মায়মুনা যত্নের সাথে কেক বের করছে, আজ তিনটা কেকের অর্ডার ছিল। উম, নাহ, তিনটা না আসলে চারটা, একটা কেক স্পেশাল। সেই স্পেশাল কেকটাই এখন তৈরি করছে মায়মুনা।
লো ভলিউমে গান বাজছে –
না চাহিলে যারে পাওয়া যায়,
তেয়াগিলে আসে হাতে,
দিবসে সে ধন হারায়েছি,
আমি পেয়েছি আঁধারও রাতে..
মায়মুনা এবার কেকটা ওভেনে বসিয়ে সেটিংসগুলো ঠিক করে দিতে যেতেই বিপত্তিটা হয়, ডিসপ্লেটা ঠিকমতো কাজ করছে না। মায়মুনা হাত দিয়ে এক দু’বার বাড়ি দিতেই ডিসপ্লেটা ঠিক হয়। নাহ, এবার ওভেনটা পালটানোর সময় চলে এসেছে। এভাবে ঠেলেঠুলে আর চালানো যাচ্ছে না যন্ত্রটা, শুধুই গড়বড় হয়ে যাচ্ছে। টাইমিংটা সেট করে মায়মুনা বেসিনে যেয়ে হাত ধোয়ার সময়ই কলিং বেলটা বেজে ওঠে। এই অসময়ে আবার কে এল, ফয়সাল তো সন্ধ্যের আগে ফেরার কথা না। হাতটা টাওয়ালে মুছে ও দরজার কী হোলে চেয়ে দেখে অপরিচিত মুখ, হাতে একটা কী যেনো খাম, কাঁধে একটা ঝোলা। নিশ্চিত ক্যুরিয়ারের লোক। দরজাটা খুলতেই, লোকটা বলে, ‘আপনি মায়মুনা রহমান?’
মায়মুনা সম্মতিসূচক মাথা নাড়তেই লোকটা একটা পেটমোটা বড় চিঠির খাম ওর হাতে দেয়। তারপর একটা রেজিস্ট্রি খাতা বের করে বলে, ‘এখানে একটা সই করেন।’
মায়মুনা ভ্রু কুঁচকে তাকায় খামটার দিকে, কে দিল এই চিঠি। খামের বাম পাশে ছোট ছোট ছাপার অক্ষরে লেখা, ‘বিবাহ, তালাক রেজিস্ট্রি অফিস’। এই চিঠি আমার!? কিছুই মাথায় ঢুকে না। এদিকে ক্যুরিয়ারের লোকটা তাড়া দেয়, ‘ম্যাডাম, চিঠি প্রাপ্তির সইটা করে দেন।’
মায়মুনা এবার খাতাটায় সই করে দিতেই লোকটা চলে যায়। দরজাটা বন্ধ করে মায়মুনা সোফায় বসে, ওর নামে বিবাহ, তালাক রেজিস্ট্রি অফিস থেকে চিঠি আসবে কেন? চিঠিটা খুলতে এখন কেমন একটা ভয় হচ্ছে, একটা অজানা আশংকায় বুকটা দুরু দুরু করছে। মায়মুনা একটা লম্বা নিশ্বাস নেয়, তারপর বেশ শান্তভাবেই চিঠিটা খোলে।
মায়মুনার মাথাটা কেমন ঘুরে ওঠে, চোখটা টেনে বার বার উপরের লেখাটা পড়ে, ‘১৯৬১ ইং সালে মুসলিম পারিবারিক আইন এর ৭(১) ধারামতে স্বামী কর্তৃক তালাকের নোটিশ।’
চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, হাত থেকে চিঠিটা নিচে পড়ে যায়। মায়মুনা স্তম্ভিত হয়ে বসে থাকে, একটা অবিশ্বাস ওর চোখেমুখে। ডিভোর্সের চিঠি!! আজকের এই সুন্দর দিনটাতেই এমন একটা চিঠি আসল! ছয় বছর আগে এই দিনেই ও ফয়সালের সাথে পথচলা শুরু করেছিল। আর সেই দিনটাতেই পথচলা শেষ হবার চিঠি! কিন্তু কেন, এমন তো কিছু হয়নি যার জন্য ডিভোর্সের নোটিশ আসতে পারে। তাহলে কী ও মনে মনে বাচ্চা না হওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে অসুখী? আর মেনে নিতে পারছে না? বিয়ে হওয়ার তিনটা বছর পার হবার পর যখন বাচ্চা হচ্ছিল না তখন ওদের টনক নড়ে, তখনই ডাক্তারের কাছে যাবার প্রয়োজনটা অনুভব করে। বিস্তর পরীক্ষা নীরিক্ষা করে যা পাওয়া যায় তাতে অন্তত এটুকু নিশ্চিত যে ওদের কোনো সমস্যা নেই। তারপর থেকেই অপেক্ষা, সেই মধুর সময়টা আর আসেনি। আচ্ছা, ইদানীং ফয়সাল কী একটু বেশি সেজেগুজে অফিসে যায়? ও নতুন কাউকে খুঁজে নিল?
