#আমার তুমি
পর্ব ৪
#তানিশা সুলতানা
ভাঙা বাড়িটার এক কোণে হাঁটু মুরে বসে কান্না করছে তুলতুল। কিছুখন আগেই সায়ান ধাক্কা দিয়ে ফেলে চলে গেছে। আর যাওয়ার আগে আঙুল তুলে বলে গেছে “আমার পেছনে লাগার শাস্তি “
এই মুহুর্তে তুলতুলের মনে হচ্ছে সায়ান একটা সাইকো। নাহলে এইরকম পানিশমেন্ট কেউ দেয়? একটা আবারও ভাবলো না তুলতুল এখনে থাকবে কি করে? মেয়েটা হয়ে ভীতু।
বাড়িটা একটু বেশিই পুরনো। হবে হয়ত কোনো জমিদার বাড়ি। চারপাশে জঙ্গল। গা ছমছমকর পরিবেশ। চারপাশে ঝি ঝি পোকার ডাক।
বেশ ভয় করছে তুলতুলের। আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কোথাও কোনো কাক পাখিও নেই। ঠকঠক করে কাঁপছে তুলতুল।
ভয় নিয়েই চোখের পানি মুছে উঠে দাঁড়ায় তুলতুল। এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না। কিভেবেছে সায়ান? এখান থেকে তুলতুল যেতে পারবে না? অবশ্যই পারবে। তুলতুল থেমে থাকার মেয়ে না। এখান থেকে যাবো তুলতুল।
লেডিস ব্যাগটা শক্ত করে ধরে দৌড় দেয় তুলতুল। মনে হচ্ছে পেছন পেছন কেউ আসছে। পেছনে তাকায় না তুলতুল। তাকানোর সাহস নেই। কাঁটা ওয়ালা কর্কর গাছের সাথে বেঁধে বেশ খানিকটা সালোয়ার ছিঁড়ে যায় সাথে পা টাও বাজে ভাবে কেটে যায়। চোখ মুখ খিঁচে দাঁড়িয়ে পড়ে তুলতুল।
আস্তে আস্তে করে পায়ের দিকে তাকায়। অনেকটাই কেটে গেছে। প্রচন্ড রক্ত ঝড়ছে। কর্কর গাছের সাথেই একটা ভাঙা টিনের টুকরো রয়েছে। যেটাই বেঁধে পা কেটেছে তুলতুলের। কিন্তু দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না। পা টেনে টেনে হাঁটতে শুরু করে তুলতুল।
“আর কখনোই আপনার সাথে কথা বলবো না আমি। সায়ান বলে কেউ আছে ভুলে যাবো আমি। কখনোই হ্মমা করবো না আপনাকে।
বিরবির করে বলে তুলতুল।
খানিকটা হাঁটার পরে মেইন রোড খুঁজে পায় তুলতুল। কিন্তু রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা। একটা গাড়ি তো দুর রিকশাও নেই।
” এবার যাবো কিভাবে?
হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে অনবরত চোখের পানি মুছে যাচ্ছে তুলতুল। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু পারছে না।
পায়ে ভীষণ ব্যাথা করছে। সয্য করতে পারছে না।
মেইন রোডের মাঝখানে বসে পড়ে তুলতুল।
ব্যাগে ফোন আছে এই কথাটা মাথা থেকেই বের হয়ে গেছে।
আশিকের বাসাটা এই রোডেই। চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে বাসায় ফিরছিলো। মাঝ রাস্তায় একটা মেয়েকে বসে থাকতে দেখে মেয়েটার সামনে বাইক থামায়। সব থেকে আগে নজর যায় মেয়েটার পায়ের দিকে। যেখান থেকে রক্ত পড়ে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেছে।
মেয়েটার মুখ দেখা যাচ্ছে না মাথা নিচু করে আছে। একটু পরপর ফুঁপানোর আওয়াজ আসছে।
আশিক বাইক থেকে নামে। তুলতুলের সামনে এসে হাঁটু মুরে বসে।
“হেই কি হয়েছে আপনার?
কারো ডাকে তুলতুল মাথা তুলে তাকায়। সেই দিনের সেই ছেলেকে দেখে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে তুলতুল।
আশিকও তুলতুলকে দেখে চমকে ওঠে। এই পরিটা এখানে কি করছে?
