বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২৩
দোকানদার: স্যার আপনার বিল
পরশ: বিল আমি তো এখনো কোনো ড্রেস নেইনি তাহালে বিল কিসের
দোকানদার: স্যার আপনি নেননি আপনার wife কিছু ড্রেস নিয়ে গেছে আর বিলটা আপনাকে দিতে বলেছে
পরশ: what? আমার wife মানে। আপনার কোথায় ভুল হচ্ছে।
দোকানদার: না স্যার আমার কোনো ভুল হচ্ছে না আপনার wife আপনাকে দেখিয়ে বলেছেন।
আসলাম সাহেব: এখানে মিষ্টির মা কি করে আসবে স্যার। তাহলে কি ভুত হয়ে এসে ড্রেস গুলো নিয়ে গেছে।
পরশ: shut up. আসলাম সাহেব। বোকার মতো কথা বলবেন না ( রাগী গলায়)। দেখুন দু বছর আগে আমার wife মারা গেছে। যে ড্রেস নিয়ে গেছে সে আমার wife না। আপনার ভুল হচ্ছে।
দোকানদার: দেখুন স্যার আমরা কোনো কথা শুনবো না আপনাকে বিল পরিশোধ করতে হবে না হলে আমার পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবে।
পরশ: পুলিশ আপনারা ডাকাবেন কেনো আমি নিজে ডেকেনিচ্ছি বলে পকেট থেকে ফোন টা বের করলো
দোকানদার: আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই আপনাকে বিল পরিশোধ করতে হবে আর পুরো ৪০০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
পরশ: ৪০০০০ টাকা।( রাগী গলায়) এ কোন বিপদে পরলাম আমি।
আসলাম সাহেব: স্যার এদের সাথে ঝামেলা করে লাভ নেই। তাছাড়া আশ পাশ থেকে সবাই ডেকছে আপনি টাকা দিয়ে দিন।
পরশ: আসলাম সাহেব বিলটা শুনেছেন পুরো ৪০০০০ টাকা। কে করেছে এই কাজ। ( রাগী গলায়)
আসলাম সাহেব: স্যার বিল টা দিয়ে দিন।
পরশ: ok আমি বিল দিয়ে দিচ্ছি। এই নিন বিল বলে পকেট থেকে ক্রেডিট কার্ড বের করে দিলো।
দোকানদার: পাসওয়ার্ড
পরশ: ২০৫৯। কে করতে এই কাজ। কে আছে যে আমার সাথে এমন টা করতে পারে কে কে। আচ্ছা এই মেয়েটা তো নয় স্যারের ভাগ্নী। না না কি ভাবছি ওই মেয়েটা কখনো এটা করতে পারবে না। কিন্তু কেনো যানি মনে হচ্ছে ওই মেয়েটা কথা। করতে তো পারে। ও কে বিশ্বাস নেই। ওই মেয়ে টা পারে না এমন কোনা কাজ নেই। আচ্ছা আপনার শপিং মলে সি সি ক্যামেরা আছে।
দোকানদার: জি আছে
পরশ: আমাকে আজকে সি সি ফুটেজ টা দেখাবেন।
দোকানদার: কিন্তু স্যার।
পরশ: দেখাবেন কিনা।( রাগী গলায়)
দোকানদার: ok স্যার আসুন আমার সাথে।
পরশ: চলুন বলে পরশ আর আসলাম সাহেব দোকারদারে পিছু পিছু সি সি ক্যামেরা রুমে গেলো।
দোকানদার: সাগর আজকে এখন থেকে আগ মুহুর্তে ফুটেজটা ওনাদের দোখাও। স্যার আপনারা দেখুন আমি আসি।
পরশ: আপনি কোথায় যাচ্ছেন। আপনি চলে গেলে আমার wife কে দেখবো কি করে। আপনি এখানে থাকুন। আর সাগর সাহেব আপনি ফুটেজ টা চালু করুন।
সাগর : ok স্যার এই দেখুন আজ সকাল ৮ টা থেকে ফুটোজ।
পরশ: কোন মেয়ে টা আমাকে তার স্বামী বলে ড্রেসগুলো নিয়ে গেছে তাকে দেখাবেন।
