#স্যার I Love You
পর্ব ২০
#শারমিন_আক্তার_বর্ষা
________________
বাড়িতে এসেই দৌড়ে উপরে চলে আসলাম। রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম। চিৎকার করে কাঁদছি।
আব্বু আম্মু আমাকে পেছন থেকে অনেক ডেকে ছিলো সারা না পেয়ে পেছন পেছন উপরে চলে আসে সাথে ড্রাইবার আঙ্কেল ও উনার পেটের মধ্যে কোনো কথাই থাকে না এবারও এসে সব বলে দেয়। আমি কাঁদছি কিন্তু কেনো সেটা অজানা।
আব্বু অনেকবার দরজা ধাক্কাচ্ছে খুলছে না। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ফেলে ভেতরে চলে আসে।
আমি রুমের এক কোনায় বসে দুই হাঁটুর মাঝে পা গুজে কাঁদতেছি। আম্মু আব্বু দৌঁড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে।
চোখের পানি মুছে দিচ্ছে আর বার বার জিজ্ঞেস করছে।
আব্বু আম্মু ছোট ইতির কথা সব জানে আমি বলেছি।
আমি কেঁদেই যাচ্ছি।
আব্বু আম্মু- কি হয়েছে মামনি বল।
আমি- আ.ব্বু!
আব্বু- আমার সোনা মা কাঁদিস না মা প্লিজ বল কি হয়েছে।
আম্মু- কেনো কাঁদছিস এভাবে?
আমি- আম্মু ওই ছোট্ট ইতি।
আব্বু- ইতি কি মামনি?
আমি- আমি আজকে ওর বা’বাবাকে দেখেছি!
আব্বু- তাতে এভাবে কান্না করার কি আছে?
আম্মু- ওর বাবা তোকে কিছু বলেছে বলে কাঁদছিস?
আমি মাথা নাড়িয়ে নাবোধক ইশারা করলাম।
আব্বু- তাহলে বল প্লিজ কি হয়েছে কে কি বলেছে আমার মেয়েকে বল।
আমি- আব্বু আমি যাকে তন্নতন্ন করে খুঁজছিলাম এই ছয় বছরে তাকে আমি পেয়ে গেছি আর সে ওই ছোট ইতির বাবা।
আব্বু- মানে?
আম্মু- কি বললি?
আমি- আব্বু আম্মু ইতির বাবা আর কেউ নয় আমার স্যার।
আর স্যারের পাঁচ বছরের মেয়েও আছে।
কাঁদতে কাঁদতে আব্বু কে জরিয়ে ধরলাম। আজ আবার সেই ছয় বছর আগের পরিস্থিতিতে চলে আসলাম।
আম্মু- তুই আর বাচ্চা মেয়েটার সাথে দেখা করিস না।
অনেক রাতে আব্বু কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পরি।
আব্বি আম্মু আজ আমার পাশেই বসে থাকে সারারাত।
রাতে ঘুমের মধ্যে অনেকবার কাঁদতে কাঁদতে গুঙিয়ে উঠি।
আমি স্যারের বাড়ি থেকে চলে আসার পর ছোট ইতি কাঁদতে কাঁদতে রুমে চলে যায় স্যার অনেক বার বুঝানোর চেষ্টা করে জন্মদিনের গেস্ট আসছে কেক কাটতে নিচে চলার জন্য কিন্তু ইতি বেবি কোনো ভাবেই রাজি হয়নি এক কথা আমার মিতা না আসলে আমি কেক কাটবো না। কোনো উপায় না পেশে স্যার ও পার্টি ক্যানসেল করে দেয়।
পরেরদিন সকাল থেকে আমি আগের রুটিনে চলা শুরু করে দেই।
আজ আর ছোট ইতির স্কুলেও যাই না সে অনেকবার কল দিয়েছিলো কিন্তু আমি রিসিভ করিনি।
বাচ্চা মেয়ে কি বলতো তার ঠিক নেই কল রিসিভ করলেই হাজারটা প্রশ্ন করবে যার উত্তর আমি দিতে পারবো না।
দুইদিন আর স্কুলের সামনে যাইনি।
ওইদিকে ছোটো ইতি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিছে। কান্না করছে জিদ ধরেছে সে তার মিতার সাথে দেখা করবে কেনো তার মিতা তার সাথে দেখা করতে আসছে না। তাকে যদি তার মিতার কাছে নিয়ে না যায় তাহলে সে আর কখনোই খাবে না।
আন্টি- শাওন বাবা ওকে নিয়ে যা ডাক্তার ইতির হাসপাতালের নাম আমি জানি তুই ওকে একটি বার নিয়ে দেখা করে আয়।
শাওন- কিন্তু মা আমি?
