
- পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
- পুরোনো প্রেমের কবিতা
- শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা
- তুর্কি প্রেমের কবিতা
- ১৮+ প্রেমের কবিতা
১.পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
নিতান্ত নিকট থেকে যে আগুন শুধু দাহ আর উত্তাপের অনুভূতি দেয়, দূরে গেলে সেই আগুনই আলো যোগায়। দূরত্বেই সম্ভ্রম, দূরত্বেই প্রত্যয়।
____আশাপূর্ণা দেবী)
…………………….
………………………….
প্রত্যেক নিঃশব্দতার
একটা নিজস্ব শব্দ থাকে।
প্রত্যেক শব্দের থাকে একটি পরিণতি।
না বলে যা বলতে পেরেছি আমি;
বলে তা বোঝাতে পারিনি তাকে ।
__ রুদ্র গোস্বামী
……………..
……………………
যাহা চাই তাহা
জয় করে যেন পাই.
গ্রহণ না করি দান
হে সর্বশক্তিমান।।
___কাজী নজরুল ইসলাম
………………………
এত সংকট। এত বিস্ময়। এত অপ্রাপ্তি।
যোগফল টানতে টানতে খাতা ফুরিয়ে যায়।
আহা, জীবন!
…………………..
সময় থাকতে প্রিয় মানুষটাকে বুঝতে শিখো
কারণ, একবার সে হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবে না।
__ ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় (চিতা বহ্নিমান)
………………………….
মেয়েটা হাতের একটা চুড়ি খুলে বললো- “এই নাও, রাখো।
যেদিন তোমার ঘরে বউ হয়ে যাবো, বাসর রাতে পরিয়ে দিও”।
ছেলেটা একটা চাবির রিং মেয়েটাকে দিয়ে বললো-
“যত্নে রেখো। আমাদের সংসারের সব চাবি
এটাতে গেঁথে আঁচলে ঝুলাবে”।
একদিন ছেলেটার আবদার- “তোমার একটা ওড়না
আমাকে দেবে? মধ্যরাতে বালিশে জড়াবো, আর
তোমার বুকে নাক গুজে রেখেছি ভেবে চুমো খাবো”।
আরেকদিন মেয়েটা নাছড়বান্দা-
“হলুদ পাঞ্জাবিটা তো আর পরো না। আমাকে না হয়
দিয়ে দাও, বুকের উপর রেখে ঘুমাবো”।
তাদের পাশাপাশি দাড়িয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবির একটি
ছেলেটা তার মানিব্যাগে রেখে দিলো। ভাবটা এমন,
যেন উপার্জিত সকল টাকা বউয়ের কাছেই জমা রাখছে।
এদিকে মেয়েটা এমনই অসংখ্য ছবি মোঠোফোনে
গোপন ফোল্ডারে সেভ করে নাম রাখলো “সুখি সংসার”।
কালের আবর্তে কি হলো কে জানে (হয়তো পরিজনেরা মানবে না,
নয় তো অন্য কিছু) মেয়েটা একটা আংটি
রেপিং পেপারে মুড়িয়ে ছেলেটার হাতে দিয়ে বললো-
“যে তোমার বউ হবে, তাকে দিও। বলো আমি দিয়েছি।
আর আমাকে কোনদিন ভুলে যেও না”।
ছেলেটা সে আংটির বক্স হাতে নিয়ে
ছুঁড়ে মারলো নর্দমায়। তারপর দুজন দুজনকে
জরিয়ে ধরে বসে রইলো কতক্ষন। দুজনেরই চোখ বেয়ে
নামলো নিরব কান্না।
তারপর? তারপর যা হবার তাই হলো।
প্রকৃত ভালোবাসা কোনদিন মরে যায় না। মেয়েটার বিয়ে
হয়ে গেলো অচেনা জনের সাথে