এই যখন ভাবছে ঠিক তখনই ফয়সালের ফোনটা আসে। মায়মুনা চেয়ে থাকে মোবাইলের দিকে, ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করছে না। ধরবে না ভেবেও শেষ মুহূর্তে ধরে, ওপাশ থেকে ফয়সালের ফুরফুরে গলা পাওয়া যায়, ‘সারপ্রাইজটা পেয়েছ?’
মায়মুনার বুকটা ভেঙে আসে, তারমানে চিঠিটা সত্য! ও মনে মনে ভাবছিল চিঠিটা মিথ্যে। ফয়সাল সত্যিই ওকে এমন একটা সারপ্রাইজ দিল এই বিবাহ বার্ষিকীর দিনে! হঠাৎ করেই মনটা কঠিন হয়ে যায়, চোখটা মুছে নিরুত্তাপ গলায় বলে, ‘হ্যাঁ, পেয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।’
ফয়সাল একটু মিইয়ে যাওয়া গলায় বলে, ‘আচ্ছা, শোন, আমি রেজিস্ট্রি অফিসে আসছি, আসতে একটু দেরি হবে।’
বলেই ফয়সাল ফোনটা কেটে দেয়।
মায়মুনা শূন্য চোখে সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে, একটা ছোট্ট সুন্দর কাঠের ফ্রেমে ওর আর ফয়সালের ছবি, মায়মুনা ফয়সালের কান ধরে আছে আর ফয়সাল মিথ্যে ব্যথা পাওয়ার একটা মজার ভঙিমায় চোখমুখ কুঁচকে আছে। ছবিটা বিয়ের প্রথম দিকে তোলা। খুব দুষ্ট ছিল ফয়সাল, সারাক্ষণ দুষ্টুমি। হঠাৎ একটা কথা মনে হয়, আচ্ছা, ফয়সাল আবার দুষ্টুমি করল না তো!
এই যখন ভাবছে ঠিক তখন ওভেনটা টুঁ টুঁ শব্দ করে জানিয়ে দেয় কেকটা হয়ে গেছে। মায়মুনার মুখে একটা বিষন্ন হাসি খেলে যায়, ও কিনা বিবাহ বার্ষিকীর জন্য স্পেশাল কেক বানাচ্ছে! আর এদিকে ফয়সাল ডিভোর্স এর চিঠি পাঠিয়ে বসে আছে!
মায়মুনা কেকটা বের করে, সুন্দর একটা ঘ্রাণ নাকে লাগে। ওর হাতের কেক ভালো হয়, ফয়সালের উৎসাহেই অল্প করে কিছু অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছিল, বেশ ভালোই সাড়া পেয়েছিল। এখন তো বেশিরভাগ সময় এটাতেই চলে যায়, ওর অফুরন্ত অবসরটুকুও কাটে। কিন্তু ফয়সাল এমন করল!!!
সন্ধ্যা পার হতেই এই বাসার কলিং বেলটা দ্বিতীয়বারের মতো বেজে ওঠে, ফয়সাল এসেছে। মায়মুনা দরজা খুলে দিতেই দেখে অনেকগুলো গোলাপ ফুল হাতে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে ফয়সাল। ওকে দেখেই গানের সুরে বলে, ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ…ওহ, সরি, হ্যাপি এনিভার্সারি। সুখী হোক তোমার আমার টোনাটুনির সংসার।’
মায়মুনা হাসে না, নিস্পৃহ চোখে তাকিয়ে থাকে, তারপর ঘুরে কিচেনের দিকে চলে যায়। ফয়সাল বোকার মতো তাকিয়ে থাকে, কী হলো আবার। কোনো ভুল হলো না তো। ফয়সাল পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে তারিখ মিলিয়ে নেয়, নাহ, যতদূর মনে পড়ে আজকের দিনেই এই দুষ্ট মেয়েটার সাথে জীবন জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
মায়মুনা গম্ভীরমুখে টেবিলে কেকটা রাখে, তারপর ওকে ডেকে বলে, ‘আসো, আমাদের শেষ কেকটা কেটে নেই।’
ফয়সালের পেটের ভেতর কেমন গুড়গুড় করছে, আজ কী হলো মায়মুনার। বেশি কিছু জিজ্ঞেস করাও যাচ্ছে না, ভয়ে ভয়ে শুকনো মুখে বলে, ‘শেষ কেক মানে?’