দোকানদার: সাগর এখানে থামো। স্যার নীল রঙের ড্রেস পড়া মেয়েটা আপনাকে দেখিয়ে ড্রেস নিয়ে গেছে। সাথে এই বাচ্চা টাও ছিলো।
পরশ: অথৈ ( দাঁতে দাঁত চেপে) আামর ধারোনা ঠিক ছিলো। এই মেয়েটাকে একবার কাছে পাই আস্তো গিলে খাবো। ওর সাহস কতো এই কাজ করায়। ( রাগী গলায়)
আসলাম সাহেব: এটা তো অথৈ মা। শেষমেশ স্যারকে ঠাকালো। তাও আবার ৪০০০০ টাকা। অথৈ মা তুমি আর কাউকে খুজে পেলে না। তোমার যে কি হবে কে জানে ( মনে মনে)
পরশ: এই মেয়েকে তো আমি ছাড়বো না। আসলাম সাহেব চলুন।
আসলাম সাহেব: স্যার শপিং
পরশ: রাখুন আপনার শপিং চলুন ( রাগী গলায়)
অথৈ: আজ আমার কি আনন্দ হচ্ছে এক সাথে এতোগুলো কখনো পাইনি। আহ কি আনন্দ কি আনন্দ ।
আবির: আপি তুই কাকে বললি আমার নকল দুলাভাই।
অথৈ: তোর জেনে লাভ নেই। বাড়ি এসে গিছি নাম। মামা এই নিন ভাড়া। ( ভাড়া দিয়ে বললো)
আবির: আপি বল না।
অথৈ: বাড়ি চল বলে বাড়ির দরজায় সামনে দাড়ায়ে কলিং বেল বাজাতে আম্মু দরজায় খুলো বলে উঠলো
আম্মু: অথৈ কোথায় গিয়েছিলি মা
অথৈ: আম্মু শপিং করতে।
আম্মু: টাকা কোথায় পেলি।
অথৈ: তোমার ব্যাগ থেকে নিয়েছি। কিন্তু আম্মু তোমার এক টাকাও খরচ হয়নি।
আম্মু: আবার মিথ্যা কথা। টাকা না খরচ করলে ড্রেস গুলো কি উড়ে আসলো।
আবির: আম্মু ড্রেস গুলো নকল দুলাভাই দিয়েছে।
অথৈ: চুপ কর ভাই ( আব
িরে মুখ চেপে ধরে বললো)
আম্মু: কি বললি নকল দুলাভাই মানে
অথৈ: এই রে এখন কি হবে আম্মু এতো গুলো প্রশ্ন করবে কি করি পেয়েছি( মনে মনে) আম্মু পুড়া পুড়া গন্ধ আসছে তুমি রান্না ঘরে যাও।
আম্মু: আমি তো কোনো পুরা পুড়া গন্ধ পাচ্ছি না।
অথৈ: আম্মু তোমার ঠান্ডা লেগেছে তো তাই পাচ্ছো না। কিন্তু আমি কি গন্ধ আম্মু তারাতারি য়াও।
আম্মু : আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি। তুই এখানে থাকবি। বলে আম্মু রান্না ঘরে দিকে যেতে লাগলো
অথৈ: আগে যাও তো। অথৈ তুই এখান থেকে ভাগ না হলে আম্মু আজকে প্রশ্ন করে শেষ করে দেবে। বলে আমি নিজের ঘরে গিয়ে দরজায় টা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলাম। আহ এখন শান্তি আগে ড্রেসগুলো দেখি। আচ্ছা যখন পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা বিল টা দেখবে তখন আহ ভেবে আমার আনন্দ লাগছে। আমাকে ৫০ টাকা দেওয়া না। এবার বুঝ ঠেলা। ৫০ টাকা পরিবতে পুড়া ৪০০০০ টাকা দেওয়া। আমার তো আনন্দে গান গাইতে ইচ্ছে করছে লা লা লা কি আনন্দ আজ আমার যে পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল বুঝবে ঠালা কাকে বলে বাহ অথৈ তুই খুব গান বানাতে পারিস।ড্রেস গুলো একবার পড়ে দেখি
