বজ্জাত বউ পর্ব ২
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ২
পরশ: নজর টিকা মানে
মিষ্টি: আরে মশাই নজর টিকা মনে যানেন না। তাহলে জানেন টা কি।
পরশ: দেখো যা বলায় ঘুরিয়ে না বলে সোজাসোজি বলো।
মিষ্টি: কিস করুন
পরশ: what
মিষ্টি: আপনি তো বলেন সোজাসোজি কথা বলতে।
পরশ: তুমি কি বলোতো।
মিষ্টি: আপনার বিয়ে করা বউ।
পরশ: আমি পারবো না।
মিষ্টি: দেখুন ভালোভাবে বলছি কিস করবেন না কি।
পরশ: না করবো না।
মিষ্টি: ঠিক আছে তাহলে যা করার আমাকেই করতে হবে।
পরশ: কি করবেন।
মিষ্টি: তেমন কিছু না শুধু এখন থেকে নিচে যাবো আর আশে পাশে লোকজন কে বলবো বাসর রাতে আপনি আমাকে মারধর করেছেন।
পরশ: যা খুশি করুন।
মিষ্টি: ও ছাদে দাড়িয়ে থাকা চাচি, নিচে গাছের পানি দেওয়া চাচা ( জানালা পাশে দারিয়ে) শুনুন আমার বর আমাকে হু হু
পরশ: কি করছেন আপনি ( মুখ চেপে ধরে)
মিষ্টি: ঠিক করেছে ( মুখ থেকে হাতটা ছাড়িয়ে)
পরশ: দেখুন আপনি
মিষ্টি: কিস করুন
পরশ: ok.বলে আমি ওর গালে একটা কিস করলাম।
মিষ্টি: thank you. সোয়ামী বলে আমি ওনাকে একটা কিস করলাম তারপর নিচে চলে এলাম।
পরশ: আম্মু তুমি কাকে এসেছো এতো বউ না পুরা বাঘিনী। ও শিট আফিসে দেরি হয়ে যাবে। বলে আফিসে জন্য রেডি হতে লাগলাম।
মিষ্টি: নিচে নেমে দেখি সবাই ব্রেক ফ্রাস্ট রেডি করছে। আমি ড্রাইনিং টেবিলের কাছে গিয়ে বললাম good morning every one.
পরশের আম্মু: good morning . আয় আমার কাছে আয়।
মিষ্টি: কি করছো বরের আম্মু।
পরশের আম্মু : বরের আম্মু না তোর না।
মিষ্টি: sorry মামনি হবেতো।
মামনি: হবে এবার বস এখানে। আরে এসেগিসিছ।
পরশ: হ্যা আম্মু আফিস যাবোতো। একটু তারা আছে।
মামনি: মিষ্টি মা খাবার গুলো ওকে দেতো।
মিষ্টি: এই নাও সোয়ামী। ( দুষ্টমী হাসি দিয়ে)
পরশ:আম্মু ওকে বলো এই সোয়ামী বলে ডাকতে।
মিষ্টি: মামনি তুমি বলে দেও আমি সোয়ামী বলে ডাকবো।
পরশ: আম্মু তুমি খাইয়ে দেই তো।
মিষ্টি: না
পরশ: না মানে
মিষ্টি: কানে কম শোনেন। না মানে না মামনি আমাকে খাইয়ে দেবে।
পরশ: আমার আম্মু আমাকে দেবো।
মিষ্টি: না আমার মামনি আমাকে দেবো।
পরশ: দেখো সকালে কিন্তু অনেক জ্বালিয়েছো।
মিষ্টি: জ্বা লা নো দেখলি টা কি সোবে তো শুধু মাই সোয়ামী ( মনে মনে) কি জ্বালিয়েছে
পরশ: আম্মু জানো সকালে আমাকে দিয়ে শা
মিষ্টি: থামলে কেনো বলো । মামনি আমি বলছি সকালে আমি ওনাকে বলেছি শাড়িটা পরিয়ে দিতে আর একটা কিস করতে। তুমি বলো আমি ভুল কিছু করেছি।
পরশ: তোমার লজ্জা করছে আম্মু সামনে বলতে।
মিষ্টি: একটু না। কারন আমি জানি আমার শশুড় মাশাই আমার সোয়ামী মতো আন রোমান্টিক নয় কি তাইতো মামনি।
মামনি: থামবি তোরা। আর তোর মুখে কি কিছু আটকাই না।
পরশ: তাহলে দেখো কাকে নিয়ে এসেছো পুরা একটা জঙ্গলী ।
মিষ্টি: কি আমি জঙ্গলী আর নিজে বুঝি মহান পুরুষ । নিজে একটা কি কি কি ও হে গোখরা সাপ।
পরশ: আম্মু আমার আফিসের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছি। আমি আসি।
আম্মু: খাবারটা শেষ করে যা।
পরশ: না তুমি বরং এই জঙ্গলী টাকে খায়াও। আমি আসি বলে আফিসে জন্য গাড়ি নিয়ে রওনা হলাম।
মামনি: দেখো ছেলেটা না খেয়ে চলে গেলো।
মিষ্টি: ও ছেলেটা না খেয়ে চলে সে চিন্তা আর মেয়েটা যে হা করে বসে আছে সে চিন্তা নেই।
মামনি: এই নে হা কর।
মিষ্টি: মামনি তোমার ছেলেটা দেখতে হিরো মতে কিন্তু হেবলা।
মামনি: ও কিন্তু রাগী।
মিষ্টি: রাগ ধুয়ে জল করে দেবো। দেই। ভালো কথা আমার ননদিনী কে দেখছি না কোথায়।
মামনি : নিজের ঘরে হয়তো।
মিষ্টি: আমি দেখে আছি।
মামনি: খাবার শেষ করে যা।
মিষ্টি: আর খাবো না পেট ভরে গেছে বলে দিশার ঘরে গেলাম।
মামনি : পাগলি মেয়ে একটা। কি করে যে এদের মিল হবে তুমি যানো খোদা।
মিষ্টি: কাকে দেখছো ননদিনী ( দিশা রুমে গিয়ে)
দিশা: কে ( ল্যাপটপ বন্ধ করে)
মিষ্টি: আমি
দিশা: ও ভাবি তুমি ভেতরে এসো।
মিষ্টি: কাকে দেখছিলে আমার ননদাই। আমিও দেখবো
দিশা: না তেমন কেউ না।
মিষ্টি: তাই বুঝি। সত্যি টা লুকিয়ে লাভ নেই।
দিশা: আসলে ভাবি
মিষ্টি: কি ননদিনী
দিশা:তুমি কাউ কে বলবে নাতো
মিষ্টি: কাউকে বলবো না
দিশা: আমাদের মেডিকেল কলেজের একজন টিচার আছে। আর স্যারকে আমার ভালো লাগে
মিষ্টি: হুম তাকে একবার দেখতে হবে।
দিশা: তুমি দেখবে
মিষ্টি: দেখবো তবে ছবিতে নয় সরাসরি।
দিশা: তুমি যাবে কলেজে
মিষ্টি: যাবো।
দিশা: ok
মিষ্টি: তুমি তোমার স্যারকে নিয়ে ভাবো আর আমি বসকে একটু জ্বালাই।( ফোনটা হাতে নিয়ে বললো)
অপর দিকে
পরশ আফিসে এসে নিজের রুমে বসে তার পি এ সাথে বিভিন্ন আফিসের ফাইল নিয়ে আলোচনা করছিলো হঠ্যৎ পরশের ফোন বাজতে পরশ ফোন রিসিভ করে…………
( চলবে……..