বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২৫
পরশ: অথৈ অথৈ যা চলে গেলো। যাবে বা কোথায়। আমি তোকে ঠিক খুজে বের করবো। আর তোকে দেখে নেবো। অসভ্য মেয়ে একটা।আর আজকে অপমানে প্রতিশোধ তোলা রইলো। এদিকে মাজারে যেতে দেরি হয়ে গেলো। এই আটো মাজারে মাজারে যাবে। ( আটো তে বললো)
আটোওয়ালা: ১০০ টাকা লাগবে
পরশ: ঠিক আছে চলো।
অথৈ: যাব বাবা আজকে মতো বেঁচে গেছি
ভাগিস আইডিয়া মাথায় এসেছিলো। তা না হলে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা আজ আমার থেকেটাকা নিয়ে সাড়তো। আমার কাছে ৪০০০০ তো দুরে থাক ৪০ টাকার ছিলো না। তবে যখন আমার অনেক টাকা হবে তখন আঙ্কেল টাকে সুদ সহ টাকা ভেরত দেবো। হুহ্
আটোওয়ালা: আফা কোথায় কেউ যাবেন সামনে দিকে না ডান দিকে যাবো।
অথৈ: জাহান্নামে দিকে যান।( রাগী গলায়)
আটোওয়ালা: ওই পথ টা কোখনে নাম শুনিনাই।
অথৈ: আপনি এখানে থামান। আর এই নিন ভাড়া। ( বলে আটো থেকে নেমে পড়লো) আজ আমার ঝলমুড়ি খাওয়া হলো না। সব দোষ ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা। তোর কখনো ভালো হবে না দেখেনিস।
পরশ: কি ভেবসে নিজেকে মিথ্যা বলে সবসময় পাড় পেয়ে যাবে। এক সময় না এক সময় ওর কাছ থেকে টাকাটা আদায় করে দাড়বো।
আটোওয়ালা: ভাই মাজার এসেগেছি।
পরশ: ও এই নিন আপনার ভাড়া ( আটো থেকে নেমে বললো)
বাবা( মাজারে প্রধান) : পরশ কখন এলে।
পরশ: আসসালামু আলাইকুম বাবা। কেমন আছে।
বাবা: ওয়ালাইকুম আসসালাম। আল্লাহ রহমতে ভালো আছি। এসে পরশ আমার সাথে এসো।
পরশ: বাবা অনাথ বাচ্চাগুলো কোথায় দেখা যাচ্ছে না।
বাবা : ওরা এদিকে ওদিকে খেলছে। পরশ এরকম লাগছে কেনো। রাগ করেছো কারো উপর।
পরশ: না বাবা সেরকম কিছু না। এই নিন টাকা টা। ( বলে টাকা টা দিলো)
বাবা: মিথ্যা বলতে নেই। আমি তোমার চোখে মুখে দেখতে পারছি।
পরশ: আসলে বাবা
বাবা: ঠিক আছে বলতে না চাইলে বলায় প্রায়েজন নেই। পরশ উপর আল্লাহ যা করে ভালো জন্য করে।
পরশ: ভালো। বাবা তোমার উপর আল্লাহ বলোনা আমার সাথে কেনো এমন করলো। কেনো আমাকে একা করে দিলো।
বাবা: দেখো পরশ পৃথিবী টা চিরস্থায়ী নয়। কেউ আসবে কেউ চলে যাবে এটাই আল্লাহ বিধান। আর উপর আল্লাহ কাউকে একা করে না। তার জন্য কাউকে না কাউকে পঠায়। আর কে বলেছে তুমি একা সে যে আসছে তোমার কাছে তোমার সব দুখঃ কষ্ট ভাগিদার হতে খুব তাড়াতাড়ি আসছে।
পরশ: না বাবা আমি কাউকে চাই না। আমি কাউকে মিষ্টির জায়গায় বসাতে পারবো না। আমি শুধু আমার মিষ্টিকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি( বলতে চোখ দিয়ে পানি ভেসে গেলো) বাবা আমার আফিসে দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি আসি। বলে মাজার থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলো।
