বজ্জাত বউ .
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১১
আমি দরজায় দিকে তাকাতেই ভয় পেয়ে গেলা। ওনি এখানে আর এভাবে বা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। ওনি কি সবটা শুনে ফেললো। কি করবো আমি। (মনে মনে) আমি ডেক গিলে ওনাকে বললাম আপনি এখানে
পরশ: হ্যা আসলে আমার ফোনটা ফেলে গিয়েছি। তোমারা কি বলছে মারা যাবো কে মারা যাবে।
মিষ্টি: দিশা আমি জনতাম তোমার ভাইয়ে মাথায় তার ছিড়া আছে তবে এটা জনতাম না যে ওনি কানে কম শুনেন।
পরশ: কি আমার মাথায় তার ছিড়া আর আমি কানে কম শুনে।
মিষ্টি: শুনেন তো আমি কখন বললাম মারা যাবে আমি তো বলেছি মায়ের কাছে যাবো। দিশা তুমি বলো আমি তাই তো বলছি না বলে আমি দিশার দিকে তাকালাম।
দিশা: হ্যা ভাইয়া তুই ভুল শুনেছিস ভাবি মায়ের কাছের যাওয়ার কথা বলেছে।
পরশ: আমি ঠিক শুনেছি তোমরা মারা যাওয়ার কথা
মিষ্টি: এই নিন ফোন ( ফোনটা টেবিলের পর থেকে নিয়ে পরশের সামনে ধরলো) আর ওখানে গিয়ে কানের একটা ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।
পরশ: আমি ফিরে আসি তারপর তোমাকে ডেকে নেবো আমি কানে কম শুনি না ( ফোনটা নিয়ে বললো)
মিষ্টি: দিশা ওনাকে বলো এখানে সময় নষ্ট করলে আজ আর যাওয়া হবে না। আরে যানতে
পরশ: দিশা তুই ওদিকে ঘোর একটু। ঘুরেছিস
দিশা: হ্যা
পরশ: এখানে কিস করো ( মুখটা এগিয়ে দিয়ে বললো)
মিষ্টি: আপনি পারেন নো বলে আমি ওনার গালে একটা চুমো খেলাম। এবার যান।
পরশ: তোমাকে খুব মিস করবো।
মিষ্টি: আমিও করবো
পরশ: আসি
মিষ্টি: আচ্ছা।
পরশ: মিষ্টি
মিষ্টি: আবার কি হলো
পরশ: আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলাম তোমার আম্মু তোমার ফোন করেছিলো তুমি না থাকায় কারনে ফোনটা আমি রিসিভ করেছিলাম। তোমার আম্মু আজকে তোমাকে বাড়িতে যেতে বলেছি।
মিষ্টি: আমি যাবো। এবার সত্যি সত্যি দেরি হয়ে যাবে। আপনি যানতো
পরশ: আসছি বলে আমি চলে গেলাম।
মিষ্টি: ওনি চলে যাওয়া আমি দরজায় দিকে গিয়ে ভালে করে দেখলাম ওনি গিয়েছেন নাকি। না চলে গিয়েছেন। যাক বাবা ওনি পুরাটা শুনে নি। যদি শুনতো তাহলে কি যে হতো। thank got ওনাকে না শুনানো জন্য। দিশা এবার ইনজেকশনটা দাও।
দিশা: হাতটা দাও
মিষ্টি : এই নাও বলে আমি হাত বাড়াতে দিশা আমাকে ইনজেকশনটা দিয়ে দিলো। দিশা আমি ঘরে যাচ্ছি বলে নিজের রুমে এসলাম। রুমে এসে রিপোটটা খুজতে লাগলাম। তখন কোথায় যে ফেললাম পারছিনা কেনো।
মামনি: কি খুজছি মা
মিষ্টি: মামনি আমার একটা দুল কোথায় যে পড়লো খুজে পারছিনা। ও মামনি আমি আজকে আমি বাড়ি যাবো আম্মু কাছে।
মামনি: ঠিক আছে যা। আর দুলটা খুজায় দরকার নেই।
মিষ্টি: ঠিক আছে আমি তাহলে রেডি হয়ে নেই বলে একটা লাল রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
মামনি: আলমারি নিচে ওটা কি দেখা যাচ্ছে। বের করে দেখি
মিষ্টি: আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে মামনি আলমারি নিচে কি যেনো দেখছি ওখানে রিপোট পড়েনি তো।( মনে মনে) মামনি দেখো তো আমাকে শাড়িটা পড়ে কেমন লাগছে।
মামনি: আমার বউমাকে এমনি অনেক সুন্দর লাগে। আর একটু সাজলে আরো বেশি সুন্দর লাগে আয় আজ আমি সাজিয়ে দিয়েছি বলে মামনি আলমারি থেকে একসেট গহনা বের করে আমাকো পড়িয়ে দিলো আর হালকা মেকাপ করে দিলো।
মামনি: বাহ খুব সুন্দর লাগছে। বলতে নিচ থেকে গাড়ির হন বাজলো।
মিষ্টি: মামনি গাড়ি এসে গেছে। চলো নিচে যাই। মামনি তুমি কিন্তু ঠিক মতো খাবার খাবে ওষুধ খাবে ( নিচে নামতে নামতে বললো)
মামনি: আরে দেখো আমার মা আমাকে সাশন করছে।
মিষ্টি: এই মা যখন থাকবে না তখন মনে পড়বো দেখে নিও।
মামনি: থাকবো না মানে কোথায় যাবি।
মিষ্টি: এখন আপাততো আম্মু কাছে যাবো বলে আমি হাসলাম। মামনি আসি বলে আমি গাড়িতে উঠে বসলাম। ডাইবার মামা চলো
ডাইবার: ঠিক আছে মিষ্টি মা বলে গাড়ি চালাতে শুরু করলো।
দিশা: আম্মু আমি আসছি।
মামনি: কলেজ থেকে ফিরে আমার কাছে আসবি তোর সাথে কথা আছে।
দিশা: কি বিষয়ে আম্মু
মামনি: কলেজ থেকে আয় তারপর বললো
দিশা : আচ্ছা বলে কলেজ উদ্দেশ্য রোওনা দিলো।
মিষ্টি: ডাইভার মামা রাস্তা গুলো কি পরিবর্তন লাগছে।
ডাইভার : আসলে মা তুমি অনেক দিন আসো নাইতো তাই রাস্তা গুলো অন্য রকম লাগছে। বলে গাড়ি থামালো
মিষ্টি: ডাইভার মামা গাড়ি থামালে কেনো
ডাইভার: এসে গেছি বাড়ি
মিষ্টি: আমার বাড়ি ( গাড়ির থেকে নেমে) আমি দরজায় কাছে গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই রহিমা দরজা খুলে বললো
রহিমা: খালা মিষ্টি আপা আইছে
আম্মু: কোথায় আমার মিষ্টি
মিষ্টি: আম্মু বলে আমি আম্মুকে জরিয়ে ধরলাম।
আম্মু: দেখি আমার মেয়েকে। কতোদিন দেখি নাই।বলে আম্মু আমার মুখে হাতদিয়ে বললো
আম্মু: মুখ টা এতো শুকিয়ে গেছে কেনো চোখটা খালে মধ্যে তুই ভালো আসিস তো। তোর কিছু হয়নি তো মা।
মিষ্টি: আম্মু আমি অনেক ভালো আসি। আর আমার কিছু হয়নি তুমি অনেক পর দেখছো তাই। আম্মু তুমি ভালো আছে। আর বাড়ির সবাই কোথায়
আম্মু: বাবা,আর বড় বাবা আফিসে আর বড় মা তুই আসবি বলে বাজারে গিয়েছে তোর পছন্দ খাবার রান্না করবে বলে।
মিষ্টি: আজ জমিয়ে খাবো।
আম্মু: তুই আয় তো আমার কাছে এসে বস। হ্যা মা সত্যি তোর কিছু হয়নি তো।
মিষ্টি: আম্মু এতো বার জানতে চাইছে কেনো আমি ভালো আছি কিনা।(মনে মনে) আম্মু আমি সত্যি খুব ভালো আসি। দেখো আমার কিছু হয়নি। আম্মমু আমার ফুল গাছগুলো দেখে আসি
আম্মু: আমার মেয়ে মিথ্যা বলতো কিন্তু ওর মিথ্যা বলায় সময় ওর ঠোট চোখ কাপতো না আজ কথা বলায় সময় ওর চোখ ঠোট কাপলো কেনো। আমার মন বলছে ওর কিছু হয়েছি। মায়ের মন কখনো মিথ্যা বলেনা।
মিষ্টি: আম্মু তুমি কি ভাবছো
আম্মু: কিছু না তুই তোর ঘরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নে
মিষ্টি: ঠিক আছে আম্মু বলে নিজের রুমে গিয়ে দেখি আমার রুমটা ঠিক আগে মতো আছে একটু বদলাই নাই। আমার ডলগুলো এখানে আছে। আগে একটু ফ্রেস হয়ে নেই বলে ওয়াশরুমে গিয়ে হাত মুখে পানি দিয়ে বের হয়ে দেখি আম্মু খাবার নিয়ে রুমে বসে আছে। আম্মু আমার রুমে আগে মতো আছে সেই গাছ ডল সবকিছু আছে।
আম্মু: এই নে হা কর
মিষ্টি : আমি হা করছি আম্মু আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
আম্মু: জামাই কে জ্বালাতন করছিস নাতো।সারাদিন আফিস করে ক্লান্ত হয়ে ফেরে।
মিষ্টি: তোমার জামাইকে বেশি না একটু জ্বালাই।আর আফিসের কাজ সারাদিন তো বসে থাকে। আম্মু কলিং বেল বাজছে আমি দেখেছি বলে দৌরে গিয়ে দরজা খুলে বড় মা বলে বড় মাকে জরিয়ে ধরলাম।
বড়মা:ওরে বাবারে দেখি আমার মেয়েকে বাহ খুব সুন্দর লাগছে। জামাই কেমন আছে।
মিষ্টি: জামাইয়ে কথা বাদ দাও আগে বলে তুমি কেমন আছো। আর আজ কিনতু রুচি খাবো।
বড়মা : ঠিক আছে আমি ফ্রেস হয়ে আসি তারপরে রুচি বানিয়ে দেবো।
অপর দিকে
দিশা :কখন থেকে দাড়িয়ে আছি একটা গাড়ি নেই।
আহাদ:ওটা দিশা না ওখানে দাড়িয়ে আছে কেনো একবার কাছে গিয়ে দেখি। দিশা তুমি এখানে
দিশা: আসলে স্যার গাড়ি পারছিনা।
আহাদ: আমার সাথে চলো
দিশা: না মনে
আহাদ: চলো বলে দিশাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠে গাড়ি চালানো শুরু করলাম। দিশা মিষ্টিকে ইনজেকশনটা দিয়েছিলে
দিশা : হ্যা দিয়েছিলাম।
আহাদ:তুমি আমাকে পছন্দ করো।
দিশা: হ্যা না মনে
আহাদ: এসেগেছি।
দিশা: thank you স্যার বলে দিশা গাড়ি থেকে নামলো
আহাদ:দিশা উওরটা আমি আজকে রাতে চাই আসি বলে আহাদ চলো আসলো
এদিকে
মিষ্টি:বড়মা এসো
বড়মা: চল
মিষ্টি:চলো
আম্মু: আমিও যাচ্ছি চল বলে মিষ্টি আম্মু বড়ো মা রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতে বসলো
মিষ্টি:বড় মা তোমার ছেলেকে বিয়ে দেবেনা
বড়মা: তোমার ভাই বিয়ে করতে রাজি হবে
মিষ্টি:হবে এবার রাজি হবে।বড় মা আমার ননদকে কেমন লাগে
বড়মা:দিশা।ভালো সুন্দর আচার ব্যবহার ভালো
দিশা: তোমার ছেলের সাথে বেশ মানাবে
বড়মা: হুম তুই রাজি করাতে পারবি ভাইয়া কো
মিষ্টি: পারবো
মিষ্টির বাবা: কে এসেছে আমার মা
মিষ্টি: বাবা জরিয়ে ধরে।বড় বাবা তোমার মন খারাপ কোনো
বড় বাবা: আমাকে তো জরিয়ে ধরলো না
মিষ্টি: ওরো বাবা এসো তোমারকে জরিয়ে ধরি।
বড়বাবা: কেমন আছিস মা
মিষ্টি: ভালো বাবা বড়বাবা তোমার ফ্রেস হয়ে এসো আমি খাবার দিচ্ছি য়াও। একি হলো আমার মাথা ব্যাথাটা শুরু হলো কেনো।
বাবা : কি হলো মা এমন করছিস কেনো।
মিষ্টি: কিছুনা বাবা আমি আসছি বলে আমি নিজের রুমে আসলাম।
আম্মু: মিষ্টি ও এভাবে নিজের রুমে গেলো কেনো ভাবি আমি আসছি বলে মিষ্টির আম্মু মিষ্টির ঘরে দিকে গেলো
মিষ্টি: আঃ আঃ এতো ব্যাথা করছে কেনো। আমার ব্যাগটা কোথায় ব্যাগ নিতে গিয়ে হাতের ধাক্কা লেগে গ্লাসটা ভেঙগেলো
আম্মু: একি দেখছি আমার মেয়েটা এ রকম করছে কেনো কি হয়েছে আমার মেয়ে। আমার মেয়েটা কেনো অসুখ হয়নি তো
মিষ্টি: আঃ আল্লাহ তুমি আমার ব্যাথাটা কমিয়ে দাও।ব্যাগ এইতো ব্যাগ ওষুধ টা কোথায় রাখলাম পারছিনা কেনো। এইতো ওষুধ আঃ আঃ পানি পানি কোথায়।এইতো পানি আমি পানি র গ্লাস টা নিয়ে ওষুধটা খেয়ে তাকাতে দেখি আম্মু।আম্মু তুমি
আম্মু: গ্লাসটা দে। মারে কি হয়েছে তোর। বলবি না তোর আম্মু কে
মিষ্টি: আম্মু কিছু হয়নি একটু মাথা ব্যাথা করছিলো
আম্মু: মিষ্টি আমি তোকে পেটে ধরেছি আমি তোর আম্মু আমাকে কিছু লুকাসনা মা
মিষ্টি: আম্মু তুমি ভুল ভাবছো
আম্মু: আমার মাথায় হাত রেখে বল তোর কিছু হয়নি
মিষ্টি :আম্মু
আম্মু: বল না মা…..
. (চলবে)