#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ৫]
এলাকায় উজ্জ্বলের অন্ধভক্তের অভাব নেই।ছোট ছোট ছেলেরা উজ্জ্বলের ভীষণ ভক্ত।মুরব্বিরা তাকে পছন্দ করলেও মারপিটের স্বভাবটা ঠিক কারো পছন্দ নয় অথচ উজ্জ্বলের এক সিটির ইশারায় একটা দল এসে উপস্থিত হবে।সবাই মার খেতে নয় বরং মারতে ভালোবাসে।মারামারি যেখানে উজ্জ্বলের দল সেখানে।এসব নিয়ে যে থানা পুলিশের গণ্ডি টপকাতে হয়নি তা কিন্তু নয়।সৈয়দ শামসুল এলাকার সম্মানীয় ব্যক্তি কিন্তু তার ছেলের অসংলগ্ন কার্যক্রম তার সম্মানে বহুবার আঘাত হেনেছে।থানা পুলিশের ব্যপারটা তিনি টাকার উপর মিটিয়ে দেন।যদিও উজ্জ্বল বিনা কারণে মারামারিতে জড়ায় না।একটা হেতু দাঁড় করিয়ে যখনি তার মেজাজ বিগড়ে যাবে তখনি শুরু হট্টগোল গন্ডোগোল।
যেমন আজ একটা ছেলে তার ফোন চুরি করে পালাচ্ছিলো।ভাগ্যক্রমে উজ্জ্বল তাকে ধরেও ফেলে দেখতে বেশ ভদ্র কিন্তু ছেলেটা মস্তবড় চোর।এলাকায় ইদানীং চুরি বাড়ছে তার পেছনে যে এই ছেলেটার হাত তা ইতোমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছে উজ্জ্বল।ছেলেটাকে শাস্তি সরূপ দেওয়া হলো দুইশত বার কানে ধরা।এলাকার ছেলেরা মহা আনন্দ নিয়ে চোরের কানে ধরার উঠবস গুনছে অপরদিকে উজ্জ্বল দোকানের চেয়ারে বসে গরম গরম দুধ চায়ে চুমুক দিচ্ছে।সিয়াম এবং দিপু তার পাশেই বসে।হঠাৎ দোকানের সামনে বাইক থেকে নামলো রাশেদ এবং রুমু দুজনে দোকানের ভেতরেই গেল।
আজ আর ভার্সিটি যাবে না ভেবেই রেখেছিল উজ্জ্বল কিন্তু রুমু যাচ্ছে সে যাবে না তা কি হয়?তাছাড়া কলেজে উঠার পর এক বছর যাবৎ অনেক বাদরামো সহ্য করেছে মেয়েটার।এখন আর নয় এখন সময় এসেছে উজ্জ্বলের নিজের জিনিস নিজে বুঝে নেওয়ার।রাশেদ দোকান থেকে বেশ কয়েকটি জিনিস কিনলো রুমু আড় চোখে তাকিয়ে দেখলো উজ্জ্বলকে।উজ্জ্বল সেই চাহনির পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখালো ইশারায় চুমু দিয়ে।নিজের ভদ্রতার খোলসটা রেখে গলা ছেড়ে বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলে,
” বুঝলি এলাকায় চোর বেড়েছে।মালামাল চুরি হচ্ছে আমার মন চুরি হচ্ছে কখন আবার আমার বউটা চুরি হয়ে যায়।বউ চুরি হলে এই এলাকায় তান্ডব চলবে আগেই বলে দিলাম।”
তরুন ছেলে দোকানি উজ্জ্বলের কথা শুনে মুচকি হাসে।রাশেদ সেই হাসিটায় অবজ্ঞা নিয়ে বলে,
” তোমার দোকানে বখাটেরা আড্ডা দিচ্ছে কিচ্ছু বলো না কেন?এলাকায় বখাটেদের উৎপাত ক্রমাগত বাড়ছে।এদের মোটেও আশকারা দিবে না।”
উজ্জ্বল বুঝতে পারলো রাশেদ তাকে ফোঁড়ন কেটে কথাটা বলেছে।উজ্জ্বল পুনরায় চায়ে চুমুক বসিয়ে বন্ধুকে বলে,
” বুঝলি সিয়াম এলাকায় কিছু ভদ্র বেশী পরনিন্দা কমিটি খুলে বসেছে।তারা যেখানে সেখানে গিয়ে অন্যের নামে নিন্দা ছড়াচ্ছে।এসব কমিটির লোককে ধরে ধরে চিলি সসের থেরাপি দিতে হবে।এই পরনিন্দার কমিটির হেড হয়তো জানেই না এটা আমার দোকান।”
রাশেদ কিংকর্তব্যবিমূঢ়।ছোট চাচার এই দোকান সে তো জানতোই না।উজ্জ্বল শার্টের কলার তুলে বসে কালো চশমাটা চোখে দিল।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চলে গেল রাশেদ।এখানে তার গলাবাজি করা বেমানান।
.