বাবা : বিধি বিধান খন্ডাবে কে। যে আসার সেতো আসবেই।
পরশ: কেনো চলে গেলে মিষ্টি। তোমার পরশ যে তোমাকে ছাড়া খুব একা। ( বলে চোখে পানি মুচলো) এই আটো শহরে যাবে।
আটোওয়ালা: জি ভাই ওঠেন।
পরশ: একটু দুতো যাবে বলে আটোতে ওঠে বসলো।
অথৈ: দুর কিছু ভালো লাগছে না। বরং বাড়ি চলে যাই। এই আটো বাদিকে মোড়ে পর যাবে
আটোওয়ালা: ওঠেন
অথৈ: চলো বলে আটোতে ওঠে বসলো। ১৫ মিনিট পর। আটো আটো এখানে থামান। এই নিন ভাড়া। ( আটো থেকে নেমে) আম্মু নিঘাত বকাদেবে আমাকে। দিলে দেবো বকা তো রোজ খাই। আমি কি করবো রাস্তায় ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল আর বাড়িতে আম্মু অশয্য। বলে বাড়ির কলিং বেল বাজালো।
আবির: আপি কোথায় ছিলি তুই।( দরজায় খুলে বললো)
অথৈ: তুই দেখছিস আম্মু মতো প্রশ্ন করছিস।
আবির: করবো তো করন আমি তোর ভাই।
অথৈ: ওরে আমার ভাই এলেন রে। আম্মু কোথায় রে।
আরির: আম্মু বাড়ি নেই।শপিং মলে কেনাকাটা করতে গিয়েছে
অথৈ: শপিং মলে গিয়েছে অথচ আমাকে বললো না। কেনো গিয়েছে রে ভাই
আবির: ওতো জানি না তবে কালকে কারা যেনো আমাদের বাড়িতে আসছে।
অথৈ: কারা আসছে। আসলে বা আমার কি। বল্টু চল আমার রুমে যাই বলে বল্টুকে নিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। ও অনেক ক্লান্ত আমি এখন একটু ঘুমাই বলে বিছানাতে শুয়ে পড়লো।
পরশ: আসলাম সাহেব আমার রুমে আসুন। ( আফিসে ঢুকতে ঢুকতে বললো)
আসলাম সাহেব: জি স্যার।
পরশ
: আসলাম সাহেব ওরা এসেছে আর মিটিং এর ব্যবস্থায় করুন আজকে ডিলটা পেতেই হবে।
আসলাম সাহেব: জি স্যার ওনারা এসেছেন। আর মিটিং এর ৫ মিনিট বাকি আছে।
পরশ: ঠিক আছে চলুন আগে মিটিং কমপ্লিট করে বলে মিনিং জন্য পরশ চলে গেলো।
আসলাম সাহেব: স্যার অনেক দিন পর একটা বড় ডিল পাওয়া গেলো।
পরশ: হ্যা।
আসলাম সাহেব: স্যার এবার বাড়ি ফিরা যাক।
পরশ: চলুন বলে আফিস থেকে বাড়ি চলে আসলো।
সনধ্যায়
অথৈ: আব্বু আবির বললো কাল করা যেনো বাড়িতে আসবে। কারা আসবে
আম্মু: তোমার জানার দরকার নেই।
অথৈ: কেনো জানার দরকার নেই।
আম্মু: বেশি কথা না বলে নিজের ঘরে যাও।
অথৈ: যাচ্ছি বলে নিজের রুমে চলে গেলো।
দিশা: ভাইয়া আসবো ( পরশের রুমে সামনে দাড়িয়ে বললো)
পরশ: হ্যা আয়। কিছু বলবি
দিশা: না মানে আম্মু
পরশ: যা বলায় তারাতারি বল আমার কাজ আছে।
দিশা: না আসলে আমি আর আম্মু
পরশ: কি আসলে জলদি বল ( রাগী গলায়)
দিশা: ভাইয়া আমি আর আম্মু কালকে তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছে ( চোখ বন্ধ করে একধমে বললো) কি ব্যাপার ভাইয়া কেনো রিয়ার্ট করছে না কেনো তারমানে ভাইয়া কি রাজি। ভাইয়া ( চোখ খুলে) ভাইয়া ভাইয়া……..(চলবে)
( আমি একটু অসুস্থ্য তাই পর্বোটা ছোটো করে দিলাম। )