মায়মুনা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, তারপর বলে, ‘কেন, আজকের পরও তুমি ভেবেছ আমি থাকব তোমার সাথে?’
ফয়সাল এবার সত্যিই ভয় পেয়ে যায়, বলে, ‘এই ময়না পাখি, কী হয়েছে বলো তো।’
মায়মুনা রাগের সাথে বলে, ‘আমি ময়না পাখি না। আমি মায়মুনা। আমাকে ডিভোর্সের নোটিশ দিয়ে তুমি এসেছ ফুল হাতে নিয়ে। আমি তোমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করব না, তুমি যেহেতু চিঠি পাঠাতে পেরেছ সেক্ষেত্রে আমার বলার কিছু নেই।’
ফয়সাল এবার অসহায়ের মতো বলে, ‘মায়মুনা, তোমার কথা আমি কিছুই বুঝছি না।’
মায়মুনা এবার পাশেই পড়ে থাকা চিঠিটা ওর দিকে বাড়িয়ে দেয়। ফয়সাল চিঠিটা হাতে নিয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়, তালাকের নোটিশ। চোখ বড় বড় করে ও নোটিশটা দু’বার পড়ে। তারপর ভয়ে ভয়ে বলে, ‘ময়না পাখি, তোমার কী আগে তওসিফ রহমান নামে কারো সাথে বিয়ে হয়েছিল?’
মায়মুনা গনগনে দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘কী!! আমার আরেকটা বিয়ে হয়েছিল?’
এবার ফয়সাল হো হো করে হেসে দেয়, ‘আমার ময়না পাখির চশমা লাগবে। পুরোটা পড়ে দেখো, এখানে স্বামীর নাম তওসিফ, বাবা মায়ের নামটাও দেখো। মনে হচ্ছে ভুলবশত চিঠিটা তোমার কাছে চলে এসেছে। আর দূর্ভাগ্যবশত নামটা তোমার নামের সাথে মিলে গেছে। তুমি এটা পুরোটা পড়নি?’
একটা অবিশ্বাসের পাথর যেনো বুক থেকে নেমে যায়, মায়মুনা এবার মাথা নেড়ে বলে, ‘আমি পুরোটা পড়ে দেখিনি, কিন্তু এটা আমার কাছে আসলো কী করে?’
ফয়সাল এবার গোয়েন্দার মতো চিঠির খামটা পরীক্ষা করে, বাসা নাম্বারটা ভালো করে মেলায়, তারপর রহস্যভেদের একটা হাসি দিয়ে বলে, ‘৭৪৬ নাম্বার বাসার চিঠি, কিন্তু ৬ সংখ্যাটা লেখার সময় একটা টান পড়ে গেছে তাতে ওটাকে পোস্টম্যান ৭৪৫ ঠাউরেছে। আর কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আমার বাসায় ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।’
মায়মুনা ভুলটা বুঝতে পারে এবার, কিন্তু একটা কথা মনে হতেই হঠাৎ সরু চোখে তাকিয়ে বলে, ‘এই ব্যাপারটা না হয় বোঝা গেল, কিন্তু তুমি যে বললে তুমি রেজিস্ট্রি অফিসে আছ?’
ফয়সাল হা হা করে হেসে বলে, ‘আরে ময়না পাখি, আমি তো জমি রেজিস্ট্রি অফিসে ছিলাম। আমার বন্ধু, ওই যে মমিন, ওর জমির রেজিস্ট্রি ছিল। আমাকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল। আর কোনো প্রশ্ন আছে?’
মায়মুনা মাথা নাড়ে, ‘আছে। তুমি যে বললে আমি সারপ্রাইজ পেয়েছি কিনা, সেটা কী ছিল?’
ফয়সাল এবার গালে হাত দিয়ে বসে, ‘এই রে, আসল কথাটাই তো জিজ্ঞেস করতে ভুলে গেছি। আমি তোমার জন্য নতুন একটা ইলেকট্রিক ওভেন অর্ডার দিয়েছিলাম। ইদানীং প্রায়ই দেখি তুমি পুরান ওভেনটাকে চড় চাপড় মেরে চালাচ্ছ। ও বেটা তোমার কথাই শুনছে না, তাই ভাবলাম আজকের এই সুন্দর দিনে তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেই। কিন্তু দোকানদার যে এটা পাঠায়নি সেটা তো আর জানতাম না, তাই তখন ফোন করে বলেছিলাম সারপ্রাইজটা পেয়েছ কিনা। কিন্তু সেটা যে এমন করে মিলে যাবে আমি জানব কী করে!’
