বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১৫
পরশ: আম্মু আমি গিয়ে দেখি আসি বলে পরশ দিশার রুমে যেতেই পরশ মিষ্টির দিকে তাকাতেই দেখে মিষ্টির নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
পরশ: ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে আমার বুকে ভেতর রা একটু টান দিয়ে উঠলো। আমি মিষ্টির কাছে গিয়ে মিষ্টিকে নিজের দিকে করে ওর নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে হাতটা ওর সামনে ধরে বললাম তোমার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে কেনো
মিষ্টি: ( সর্বনাশ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে আমি বুঝতে পারি নি। কি বলবো আমি ওনাকে) নাক দিয়ে রক্ত। আসলে সামনে আবহাওয়া চেন্জ হচ্ছে তাই বুঝি নাক দিয়ে পড়ছে। আর পড়তে পারে
পরশ: মিষ্টি বলে আমি ওকে জরিয়ে ধরলাম। আর বললাম তোমার কিছু হলে আমি শেষ হয়ে যাবো।
মিষ্টি: আরে কি করছেন বাড়ি ভরতি মানুষ। সবাই দেখছে ছারুন।
পরশ: দেখুক আমি আমার বউকে জরিয়ে ধরেছি।
মিষ্টি: ছারুন তো বলে ওনার কাছ থেকে সেরে আসলাম। আপনার মাথা গেছে। আপনি আগে দিশার সাথে দেখা করে ফ্রেস হয়ে নিন। কতো কাজ বাকি আছে। সন্ধ্যায় আবার গায়ে হলুদ যানতো বলে আমি কাজের দিকে নজর দিলাম। ওনি কিছু না বলে দিশার রুমে গিয়ে দিশার সাথে দেখা করে নিজের রুমে গিলেন। আমি বাড়ির বাকি কাজ গুলো সারতে সারতে বিকেল পেরিয়ে গেলো। একটু পর গায়ে হলুদ শুধু হবে। আমি ফ্রেস হওয়ার জন্য নিজের রুমে গেলাম। আলমারি থেকে একটা হলুদ রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে গিলাম। ওয়াশরুম থেকে শাড়িটা পড়ে আয়নার সামনে দাড়াতে ওনি পেছন থেকে আমাকে জরিয়ে ধরলেন।
পরশ: আজ তোমাকে হলুদ শাড়িতে দারুন লাগছে। বলে আমি ওর গালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: আমি ওনার কথা শুনে হাসলাম। তারপর ড্রেসিং টেবিলের পর রাখা চুড়ি গুলো পড়তে লাগলাম। গলায় একটা মালা পড়তে যাবো তখন ওনি বললো
পরশ: আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলে আমি ওর গলায় মালাটা পড়িয়ে দিলাম। আর কপালে একটা ছোটো লাল টিপ পড়ালাম। তারপর ওকে নিজের দিকে করে কপালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: কি হয়েছে আপনার বলতে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি (ওনি একটা হালকা হলুদ রঙের পান্জাবি পড়েছেন। ওনাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। একদম হিরো হিরো।) আপনাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে বলতে দরজায় ওপার থেকে নিলুফা ডাকতে লাগলো
নিলুফা: ভাবি সবাই আপনাকে নিচে ডাকছে
মিষ্টি: তুই যা আমি আসছি।
নিলুফা: আচ্ছা।
মিষ্টি: চলুন নিচে যাই
পরশ: আগে আমাকে একটা কিস তারপর যাবো।
মিষ্টি: আপনে না পারেনো বলে আমি ওনার গালে একটা চুমো খেলাম। এবার চলুন
পরশ: চলো
মিষ্টি: চলুন বলে আমরা নিচে আসলাম। নিচে এসে দিশার গায়ে হলুদ দেওয়া শুধু হলো। সবাই অনেক অান্দন করে গায়ে হলুদ মাখলো। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে করে আত্নীয় স্বজন যার যার মতো ঘরে গেলো। আমি সবটা দেখে নিলান ঠিক আছে কি না। দেখার পর নিজের রুমে আসলাম। এসে দেখি ওনি বিছানাতে শুয়ে আছেন। আমি ওনার পাশে গিয়ে বসতে ওনি ওনার মাথাটা আমার কোলের উপর রাখলো। হঠ্যৎ করে বৃষ্টি পড়তে লাগলো।
পরশ:এই সময় বৃষ্টি
মিষ্টি :ভালো তো চলুন না বৃষ্টি তে ভিজি।
পরশ: এই ঠান্ডার মধ্য বৃষ্টিতে ভেজলে জ্বড় আসবে।
মিষ্টি: ও আপনি ভেজবেন না। চলুন না এটা আমার আর আপনার শেষ বৃষ্টিতে ভেজা আর কখনো ভেজবো না। চলুন না চলুন বলছি
পরশ: আরে ঠিক আছে যাচ্ছি চলো। বলে আমি মিষ্টির সাথে ছাদে গেলাম বৃষ্টিতে ভেজতে।
মিষ্টি: আহ্ কি ভালো না লাগছে বৃষ্টিতে ভেজতে বলে আমি মনে অানন্দ ভিজতে লাগলাম।
পরশ: পাগলী একটা। বাচ্চা দের মতো করে বৃষ্টিতে ভেজছে। তবে ওকে আজ অন্য রকম সুন্দর লাগছে।
