বজ্জাত বউ
লেখিকা : বিলকিস
পর্ব ১৩
আম্মু: আমি বরং আহাদকে ডেকে আনি
মিষ্টি: না আম্মু তুমি ভাইয়াকে ডেকো না আঃ
আম্মু: না আমি আহাদকে ডাকবো বলে মিষ্টির আম্মু মেজে থেকে ওঠে দরজায় সামনে দাড়াতেই দেখে আহাদ
আহাদ: ছোটো মা
মিষ্টির আম্মু: আহাদ আমি তোমাকে ডাকতে যাচ্ছিলাম। দেখে না আহাদ আমার মিষ্টি কতো কষ্ট পাচ্ছে ওকে তুমি বাঁচাও বলে কাঁদতে লাগলো
আহাদ: কি বলছো ছোটো মা আমি দেখছি বলে মিষ্টির কাছে গিয়ে বললো oh got ওকে এখুনি হাসপাতালে নিতে হবে।
মিষ্টি: আ আমি হাস হাসপাতালে যাবো না বাড়ির সবাই জেনে যাবে
আহদ: কিছু জানবে না। ছোটা মা তুমি আমার রুম থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে আসো আমি ওকে কোলে করে নিচে গাড়ির কাছে নিয়ে যাচ্ছি বলে আহাদ মিষ্টিকে কোলে তুলে নিলো
মিষ্টির আম্মু: আমি চাবি নিয়ে গাড়ির কাছে যাচ্ছি বলে চাবি আনতে চলে গেলো।
মিষ্টি: ভাইয়া তুমি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে না।
আহাদ: একটা কথা বলবি না বলে গাড়ির কাছে এনে গাড়ির দরজায় খুলে মিষ্টিকে সিটের উপর শুয়ে দিলো
মিষ্টির আম্মু: আহাদ এই যে চাবি
আহাদ: হ্যা দাও আর তুমি গাড়িতে বসো বলে আহাদ গাড়িতে বসে। ছোটো মা তুমি বসেছো
মিষ্টির আম্মু: হ্যা
আহাদ: আমি গাড়ির চালাছি তুমি ওর সাথে কথা বলা চেষ্টা করো বলে আহাদ গাড়ির চালাতে শুরু করলো।
মিষ্টির আম্মু: মিষ্টি মা আমার
মিষ্টি: আ আম্মু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে যানো
আম্মু: আমরা এখুনি হাসপাতালে চলে আসবো। ডাক্তার দেখেলে তোমার কষ্ট দুর হয়ে যাবো মা
আহাদ: ছোটো মা আমরা এসে গেছে তুমি নামো বলে পরশ গাড়ির থেকে নেমে মিষ্টিকে কোলে করে হাসপাতালে ডুকলো।
মিষ্টির আম্মু: আহাদ মিষ্টির চোখ বন্ধ করছে কেনো
আহাদ: ডাক্তার নার্স
নার্স:স্যার আপনি
আহাদ: একে কেবিনে নিয়ে যাও আর ডাক্তার দাসকে তারাতারি খবর দাও।
নার্স: ok স্যার বলে নার্স আরো দুটি লোক ডেকে মিষ্টিকে কেবিনের ভেতরে নিয়ে গেলো।
ডাঃ দাস: ডাক্তার আহাদ
আহাদ:: স্যার আমার বোন
ডাঃ দাস: আমি দেখছি বলে ডাক্তার দাস কেবিনের ভেতরে চলে গেলো।
আহাদ: ছোটা মা তুমি চিন্তা করো না মিষ্টি
মিষ্টির আম্মু : উপর আল্লাহ কেনো করলো এটা আমার মেয়ে সাথে বলে কাঁদতে লাগলো
আহাদ: কেদো না ছোটা মা। আমি আসছি তুমি এখানে বসো বলে আহাদ কেবিনের ভেতরে গেলো।
