বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ৩৯
অথৈ:কি ব্যাপার ওনি এতো বেলা পযন্ত ঘুমাচ্ছেন কেনো। না ওনিতো এতো বেলা পযন্ত ঘুমাই না। তাহলে ( বলে পরশের হাতের উপর হাত রেখে ডাকতে যাবে তখনি মামনি অথৈকে ডাকতে লাগলো)
অথৈ: মামনি এখন ডাকছে কেনো। আগে মামনি কাছে যাই তারপর ওনাকে ডাকবো ( বলে নিচে চলে গেলো) মামনি ডাকছিলে কেনো।
মামনি: দরজায় খুলতেই এই ফুলের গাছগুলো বাড়ি দরজায় সামনে রয়েছে। আর তার সাথে একটা ছোটো চিরকুট। এতে শুধু লেখা আছে শুভ সকাল টা শুরু হক ফুল গাছের থেকে ফুলে সুবাস নিয়ে। কি দিয়েছে বলতো।
অথৈ: মনে হয় মামু দিয়েছি। আসলে আর এক সপ্তাহ পর আমার জম্মদিন না ছোটো বেলা থেকে মামু আমার জম্মিনে এক সপ্তাহ আগ থেকে এরকম gift পাঠাই।
মামনি: ও চল ভেতরে যাই।
অথৈ: মামনি তুমি যাও আমি গাছগুলেকে ওপাশে রেখে আসি। ( বলে গাছগুলো বাড়ির এক পাশে রেখে দিলো) হয়ে গেছে। এখন গিয়ে ওনাকে ডেকে দেই। ( বলে রুমে চলে এলো) কি হলো ওনি দেখছি আরো কম্বল জরিয়ে শুয়ে আছে। এই পঁচা কুমড়ো ওঠুন ( বলে হাতটা ধরতে) ওমাগো ওনার দেখছি জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। মামনিকে ডাকবো না থাক ডাকলে মামনি টেনশন ককরবে কি করে জ্বর হলে এতে মামনি অসুস্থ্য হয়ে যাবে আমি বরং ওনার মাথা জলপটি দেই( বলে একটা পাএ করে পানি এনে ছোটো কাপুড় দিয়ে মাথা জলপটি দিতে লাগলো) না অনেকক্ষন ধরে জলপটি দিচ্ছি কিন্তু জ্বর কমছে না কেনো। দিশা আপু হ্যা ( বলে অথৈ দিশা রুমে চলে গেলো) না দিশা আপু রুমে নেই তো। মামনি তুমি দিশা আপ মামনি তুমি কেথাও যাচ্ছো
মামনি: হ্যা একটু পরশের ছোটো খালা বাড়ি যাবে। ওর খালা নাকি অসুস্থ্য। তুই কিছু বলছিলি।
অথৈ: না মামনি কিছু না তুমি যাও।
মামনি: হ্যারে পরশ ওঠেছে
অথৈ: না
মামনি: ও ওঠলে খাবাটা দিয়ে দিস আমি আসি ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: এখন কি করবো আমি। ওনার এতো জ্বর। মামু কে ফোন করবো না না থাক আমি বরং ডাক্তার আঙ্কেলকে ফোন করি এখানে আসতে বলি( বলে ফোনটা নিয়ে ফোন করলো)
ডাক্তার আঙ্কেল: অথৈ এতো দিন পর ফোন এই আঙ্কেলটাকে ভুলে গিয়েছিস।
অথৈ: আঙ্কেল তুমি একবার আমার শশুড় বাড়িতে আসতে পারবে।
ডাক্তার আঙ্কেল: কেনো সমস্য হয়েছে।
অথৈ: তুমি আগে আসো। তুমি ঠিকানা জানো তো আঙ্কেল।
ডাক্তার আঙ্কেল: হ্যা জানি তোর বিয়ে সময় গিয়েছিলাম। তুই একটু অপেক্ষা কর আমি আসছি।
৪০ মিনিট পর বাড়ি কলিং বেল বাজতেই
অথৈ: ডাক্তার আঙ্কেল তুমি এসেছো ( দরজা খুলে বললো)
ডাক্তার আঙ্কেল: কি হয়েছে
অথৈ: বলছি এসে তুমি আমার সাথে ( বলে ডাক্তার আঙ্কেলকে রুমে নিয়ে গেলো) ডাক্তার আঙ্কেল ওনাকে দেখো না ওনার খুব জ্বর( বলে কাঁদতে লাগলো)
ডাক্তার আঙ্কেল: কাঁন্না করিস না মা আমি দেখছি ( বলে ডাক্তার পরশকে দেখলো) কখন থেকে
জ্বর এসেছে।
অথৈ: জানি না। শুধু জানি জ্বর এসেছে।
ডাক্তার আঙ্কেল: আমি একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছে তুই ওকে হালকা পানি দিয়ে সারা গা মুছে দিবে।
অথৈ: হ্যা। আঙ্কেল ইনজেকশনটা আস্তে দিও ওনার ব্যাথা যেনো না লাগে।
ডাক্তার আঙ্কেল: দেবো আস্তে ইনজেকশন দেবো। তুই ওকে খুব ভালোবাসিস।
অথৈ: ভালোবাসা ভালোবাসা কি আমি জানি না কিন্তু আমি যখন ওনার কাছে আসি তখন আমার কেমন যেনো ভালো লাগে। ওনাকে ছুয়ে দিতে ইচ্ছা করে ওনাকে জ্বালাতে ইচ্ছা ওনার নিশ্বাস ছোয়া নিতে ইচ্ছা করে ওনার কষ্ট হলে আমার অনেক কষ্ট হয় কেনো হয়। এটা কি ভালোবাসা। জানি না ( মনে মনে বললো)
ডাক্তার আঙ্কেল: অথৈ
অথৈ: হ্যা
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
ডাক্তার আঙ্কেল: ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি এখন জ্ঞান না ফিরলেও সন্ধ্যায় মধ্য জ্ঞান ফিরে আসবে তুই গা টা মুছে দে আমি আসি আর এই অসুধগুলো এনে খাইয়ে দিস ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: ওষুধ পরে আনবো আগে ওনাকে মুছে দেই। ( বলে বালতি করে পানি এনে রাখলো ) ওনার শার্ট টা খুলতে হবে ( বলে বিছানায় উপর ওঠে পরশকে তুলা চেষ্টা করলো) না এতো ভারী মানুষকে আমার মতো বাচ্ছা মেয়ে তুলা তো দুরে থাক নড়াতে পারছিনা। কি ভারীরে বাবা। না পারবো না। এভাবে শুয়া াবস্থায় শার্ট খুলতে হবে ( বলে পরশের বুকে হাত রাখতেই) কেনো এমন হচ্ছে ওনার বুকে হাত রাখতে আমার হার্টবিট বেড়ে গেলো কেনো। না অথৈ তুই দুবল হবি না আমার মধ্য কেনো এমন হচ্ছে আমি জানি না শুধু এটুকে ওনার কষ্ট মানে আমার কষ্ট ওনাকে সুস্থ্য করতেই হবে………… (চলবে)