রুমু ক্লাস রুমে প্রবেশ করতে দেখা হলো সুরাইয়ার সাথে।সুরাইয়া রুমুকে দেখেও না দেখার ভান ধরলো।রুমু কোমড়ে হাত দিয়ে বলে,
” ভাব ধরছিস কেন রে?”
” তুই নিজেই তো ভাবের গোডাউন।”
” উজ্জ্বল ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে?আমায় নিয়ে কিছু বলেছে?”
” তোর উজ্জ্বল ভাইকে দেখলেও আমি দশ হাত দূরে থাকি।”
রুমু প্রত্যুত্তর করার আগে ক্লাসে আসে রুমুর বন্ধু, ছেলেটা রুমুকে দেখেই বলে,
” খালা ভালো আছেন?”
” খালা!”
” উজ্জ্বল ভাইয়ের কড়া আদেশ তোকে খালা ডাকতে হবে।”
” কোথায় তোদের উজ্জ্বল ভাই?খালা ডাক আমি বের করছি।”
রুমু রেগে মেগে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল।মাঠের শেষ প্রান্তে দেখা গেল উজ্জ্বলকে।ছেলেটা বাইকে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।রুমু গিয়েই উজ্জ্বলের পিঠে থাবা দিল।সহসা ব্যথায় চমকে গেল উজ্জ্বল।রুমুকে দেখে নাটকীয় ভঙ্গিমায় বলে,
” আস্তে বউ লাগছে তো।”
” কে বউ?এই খালা কে হুম?আমার বন্ধুরা আমাকে খালা ডাকছে কেন?”
” একবার বিয়েটা করি তারপর ভাবী ডাকবে।”
” উজ্জ্বল ভাই এসব কিন্তু ভালো হচ্ছে না।আমিও সবাইকে বলে দিব আপনি একটা চোর, আমাদের বাড়ি গিয়েছিলেন চুরি করতে।”
“যা গিয়ে বল।আমি কি চুরি করেছি বলতো? আমি শুধু তোর মন চুরি করেছি।”
” আপনাকে লাগেও চোরের মতো।”
উজ্জ্বল ভাইকে গাজাব বেজ্জতি করে চলে গেল রুমু।বেচারা হতভম্ব নয়নে তাকিয়ে রইলো।পাশে থেকে বন্ধুরা সবাই হট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো।
.
কেটে গেল প্রায় এক সাপ্তাহ।এই কয়েকটা দিন বিয়ে নিয়ে রুমুর পরিবারের কোন আলাপচারিতা ছিল না।তাই তো মেয়েটা ভেবেই নিলো বিয়ের ভূত হয়তো সবার মাথা থেকে নেমে গেছে কিন্তু তাকে ভুল প্রমান করে দিয়ে অবশেষে পাত্র পক্ষ তাকে দেখতে এসেছে।পাত্র পক্ষের সামনে বসা রুমুর জীবনে এই প্রথমবার।দেখতে আসবে শোনার পর থেকে মেয়েটার কান্না কিছুতেই থামছে না।রুমুর ভাবি আনিকা শাড়ি পড়াতে গিয়ে পড়লো চরম বিপাকে।রুমু কিছুতেই শাড়ি পড়বে না।অবশেষে মায়ের ধমকে শাড়ি পড়তে বাধ্য হলো।একটি নীল জামদানি শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বসে আছে রুমু।মেয়েটার কান্নারত ফোলা মুখখানি দেখে আনিকা মিষ্টি হাসে।
” এই জানিস, কাঁদলে মেয়েদের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়ে।তোকে কি যে সুন্দর লাগছে।”
” ভাইয়ার বাড়াবাড়িতে এসব হলো।ভাবি তুমি অন্তত আমার পক্ষ নিতে।”
” আজ পর্যন্ত আমাকে দেখেছো এই বাড়িতে গলা তুলে কথা বলতে?বড়রা যা বলেছেন তাতেই সামিল হয়েছি।”
কথার মাঝে রাশেদ কক্ষে এলো।আনিকাকে তাড়া দিল পাত্র পক্ষের সামনে রুমুকে নিয়ে যেতে।মেয়েটা ছোট ছোট পা ফেলে ভীত চাহনিতে এগিয়ে গেল বসার ঘরে।
পাত্র মূলত রাশেদের বন্ধুর কাজিন।ছেলের বাবা ভীষণ ধার্মিক।রুমুকে তাদের আগে থেকে পছন্দ করাই ছিল শুধু ছেলে দেশে আসলে বাকি কথা হবে।রুমুকে দেখে উপস্থিত সবার হাসি চওড়া হলো।ছেলেরা এক দেখায় পছন্দ করলো রুমুকে।পাত্রপক্ষের টুকটাক প্রশ্নের মাঝে উপস্থিত হয় উজ্জ্বল।ছেলেটা শার্টের হাতা গুটিয়ে বসলো সোফায়।ভীষণ ব্যস্ততা দেখিয়ে হাসি চওড়া করে বলে,
” সরি দেরি হয়ে গেল।আমি আগেই আসতাম কিন্তু একটু ব্যস্ত সময় পার করছি।”
উজ্জ্বলকে দেখে রুমুর বাড়ির সবাই হতবাক হতভম্ব।পাত্রপক্ষ প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে তার পানে।উজ্জ্বল হেসে বলে,
” আমি রুমুর একমাত্র চাচার একমাত্র ছেলে।আমি উজ্জ্বল আর পাত্র কে?”