” হেই রিলাক্স
আশিক তুলতুলের গায়ে হাত দিতে গিয়ে হাতটা সরিয়ে নেয়। তুলতুল কান্না করতে করতে নিজের পায়ের দিকে ইশারা করে।
রক্ত দেখলে তুলতুল দিশেহারা হয়ে পড়ে। খুব ভীতু মেয়েটা।
আশিক কি করবে বুঝতে পারছে না। সায়ানের পারমিশন নেওয়াটা দরকার।
আশিক ফোন বের করে সায়ানকে কল করে। একটু রিং হতেই সায়ান রিসিভ করে।।তারপর তুলতুলের কথা বলে।
“দুই মিনিটে আসছি আমি।
আশিক কল কেটে আবার তুলতুলের কাছে আসে। তুলতুল কেঁদেই যাচ্ছে।
আশিক তুলতুলের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
” একটু শান্ত হও। এখুনি সায়ান চলে আসবে।
সায়ান নামটা শুনে থেমে যায় তুলতুল। আগুন জ্বলে ওঠে মাথায়। কান্নাটা গলায় আটকে যায়। শুনতে চায় না এই নামটা। আশিকের দিকে এক নজর তাকিয়ে উঠে বসে।
আবারও পা টেনে হাঁটা শুরু করে। আশিক অনেক ডাকে তুলতুলকে সারা দেয় না। দৌড়ে এসে তুলতুলের সামনে দাঁড়ায় তুলতুল পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এবার তুলতুলের ভাগ্যটা ভালো ছিলো। তাই দুই মিনিট হাঁটতেই একটা সিএনজি পেয়ে যায়।
“মামা যাবেন
নাক টেনে বলে তুলতুল।
” কোনে যাইবা তুমি? কি হইছে তোমার?
“পা কেটে গেছে আমার। কাছে কোনো হাসপাতাল থাকলে সেখানে নিয়ে চলেন।
গলা কাঁপছিল তুলতুলের।
তুলতুল উঠে বসে। সিএনজি চলতে থাকে।
তুলতুল যেতেই সায়ান চলে আসে। কোনোরকমে বাইকটা দার করিয়েই দৌড়ে আশিকের কাছে যায়।
” কোথায় ও?
“মাএ চলে গেলো।
সিএনজি দেখিয়ে বলে।
সায়ান আর কিছু না বলেই সিএনজিকে ফলো করতে থাকে।
বুকটা কাঁপছে। তুলতুল ঠিক আছে তো?
সিএনজিতে ওঠার পরই তুলতুলের মাথা ঝিমঝিম করতে থাকে, চোখে অন্ধকার দেখছে। রক্ত তো থামার নামই নেই। নিজের ভারসাম্য নিজে রাখতে পারছে না। বারবার ছিটে হেলে পরছে।
একটু শান্তি পাওয়ার জন্য সিটে মাথা ঠেকিয়ে চোখ দুটো বন্ধ করল নেয় তুলতুল। আর কিছু মনে নেই তুলতুলের।
সিএনজি থামিয়ে সিএনজি মামা পেছনে তাকিয়ে দেখে মেয়েটা পরে আছে। ভীষণ ভয় পেয়ে যায় উনি। রীতিমতো ঘামছে। মেয়েটার কিছু হয়ে গেলো না তো?
এসব ভাবনার মাঝেই দেখে একটা ছেলে মেয়েটাকে কোলে তুলে নিচ্ছে। মেয়েটা ওনার দায়িত্ব এভাবে কেউ নিয়ে যাবে?
” এই ভাইজান আপারে নিয়ে যান কেন? উনি অসুস্থ?
লাফ দিয়ে সিএনজি থেকে নেমে বলেন উনি
“উনি আমার পরিচিত
সায়ান বলে।
” আমি কেমনে জানমু? যদি আপনি ওনারে নিয়ে যাইবেন না। উনি আমার দায়িত্ব। আমি ওনারে ডাক্তার দেখামগ।
বাধা দিয়ে বলেন উনি।
“বউ ও আমার। আমার বউকে নিয়ে যাবো তাতে তোর কি রে? আর একটা কথা বললে মেরে হাড় গোড় ভেঙে দেবো।
ধমক দিয়ে বলে সায়ান। লোকটা ভয় পেয়ে যায়। দুপা পিছিয়ে যায়। এমনিতে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে কপালের রগ ফুটে উঠেছে। জোরে জোরে শ্বাস টানছে।
” আপনার ভাড়া সিটের ওপর রাখা আছে।
বলেই সায়ান চলে যায়।
একজন মহিলা ডাক্তার তুলতুলের পায়ের ড্রেসিং করছে।
সায়ান তুলতুলেকে দুই হাত জাপ্টে জড়িয়ে ধরে আছে।
“মিস্টার সায়ান আপনার ওয়াইফের পা টা বাজে ভাবে কেটে গেছে। অনেক রক্তও ঝড়েছে। সিলাই করতে হবে।
” তারাতাড়ি করুন একটু। ও খুব ভয় পায়। জেগে গেলে প্রচুর কান্নাকাটি করবে।
সায়ান তারা দিয়ে বলে।
