বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২১
পরশ আফিসে ঢুকে নিজের আফিস রুমে দরজায় খুলতে মাথায় ৫৭০ ভোল্টের রাগ ওঠে গেলো।
পরশ: আসলাম সাহেব ( চিৎকার করে)
আসলাম সাহেব গ্লাসে পানি ভরে পানি খেতে যাবে হঠ্যৎ পরশের চিৎকার শুনে হাত থেকে পানির গ্লাসটা পরে ভেঙে গেলো।
আসলাম সাহেব: স্যার চিৎকার করে আমাকে ডাকছে কেনো। এখনি তারাতারি যেতে হবে বলে আসলাম সাহেব পরশের আফিস রুমে দিকে চলে গেলেন।
পরশ: আসলাম সাহেব
আসলাম সাহেব: জি জি স্যার আমি এখানে ( পরশের পেছন থেকে বললো)
পরশ: এটা কি হ্যাচি( চেয়ার দেখিয়ে বললো)
আসলাম সাহেব: ( এটা তো অথৈর মা হাতে দেখেছিলাম মনে মনে বললো)
পরশ: আমি আপনাকে কিছু বলছি হ্যাচি
আসলাম সাহেব: কুকুর ছানা স্যার।
পরশ: আমার রুমে আমার চেয়ারে এই কুকুর টা কোথায় থেকে আসলো। আর আপনি জানেন না আমার কুকুরে এলাজি হয় হ্যাচি ( চিৎকার করে)
আসলাম সাহেব: sorry স্যার। আসলে বড় স্যারের ভাগ্নী বলতে পেছন থেকে অথৈ বলে উঠলো
অথৈ: কে রে এতো জোড়ে চিৎকার করে। মামুকি এদের চিৎকার করার জন্য টাকা দিয়ে রেখেছে ( রাগী লুকে)
আসলাম সাহেব: চুপ করো মা।
অথৈ: চুপ করবো কেনো হ্যা কে উনি আমি কাউকে ভয় পাই না। বলতে পরশ অথৈ দিকে ঘুরে তাকাতেই অথৈ পরশের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকালো
পরশ: you।
অথৈ: হ্যা আমি তো
পরশ: তুমি আমার আফিসে আমার রুমে
অথৈ: হা হা হা এটা আপনার আফিস। মোটে না এটা আমার মামু আফিস বুঝেছেন।
( পরশ আর অথৈর চিৎকার করে কথা বলাতে আফিসে কার্মচারী, দারোয়ান, সহ সবাই পরশের রুমে সামনে ভির করলো)
পরশ: এই মেয়ে কি ভাবে নিজেকে
অথৈ:রানী এলিজাবেথ।
পরশ: চুপ একদম চুপ। আমার রুমে দাড়িয়ে আমার সাথে এভাবে কথা বলতে তোমার ভয় করছেনা।
অথৈ: আপনি বাঘ না ভাল্লুক যে আপনাকে ভয় করবো। আপনি একটা পচা কুমড়ো।
পরশ: কি আমি পচা কুমড়ো। এক থাপ্পার দিয়ে ৩২ টা দাঁত ফেলে দিবো।
অথৈ: আমার দাঁত ফেলে দিলে আমি আপনাকে ছেড়ে দেবো আমি আপনার চুল গুলে টেনে ছিড়ে দেবো।
আসলাম সাহেব: এখানে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ চলছে। কখন থামবে এই যুদ্ধ কে জানে।
পরশ: এই যে আপনারা। আপনেদের কেনো কাজ নেই। এখানে তামাসা দেখছেন। যান এখান থেকে ( আফিসের কমচারীদের বললো)
আসলাম সাহেব: যান আপনারা স্যার খুব রেগে গেছে যান যার যার কাজে যান।
পরশ: আসলাম সাহেব
আসলাম সাহেব: জি স্যার
পরশ: আমি আপনাকে পাঁচ মিনিট সময় দিচ্ছি এই কুকুর ছানা আর চেয়ার টা তারাতারি এখন থেকে নিয়ে যান।
আসলাম সাহেব: জি স্যার বলে চেয়ার থেকে কুকুর ছানাকে ধরতে যাবে তখনি
অথৈ: খবরদার আমার বল্টু গায়ে যাদি হাত লাগান তাহলে আমি আপনার হাত কেটে বল্টু কে খাইয়ে দেবো।
পরশ: আসলাম সাহেব ওগুলো সাথে এই কুকুর রানীকে নিয়ে যাবেন।
অথৈ: কি আমি কুকুর রানী। আমাকে কুকুর রানী বলা দেখাচ্ছি মজা বলে টেবিলের পর থেকে সব ফেলে দিলো।
পরশ: এই মেয়ে তুমি আমার টেবিলে জিনিস পএ ফেলছো কেনো।
অথৈ: কেবল তো জিনিস পএ ফেলেছি। এবার আপনাকে ফেলবো বলে পরশকে ধাক্কা দিতে যেতেই মেজের কারর্পেট সাথে পায়ে ধাক্কা লাগতেই অথৈ নিজেকে ব্যালেন্স করতে না পেরে সামনে পরশের গায়ে
এসে পড়লো। পরশের গায়ে পড়তেই অথৈ যেনো একটা শর্ট খেলো।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
পরশ: এই মেয়েটা আমাকে টার্চ করতে আমার এমন লাগছে কেনো।( মনে মনে বললো)
অথৈ: এই আঙ্কোল টার সাথে ধাক্কা লাগতে কেনো আমার সারা শরীল কেপে উঠলো। সেদিনে মতো আজও সেই এক রকম লাগছে। কেনো হচ্ছে এরকম।ওনাকে জরিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে আমার। ওনাকে ছাড়াতে ইচ্ছে করছে না কেনো আমার।
পরশ: কি ব্যাপার মেয়েটা আমাকে জরিয়ে ধরে রেখেছে কেনো। আমাকে জরিয়ে ধরে রাখায় অধিকার একজনের ছিলি সেটার আমার মিষ্টির। ( মনে মনে) এই মেয়ে বলে পরশ অথৈকে হাতদিয়ে নিজের থেকে ছারিয়ে নিলো।
অথৈ: ইশ এমন ভাবে ধরে কেই।
পরশ: এই মেয়ে
অথৈ: কি বলে পরশের দিকে বাকা চেখে করে তাকিয়ে রাইলো।
পরশ: এই মেয়েটা চোখের তাকানো ঠিক মিষ্টির মতো। আর মেয়ে টা আমাকে জরিয়ে ধরতে কেনো যেনো মনে হলো মিষ্টির আমাকেজরিয়ে আছে। কে এই মেয়ে সেইদিনো মনে হয়ে ছিলো। কিন্তু কেনো মিষ্টিতো আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আজ কেনো মনে হলো। বলে অথৈর দিকে তাকিয়ে আছে।
আসলাম সাহেব: বাহ এই দুজনকে একসাথে দেখে মনে হচ্ছে সালাম খান আর করিনা কাপুর দাড়িয়ে আছে।
অথৈর মামু: আসলাম সাহেব ( পেছন থেকে বললো)
আসলাম সাহেব: আস্তে কথা বলুন। দেখছেন না দুজনে কে একসাথে কি সুন্দর লাগছে।
অথৈর মামু: সত্যি পরশ আর আমার ভাগ্নী কে একসাথে সুন্দর লাগছে। সালমা সকালে বলছিলো অথৈ জন্য ছেলে দেখতে ( মনে মনে)বলে মুচকি হাসলো
আসলাম সাহেব: স্যার আপনি কখন এলেন।
অথৈর মামু: এখনি অথৈ
( বলে ডাক দিলো)
অথৈ: মামু তুমি এসেছো। (বলে মামুকে জরিয়ে ধরলো)
অথৈর মামু: এই মাএ। পরশ
অথৈ: এই আঙ্কেলটার নাম পরশ। নাম টা বেশ ভালো। কিনতু মানুষটার একটা পঁচা কুমড়ো।
পরশ: জি স্যার
অথৈর মামু: well come my office.
পরশ :thank you sir
অথৈর মামু: তোমাকে দু বছর পর আবার আফিসে দেখতে পাবো ভাবতে পারি নি।তুমি আফিস ছাড়ার পর থেকে আফিস প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিলো।আজ মনে হচ্ছে আফিসের প্রাণ ফিরে এসেছে।
অথৈ: মামু তুমি্যানো এই আঙ্কেল টা আমাকে বকা দিয়েছে। আমাকে নাকি থাপ্পর মেরে ৩২ টা দাঁত ফেলে দেবো। আরো কি বলেছে যানো কুকুর রানী। নিজে খুব সাধু পঁচা কুমড়ো কোথাকর।
পরশ: আর একবার যদি পঁচা কুমড়ো বলেছো তবে স্যারের সামনে থাপ্পার মারবো।
অথৈ: মামু (ন্যাকা কান্না করে বললো।)
অথৈর মামু : পরশ ও আমার একমাএ ভাগ্নী অবন্তী ইসলাম অথৈ। আর অথৈ ও হচ্ছে আমার আফিসের সিনিয়ার আফিসার আরফিন পরশ।আর তুমি আমার ভাগ্নীর কথা কিছু মনে করো ও একটু দুষ্টু টাইপে মেয়ে তবে খুব ভালো।
পরশ: ভালোর এই নুমনা।
অথৈ: মামু চলো বল্টু
অথৈর মামু: ভাগ্নী এখানেও কুকুর ছানা।
অথৈ: মামু ওর নাম বল্টু।
অথৈর মামু: sorry বল্টু চল আমার রুমে যাই।
অথৈ: তুমি যাই আমি বল্টুকে নিয়ে আসছি
অথৈর মামু: ঠিক আছে আয় বলে চলে গেলেন।
পরশ: আসলাম সাহেব পাঁচমিনিটের মধ্য আমার রুম ঠিক চাই আর চেয়ার টা পাল্টাবেন কিন্তু বলে পরশ রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
অথৈ:বল্টু আয় বলে বল্টুকে কোলে তুলে নিলো।
আসলাম সাহেব: আমাকে তারাতারি রুম ঠিক করতে হবে। না হলে স্যার রাগ করবেন। কবে আগে মতো স্যারকে হাসিখুশি দেখবো।
অথৈ: আসলাম সাহেব কেনো বললেন আগে মতো হাসি খুশি দেখতে পাবো ওনি আগে এ রকম ছিলেন না(মনে মনে বললো)
আসলাম সাহেব: মা একটু সরে দাড়াবেন।
অথৈ: হ্যা কিছু বললেন
আসলাম সাহেব: বললাম একটু সরে দাড়াতে
অথৈ: সরে দাড়াবো কেনো আমি এখান থেকে চলে যাচ্ছি বলে বল্টুকে নিয়ে পরশেরআফিস রুম থেকে বেরে হয়ে মামু রুমে যেতেই হঠ্যৎ করে আফিসে কোনার একটা রুমে চোখ পরতেই দেখলো……(চলবে)