প্রশ্নটা করেই উজ্জ্বল তাকালো পাত্রের বড় মামার পানে।উজ্জ্বল মুখটা কুচকে বলে,
” আপনি পাত্র!বয়স কত?বুড়ো বয়সে ভীমরতি? আপনার মতো বুড়োরা কচি কচি মেয়েগুলো বিয়ে করে নেয় বলে আমার মতো অবলা ইয়াং ছেলেগুলো পাত্রী পেতে হিমশিমে পড়তে হয়।”
পাত্রের মামা ভীষণ লজ্জায় পড়লো এই আধাপাগল ছেলে কাকে কি বলছে!পাত্র গুরুগম্ভীর গলায় শুধায়,
” এই যে কোথাও ভুল হচ্ছে আমি পাত্র।”
উজ্জ্বল ভীষণ লজ্জা পাওয়ার ভান করে বলে,
” সরি সরি।আসলে উনি ঝাকানাকা পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন তো আমি আবার ভেবে বসলাম উনি পাত্র।”
রুমু না চাইতেও ঠোঁট টিপে হাসলো।উজ্জ্বল যে এই বিয়ে পণ্ড করতে এসেছে সে বেশ ভালো ভাবেই যানে।রুমু উজ্জ্বলের পানে সরু চোখে তাকালো।রুমুর সাথে মিল রেখে এই ছেলে আজ নীল শার্ট পড়েছে।যে কেউ দেখলে ভাববে এরা নিশ্চয়ই কাপল।উজ্জ্বলের উপস্থিতি মোটেও পছন্দ করলো না রাশেদ কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু বলাও যাবে না।সে চায় না এত ভালো জায়গায় বোনের বিয়েটা ভেঙে যাক তাই তো চুপচাপ সবটা হজম করছে সে।বুদ্ধি খাটিয়ে রাশেদ তাড়া দিল পাত্রপক্ষকে।
“আপনারা নাস্তা সেরে নিন।রুমু বরং ভেতরে যাক।”
রুমু চলে গেল তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত পিষলো উজ্জ্বল।রাশেদ একে একে নাস্তার সব ট্রে আনতে ব্যস্ত।এর মাঝে উজ্জ্বল উঠে গিয়ে দাঁড়ালো বড় চাচা সৈয়দ ইসমাইলের পাশে।ছেলেটা চাপা স্বরে বলে,
” চাচাজান কথা দিয়ে কথার খেলাপ করার মানুষ আপনি নন।আমার সাথে কিন্তু প্রতারণা হচ্ছে।ছোট বেলা থেকে বলে আসলেন আমি আপনার জামাই অথচ ঠিকি সুযোগ বুঝে অন্য পাত্রের কাছে মেয়েকে দিচ্ছেন।”
” আমার মেয়েকে বিয়ে করার মতো কি যোগ্যতা আছে তোমার?”