তুলতুল চোখ পিটপিট করে তাকায়। চোখ খুলে সামনে ডাক্তারকে দেখে বুঝে যায় ও এখন হাসপাতালে আছে। দীর্ঘ শ্বাস ফেলে। অতঃপর নিজেকে কারো বাহুডোরে আবদ্ধ অনুভব করতেই নরেচরে ওঠে তুলতুল। মাথা উঁচু করে সায়ানকে দেখতেই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় সায়ানকে।
সায়ান প্রস্তুত ছিলো না বিধায় দুই পা পিছিয়ে যায়। রাগে থরথর করে কাঁপছে তুলতুল। ডাক্তার অবাক হয়ে তাকায় তুলতুলের দিকে।
“ম্যাম আপনার পায়ে এখন সেলাই করা হবে। উনি আপনাকে ধরে রাখুক।
সুঁচে সুতো পুরতে পুরতে বলেন ডাক্তার।
সুঁচ দেখেই তুলতুল ভয় পেয়ে যায়। রাগের কথাটা নিমিষেই ভুলে যায়। চোখে আবার চলে আসে অশ্রুধারা।
” সেলাই করবেন না প্লিজ। এমনিতেই সেরে যাবে।
তুলতুল কান্না করে বলে।
“সেলাই করতেই হবে। নাহলে সারবে না। অনেকটা কেটে গেছে।
তুলতুলের কান্নার আওয়াজটা এবার বেরে যায়।
” আমি খুব ব্যাথা পাবো। খুব ভয় পাই আমি। প্লিজ
“একটুও ব্যাথা পাবেন না ম্যাম ট্রাস্ট মি। আপনি ভয় পাচ্ছেন। তাই তো বলছি উনি
চোখের পানি মুছে ফেলে তুলতুল। ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকায়।
ততখনে আশিক চলে এসেছে। সায়ান তুলতুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টিটা তুলতুলের মুখে সীমাবদ্ধ। ভীষণ রাগ হচ্ছে। অপমান করলো ডাক্তারের সামনে।
আমিও দেখি এতো সাহস পায় কোথা থেকে। আমাকে ধাক্কা দেওয়া।
মন বলছে সায়ানের।
বুকে হাত গুঁজে নেয়।
” রেডি
ডাক্তার জিজ্ঞেস করে তুলতুলকে।
ডাক্তার পায়ের কাছে সুঁচ আনতেই তুলতুল ডাক্তারের হাত ধরে।
“ভাইয়া আমার হাতটা একটু ধরবেন? আমার না ভীষণ ভয় করছে।
আশিকের দিকে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকিয়ে বলে তুলতুল। আশিক ঢোক গিলে। এক পলক সায়ানের দিকে তাকায়। সায়ান হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে। দাঁতে দাঁত চেপে তাকায় আশিকের দিকে।
” আআআমি
আশিক জীভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে বলে।
“প্লিজ ভাইয়া।
তুলতুলের অসহায় ফেস দেখে আশিক আর না করতে পারে না। তুলতুলের পাশে দাঁড়িয়ে ওর হাতটা শক্ত করে ধরে।
ডাক্তার সুঁচ পায়ে গাঁধতেই চিৎকার দিয়ে কান্না করে ওঠে তুলতুল। এতে ডাক্তার থেমে যাকে না নিজের কাজ করেই যাচ্ছে। আশিক তুলতুলের দুটো হাতই শক্ত করে ধরে রাখে। কেনোনা হাত দুটো বারবার পায়ে দিচ্ছে মেয়েটা।
সায়ান দাঁতে দাঁত চিপে হাত মুঠ করে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। আশিক তুলতুলের হাত ধরেছে এটা ও মেনে নিতে পারছে না। আবার কিছু বলতেও পারছে না। কারণ তুলতুল মারাক্তক ত্যাড়া মেয়ে। তবে এর শাস্তি তুলতুলকে পেতে হবে।
অবশেষে সেলাই করা শেষ হয়। পাঁচটা সেলাই দিতে হয়েছে। পায়ের গোঁড়ালির ওপরের শক্ত অংশ কেটে গেছে। যার জন্য সেলাই দিতে আরও বেশি কষ্ট পেতে হয়েছে তুলতুলকে।
তুলতুল চোখ করে ফুঁপিয়ে যাচ্ছে।
” সেলাই কম্পিলিট। এবার তোমার কান্নাটা থামাও
আশিক তুলতুলের হাতটা ছেড়ে দেয়। তুলতুল চোখ খোলে। হাতের দিকে তাকায়। হাত দুটো টকটকে লাল হয়ে গেছে শক্ত করে ধরার ফলে।
আশিক অপরাধীর মতো তাকায় তুলতুলের হাতের দিকে।
চোখ মুখের অবস্থা নাজেহাল। চোখ দুটো ফুলে গেছে। সাদা মুখটা গোলাপি হয়ে গেছে। চোখের পাপড়ি গুলো ভিজে জবুথবু হয়ে আছে। চুল গুলো এলোমেলো হয়ে গেছে।
“মিস্টার সায়ান মাহমুদ আপনার মিসেসকে এখন বাসায় নিয়ে যেতে পারেন। তবে সাবধানে রাখবেন। একা একা হাঁটা চল
