সুইটির অভিযোগ রায়হান ওকে ধর্ষণ করেছে! আদালত জানতে চাইল ঘটনা কী?
সুইটি বলল রায়হানের সাথে আমার পরিচয় অনলাইনে। একদিন রাতে একটা ছেলে আমার পোস্টে লাভ রিয়াক্ট দিলো। সাথে সাথে মেসেঞ্জারে মেসেজও দিলো। “হাই।”
একজন মেসেজ দিলে জবাব দেয়াটা ভদ্রতা তা-ই না? আমিও জবাব দিলাম।
“হ্যালো।”
“কেমন আছেন?”
“ভালো।”
সেইদিন ছেলেটা আর কোনো মেসেজ দিলো না। এরপর থেকে আমার প্রতিটা পোস্টে লাভ দেয়! সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে। আবার আমার পোস্ট শেয়ারও দেয়!
কয়েকদিন পরে আবার মেসেজ।
“কেমন আছেন? “
“ভালো।”
“আপনি খুব সুন্দর! নীল জামা পরা ছবিটা তো পরীর মতো লাগছে!”
“ধন্যবাদ। আমি কিন্তু এত সুন্দর না।”
“কে বলেছে? “
“আমি জানি তো।”
“আপনার বাসার আয়নাটা বোধহয় নষ্ট হয়ে গেছে! আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী! “
“ধূর! আপনি বাড়িয়ে বলছেন।”
“আমার চোখ এমন দেখলে আমি কী করবো বলেন?”
তারপর ছেলেটার নাম জানলাম রায়হান। দেখতেও খারাপ না। এরপর আমাদের মাঝে কথা হতে থাকল।
জাজ সাহেব বিরক্ত হয়ে বললেন, “আসল ঘটনায় যাও মা।”
তারপর আমরা একদিন দেখা করলাম।
“দেখা করতে গিয়েই বুঝি ধরা খাইলা!”
“না দেখা তো হয়েছে একটা পার্কে। সেদিন কিছুই হয়নি। ও আমাকে অনেক উপহার কিনে দিয়েছে। “
“ও আচ্ছা। তা কবে হলো ঘটনা?”
এরপর আমাদের মাঝে প্রায়ই দেখা হতো। একদিন আমাকে বলল,” আজ দেখা করতে পারবা?”
“হ্যাঁ, কোথায় আসব?”
“আমাকে একটা ঠিকানা দিলো।”
“বাসার ঠিকানা তা-ই না?”
“জি।”
“তুমি বাসায় হাজির হলে আর বদমাশটা কাম করে ফেলল!”
“বাসায় গেছি কিন্তু সেদিন কিছুই করেনি। আমি সারাদিন ওর বাসায় ছিলাম কিন্তু আমার হাতটা পর্যন্ত ধরেনি।”
“সেদিন বাসায় বুঝি আর লোকজন ছিলো?”
“না, শুধু আমরা দুইজনই ছিলাম।”
জজ এবার বিরক্ত হয়ে বললেন, “এতো দেখি দরবেশ ছেলে! ঘটনা কি বুঝতেই পারছি না। খুবই চালু মাল। বলো তারপর কী হলো?”
এরপরে আরেকদিন বাসায় যেতে বলল,সেদিনও বাসায় কেউ ছিলো না।
“সেদিনই ঘটনা ঘটায় ফেলল! তা-ই না?”
“না, সেদিন শুধু একটা কিস করেছে।”
“আর কিছুই করেনি?”
“না।”
“ও আচ্ছা! ঘটনা কবে হলো?”
“এরপরে আরেকদিন ওর বাসায় গেলাম।”
“ছেলে তো দেখি বহুত জিনিয়াস! ধীরে ধীরে এগিয়েছে! বলো দেখি কী ঘটল?”
সেদিন আমার সাথে সব কিছু করল!
“যা ভেবেছিলাম। কঠিন চালাক ছেলে! তা তুমি কী করলা? মানে বাধা দিতে চিৎকার চেচামেচি করছো না?”
“না। “
“ভয় পেয়েছ বুঝি!”
“না।”
“তাহলে বাধা দিলে না কেন?”
“আমি তখন ভালোবাসা মনে করেছিলাম। “
“কখন বুঝলা এটা ভালোবাসা না?”
“যখন জানলাম ওর একটা বউ আছে!”