আম্মু: অথৈ অথৈ রান্না ঘরে দেখেছো এই মেয়েটাকে নিয়ে কি করি। ভাইজানকে এক মাস আগপ বলেছে একটা ছেলে দেখতে। ভাইজানতো কিছু বলছে না বলতে (কলিং বেল বাজতে লাগলো।) কে আসলো আবার। ভাইজান তুমি (দরজায় খুলে)
অথৈর মামু: হ্যা আমি তোদের সাথে একটু কথা আছে মামুন কোথায়( মামুন অথৈর এর বাবা)
আম্মু: অথৈর আব্বু তো একটু বের হয়েছে কেনো ভাইজান।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
অথৈর মামু: আসলে তোদের দুজনকে বলতে চাইছি বলতে আবার কলিং বেল বাজতে লাগলো।
আম্মু: এই তো অথৈর আব্বু চলে এসেছে বলে দরজায় খুলে দিলো।
অথৈর আব্বু: ভাইজান ভালো আছেন।
অথৈর মামু: আমি ভালো আছি। আমি তোমাদের দুজনে সাথে কথা বলতে চাই।
অথৈর আব্বু: কি কথা ভাইজান
অথৈর মামু: আসলে এর আগে সালমা বলেছিলো অথৈর জন্য ছেলে দেখতে। আমার কাছে একটা ভালো ছেলে আছে। আমার আফিসে কাজ করে। খুব ট্যালেন্ট ছেলে।
অথৈর আব্বু: তাহলে তো ভালো হয়।
অথৈর আম্মু: ভাইজান তুমি বরং ছেলে বাড়ির লোকের সাথে কথা বলো। আমি এই জ্বালাই আর পারছিনা।
অথৈর আম্মু: কিনতু
অথৈর আব্বু: কি
অথৈর আম্মু: ছেলেটার এর আগে একটা বিয়ে হয়েছিলো। গতো দুবছর আগে মেয়েটা মারগেছে।
অথৈর আব্বু: আগে বিয়ে হয়েছিলো।
অথৈর আম্মু: তো কি হয়েছে। ছেলেটা তো ভালো। তাছারা আজকাল ভালোছেলে পাওয়া যাই না। ভাইজান তুমি বরং ছেলে বাড়ির লোকের সাথে কথা বলো।
অথৈর আব্বু: ঠিক আছে বলুন
অথৈর মামু: ঠিক আছে। তা আমার ভাগ্নী কোথায়।
অথৈর আম্মু: কোথায় আবার নিজের ঘরে।
এদিকে
পরশ: ওই মেয়েকে একবার কাছে পাই
আসলাম সাহেব: পেলে কি করবেন স্যার
পরশ: গিলে খাবো( দাঁতের উপর দাঁত রেখে)
আসলাম সাহেব: কাঁচা খাবেন না রান্না করে। কিন্তু স্যার মানুষের মাংস খাওয়া হারাম।
পরশ: নামুন
আসলাম সাহেব: জি স্যার বলে নেমে গেলো।
পরশ: এদের সাথে থাকলে আমি অচিরে পাবনা যেতে হবে। বলে বাড়ি চলে আসলো।
বাড়ি এসে সরাসরি নিজের রুমে গিয়ে দরজায় বন্ধ করে দিলো।
দিশা: ভাইয়া কে সকালে ফোনের বলতে শুনলাম শপিং করতে যাবে কাকে যেনো বললো। শপিং মলে গেলেতো মুড ভালো হয় কিন্তু ভাইয়া মুখ দেখে মনে হচ্ছে অনেক রেগে আছে। কি হয়েছে
পরশ: অথৈ আমি তোকে ছাড়বো না ( শার্ট খুলতে খুলতে বললো) তুই জন্য আমি ৪০০০০ টাকা দিয়েছি। তোকে তো আমি ছাড়বো না। তোর থেকে আমি ৪০০০০ টাকা আদায় করে নেবো। ও আমার রাগে সারা শরীল জ্বালছে অসভ্য শয়তান মেয়ে একটা। বলে ওয়াশ রুমে চলে ফ্রেস হওয়া জন্য
পরেদিন সকালে পরশের বাড়ির কলিং বেল বাজতেই দিশা দরজায় খুলে দিলো।
দিশা: স্যার আপনি। ভাইয়া তো বাড়ি নেই একটু বের হয়েছে।
অথৈর মামু: আমি পরশের সাথে দেখা করতে আসিনি তোমার আম্মু সাথে দেখা করতে এসেছি।
দিশা: ভেতরে আসুন স্যার। এখানে বসুন আমি আম্মুকে ডেকে দিচ্ছি। আম্মু আম্মু ভাইয়া আফিসের বস এসেছে।