ডাক্তারের কথা কানে যেতেই আবারও মাথাটা গরম হয়ে যায় তুলতুলের। বিলজ্জ বেহায়া লোক। বউ বলে পরিচয় দেওয়া হচ্ছে।
” এক মিনিট
আমি ওনার মিসেস না। ওনাকে তো আমি চিনিই না। রাস্তায় পড়ে ছিলাম তখন জাস্ট একটু হেল্প করেছে। এর বাইরে চিনিই না আমি ওনাকে।
কাটকাট গলায় বলে তুলতুল। কথার ভাজে ছিলো এক রাশ রাগ। এটাকে অভিমান বলা যায় না কেনোনা অভিমান প্রিয় মানুষের সাথে করা যায়। আর সায়ান আর যাই হোক তুলতুলের প্রিয় মানুষ না।
ডাক্তার সায়ানের দিকে এক পলক তাকায়। লজ্জায় সায়ানের মাথা কাটা যাচ্ছে। এইভাবে তুলতুল ওকে অপমান করবে ভাবতেই পারে নি।
আশিক আড়চোখে তাকায় সায়ানের দিকে।
তুলতুল জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে। ওড়নার শেষের অংশ দিয়ে ভালোভাবে চোখ মুখ মুছে নেয়। আপতত পায়েল ব্যাথা নেই।
“ম্যাম কতো টাকা হয়েছে। আর কি কি ঔষধ লাগবে আমাকে একটু বলেন। আমি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবো।
তুলতুল আশেপাশে খু্ঁজে অবশেষে মাথার কাছে নিজের ব্যাগটা দেখতে পায়। ব্যাগ খুলে টাকা বের করতে থাকে।
সায়ান ডাক্তারকে চোখের ইশারায় না করে।
” আআমি আসছি
বলেই ডাক্তার চলে যায়।
ডাক্তার চলে যেতেই সায়ান আচমকা তুলতুলকে বেডের সাথে চেপে ধরে। চমকে ওঠে তুলতুল। হাত দুটো শক্ত করে ধরে। মুখের একদম কাছে মুখটা নিয়ে আসে। তুলতুল একদম বেডের সাথে মিশে যায়। আশিক বড়বড় চোখ করে তাকায় ওদের দিকে।
“খুব সাহস বেড়েছে তোর তাই না? আমাকে অপমান করলি তুই। আশিককে হাত ধরতে বলেছিলি?
দাঁত কটমট করে বলে সায়ান।
সায়ানের নিশ্বাস একদম তুলতুলের মুখে উপচে পড়ছে। একটু আগেই সিগারেট খাওয়াতে মুখ থেকে গন্ধ আসছে। তুলতুল চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আছে। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সিগারেটের গন্ধ একদম অপছন্দ তুলতুলের।
জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয় তুলতুল। কিছু বলার জন্য হা করে কিন্তু গলা দিয়ে কথা বের হয় না। সায়ান তুলতুলের ঠোঁটের দিকে তাকায়। ভয়ে ওষ্ঠদ্বয়ও কাঁপছে।
” তুই আমার বউ না? বউ ন তুই আমার? এবার আমিও দেখবো তুই নেক্সট টাইম কি করে বলিস তুই আমার বউ না।
চিৎকার করে বলে সায়ান। আশিক দুরে দাঁড়ানো সেও ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর তুলতুল তো খুব কাছে। বুকটা কেঁপে ওঠে। কানে লাগে কথাটা। মনে হচ্ছে কানের পর্দা ফেটে যাচ্ছে।
“মিস্টার সায়ান এই যে এই ঔ
বাকি টুকু বলতে পরে না ডাক্তার ওদের এতো কাছে দেখে চোখ ফিরিয়ে নেয়।
সায়ান তারাহুরো করে সরে যায়। হাত দিয়ে চুল গুলো ঠিক করতে থাকে।
তুলতুল চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। লজ্জায় মুখটা পুরো লাল হয়ে গেছে। এরকম একটা পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।চোখ খোলার সাহস নেই তুলতুলের।
” ককি যেনো বলছিলেন ডাক্তার?
সায়ান একটু কেশে বলে।
ডাক্তার বিনা বাক্যে সায়ানের হতে পিকসেপশন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।
“প্রেম জেগেছে আমার মনে বলছি আমি তাই
তোমায় আমি ভালোবাসি তোমায় আমি চাই
উরি উরিবাবা
আশিক গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে চলে যায়। সায়ান ফস করে একটা শ্বাস নেয়।
চলবে
.