মিষ্টি: আসুন বলে আমি ওনার হাত ধরে ছাদের মাঝখানে নিয়ে আসলাম। তারপর ওনার চারপাশে ঘুরতে লাহলাম।
পরশ: আমি ওকে ঘুরতে দেকে জরিয়ে ধরলাম। আর কোলে তুলে নিয়ে বললাম। অনেক হয়েছে এবার রুমে চলো বলে ওকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম।
মিষ্টি: আর একটু ভেজলে কি হতো।
পরশ: ঠান্ডা লেগে যেতো। যাও পোকাশটা চেন্জ করে আসো।
মিষ্টি: দুর বলে আমি ওয়াশরুম থেকে চেন্জ করে এসে ওনার বকুের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।
পরশ: রাগ হয়েছে বুজি। ঠিক আছে এখনি রাগ ভেঙে দিচ্ছি বলে ওকে নিয়ে হারিয়ে গেলাম ভালোবাসার দুনিয়ার।
সকালে
মিষ্টি: এই রে অনেক বেলা হয়ে গেছে। বলে আমি ওঠে ফ্রেস হয়ে ওনাকে ডাকলাম।
পরশ: আর পাচ মিনিট পর উঠবো।
মিষ্টি: ওঠাছি পাচ মিনিট পর নিজের বোনের বিয়ে আজ আর ওনি ঘুমাচ্ছে বলে ওনার গায়ে এক জগ পানি ঢেলে দিলাম।
পরশ: কি করলে এটা।
মিষ্টি: ঠিক করেছি এবার ওঠে রেডি হয়ে নিচে আসুন বলে আমি নিচে গিয়ে কাজে লেগে পড়লাম। কিন্তু আজ আমার কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে বলতে নিলুফা বললো
নিলুফা: ভাবি আপনার নাকে রক্ত
মিষ্টি: আমি নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে বললাম তোর কাজ কর। আজ আমার এমন লাগছে কেনো। না না বলে আমি কাজ করতে লাগলাম। মামনি দিশার সাজানোর জন্য লোক এনো না আজ আমি ওকে সাজাবো
মামনি: ঠিক আছে
পরশ: আম্মু খাওয়ার আয়োজন জন্য লোক এসেগেছে আমি দেখছি
মিষ্টি: আমি বরং বাকিটা দেখছি বলে চলে গেলাম। সনধ্যায় পর দিশার রুমে গিয়ে দিশাকে সাজাতে লাগলাম। দিশা তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে আমার ভাইয়া আজ চোখ ফেরাতে পারবে না।
দিশা: তুমি কিন্তু আজ ইনজেকশনটা
মিষ্টি: চুপ একটা কথা বলবেনা। বাহ্ দারুন লাগছে। এই আমাকে তো সাজতে হবে তুমি বসে থাকো আমি সেজে আসি বলে নিচের রুমে গিয়ে ওনার দেওয়ার লাল রঙের শাড়িটা পড়লাম। কিছু গহনা পড়লাম হালকা সাজ করলাম। কিন্তু আজ এমন লাগছে কেনো বলতে ওনি রুমে ঢুমে আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে বললেন
পরশ: চলো আমরা আবার বিয়ে করি
মিষ্টি: করবো আমি সাদা শাড়ি পড়ে আর আপনি শেরোয়ানি পড়ে। আমার শেষ বিয়ে আর আপনার ২য় বিয়ে
পরশ: কি সব বলো তুমি
মিষ্টি: আমি ঠিক বলতে নিচে থেকে গাড়ির শব্দ পাওয়াতে চলুন বর এসে গেছে
পরশ: যাচ্ছি তুমি এসো বলে আমি চলে গেলাম।
মিষ্টি: একি আমার রক্ত পড়ছে। আমাকে আজ যা করার করতে হবে ডাইরিয়া কোথায় রাখবো এমন জায়গায় রাখতে যাতে আমার পর যে আসবে সে ছাড়া যেনো কেউ না পায়। আমি জানি কে তু মি হবে তবে আমার বিশ্বাস তুমি এই ডাইরিটা পড়বে। রাখবে পেয়েছি ছাদের চিলিকোঠার রুমে যাই রেখে আসি বলে আমি ডাইরি টা রেখে নিচে আসলাম। সবার সাথে দেখা করে সব ঠিক সেটা দেখলাম। কিন্তু আমার মাথা ব্যাথাটা বড়ছে কেনো নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। পেছন থেকে কাজি সাহেব বললো এখন বিয়ে পাড়াতে হবে বলে কাজি সাহেব বিয়ে পাড়াতে লাগলেন। ওনি আমার পাশে এসে দাড়ালেন। কিন্তু আমি সহ্য করতে পারছিনা কেনো। আঃ না আমি এখানে থাকতে পারছিনা বলে আমি ওনার পাশ থেকে সরে ছাদে চলে আসলাম। আমার খুব কাশি হচ্ছে মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে আঃ আঃ আল্লাহ গো
পরশ: একি মিষ্টি কোথায় গেলো। এখানে তো ছিলো। না আশ পাশে নেই তো। আম্মু তুমি মিষ্টিকে দেখেছো।
আম্মু: না তো
পরশ: আমি রুমে দেখে আসি বলে রুমে গিয়ে মিষ্টিকে ডাকতে লাগলাম। কোথায় মিষ্টি রুমে নেই তো বলতে ফোনটা হাত থেকে পড়ে গেলো। আমি ফোনটা তুলতে গিয়ে দেখি আলমারি নিচে একটা কাগজ। কিসের কাগজ বলে আলমারি নিচ থেকে বের করি। এ তো সেই যেটা দেখতে বসে মিষ্টির আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলো। কিন্তু এটা আলমারি নিচে কি করে গেলো। দেখিতো কি আছে ভেতরে বলতে আমি কাজটা দেখতে আমি………(চলবে……….