#অবন্তিকা_তৃপ্তি
#পর্ব_১৬
রাতের আকাশের নিচে সবাই মাদুর পেতে বসে আছে। তুলি প্রথমে শাড়ির আঁচল কোলে রেখে বসে ছিলো। কিম্তু তারপর হঠাৎ শুভ্র সবার অগোচরে আঁচলখানা নিজের হাতে পেঁচিয়ে হাতটা লুকিয়ে নিজের প্রশস্ত পিঠের পেছনে রেখে ভদ্র মুখ করে সবার সঙ্গে গল্প করতে লাগলো। তুলি হতভম্ব; শুভ্র স্যার লাজুক কিম্তু যথাযথ সভ্যও নন। কথাটা তুলি কেন যেন সাজেক আসার পর বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।
সবাই এইফাঁকে গান ধরেছে। শুভ্রও তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গুনগুন করছে। তুলি মুগ্ধ হয়ে শুনছে শুভ্রর হালকা আওয়াজের গান। তুলি শুভ্রকে এতোক্ষণ ধরে দেখছে, সেটা কিভাবে যেন তুলির দিকে না চেয়ে শুভ্র বুঝে ফেললো। তাই শুভ্র গান থামিয়ে তুলির দিকে তাকাল; ভ্রু নাড়িয়ে প্রশ্ন করল,
‘কী দেখছ মিস ছাত্রী?’
‘নাথিং।’
কথাটা বলে লজ্জায় তুলি মুখ সরালো অন্যপাশে। শুভ্র মাথা নিচু করে হালকা হাসল। পরপর হাতে পেঁচানো শাড়ির আঁচলে টান দিলো।যেন তুলিকে ডাকছে। তুলি তাকাল আবার। শুভ্র বললো,
‘তুমি কী কিছু লুকাচ্ছো আমার থেকে?’
তুলি চোখ বড়বড় করে তাকালো।শুভ্র কী কিছু বুঝতে পারছে? কিভাবে পারলো? তুলি তো এখন অব্দি কোনো কিছু বুঝায় নি; স্বাভাবিক থেকেছে বরং। তারপরেও? তুলি পরপর দ্রুত মাথা নেড়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বললো,
‘উহু? কেনো বললেন এ কথা?’
শুভ্র কাঁধ নাচিয়ে গা-ছাড়া ভাবে বলল,
‘এমনি , লাগল আমার কাছে।’
‘ওহ।’
তুলি স্বস্তির শ্বাস ফেললো। শুভ্র বাকিটাক্ষণ সবার অগোচরে এভাবেই তুলির শাড়ির আঁচল হাতের আঙুলে পেঁচিয়ে বসে থাকলো। তুলিও তেমন কথা বললো না। রাত হতেই যে যার ঘরে ফিরলো।
________
সকালের হুট করে খেতে বেরুতেই মহুয়ার ইচ্ছে হলো দূরে কোথাও নাস্তা করতে যাবে। আরিফ তো সেটা শুনে খুব রেগে গেলো। বললো,
‘দূরে যাবে মানে? তোমার শরীর দেখেছো? চারদিনেই শরীরের অবস্থা কাহিল বানিয়ে দিয়েছো। নিজেও জেদ দেখাচ্ছো, আর আমার বাচ্চাটাকেও কষ্ট দিচ্ছো।’
মহু মুখ ফুলো করে আরিফের দিকে তাকাল। ত্যারাভাবে বললো,
‘তোমার বাচ্চা মানে? ও আমার কেউ না? আর আমি যাবো খেতে, আমি যাবোই। দরকার হলে একা যাব। কারোর দরকার নেই আমার।’
মহু ব্যাগ নিয়ে চেয়ার থেকে উঠে একা একাই বেরিয়ে যাচ্ছিলো। আরিফ থামালো না। রাগে ফুশফুশ নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে মহুর যাওয়ার দিকে চেয়ে থাকলো। দুজনের বাকবিতণ্ডা দেখে শুভ্র বলল,
‘কেন মহুকে রাগাচ্ছিস? চল যাই।ও একা যাবে এই অবস্থায়? তুইও না।’
আরিফ বিরক্ত হয়ে বললো,
‘তুই দেখেছিস ওর অবস্থা? কাল সারারাত ওসব কয়লা পোড়া খাবার খেয়ে বমি করেছে। দুবার পেটের ব্যথায় ঘুমও ভেঙেছে। অ্যাহ, উনি নাকি ডাক্তার। ডাক্তার হলে কেউ এমন করে। রাগ লাগছে ইয়ার।’
শুভ্র ভ্রু বাকালো,
‘মহুর উপর?’
