বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ৪০
অথৈ: না অথৈ তুই দুর্বল হবি না। আমার মধ্য কেনো এমন হচ্ছে আমি জানি না শুধু এটুকু যে ওনার কষ্ট মানে আমার কষ্ট ওনাকে সুস্থ্য করতেই হবে ( বলে অথৈ পরশের বুকে উপর হাত রেখে শার্টেট বোতাম গুলো খুললো।) ইশ কিরকম ফুলে গিয়েছে অথৈ তুই কাজটা ভালো করিস না। কতোটা ফুলে গেছে আর গাটাও খুব পুড়ে যাচ্ছে( বলে তোয়ালে ভিজেয়ে পরশের গাটা মুছে দিলো) ওনার কতো কষ্ট হচ্ছে। জ্বরে এসে মুখটা একদম বাচ্চাদের মতো লাগছে। শুধু বাচ্চাদের মুখে দাড়ি নেই আর এর মুখে জঙ্গলের মতো মুখ ভরা দাড়ি। আচ্ছা দাড়ি যদি না থাকে তাহলে। না না এ আমি কি ভাবছি ওনার দাড়ি কাটলে আমাকে বকবে। বকলে বকবে ওনি এমতেই আমাকে বকে। বাবা তো দাড়ি সেভ করে তারমনে বাবা রুমে দাড়ি সেভ করার যন্র থাকবে যাই নিয়ে আসি ( বলে বাবার রুমে গিয়ে দাড়ি সেভ করার যন্র টা নিয়ে আসলো) হে আল্লাহ তোমার নামে শুরু করছি ( বলে বিছানায় ওঠে পরশের পাশে বসে দাড়ি কাটতে লাগলো) অথৈ তুই যেটা করছিস এটার জন্য তোর কপালে যে কি আছে সেটা আল্লাহ আর এই পঁচা কুমড়ো জানে। বাহ্ ওনাকে একদম সালমান খানের মতো লাগছে। এখন একটা গান গাইতে ইচ্ছা করছে কি দারুন দেখতে তুমি এখন নেই তো তোমার মুখের দাড়ি। অথৈ তুই না সত্যি একটা পাগলি। যাই ওনার জন্য কি খাবার তৈরি করতে হবে ( বলে রান্না ঘরে আসলো) আম্মু বলতো জ্বর আসলে তাকে ভারি খাবার দিতে নেই। এখন কি বানাবো আমি। সুপ বানাবো হ্যা তাই বানাই। কিন্তু কি করে বানাবো সুপ। ইউটিউব আছে তো ( বলে রুম থেকে ফোন টা নিয়ে আসলো তারপর ইউটিউব দেখে সুপ বানানো শুরু করলো) প্রথমে সবজি কাটতে হবে তারপর রান্না। সবজি সবজি এই তো সবজি আর চাকু এখন কাটতে হবে ( বলে সবজি কাটতে লাগলো) আঃ রক্ত আঃ রক্ত বের হচ্ছে আমার কি ব্যাথা করছে আঃ( বলে কান্না করতে লাগলো)
পরশ: অ্যা মাথাটা খুব ভারি লাগছে আমার গাটাও ব্যাথা ( বলে শুয়া থেকে ওঠে বসলো) ৬ টা বাজে তারমানে এখন সন্ধ্য। যতোদুর মনে আছে গতো শেষ রাতে ব্যাথা জ্বর এসেছিলো তারপর কি হয়েছে কিছু তো মনে পড়ছে না ( বলে বিছানার থেকে নামতেই কান্না আওয়াজ পেলো) কে কাঁদছে অথৈ। কি হলো আবার ওর ( বলে পরশ নিচে গেলো) অথৈ অথৈ কোথায় তুমি অথৈ। কান্না আওয়াজ রান্না ঘর থেকে আসছে ( বলে রান্না ঘরে গিয়ে বললো) অথৈ কি হয়েছে আর রক্ত কিসে দেখি হাতটা( বলে হাতটা টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসলে) কি করে কাটলো অনেকটা কেটে গেছে দেখছি।
অথৈ: সবজি কাটতে লেগে ( ফুপিয়ে ফুপিয়ে বললো)
পরশ: চুপ একদম চুপ ( ধমক দিয়ে) এখানে থাকো আমি আসছি ( বলে উঠতে যাবে) আহ্ মাথাটা এতো ব্যাথা
অথৈ: কি হলো আপনার জ্বর কমেনি বুঝি
পরশ: তোমাকে না বলেছি চুপ থাকতে ( বলে পরশ দিশার রুম থেকে মেডিকেল বক্স টা নিয়ে আসলো) দেখি হাতটা
অথৈ: এই যে হাত ( বলে হাতটা সামনে ধরলো)
পরশ: দাও ( বলে হাতটা নিজের কাছে এনে হাতে ব্যান্ডেজ করতে করতে বললো) কে বলেছিলো সবজি কাটতে আর আম্মু কোথায়।
অথৈ: মামনি আপনার খালা বাড়িতে গিয়েছে। আর হাত আপনার জন্য কেটেছে
পরশ: আমার জন্য মানে
অথৈ:হ্যা আপনার জন্য সুপ বানানোর জন্য সবজি কাটতে বসে হাতটা কেটে গেলো।
পরশ: সুপ আমার জন্য
অথৈ: হ্যা আম্মু বলতো জ্বর আসলে ভারি খাবার খেতে নেই। তাই সুপ বানাতে
পরশ: বুঝেছি আমার জন্য সুপ বানাতেই নিজের হাতটা কেটে ফেললে এখন যাও আমি আমার সুপটা বানিয়ে নেবো।
অথৈ: না না আপনার এখনো সুস্থ্য নয় আর আগুনের কাছে থাকলে আপনি আরো অসুস্থ্য হয়ে যাবেন। না আপনি যান আমি বানাতে পারবো।