ডাঃ দাস: আমি যেটা দেখলাম তাতে এর হাতে সময় অনেক কম। ব্রনের অনেক টা নষ্টা হওয়ার সেটা এরকম নাক দিয়ে রক্ত পড়া মুখ দিয়ে রক্ত এগুলো দেখা দিচ্ছে। আমি ইনজেকশন দিয়েছে এতে নাক দিয়ে রক্তো পড়া বন্ধ হয়ে যাবো।
আহাদ: thank you ডাক্তার।
ডাঃ দাস: ওকে এখন হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করুন। ও ভেতরে চলে য়াওয়ার কষ্টা টা বেড়ে চলেছে। আমি আসি ডাক্তার আহাদ বলে ডাক্তার দাস কেবিন থেকে বের হলেন পেছন পেছন আহাদ বের হলো
মিষ্টির আম্মু: কি বললো ডাক্তার
আহাদ: ছোটো মা মিষ্টি কে ইনজেকশন দিয়েছে কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরে আসবো।
মিষ্টির আম্মু: আমার মেয়ে আমার মিষ্টি
আহাদ: ছোটো মা আমরা সবসময় ওর হাসি খুশি রাখতে হবে।
অপর দিকে
(পরশ : মিষ্টি তুমি এখানে কখন এলে
মিষ্টি: কেনো আমি আসতে পারি না বুঝি
পরশ: না না আসলে
মিষ্টি: কি আসলে
পরশ: আসলে আমি তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি। আর তোমাকে না দেখলে আমি থাকতে পারি না।
মিষ্টি: কিন্ত আমাকে ছাড়া যে তোমাকে থাকতে হবে। আমি তো চলে যাবো অনেক দুরে
পরশ: আমি তোমাকে ধরে রাখবো কোথায়ও যেতে দেবো।
মিষ্টি: হা হা হা পারবে না আমাকে ধরে রাখতে আমিতো যাবো। এই দেখো আমাকে সবাই ডাকছে
পরশ: না আমি তোমাকে যেতে দেবো না তুমি চলে গেলে আমি একা হয়ে যাবো।
মিষ্টি: একা হবে না তো তোমার জন্য কেউ অপেক্ষা আছে। এই যা আমার সময় হয়ে গেছে আমি আসছি
পরশ: আমি তোমাকে যেতে দেবো। আমাকে ছেড়ে যেও না
মিষ্টি: আল্লাহ হাফেজ
পরশ: মিষ্টির কোথায় গেলো তুমি মিষ্টি তোমাকে দেখতে পারছি না কেনো মিষ্টি এই মিষ্টি) বলতে পরশ ঘুম ভেঙে গেলো।
পরশ: মিষ্টি আমি এতো সময় স্বপ্ন দেখছিলাম। আমি এ রকম সপ্ন কেনো দেখলাম। মিষ্টি আমাকে ছেড়ে চলে গেলো কেনো। আচ্ছা মিষ্টির ঠিক আছেতো। একবার ফোন করবো না এতো রাতে ফোন করলে ওর ঘুম ভেঙে যাবো। কাল সকালে ফোন দিয়ে কথা বলবো বলে শুয়ে পড়লো। কিন্তু কিছুতে আমার ঘুম আসছে না কেনো দেখলাম এমন স্বপ্ন। মিষ্টি আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া এখানে একটু ভালো লাগছে না। আমি কাজ সেরে তোমার কাছে চলে আসবো।
সকাল বেলায় মিষ্টির জ্ঞান ফিরতে দেখে তার আম্মু তার পাশে কেবিনের উপর মাথাটা রেখে ঘুমিয়ে আছে।
মিষ্টি: আম্মু
আম্মু: মা তোর এখন কেমন লাগছে
মিষ্টি: আমি এখন ভালো আছি। ভাইয়া কোথায়?
আহাদ: এইতো আমি বোন
মিষ্টি: ভাইয়া বাড়ির যেতে হবে না হলে সবাই আমাদের প্রশ্ন করবে। আমরা এতোসময় কোথায় ছিলাম।
আহাদ: হ্যা আমি একবার ডাক্তারের সাথে কথা বলে চলে যাবো।
মিষ্টি: ok
আহাদ: আমি তাহলে ডাক্তার বলে আসি বলতে আহাদের ফোন বাজতে লাগলো। আহাদ প্যাকেট থেকে ফোন বের করে রিসিভ করতেই
দিশা: হ্যালো স্যার
আহাদ: হ্যা দিশা বলো
দিশা: স্যার ভাবি ঠিক আছে তো
আহাদ: না। ঠিক নেই। ওর কাল রাতে নাক দিয়ে রক্ত আর পছন্ড মাথা ব্যাথা হয়ছিলো। আমি আর ছোটা মা মিলো ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
দিশা: ভাবি হাসপাতালে। আমি এখনি আসছি
আহাদ: না দিশা আমরা এখনি বাড়ি ফিরবো।
দিশা: ভাবি এখন কেমন আছে
আহাদ: এখন ব্যাথা নেই। তবে ব্যাথা যখন তখন হচ্ছে। মিষ্টি আস্থে আস্থে চোখ সামনে শেষ হয়ে যাচ্ছি আর আমি কিছু করতে পারছিনা আমার বোনটার জন্য বলে আহাদ কাঁদতে লাগলো।
দিশা: স্যার আমার ভাবিকে আর আমি বাঁচাতে পারবো না বলে দিশা দরজায় দিকে তাকাতে হাত থেকে ফোনটা মেজেতে পড়ে গেলো। আর কাঁপা কাঁপা গলায় বললো আ আম্মু তুমি
আম্মু: হ্যা আমি
দিশা: আম্মু তোমার কিছু দরকার।
আহাদ: হ্যালো দিশা কথা বলছো না কেনো
দিশা: ফোনটা মেজে থেকে তুলে বললো স্যার আমি পড়ে কথা বলছি বলে কেটে দিলো।
আম্মু: দিশা তুই আমার মেয়ে না
দিশা: হ্যা আম্মু
আম্মু: তাহলে আমার কাছ থেকে কি লুকাচ্ছিস
দিশা: কি লুকাবো আম্মু কিছু লুকাছি না তো।
আম্মু: তাই দিশা সত্যি করে বল মিষ্টির কি হয়েছে।
দিশা: ভাবি ( কি করে বলবো আমি আমি যে বলতে পারবো আর তুমিও শুনে থাকতে পারবো না মনে মনে বললো) ভাবি কিছু হয়নি
আম্মু : মিথ্যা বলছিস তুই। আমি এই মাএ আমি তোকে কথা বলতে শুনে ছি তুই মিষ্টিকে নিয়ে কি জানি বলছিলি। তাছাড়া আমি কিছুদিন ধরে খেয়াল করেছে মিষ্টি কেমন যেনো করে ওকে আনমনে হয় চোখের কোনার কলি পড়েছে না না কিছু একটা হয়ছে আমার বউ মা। বল বা দিশা কি হয়েছে বলে দিশা ঝাকালো
দিশা: আমি পারবো না বলতে আম্মু আমি পারবো না বলে কাঁদতে লাগলো
আম্মু: কেনো পারবি না
দিশা: কারন আছে শুধু এটুকু জেনে রেখে সামনে একটা ঝাড় আসছে আর এই ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে তোমার ছেলের বলে দিশা রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
আম্মু: ঝড় আসছে মানে। তাহলে আমি যা ভবেছিলাম তাই। হে আল্লাহ কি হবে ছেলে। ও শেষ হয়ে যাবে বলে কাঁদতে লাগলো।
এদিকে আহাদের আম্মু আহাদ কে ডাকতে ডাকতে আহাদের রুমে গেলো।