আরিফ বাঁকা চোখে দূরে মহুর হাঁটার দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
‘উহু, নিজের উপর। ওকে এখানে নিয়েই আসা উচিত হয়নি আমার।’
শুভ্র হেসে ফেললো। বললো,
‘আটকা ওকে। চলে যাচ্ছে। একা গেলে বিপদ, আমরা সাথে থাকলে সেইফ থাকবে।’
আরিফ শুভ্রর দিকে একবার তাকাল, তারপর মহুর দিকে চেয়ে প্রলম্বিত নিঃশ্বাস ছাড়ল। পরপরই ছুটলো মহুর পেছনে। দুজন দূরে দাঁড়িয়ে আছে। মহু ঝগড়া করছে, আরিফ মানাচ্ছে। দৃশ্যটা চোখে পড়ার মতো। তুলির ভালো লাগা বাড়লো। বিড়াল ছানার ন্যায় গা ঘেঁষে দাঁড়াল শুভ্রর। ওদের দিকে চেয়ে শুভ্রর উদ্দেশ্যে বললো,
‘দে মেইড ফর ইচ আদার। হোয়াট অ্যা পারফেক্ট কাপল!’
শুভ্র হালকা হাসলো। তুলির ন্যায় ওদের দিকে চেয়ে দেখল। তারপর তুলির দিকে চেয়ে সম্মোহনী স্বরে বললো,
‘লাইক আস?’
প্রশ্ন করল শুভ্র। তুলি শুভ্রর দিকে তাকাল। হয়তো তুলি আশা করেনি শুভ্র এ কথা বলবে। তুলি কিছুক্ষণ শুভ্রর দিকে চেয়ে রইল। তারপর হেসে ফেলল। চোখ ছোটছোট করে পাল্টা প্রশ্ন করলো;
‘আর ওই অ্যা পারফেক্ট কাপল?’
শুভ্র এমন চোখা প্রশ্নে কিছুটা মিইয়ে গেলো। মাথা চুলকে অপ্রস্তুত হয়ে বললো,
‘মানে ওই আর ট্রায়িং, রাইট?’
তুলি শুভ্রর উত্তর দেওয়ার ধরন শুনে এবার শব্দ করে হেসে ফেলল। শুভ্র মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখলো। হাজারো হাসি দেখেছে সে। কিন্তু ওমন সুন্দর হাসি শুভ্র কখনও দেখেনি। শুভ্র মাথা চুলকে তুলির হাসি দেখেই গেলো অবিরাম।
মহুর কথাই শেষ অব্দি রাখা হলো। সবাই অনেকটা দূরে একটা ছোটখাটো মাচার রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছে। মহু এই রেস্টুরেন্টের বেশ নাম শুনেছে। তাই নিজে বেছে বেছে সব ভালো, মজাদার খাবার অর্ডার করলো। সবাই খাবারের জন্যে অপেক্ষা করছে। মহু এইফাকে তুলিকে মেসেজ করলো,
‘তাহলে শুরু করা যাক? ও পৌঁছে গেছে।’
তুলি মেসেজটা পড়ে শুভ্রর দিকে একবার তাকাল। মহু বুঝতে পারল; তুলি কিছুটা অস্বস্তিতে ভুগছে। মহু আবারই মেসেজ করল,
‘রেডি তো, তুলি?’
তুলি হাফ ছাড়ল। তাকে এটা করতেই হবে। হোক না একটু ছেলেমানুষী। কিন্তু লাজুক শুভ্রর লজ্জা ভাঙতে এটা করাই লাগবে। তুলি ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেলে মেসেজ লিখল,
‘ইয়াহ, আ’ম রেডি ম্যাডাম।’
তুলির মেসেজটা পড়ার পর মহু ‘থাম্বসআপ’ দেখালো তুলিকে। পরপরও ইশারা করল কাউকে। তারপর রেস্টুরেন্টে ঢুকল একজন ইয়াং, সুদর্শন ফর্মাল গেটআপে এক পুরুষ। তুলি তাকে একবার দেখল। শুভ্রর এসবে মনোযোগ নেই। সে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পে মশগুল।
মহু মেসেজ করল তুলিকে,
‘সে এবার তোমার সামনে বসবে। একটিং শুরু করো। উলটাপাল্টা করবে না কিছু, চিন্তা নেই। হি ইজ ম্যাই ফ্রেন্ড, এন্ড ম্যারেড।’
তুলি এবার আশ্বস্ত হলো। ছেলেটা সোজা এসে তুলির ঠিক মুখোমুখি হয়ে বসল। মহু তাকে দেখে অবাক হওয়ার ভান করে চেঁচালো,
‘সুভম, তুই এখানে? এই সাজেকে? হোয়াট অ্যা কোইনসিডেন্ট।’
সুভম তুলির দিকে আড়চোখে চেয়ে দেখল। তারপর মহুর উদ্দেশ্যে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
‘এই আরকি ঘুরতে এলাম। তা,কেমন আছিস?’
‘প্রেগন্যান্ট অবস্থায় যতুটুকু ভালো থাকা যায়!’
মহু হ্যান্ডশেক করল। মহু সবার সঙ্গে পরিচিয় করিয়ে দিল সুভমকে। সুভম সবার সঙ্গেই হ্যান্ডশেক করল। কিন্তু তুলির সঙ্গে হ্যান্ডসেক করার সময় তুলির দিকে নির্নিমেষ চেয়ে রইল। এতোক্ষণ পুরো ব্যাপারটা আমলে না নিলেও এবড় শুভ্রর খুব গায়ে লাগল। শুভ্র ত্যারা চোখে দুজনের হ্যান্ডসেক করা হাতের দিকে চেয়ে রইলো। সুভম চেয়ারে বসল।সুভমকে দেখে মহু সুভমের জন্যঅ খাবার অর্ডার দিল। সুভম সবার সঙ্গে গল্প করছে। কিন্তু ঘুরেফিরে তার নজরে তুলির দিকে যাচ্ছে বারবার। ব্যাপারটা শুভ্র তীক্ষ চোখে দেখে যাচ্ছে। মহু তুলির পরিচয় দেবার সময় তুলিকে শুভ্রর স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়নি। দিয়েছে আরিফের ছাত্রী হিসেবে। তাই হয়তো সুভম তুলির ব্যাপারে পজিটিভ কিছু চিন্তা করছে। শুভ্রর এই শুভমকে মোটেও ভালো লাগছে না। একবার শুভ্র তুলির হাত চেপে ধরল টেবিলের নিচে। তুলি শুভমের সাথে মন খুলে গল্প করছিল। পাশে যে শুভ্র আছে সেটা যেন সে ভুলেই বসেছে। শুভ্র হাতটা চেপে ধরলে তুলির গল্পে বিঘ্ন ঘটে। সে প্রশ্নবোধক চোখে শুভ্রর দিকে চায়। শুভ্র ফিসফিস করে বললও;
‘তুলি? সুভমের সঙ্গে তোমার এত কথা আমার পছন্দ হচ্ছে না কিম্তু।’
তুলি উত্তরে কিছু বলবে তার আগেই শুভম তুলিকে প্রশ্ন করে বসল,
‘তুলি, তোমার ঘরে কে কে আছে?’