” আপনার মেয়েকে বিয়ে করার মতো যোগ্যতা বলতে টিকটকে নাচতে হবে এই তো?সরি আমার সেই যোগ্যতা নেই।”
অপমানে থমথমে হয়ে গেল ইসমাইলের মুখ।সত্যি তো তার মেয়ের কি এমন অর্জন আছে?যার জন্য যোগ্যতা খুঁজছেন তিনি।উজ্জ্বল সবাইকে নাস্তা সার্ভ করছে এর মাঝে সে নিজেও খাচ্ছে।পাত্রের বাবা মেয়েদের আপ্যায়ন এবং মেয়ে দেখে ভীষণ খুশি তিনি আজকেই কাবিনের তারিখ নির্ধারণ করবেন।খাবার শেষে পাত্রের পরিবার তাদের মাঝে আলাপ আলোচনা করছিল তখন মেয়ের বাড়ির কেউ উপস্থিত নেই।উজ্জ্বল ভেতরের কক্ষে ডাইনিং টেবিলে বসে একেরপর একেকটা পদ সাবাড় করছে তার খাওয়ার স্প্রিড দেখে তাজ্জব বনে গেল রুমু।উজ্জ্বলকে দেখে তার চাচি আর চাচাতো ভাই রাশেদ যে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে এতেই তার বড্ড শান্তি লাগছে।খাওয়ার শেষে উজ্জ্বল ওয়াশরুমে গেল তখনি ওয়াশরুম থেকে বের হতে দেখা গেল পাত্রের বাবাকে।
” আঙ্কেল মেয়ে আপনার পছন্দ হয়েছে?”
” মাশাল্লাহ মেয়ে তো আমার আগেই পছন্দ করা ছিল।”
” জি মেয়েটা পছন্দ করার মতো।তবে মেয়েটা যে টিকটকে নাচানাচি করে জানেন আপনি?”
পাত্রের বাবা যেহেতু ধার্মিক এমন কথা শুনে তাজ্জব বনে গেলেন।মুখ দিয়ে কয়েক বার শুধালেন আস্তগফিরুল্লাহ। উজ্জ্বল দ্রুত পকেট থেকে ফোন নিয়ে রুমুর নাচের টিকটক ভিডিও দেখালো।ব্যস পাত্রের বাবা মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পালটালেন এই মেয়ের সাথে কিছুতেই তিনি ছেলের বিয়ে দেবেন না।
উজ্জ্বলের পরিকল্পনা মোতাবেক রুমুর বিয়েটা ভেঙে গেল।এত ভালো ঘরে বিয়েটা হলো না তা যে কিছুতেই মানতে পারলো না রাশেদ।এই বিয়ে ভাঙার পেছনে যে উজ্জ্বলের হাত আছে তা সে বেশ ভালো করেই যানে কিন্তু উজ্জ্বলকে খবর দিল কে?রাশেদের সন্দেহ হলো তার বাবার উপর।না চাইতেও আজ বাবা ছেলের কয়েক দফা ঝামেলা গড়ালো।এর মাঝে রাবেয়া ঘোষণা দিয়ে বসলেন রুমুর বিয়ে তার বোনের ছেলের সাথেই হবে।এবং খুব শীঘ্রই এই ব্যপারে তিনি কারো মতামত চান না।
.
রাতের খাওয়া শেষে সৈয়দ শামসুল একটা বাঙ্গি ফল নিজ হাতে কাটলেন।ঘরের কেউ এই ফল পছন্দ না করলেও তিনি বেশ পছন্দ করেন।বাঙ্গির সিজনে এই ঘরে এক প্রকার বাঙ্গির অত্যাচার চালান তিনি।উজ্জ্বল খাওয়া শেষ করে নিজের কক্ষে ফিরে যায় কিন্তু শামসুল তাকে আবার ডেকে পাঠায়।ছেলেটা ডাইনিং টেবিলের সামনে আসতেই নজরে আসে থালা ভরতি বাঙ্গির ছোট ছোট টুকরো।মুহূর্তে তার মুখটা পাংশুটে বর্ন ধারণ করে,
” আব্বা খবরদার এই বাঙ্গি নিয়ে জোরাজোরি করবা না।”
” অবশ্যই করবো।সিজনের ফল খাওয়া কতটা ভালো তুই জানিস?”
” আব্বা আমার বিয়ের সিজন আসবে কবে?বিয়েও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।”
” বাঙ্গি খা তারপর বলবো।”
বাবা ছেলের বাকবিতন্ডায় মুচকি হাসলেন নার্গিস।স্বামীর মন রক্ষার্থে না চাইতেও তিনি বাঙ্গি খাচ্ছেন।উজ্জ্বল ভোঁতা মুখে দাঁড়িয়ে আছে খাবে কি খাবে না ভাবতে ভাবতে শামসুল কড়া ধমক দিলেন।বাবার ধমকে উজ্জ্বল বাঙ্গি মুখে তুললো। কয়েকবার দাঁতের তলায় পিষতেই বিদঘুটে স্বাদে গাল ভরতি সব ফেলে দিল।
বিস্বাদে উজ্জ্বল আহাজারি করে বলে,
” আব্বা বাঙ্গির নিজস্ব কোনো স্বাদ নাই, চাঁদের নিজস্ব কোনো আলো নাই,এই উজ্জ্বলের নিজস্ব কোন বউ নাই।”
#চলবে….