আহাদের আম্মু: কি ব্যাপার আহাদে রুমে নেই। এতো সকালে কোথায় গেলো। না এই ছেলেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে মিষ্টিকে বলবো ওর শশুড় বাড়িতে জানাতে। বউ আসলে ঠিক হয়ে যাবে বলে রুমে থেকে বের হয়ে মিষ্টির রুমের সামনে দাড়াতে ফোন বাজার শব্দ পেলো। শব্দ পেয়ে মিষ্টির রুমে গিয়ে দেখে মিষ্টি রুমে নেই আর ফোনটা বিছানা উপর পরে আছে।
আহাদের আম্মু: এই দুই ভাই বোন যে সাত সকালে নিশ্চায় কোথায় গেছে। আর ফোনটা বেজে চলেছে ধরে বলি মিষ্টির নেই বলে ফোন হাতে নিয়ে রিসিভ করবো তখনি ফোনটা কেটে গেলো
পরশ: কি মেয়ে কে জানে। এতোবার ফোন দিচ্ছি ফোন রিসিভ করছে না। ওর কি মনে হচ্ছেনা আমি ওর জন্য টেনশন হচ্ছে। তারপর কালকে স্বপ্নটা যেনো আমাকে আরো টেনশন বাড়িয়ে দিয়েছে। একবার বাড়ি যাই তারপর আমাকে টেনশন দেওয়া বের করবো। বর এখনে টেবশন করছে আর ওনি। না এইবার শেষ কল করবো বলে আবার ফোন দিলো
আহাদের আম্মু: হ্যালো ( ফোন রিসিভ করে)
পরশ: হ্যালো আন্টি আমি পরশ
আহাদের আম্মু: হ্যা বাবা কেমন আছো তুমি
পরশ: আমি ভালোআসি আপনি ভালো আছেন।
আহাদের আম্মু : আমি ভালো আছি বাবা
পরশ: আন্টি মিষ্টি কোথায়?
আহাদের আম্মু: আর বলো বাবা এই দু ভাই বোন সাত সকালে কোথায় গেছে কে যানে। তুমি বরং আহাদকে ফোন দাও। আহাদের কাছে হয়তো ফোন আছে।
পরশ: ঠিক আছে আন্টি (বলে ফোন কেদে দিলো।) আমাকে কথা এখন মনে পড়ে না। ভাইকে পেয়ে যেনো আমাকে ভুলে গেছে। না আহাদ ভাইয়াকে ফোন দিয়ে দেখে কি করে আমার বউ। বলে ফোন নিয়ে আহাদকে কল দিলো
আহাদ: ছোটো মা চলো(কেবিনে ভেতরে ঢুকে) আমরা এখন বাড়ি যাই বলতে আহাদের ফোন বাজতে লাগলো। আহাদ ফোন হতে নিয়ে বললো মিষ্টি পরশের ফোন
মিষ্টি: এই রে আমার ফোন তো বাড়িতে রেখে এসেছি। ওখানে ফোন দিয়ে না পেয়ে তোর কাছে ফোন দিয়েছে। তুমি আমাকে দাও বলে ফোন টা হাতে নিয়ে রিসিভ করলো
পরশ: হ্যালো আহাদ ভাই
মিষ্টি: ভাইয়া না আমি বলছি
পরশ: আচ্ছো তোমার ফোনটা কি তুমি রেখে আছো।
মিষ্টি: আসলে
পরশ: তুমি জানো আমি তোমাকে ফোন দিচ্ছিলাম। আর তুমি ফোন রিসিভ করছো না বলে আমার কতো টেনশন হচ্ছিলো। তারপর কাল রাতে স্বপ্নটা। বাদ দাও তুমি ঠিক আছোতো।
মিষ্টি: হ্যা আমি ঠিক আছি।
পরশ: মিষ্টি তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবো না তো। আমি তোমাকে ছাড়া মরে যাবো
মিষ্টি:( আমি চাই না তোমাকে ছেরে চলে যেতে কিন্তু ভাগ্য আমাকে তোমার কাছ থেকে দুরে নিয়ে যাবে বলতে চোখের কোনার পানি আসলো মনে মনে বললো) আবার যদি আপনি এই কথা বলেন তাহালে কিন্তু সত্যি সত্যি