তুলি আর শুভ্রর কথায় ধ্যানই দিলো না। গল্প জুড়ে দিল শুভমের সাথে। শুভ্রর তখন মনে হয়েছিল, সুভমের মাথাটা এই কাচের গ্লাসে একবারে ফা টিয়ে দিতে। সমস্যা কী এই ছেলের? তার বউকে নিয়ে এতো জানার ইচ্ছে শুভমের কেন থাকবে? রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছে শুভ্রর। শুভ্র তুলিকে সাবধান করবে তার আগেই সবার খাবার টেবিলে চলে এলো। শুভ্র তাই থেমে গেলো। খাবার খাওয়া সময়ই সুভম একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছিলো তুলিকে। তুলিও বেশ হাসিখুশি উত্তর দিচ্ছে। শুভ্র মনেমনে রেগেমেগে অস্থির হয়ে যাচ্ছে। খাবারটাই ঠিকঠাক গলা দিয়ে নামছে না। বারবার পানি গিলছে।
খাবার খাওয়া শেষ হলে সুভম আগ বাড়িয়ে সবার বিল দিয়ে দিলো।সবাই এতে শুভমের কী যে গুণগান গাইতে লাগলো। বিল পে করে সুভম তুলির দিকে চেয়ে মৃদু হেসে বললো,
‘আমার পক্ষ হতে তোমাকে ট্রিট। তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আই হোপ, আমাদের আবার দেখা হোক।’
তুলি শুভ্রর দিকে তাকলো। শুভ্র বাঁকা চোখে তুলির দিকে চেয়ে আছে। যেন এক্ষুনি সুভম এবং তুলিকে কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে আর ঢেঁকুরও তুলবে না। তুলি শুভ্রর এই চাওনি দেখে ভয়ে সেটিয়ে গেল। মহুর আইডিয়া না জানি তুলির নিজের উপর ভারি হয়ে যায়। টুলি শুকনো হেসে শুভমকে উত্তরে বলল,
‘থ্যাঙ্ক ইউ। ঢাকা গেলে অবশ্যই দেখা হবে।’
‘তোমাদের বাসা কোথায়, তুলি ? একচুয়ালি আমি আমার বাবা মাকে পাঠাতে চাইছিলাম।’
তুলি এবার শুভ্রর দিকে তাকাল। অ্যাক্টিং এবার এক্সট্রিম পর্যায়ে যাচ্ছে। শুভ্র ধীরে ধীরে বো ম হয়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় ফে টে যেতে পারে। শুভ্র বুঝতে পারছ কথাগুলো কোথায় গড়াচ্ছে। শুভ্র এগিয়ে এসে এদের কথা থামাবে তার আগেই সুভম বলে বসল,
‘আই থিঙ্ক আই লাইক ইউ। আমিও ডাক্তার, তুমি ডাক্তার হবে। আই থিঙ্ক আমাদের খুব জমবে। ইফ ইউ এগ্রি, দেন আমি আমার বাবা-মাকে দিয়ে তোমার বাসায় প্রস্তাব পাঠাব। তোমার বাসার ঠিকানা বলা যাবে প্লিজ?’
কথাটা শুনে তুলি চোখ বড়বড় করে শুভ্রর দিকে তাকাল। ব্যাস, হয়ে গেছে। শুভ্র থমকে গেলো। কয়লার মতো অঙ্গার হয়ে সুভমের দিকে চেয়ে থেকে তারপর তেড়ে এসে তুলির হাত টেনে ধরলো। শুভমের দিকে চেয়ে হাসার চেষ্টা করে বললো,
‘এক্সকিউজ মি। আই নিড হার। ক্যান ওই গো? থ্যাংক উ।’
শুভ্র কথাটা বলে সুভমের কিছু বলার অপেক্ষা করলো না আর। তুলিকে টেনে নিয়ে যেতে লাগল হোটেলের দিকে। সুভম মৃদু হেসে চেয়ারে হেলান দিয়ে আরাম করে বসে বললো,
‘ইয়াহ, এক্সকিউজ্ড।’
শুভ্র তুলিকে নিয়ে বেরিয়ে যেতেই সবাই একসঙ্গে উচ্চস্বরে হেসে উঠল। মহু শুভমকে বললো,
‘ ব্যাটা, ফা টিয়ে দিয়েছিস। ঘি পুড়ছে খুব।’
___________
শুভ্র দেয়ালে হাত ঠেসে রেখেছে। তুলি ভয়েভয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে শুভ্রর চোখের দিকে চেয়ে আছে। আজ রক্ষে নেই বোধহয় তুলির। শুভ্র তুলির দিকে বাঁকা চোখে তাকালো। তারপর একটু নড়েচরে বললো,
‘ইফ ইউ ফরগেট, বাই চান্স। লেট মি রিমেইন্ড ইউ, ইউ আর ম্যারেড। আরেন্ট ইউ?’
তুলি দুদিকে মাথা নাড়লো। বোঝাল, সে ভুলেনি সেটা। শুভ্র এবার রাগ দেখালো। বলল,
‘তো ওই ডাক্তার তোমাকে কেন বিয়ের জন্যে প্রপোজ করবে? হুয়াই?’
তুলি শুনল। সে তো মহুর কথায় এসব করেছে। তুলি আগেপিছে ভাবলো। তারপর বললো,
‘উনি জানতেন না। তাই-‘
‘কেন জানত না? প্রুভ রাখো নি কেনো তুমি?’
‘প্রুভ? কী প্রুভ রাখবো?’
শুভ্র তুলির ডান হাত নিজের হাতে নিলো। হাতটা উঁচু করে তুলির চোখের সামনে ধরে বললো,
‘চুড়ি কোথায় তোমার? বিবাহিত মেয়ের হাতে চুড়ি থাকবে না কেন?’
তুলি শুভ্রর কথায় কুণ্ঠাবোধ করলো। ইয়াসমিন তাকে অনেকবার চুড়ি পড়তে বলেছেন। এপ্রনের সাথে চুড়ি মানায় না দেখে তুলি পরেনি। এখন বুঝো!
তুলি মিনমিন করে বললো,
‘মনে ছিলো না।’
‘এখন থেকে থাকবে।’
শুভ্রর কাঠকাঠ জবাব। শুভ্র পকেট থেকে দুটো সোনার সাধারণ গড়নের চুড়ি বের করে তুলির হাতে পরিয়ে দিলো।অনেক আগে শুভ্র এটা বাসর ঘরে উপহার দিবে বলে কিনে রেখেছিল। বাসর হওয়ার আগেই বউ ফুরুত হয়ে যাচ্ছে, তাই সেটা দেওয়া লাগলো এক্ষুনি। তুলি হতবম্ব হয়ে হাতে লেপটে থাকা সোনার চুড়ির দিকে চেয়ে রইলো। শুভ্র বললো,
‘ইউ আর শুভ্র’স ওয়াইফ। মাইন্ড ইট।’
তুলি এবার সোজা হয়ে দাঁড়াল। শুভ্রর চোখে চোখ রেখে বললো,
‘শুধুই ওয়াইফ? আর কিছু নই?’
শুভ্র থামলো। তার দৃষ্টির ভাষা বদলে গেলো। কেমন অন্যরকম চোখে তুলিকে দেখলো। তুলির কপালের চুল আঙুলে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে আত্মবিশ্বাসী স্বরে বললো,
‘ইউ আর শুভ্র’স এভরিথিং, মিস ছাত্রী। ইউ আর মেকিং মি ক্র্যাজি ডে বাই ডে। আমাকে ছাড়া অন্য পুরুষের দিকে অন্য নজরে তাকানো দূরের কথা, ভাবলেও খবর আছে তোমার। ইউ আর কমপ্লিটলি শুভ্র’স, কী মনে থাকবে মিস ছা~ত্রি!’
#চলবে
তাদের কথা শেষ হয়নি, আরও আছে। আগামী পর্বে আসবে বাকিটুকু। বড় মন্তব্য না করলে রাগ করবো কিন্ত!