একটা ভালো লাগা টের পায়, ফয়সাল ঠিক ওর ওভেনের ব্যাপারটা খেয়াল করেছে, মায়মুনা এবার হেসে বলে, ‘তোমার ফোন আসার কিছুক্ষণ আগেই চিঠিটা এসেছিল। আর তুমিও তখন ফোন করেই সারপ্রাইজ এর কথা জিজ্ঞেস করলে। আমার মাথায় আর কিছুই তখন আসছিল না।’
ফয়সাল মাথা নাড়ে, তারপর মুখে কৃত্রিম দুঃখ ভাব ফুটিয়ে তুলে বলে, ‘কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন, তুমি বিশ্বাস করলে কী করে যে আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাব?’
মায়মুনা মনে মনে এবার ভীষণ লজ্জা পায়, আসলেই তো। ও কী কখনো ভাবতে পারে ফয়সালকে ছাড়া। ইশ, খুব খারাপ লাগছে এখন। ও কিছু বলে না, সংকুচিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফয়সাল বুঝতে পেরে কাছে এসে মায়মুনাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘আমার ময়না পাখি লজ্জা পেয়েছে।’
মায়মুনা কিছু বলে না, শুধু ফয়সালের বুকের আরো ভেতরে ঢুকে যেতে থাকে।
সেদিন রাতে যখন ঘুমোতে যায়, তখন মায়মুনা ফয়সালের হাতের উপর শুয়ে আফসোসের সুরে বলে, ‘ভাঙনের চিঠিগুলো যদি এভাবেই ভুল ঠিকানায় হারিয়ে যেত, খুব ভালো হতো।’
ফয়সাল মায়মুনার চুলের ঘ্রাণ নিতে নিতে বলে, ‘হ্যাঁ, তা হতো। কিন্তু চিঠিটা তার আসল প্রাপকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’
মায়মুনা ওর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘থাক না আমার কাছেই, চিঠিটা পেলেই তো মেয়েটার মন খারাপ হবে।’
ফয়সাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘কিন্তু একসময় তো ওরা বুঝতে পারবে, তখন চিঠিটা আবার পাঠাবে। হয়ত কিছু সময় দেরি হবে কিন্তু চিঠিটা পাবেই।’
মায়মুনা আনমনে বলে, ‘তাতে অন্তত আরো কিছুদিন এই ভাঙনটা ঠেকিয়ে রাখা যাবে।’
ফয়সাল এবার গভীর মায়ায় মায়মুনাকে কাছে টানে, নরম গলায় বলে, ‘তোমার খুব কষ্ট হছে, তাই না?’
মায়মুনা কিছু বলে না, চুপ করে থাকে। হঠাৎ কী একটা মনে হতে ও উঠে বসে, তারপর অনিশ্চিত গলায় বলে, ‘ফয়সাল, আজ আমি যেমন চিঠিটা পুরোটা না পড়েই ভুল বুঝেছিলাম তোমাকে, ওরাও কোনো ভুলের মাঝে নাই তো?’
ফয়সাল এবার উঠে বসে, বলে, ‘মানে?’
মায়মুনা ঠোঁট কামড়ে বলে, ‘হয়ত এই ডিভোর্স নোটিশের মায়মুনা মেয়েটা অথবা তওসিফ ছেলেটা কোনো ভ্রমের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে এই ভাঙন।’
ফয়সাল মায়মুনার পিঠে হাত রেখে বলে, ‘তাই হয়তো হবে, দোয়া করি ভুলটা যেনো তাড়াতাড়ি ভাঙে।’
মায়মুনা কিছু একটা ভাবে, তারপর শান্ত গলায় বলে, ‘আমি ওদের সাথে দেখা করব, ওদের আমি বোঝাব। যদি সম্পর্কটা জুড়ে দিতে পারি!’
শেষ লাইনটায় একটা আকুলতা টের পায় ফয়সাল, বুঝতে পারে ও আসলে নিতে পারছে না, বিশেষ করে একই নাম হওয়াতে ব্যাপারটা ওকে বেশ ভালোই নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। ফয়সাল মাথা নেড়ে বলে, ‘আচ্ছা, সেটা কাল দেখা যাবে। আজ ঘুমাও তো।’
সে রাতে মায়মুনার ঘুম হয় না, বারবার ভাবতে থাকে ওর নামেরই আরেকজন পাশের বাড়িটাতেই আছে, যে এখনো তার জীবনের এই সর্বনাশা ভাঙনের খবরটা পায়নি। মায়মুনা ভাবে যে করেই হোক এই সম্পর্কটা আবার জুড়ে দিতে হবে।
(চলবে……………..
#গল্প
#একটি ডিভোর্স লেটার পর্ব ১
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর