#স্যার i love you
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
#পর্ব_১০
_______
শ্রাবন– এই যে এতক্ষণ আমার জন্য তোমরা ওয়েট করেছো! আমার আসতে অনেকটাই লেইট হয়েছে তোমরা ওয়েট করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছো সেজন্য আ’ম সরি!
মুন্নী– ওও ব্যাপার না! ইট’স ওকে!
রুবেল নাঈম মুন্নী মিম কথা বলছে শ্রাবনের সাথে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করছে আর শ্রাবন ও উত্তর দিচ্ছে পাশাপাশি নিজেও ওদের প্রশ্ন করছে ওরাও উত্তর দিচ্ছে শুধু মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে আব্রু!
আব্রু– ইসস আজ যদি ইতিকে নিয়ে আসতাম তাহলে হয়তো আমাকে এত লজ্জায় পরতে হতো না! আর দেখো তো ওদের। দেখে মনে হচ্ছে ওদের দুলাভাই সামনে বসে আছে আর ওরা তার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছে। আরে এখন তো শুধু বয়ফ্রেন্ড, তাই এতদূর বিয়ে হলে তো ওর সামনে আমাকে পাত্তাই দিবি না তোরা আর এখনই বা কোই দিতাছোস। এই রকম বন্ধু বান্ধব থাকলে শত্রুর কি প্রয়োজন? ( আব্রু ওদের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে মনে মনে কথা গুলো বললো)
শ্রাবন– ম্যাডাম! আপনি কি কিছু বলবেন নাকি চুপ করেই থাকবেন? আপনার জন্য কি কিছু নিয়ে আসবো ম্যাডাম?
আব্রু দাঁতে দাঁত চেপে শ্রাবনের দিকে তাকালো! মাথা নাড়িয়ে না বোধক উত্তর দিলো।
শ্রাবন– তোমাদের মুড অফ কেনো সবার? কি হয়েছে কোনো সমস্যা নাকি এখানে বসে থেকে বোরিং হচ্ছো?
মিম– আসলে বোরিং হচ্ছি না অন্য কারণ।
শ্রাবন– অন্য কি কারণ? আমাকে বলা যাবে কি গেলে ফ্রেন্ড ভেবে বলতে পারো!
মুন্নী– ভাইয়া আসলে আমাদের আরেকটা ফ্রেন্ড আছে আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড! আর আমাদের দলের লিডার বলতে পারেন। ও আসতে পারেনি তাই আমাদের মন খারাপ।
শ্রাবন– কেনো আসতে পারেনি? ওকে তোমরা কেউ বলোনি আসতে?
রুবেল– ওটা আপনার গার্লফ্রেন্ড কে জিজ্ঞেস করুন কেনো আসতে পারেনি! (রাগে লাল হয়ে গেছে রুবেল)
শ্রাবন– বুঝলাম না! আব্রু আজব তুমি চুপ করে আছো কেন? তুমি কি আমার আসাতে খুশি হওনি না-কি চলে যাবো কোনটা?
আব্রু– নাহহহ তেমন কিছু নয়। কোথায় যাবেন কোথাও যাবেন না! আসলে ইতির জন্য আমাদের সবার মন খারাপ তাই আর কি চুপ করে আছি তাছাড়া আমরা সবাই তো আপনার জন্যই আসছি!
শ্রাবন– ইতি কে?
মিম– আমাদের বেস্ট ফ্রেন্ড যার কথা বললাম এতক্ষণ ওর নাম!
শ্রাবন– ওও, তাহলে তার না আসার কারণ কি?
নাঈম– কারণ হচ্ছে আপনার গার্লফ্রেন্ড শর্ত রেখেছিল ইতি যদি ওর স্যারকে নিয়ে আসতে পারে তাহলেই আমাদের জয়েন্ট করতে পারবে আর যদি না পারে তাহলে পারবে না। আর ইতি ওর স্যারকে রাজি করাতে পারেনি তাই আসতেও পারেনি!
শ্রাবন– স্যারকে রাজি করাবে বা পারেনি মানে?
মিম– উফফ!
মুন্নী রুবেল নাঈম সব শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শ্রাবনকে বললো! শ্রাবন আব্রুর শর্তের কথাটা শুনে একটু রেগে গেলো আর রাগী চোখেই তাকালো আব্রুর দিকে।
আব্রু– আমি তো ভালোর জন্যই বলে ছিলাম। আমি কি জানতাম ও স্যারকে রাজি করাতে পারবে না আআআ। (আর কিছু বলার আগেই আব্রুর চোখ সামনের দিকে তাকিয়ে আটকে গেলো)
আব্রুকে ওইভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে শ্রাবন তাকালো!
শ্রাবন– মাশাআল্লাহ কাঁপল টা সেই খুব সুন্দর মানিয়েছে!
মিম, মুন্নী– কোন কাঁপল? (পিছনে ঘুরে ওদের ও চোখ কপালে)
রুবেল নাঈম– কাদের দেখে তোরা সব হা হয়ে গেছিস?
শ্রাবন– ওই কাঁপল’রা তো আমাদের টেবিলের দিকেই আসছে!
আব্রু– ওরা কাঁপল নয়!
শ্রাবন– মানে? সেইম ড্রেস পরেছে এক সাথে আসছে আর কাঁপল নয়?
মিম– সেটা তো আমরাও দেখছি মেচিং মেচিং কেমনে কি?
মুন্নী– ওই-ই হচ্ছে আমার ইতি আর ওর সাথে ওর স্যার!
শ্রাবন– ওওও।
ইতি– নাইচ টু মিট ইউ অল!
অল– নাইচ টু মিট ইউ টু।
ইতি সবার সাথে স্যারের পরিচয় করিয়ে দিলো। আর আব্রু সবার সাথে শ্রাবনের পরিচয় করিয়ে দিলো।
ওয়েটার এসে অর্ডার লিখে নিয়ে চলে গেলো!
সবাই সবার মতো গল্প করছে!
মুন্নী– কিরে তুই আসবি কল দিয়ে বলিস নি কেনো?
মিম– আমরা তো ভাবছিলাম আসবি না তাই আরও মুড অফ করে রেখেছিলাম।
ইতি– এতটাই এক্সাইটেড ছিলাম ভুলে গেছি তোদের ইনফর্ম করতে সরি।
আব্রু রুবেল নাঈম– হয় হয়। (বলেই সব হাসা শুরু করলো)
স্যার– কি হয়? সব আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে একটু বোঝাবে।
ইতি– ঘোড়ার ডিম হয়।
আব্রু– বাই দ্যা ওয়ে তোকে আর স্যারকে বেশ সুন্দর লাগছে। পুরাই কাঁপলের দের মতো মেচিং করে দু’জনেই পরেছিস। আরও সুন্দর লাগছে!
“ উফফ কি লজ্জায় পরে গেলাম। কি ভাবছে ওরা কেনো যে এই শার্ট টাই পরতে গেলাম বিরক্ত লাগছে। ”(মনে মনে বল স্যার)
সবগুলা একসাথে আবারও বলল- তা যা বলেছিস আমরা সবাই ফাস্টে দেখে তো চরম অবাক হয়েছিলাম!
ইতি– এটা জাস্ট একটা Coincidence আর কিছু না!তোরা ভুল আর একটু বেশি বেশি ভাবছিস!
আব্রু– What a coincidence!
মুন্নী– সব সময় তোর সাথেই coincidence হয়?
ইতি– চুপ করবি নাকি চলে যাবো!
মিম মুন্নী আব্রু– ওকে যা সরি আর বলবো না!
ইতি– ভাইয়া আপনি যে একা একা আসছেন আপনার ভয় করেনি? আমরা এত গুলো মেয়ে ছেলে মিলে যদি আপনাকে কিছু করি বা বেঁধে গনধোলাই দেই তখন? আসার আগে একটু ও কি ভেবে দেখেন নাই?
সবাই অবাক হয়ে ইতির দিকে তাকিয়ে আছে সাথে স্যারও তাকিয়ে আছে। শ্রাবন তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল, “ বেঁধে রাখলে রাখো আর গণধোলাই দিতে চাইলে দাও সমস্যা নাই একটু ধোলাই না হয় খেলাম আমার আব্রুর জন্য। ”
মিম, মুন্নী– বাহ বাহ আমার আব্রু।
শ্রাবন– তোমরা কি সবাই ফ্রেন্ড নাকি? তখন যে বললো সবাই সবার বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আসতে হবে তাই জিজ্ঞেস করছি!
মুন্নী– আমাদের দুইটা পরিচয় এক আমরা সবাই ফ্রেন্ড আর আমাদের আরেক পরিচয় হচ্ছে রুবেল আমার বয়ফ্রেন্ড।
মিম নাঈমের হাত টান দিয়ে ধরে বলল, ‘আর নাঈম হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড + বেস্ট ফ্রেন্ড! ’
শ্রাবন আব্রুর হাত টেবিলের উপর রাখা ছিলো শ্রাবন আব্রুর হাতের উপর হাত রেখে বলল,
“ আর এ হচ্ছে আমার ম্যাডাম! আর আমি উনার ওয়েটার। ”
সবাই শ্রাবনের কথা শুনে খিল খিল করে হেসে দিলো!
আব্রু বেচারী একটু লজ্জা পেলো। আর আমাদের গোমড়া মুখো স্যার চুপ করে বসে বসে দেখছে।
স্যার– আমি একটু পানি খাই গলাটা শুকিয়ে গেছে!
গ্লাস টা হাতে নিয়ে সবে মাত্র চুমুক দিয়েছে তখনই সামনে থেকে শ্রাবন বলে উঠল,
“ শাওন স্যার আপনি আর ইতি তো বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড তাই না? ”
স্যার পানি খাবে কি উল্টো স্যারের মুখ থেকে পানি বেরিয়ে আসলো। অস্ফুটস্বরে বলে উঠল,
স্যার– কিহহহ! ইতি শুধু আমার স্টুডেন্ট।
ইতি– ইচ্ছে করছে এখন এই গ্লাস টা দিয়ে মাথাটা ফাটিয়ে দিই। অসভ্য বয়ফ্রেন্ড বললে কি এমন হতো? আজিব না আমার স্টুডেন্ট বলতে হবে কেন শয়তান লোক হুহহ? মনে মনে বলে মুখ ভেংচি দিলো দিয়ে বলল,
ইতি– উনি শুধু আমার স্যার।
সবাই খাচ্ছে খাওয়ার মাঝখানে মিম নাঈমেকে খাইয়ে দিচ্ছে নাঈম মিমকে। মুন্নী রুবেলকে খাইয়ে দিচ্ছে আর রুবেল মুন্নীকে শ্রাবন আব্রুকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আব্রু শ্রাবনকে।
স্যার মাথা নিচের দিকে করে রাখছে আর একটু একটু খাচ্ছেন লজ্জা পাচ্ছে স্যার।
ইতি– আমাকেও যদি কেউ একটু খাইয়ে দিতো। যাইহোক আমিই দেই স্যার হা করেন!
স্যার– না না ঠিক আছে, আমি খাচ্ছি তোমার টা তুমি খাও।
ইতি– আব্বে হালা ফাজিল আনরোমান্টিক! (মনে মনে)
ইতি স্যারের কানে কানে ফিসফিস করে বললো,
“ স্যার আপনি যদি এখন না খান আমার মান সম্মান থাকবো না প্লিজ!! একটু একটু ”
স্যার- একটা ছেলেকে খাইয়ে দিলে সম্মান থাকবো আর না দিলে থাকবো না বাহ কত সুন্দর কথা!
ইতি– হো৷ হইছে এখন বেশি বেশি বলতেছেন বেশি কথা না বলে একটু খান!
এত জনের মধ্যে জবরদস্তি করা ঠিক হবে না তাই স্যারও খেয়ে নিলো। ইতি আশা করেছিলো স্যার অন্তত ওকে একটু খাইয়ে দিবে কিন্তু না স্যার তো ওর দিকে তাকালোই না। ইতির রাগ হলেও চুপচাপ খেতে শুরু করে!
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পরলো!
(১ মিনিট রেস্টুরেন্টের বিল কে প্রে করছে? যেই করুক একজন করলেই হইলো আমার কি আমি লিখতে থাকি)
চারটা গাড়ি একসাথে চলছে তো চলছেই! তো হঠাৎ গাড়ি থামলো একটা জায়গার সামনে।
জায়গাটা আমিও চিনি না তাই একটু দেখে নেই কোন জায়গায় গাড়ি থামলো।
শ্রাবনের গাড়ি প্রথমে ছিল তার পর নাঈমের তারপর ইতির শেষে ছিলো রুবেলের।
শ্রাবন রুবেল নাঈম ড্রাইবিং সিটে বসে ড্রাইব করছিলো আর ফ্রন্ট সিটে বসে ছিলো আব্রু মিম মুন্নী তিন জনের গাড়িতে আবার একজনের ভাববেন না। (আমি একসাথে বলেছি)
আমাদের ইতি আর স্যার গাড়ির পেছনের সিটে বসে আছেন দুজনের মাঝখানে বেশ দূরত্ব।
সামনে ড্রাইবিং সিটে ড্রাইবার আঙ্কেল ড্রাইব করছিল।
আমাদের ইতি ড্রাইব করতে জানে তবুও ইতির বাবা মেয়েকে নিয়ে রিস্ক নিতে চায় না। যদি মেয়ে কার ড্রাইব করতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে ফেলে সেই ভয়ে ড্রাইবারের দায়িত্ব ইতির যেনো কোনো ক্ষতি না হয় আর উনি থাকতে ইতি যেনো ড্রাইব না করে। এ দায়িত্ব ইতির বাবাই দিয়েছেন তাকে!
শ্রাবনের গাড়ি ব্রেক করার ফলে একে একে সব গাড়ি থেমে গেলো। সবাই গাড়িতেই বসে আছে শ্রাবন গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে বললো নামতে তারপর সবাই নামলো!
মিম– আমরা গ্রামের রাস্তায় কেনো আসলাম?
আব্রু– আমাদের তো পার্কে যাওয়ার কথা ছিল!
মুন্নী– আর আসছিই যখন এখানে গাড়ি ব্রেক করলেন কেনো?
স্যার রুবেল নাঈম চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে! চারজন মেয়ে হাফ পাগল করে দিচ্ছে শ্রাবনকে প্রশ্ন করতে করতে। স্যার রুবেল নাঈম অন্য দিকে ঘুরে মৃদু হাসছেন।
শ্রাবন– খালাম্মারা আপনারা একটু চুপ করবেন আল্লাহ রসতে। (হাত জড় করে বলল শ্রাবন)
মিম– কিহহহ কে খালাম্মা!
ইতি– আপনার কি আমাদের দেখে খালাম্মা মনে হচ্ছে নাকি?
মুন্নী– আপনার সাহস তো কম না আমাদের খালাম্মা বলছেন। নেহাত আমাদের ইতি ভালো হয়েগেছে সাথে আমরাও আর নয়তো আজ আপনাকে গণধোলাই খাওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারতো না।
শ্রাবন অবাক এইগুলো কি মেয়ে নাকি মাফিয়া কি থ্রেট দিচ্ছে বাইরি।
আব্রু– চুপ কর তোরা! (ধমক দিয়ে) শ্রাবন আমরা এখানে কেনো আসছি বলো তো?
শ্রাবন– বলছি বলছি! মেয়েরা ঝগড়াটে হয় জনতাম সাথে এত ডেঞ্জারাস হয় জনতাম না।
ইতি– কি বললেন?
শ্রাবন– কোই কিছু না তো আপু! আমি তোমাদের সবাইকে গ্রামের দিকে নিয়ে আসছি কারণ হচ্ছে আমরা এখন এই গ্রাম যতটা পারি ঘুরে দেখবো। আমরা সবাই শহরে থাকি তাই শহরের আনাচে কোনাচে সবটাই আমরা জানি তাই ভাবলাম আজ না হয় হাতে হাত রেখে পায়ে পা মিলিয়ে গ্রাম ঘুরবো বেশ ভালো হবে!
“ বাহ বেশ রোমান্টিক তো আব্রুর কপাল ভালো। ”মুন্নীর কানে কানে ফিসফিসিয়ে বললো মিম।
মুন্নী– একটু আগেও না কি কি জেনো বলতে ছিলি!
মিম– ওই আর কি?
ইতি– হুম আইডিয়া টা বেশ ভালো আমার পছন্দ হয়েছে।
রুবেল নাঈম মুন্নী মিম আব্রু– আমাদেরও পছন্দ হয়েছে!
আমাদের হাবাগোবা স্যার চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছে!
শ্রাবন– তাহলে চলো হাঁটা শুরু করি।
(বলেই আব্রুর এক হাত নিজের এক হাতের মধ্যে মুঠি বন্ধ করে হাঁটা শুরু করলো)
ওদের দেখা দেখি মুন্নী রুবেলের হাত ধরে নিজের হাতের মধ্যে মুঠি বন্ধ করে নিলো! রুবেল অনেকটা অবাক হলো দুইবছরের রিলেশন আজ প্রথম নিজের ইচ্ছে করে রুবেলের হাত ধরলো! বাকি সময় তো শুধু রুবেল ই ধরতো। আর আজ উল্টা হলো! দুজনেই দুজনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
ওদের দেখে আমাদের নাঈম বাবাজি ও মিমের হাত ধরে ফেললো। মিম তাকিয়ে দেখে নাঈম ওর হাত শক্ত করে ধরেছে! সেটা দেখে মিমও নাঈম এর চোখের দিকে তাকিয়ে দিলো এক চোখ টিপ। নাঈম ভেবাচেকা খেয়ে গেলো এত বদল।
বাহহ শ্রাবন আসায় ভালোই হইছে মনে মনে বলে ওরা দু’জন ও হাঁটা শুরু করলো!
ইতি বাচ্চা বাচ্চা মুখ করে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছে স্যার লক্ষ্য করেও পাত্তা না দিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
ইতি মুখ ভাড় করে স্যারের পাশাপাশি হাঁটছে অনেক ইচ্ছে করছে ইতির স্যারের হাত ধরার কিন্তু আহাম্মক টা বুঝেই না।
চলবে?
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]