পরশের আম্মু: আপনি ভালো আছেন।
অথৈর মামু: আমি ভালো আসি আপনি
পরশের আম্মু: আমি আল্লাহ রহমতে ভালো আছি।
অথৈর মামু: আমি আসলে পরশের জন্য একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
পরশের আম্মু: প্রস্তাব পরশের জন্য এতো ভালো কথা। দিশা দাড়িয়ে আছিস কেনো চা মিষ্টি নিয়ে আয়।
দিশা: যাচ্ছি আম্মু
অথৈর মামু: আমার ভাগ্নী অথৈ। খুব ভালো মেয়ে। শুধু একটু দুষ্টুমী করে।
পরশের আম্মু: আমার ওই রকম মেয়ে চাই।
দিশা: স্যার চা মিষ্টি।
পরশের আম্মু: আপনি কথা বলুন আমার রাজি।
দিশা: আম্মু ভাইয়া রাজি করাবে কি করে ভাইয়া তো বিয়ে কথা শুনতে পারে না।
পরশের আম্মু: সেটা আমার পর ছেড়েদে। আপনি বরং আপনার বোনকে বলুন আমরা কালকে অথৈকে দেখতে যাবো।
অথৈর মামু: ঠিক আছে আমি আমার বোনকে আজকে বলছি। এখন আসি বলে চলে গেলে।
দিশা: কি করে রাজি করবে
পরশের আম্মু: দেখ কি করে করি।
অথৈ: আম্মু আমি একটু আসছি। আজকে একটু মোড়ের রাস্তায় যাবো। ওখানে ঝালমুড়ি বেশ ভালো বানাই। এই আটো মোড়ের রাস্তায় চলো বলে আটোতে উঠে বসলো।
পরশ: শিট গাড়িটা রাস্তায় মোড়ে খারাপ হতে হলো। আমি এখন কি করে পৌছাবো।দুর বলে গাড়িতে লাথি মারলো।
অথৈ: এখানে রাখুন। এই নেন ভাড়া
আটোওয়ালা: আফা ভাড়া ১০ টাকা না ২০ টাকা।
অথৈ: কি এই টুকু রাস্তা ভাড়া ২০ টাকা হয় নাকি। আপনি ১০ টাকা নিন।
পরশ: এখন মাজারে কি করে যাবো। আমাকে আজ মাজারে যেতেই হবে। আটো করে যাবো। আসলাম সাহেব কে ফোন করে বলে দেই গাড়িটা সারিয়ে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে ফোনটা বের করে আসলাম সাহেবকে ফ
োন দিলো
আসলাম সাহেব: হ্যালো স্যার
পরশ: আসলাম সাহেব রাস্তায় মোড়ে আমার গাড়ি আছে সারিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবেন।
আসলাম সাহেব: স্যার আপনি মোড়ে রাস্তায় কি করছেন
পরশ: আপনাকে যেটা বলেছি সেটা করুন(বলে ফোন কেটে দিলো।) আটো পাই কোথায়। ( আশ পাশে তাকিয়ে বললো) ওই একটা আটো। কিন্তু আটোওয়ালা ওই মেয়েটা কি করছে। মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে।
অথৈ: ১০ ভাড়া নেবেন কিনা।
আটোওয়ালা: না
অথৈ: শেষ বারে মতো বলছি নেবেন কি না
পরশ : মেয়েটা মনে হচ্ছে অথৈ। হ্যা ওটা অথৈ। তোকে আজ আমি ছাড়বো না বলে আটো দিকে যেতে লাগলো
অথৈ: দেখুন (বলতে রাস্তায় ওপারে চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলে) ওটা পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটা না। এদিকে আসছে কেনো। তাহলে কি জেনে গেছে কালকে শপিং মলের আমি ওনার wife পরিচয় দিয়ে ড্রেসগুলো নিয়েছিলাম। কিন্তু জানবে কি করে। যদি জানে তাহলে। ৪০০০০ টাকা যদি ভেরত চাই তখন।…… (চলবে)