেখতে পেতো।
পরশ: আসলাম সাহেব ওই দিক চলুনন ওখানে নতুন কালেকশন আছে।
অথৈ: এই কন্ঠ চেনা চেনা লাগছে হ্যা এ রকম কন্ঠ তো পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টার দেখি তো একবার বলে পেছন ফিরে তাকাতে আমার মনে ৪৪০ ভোল্টের এ্যানাজি বল্ব জ্বলে ওঠলো। ও কি মজা লাগছে এবার বুঝবে অথৈ কি করতে পারে আমাকে ৫০ টাকা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া।
আবির: কি একা বকবক করছিস আপি
অথৈ: কিছু না। এই ভাই শুনুন এখানে এই ড্রেসগুলো প্যাক করে দিন।
আবির: আপি টাকা
অথৈ: টাকা দেবে তো
আবির:কে
অথৈ:তোর নকল দুলাভাই
আবির: নকল দুলাভাই মানে
দোকাদার: এই নিন আপনার ড্রেস আর টাকাটা ওখানে দিয়ে দেবেন।
অথৈ: আসলে আমি তো আমার স্বামী সাথে এসেছি তাই টাকা টা ওনার থেকে নিয়ে নেবেন। ওই যে কালো শার্ট পরে ওনি নিয়ে নেবেন আসি।
দোকানদার: ঠিক আছে ম্যাম
অথৈ:তাহলে আসি বলে আমি চলে আসলাম। শপিং মলে বাইরে এসে আমার খুব হাসি পাচ্ছে তাই হাসতে লাগলাম।চারপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই তাকিয়ে আছে তাই আমি দেখেতারাতারি আটে তে উঠো চলে গেলাম।
পরশ: আসলাম এই ড্রেসটা আপনাকে খুব মানাবে
দোকানদার: স্যার আপনার বিল
পরশ: বিল আমি তো এখনো কোনো ড্রেস নিই নি তাহলে বিল কিসের
দোকানদার: আপনি নেননি আপনার wife কিছু ড্রেস নিয়ে গেছে আর বিলটা আপনাকে দিতে বলেছে
পরশ:what?…. (চলবে)