পরশ: আমি এখন সুস্থ্য আছি আর জ্বরটাও নেই আমি পারবো তুমি যাও ( বলে পরশ সবজি কাটতে লাগলো)
অথৈ : আমি আপনাকে help করি।
পরশ: help করবে ঠিক আছে তুমি বরং ওখান থেকে দুটো সুপের জন্য বাটি নিয়ে আসো যাও।
অথৈ: ok ( বলে বাটিনিয়ে আসলো) আপনি দেখছি খুব ভালো রান্নাও করেন ( বলতে কলিং বেল বাজতে লাগলো) আমি দেখছি কে এসেছে ( বলে দরজা খুলে দিলো) দিশা আপু মামনি
মামনি: কিরে মা তোর হাত কাটলো কি করে
পরশ: রান
্না করতে বসে ( পেছন থেকে বললো)
দিশা: ভাইয়া এ আমি কি দেখছি নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না আম্মু তুমিও দেখছো।
পরশ: কি হয়েছে তোর আর এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো।
দিশা: একমিনিট ( বলে ব্যাগ থেকে একটা আয়না বের করে পরশের সামনে ধরলো)
পরশ: আমার দাড়ি কেই। কে কাটলো ( বলে অথৈর দিকে তাকালো)
অথৈ: মামনি বাচাও আমাকে ( বলে মামনি পেছনে গিয়ে লুকালো)
পরশ: অথৈ বের হও বলছি ( রাগী গলায়)
অথৈ: না মামনি তুমি সরো না তুমি সরলে ওনি আমাকে অস্তো খেয়ে ফেলবে।
পরশ: আম্মু সরো তো ( বলে পরশ অথৈকে ধরতে য়াবে তখনি অথৈ মামনি পেছন থেকে দৌড় দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে খাটে পেছনে লুকিয়ে পড়লো) অথৈ লুকিয়ে লাভ হবে না বের হও বলছি
অথৈ: না আমি কিছুতে বের হবো না।
পরশ: কোথাও লুকিয়েছে বলে খুজতে লাগলো)
অথৈ: হ্যাচি
পরশ: বুঝতে পেরেছি ( বলে খাটে পেছনে গিয়ে দাড়ালো)
অথৈ: এই কান ধরছি আর দাড়ি কাটবো না। এবারে মতো মাফ করেদিন। please মারবেন না আপনি যদি আবার থাপ্পার মারেন তাহলে আমার দাঁতগুলো পড়ে যাবে তখন সবাই আমাকে নিজে মজা করবে। ( চোখ বুঝে বললো)
পরশ: কি এই মেয়েটা ( বলে হাসতে লাগলো)
অথৈ: ওনি হাসছেন কেনো ( চোখ খুলে বললো) বাহ্ ওনার হাসিটা অনেক সুন্দর তো। ওনার হাসি থেমে গেলো আমাকে বকবে অথৈ তুই ভাগ ( বলে অথৈ রুম থেকে চলে গেলো)
পরশ : এই মেয়ে চলে গেলো পাগলি কোথাকর ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো)
১ দিন পর
অথৈ: কয়টা বাজে ( চোখ খুলে বললো) ৫:৪৫ মিনিট ও একি ওনি কোথায়। ওনি সকালে ওঠেন তাই বলে এতো সকালে ওঠেন না তো ওয়াশরুমে কিন্তু ওয়াশরুমে মনে কেউ নেই তাহলে কোথায় ( বলে অথৈ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখলো এখনি কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি) সবাই তো ঘুমাচ্ছে তাহলে ( বলতে মামনি এসে বললো) কি রে মা তুই এতো সকালে ওঠেছিস।
অথৈ: মামনি ওনি কোথায়।
মামনি: পরশ
অথৈ: হ্যা
মামনি: আজকে ওকে পাবি না। আজ ওর মিষ্টির জম্মদিন।
অথৈ: আজ মিষ্টি আপু জম্মদিন। তাহলে মামনি আজ আমরা মিষ্টির আপু জম্মদিন পালন করবো।
মামনি: না খবদার ভুলে এটা করিস না। মিষ্টি চলে যাওয়ার পর থেকে এ বাড়িতে কারো জম্মদিন পালন হয় না। পরশ চাই না এর জন্য।
অথৈ: কিন্তু মামনি আজ তো জম্মদিন পালন হবে ( মনে মনে বললো)
রাত ১২: ১ মিনিট
পরশ: happy birth day to you happy birthday to youমিষ্টি। ( মিষ্টির ছবি সামনে দাড়িয়ে বললো) মিষ্টি আজ তোমার জম্মদিন। আমি আর তুমি মিলে আজ জম্মদিন পালন করবো প্রতিবছরে মতো ( বলে মদের বোতল খুলে মিষ্টির সামনে ধরে ) চিয়ার্স মিষ্টি ( বলে বোতালে পুরা মদ খেয়ে ফেললো) কি হলো মিষ্টি তোমার gift নেবে না। এই যে আমি নিজে গিয়ে তোমার জন্য gift কিনেছি ( বলে আরো একটা বোতলে মদ খেয়ে নিলো) অানন্দ করো মিষ্টি ( বলতে হঠ্যৎ দরজায় দিকে পরশের চোখ যেতেই পরশ বললো) তুমি ………. (চলবে)