পরশ: কি সত্যি সত্যি
মিষ্টি: ঝগড়া করবো।
পরশ’ : ও বলে পরশ হাসতে লাগলো।
মিষ্টি: আপনে হাসছেন।
পরশ: ঠিক আছে হাসবো না। মিষ্টি খুব মিস করছি তোমাকে খুব। মনে হচ্ছে তোমার কাছ থেকে একটা দিন দুরে থাকা একশত দিনে সমান।
মিষ্টি: আমিও আপনাকে মিস করছি খুব। আর আপনি এখন কাজে মনোযোগ দিন রাখি বলে ফোনটা কেটে দিলো
পরশ: অভুত মেয়ে একটা আমার বউ বলে ফ্রেস হতে চলে গেলো।
মিষ্টি: ভাইয়া চল
আহাদ: হ্যা চল বলে কেবিন থেকে বের হয়ে হাসপাতালে গাড়ির সামনে এসে দাড়ালো
আহাদ: এই যা আমি ইনজেকশনটা ফেলে এসেছি তাই নিয়ে আসি তোমরা এখানে দাড়াওবলে চলে গেলো।
আরাধ্য: ওটা পরশের wife না। হ্যা এটা মিষ্টি। কিন্তু মিষ্টি হাসপাতালে কি করছে। নার্স একটু শুনন
নার্স: জি বলুন
আরাধ্য: ওই য়ে মেয়েটা( মিষ্টিকে দেখিয়ে বললো) ওর নাম মিষ্টি।আমার পরিচিতো। ও হাসপাতালো কেনো
নার্স: ও ওনি। ওনি তো কাল রাতে হাসপাতালে ভতি হয়েছিলেন।
আরাধ্য: হাসপাতালে ভর্তি কেনো
নার্স: ওনারতো ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে। ডাক্তার বলেছে ওনার ব্রনের ৭০% বেশি ডেমেজ হয়ে গেছে।ওনি আর সামন্য কিছুদিন বাঁচবে।বলে নার্স চলে গেলো।
আরাধ্য: এটা আমি কি শুনলাম। পরশ জানে তো। আমি জানাবো ওকে না না আগে আমাকে আন্টিকে জানাতে হবে। আমি আজ বিকালে পরশের বাড়িতে যাবো।
আহাদ: চল এখন যাওয়া যাক বলে গাড়িতে ওঠে বসলো। কিছুক্ষন পর মিষ্টির আম্মু, মিষ্টি আর আহাদ বাড়ি আসলো।
আহাদের আম্মু: কোথায় গিয়েছিলি তোরা তিনজন
মিষ্টির আম্মু: আমরা তো হা বলতে মিষ্টির হাতটা ধরে ফেললো
মিষ্টি: ও বড় মা আমরা হওয়া খেতে গিয়েছিলাম দেখো আমার পেট ভরে গিয়েছে হাওয়া খেয়ে। বাবা বড় বাবা কি করছো
বড় বাবা: হ্যা রে মা তোর বড় মা বলছিলো আহাদের বিয়ে কথা দিশার সাথে।
মিষ্টি: হ্যা তো।
বড় বাবা: তোর ভাই এই বিয়েতে রাজি তো
মিষ্টি: তুমি নিজের ভাইয়া জেনে নাও
বড় বাবা: কি আহাদ তোমার এই বিয়েতে মত আছেতো
আহাদ: তোমরা যা ভালো মনে করো তাই করো। বলে নিজের রুমে চলে গেলো
মিষ্টি: বড় বাবা ভাইয়া লজ্জা পেয়েছে। ও আম্মু আজ বিকালে বাড়ি ফিরবো
আম্মু: আজ যাবি
মিষ্টি: আজ না গেলে বিয়েটা ঠিক করবো কি করে। যতো তারাতারি সম্ভাব বিয়েটা দিতে হবে। আর আমি বিকালে যাবো বলে নিজের রুমে চলে গেলো
বিকালে বাড়ির কলিং বেল বাজতেই পরশের আম্মু দরজায় খুলতে………
(চলবে)