প্রেমিকের দেওয়া চাবির রিংটাতেই
সব চাবি আঁচলে বেধে শুরু করলো সংসার।
আর ছেলেটা অন্য মেয়েকে বিয়ে করে
হাতে পরিয়ে দিলো প্রেমিকার চুড়িটা।
#অনন্য_উপহার
আকিব শিকদার
(RF)
২.পুরোনো প্রেমের কবিতা
ভালোবাসার বিজ্ঞাপন
___মিজাহারুল ইসলাম
প্রেম হোক বা না হোক-
জীবনে অন্তত ভালোবাসবার মতো একজন মানুষ থাকা প্রয়োজন।
প্রেম করবার জন্য তোমাদের যেমন একজন উত্তম প্রেমিক,
উৎকৃষ্ট প্রেমিকা প্রয়োজন;
ভালোবাসবার জন্য আমার তেমনটি প্রয়োজন নেই।
আমাকে ভালোবাসতে হবে এমন কথাও বলছি না।
আমি শুধু ভালোবাসবার মতো একজন মানুষ চাই।
কোন বিষন্ন বেলায় যদি বিষিয়ে ওঠে মন, হঠাৎ তার কথা ভেবে যেনো একটু স্বস্তি পাওয়া যায়।
দহন দুপুরে যদি বিধবস্ত লাগে;
তার ছবি দেখে যেনো প্রাণের উচ্ছ্বাস ফিরে পাওয়া যায়৷
ক্লান্ত বিকেল যদি বুক ভারি হয়ে আসে;
তার স্মৃতি মনে করে যেনো একটু হেসে নেয়া যায়।
আমাকে ভালোবাসতে হবে এমনটি বলছি না-
গুমোট অন্ধকার যদি গিলে ফেলে চারপাশ, কেউ না থাকে পাশে;
তার কথা ভেবে যেনো মন সাহস ফিরে পায়৷
ভরা বর্ষায়
শ্রাবণের ভেজা রাতে,
যদি কখনো একা লাগে
তার কথা ভেবে যেনো হৃদয় উষ্ণতা ফিরে পায়।
আমি শুধু ভালোবাসবার মতো একজন মানুষ চাই-
যদি কখনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়, দম আটকে আসে;
প্রথম ভাবনাতেই সে যেনো আসে,
আধারের রাত শেষে ভোরের প্রার্থণাতে তার মুখ যেনো ভাসে।
৩.শ্রেষ্ঠ প্রেমের কবিতা
প্রেম! আমি তোমাকে শিখাতে পারিনি।
তুমি নব্বই দশকের নারী,
চোখে চোখ রাখতে ভয় পাও,
আঙুল ছুঁতে গিয়ে আঁতকে ওঠো,
ভালোবাসি বলতে গিয়ে জড়িয়ে ফেলো শব্দ।
টাইমপাসের সম্পর্কে তুমি নিশ্চয়তা চাও,
ছেড়ে যাচ্ছি শুনে কান্না করো।
বাবাকে, কী ভীষণ ভয় পাও!
আমি নিশ্চিত,
তোমাকে আমি শিখাতে পারিনি প্রেম।
প্রেম
Shoriful Islam
৪.তুর্কি প্রেমের কবিতা
বেগুনি পাহাড়ের মখমলে ছায়া—
বিস্তৃতি, উপত্যকার গান—আর কিছু নেই এখন
আমার দুঃখী হৃদয়, ফিরে যাচ্ছি
নিজের ভূমিতে—নিজের শিকড়ে দিকে
নিজের জ্ঞাতি আর বিজয়ের ইতিহাসে একা
এই পাহাড়—যার সঙ্গে গেঁথে আছে
অতীতের সব দুঃখ আর উদাসীনতা
তার ইতিহাস আমাদের নয়।
৫.১৮+ প্রেমের কবিতা
আবেগ গুলো দিয়েছি,
তোর নামে বিসর্জন।
ভাসান দেয়া স্মৃতি গুলো,
ছিল ভীষণ আপন।
~ অভিজিৎ চৌধুরী
মনে পড়বে কেন?
যে সবসময় মন জুড়ে থাকে তাকে বাহিরে থেকে মনে পড়বে কেন?
__ সমরেশ মজুমদার ( সাতকাহন )
রাগ করে শোয়া যেতে পারে,
কিন্তু রাগ করে ঘুমনো যায় না।
বিছানায় পড়ে ছটফট করার মত শাস্তি আর নেই।
____শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়