আন্টি- শাওন আমি কোনো কথা শুনতে চাই না তুই যাবি বাস।
শাওন- ঠিক আছে এড্রেস বলো।
আন্টি এড্রেস দিলে শাওন ছোট ইতিকে নিয়ে বেরিয়ে পরে।
আন্টি- তুই কেনো যেতে চাচ্ছিস না সেটা আমি জানি। আর ওইদিন ইতি কেনো কেঁদে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলো সেটা তখন না বুঝলেও আজ সকালে তোর মানিব্যাগে ওর ছবি দেখে বুঝেছি এতদিন শুধু ওই মেয়েটার নাম জানতাম তুই ওকে কত ভালোবাসিস সেটা আমাকে বলেছিস ওকে ছাড়া কখনো কাউকে বিয়ে করবি না সেটাও বলেছিলি কিন্তু ওর ছবি কখনো দেখাসনি আজ আমি নিজেই দেখেছি। ওর সাথে দ্বিতীয় দিন দেখা হয় স্কুলে আর তখন ওর নাম টা শুনে আমার মনে কেমন জেনো সন্দেহ হয় তোকে জিজ্ঞেস করিনি জানতাম তুই কিছু বলবি না। তাইতো আজ যখন তুই শাওয়ার নিতে ঢুকেছিলি তখন তোর মানিব্যাগ সার্চ করি আর মানিব্যাগেই লুকানো ছিলো ছোট্ট একটা ছবি আর সে ছবিটা ইতির ছিলো তখনই আমি সবটা বুঝতে পারি আর ওই মেয়ের নাম আমি কখনো ভুলিনি কারণ ওই মেয়ের নামেই যে তুই আমার দিদি ভাইয়ের নামকরণ করেছিলি সে নাম কি করে ভুলে যেতাম। আমার দিদি ভাইয়ের জন্য তোদের দু’জনের ভালোবাসা কখনোই অপূর্ণ আমি হতে দিবো না তোদের মিল আমি করাবোই। আমাকে ইতির সাথে কথা বলতেই হবে।
এই মাত্র একটা সার্জারী করে আমার চেম্বারে ঢুকতে যাবো। পেছন থেকে নাহিদা বলে উঠল,
নাহিদা- ম্যাম আপনার সাথে একজন দেখা করতে আসছে খুব জরুরি।
আমি- আচ্ছা আমার চেম্বারে পাঠিয়ে দাও!
নাহিদা- আচ্ছা ম্যাম।
চেম্বারে এসে বসতে যাবো এমন সময় কেউ পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো পুরো জেনো থমকে গেলাম।
ছোট্ট ছোট্ট দুটি হাত ওর স্পর্শ চিনতে আমার একটু সময় লাগেনি।
ওর হাতের উপর আমার হাত রাখলাম।
আমি- ইতি!
পেছনে ঘুরে ওর সামনে বসলাম। ওর গুলুমুলু গালে হাত রাখলাম ওকে জরিয়ে ধরলাম ওর গালে কপালে চুমু দিলাম।
ছোট ইতি- মিতা তুমি আমার উপর রাগ করেছো?
আমি- কোই না তো সোনা আমি কি তোমার সাথে রাগ করতে পারি হুম বলো?
ছোট ইতি- তাহলে তুমি আমার সাথে দেখা করতে যেতে না কেনো? তুমি জানো আমি তোমার জন্য কত অপেক্ষা করেছি এতগুলো মিস করছি তোমাকে?
আমি- আমিও তোমাকে অনেক মিস করছি সোনা কিন্তু আমি এদিকে ব্যস্ত ছিলাম তাই যেতে পারিনি সরি।
ছোট ইতি- ইট’স ওকে। তুমি যাওনি তো কি হইছে দেখো আমি চলে আসছি।
আমি- হুম তুমি তুমি এখানে কিভাবে আসছো? কে আসছে তোমার সাথে?
ছোট ইতি- আব্বু নিয়ে আসছে আমাকে?
আমি- আব্বু?
ছোট্ট ইতি- ওই তো আব্বু দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
ওর কথা শুনে দরজার দিকে তাকালাম স্যার দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
স্যারকে দেখে উঠে দাঁড়ালাম কিন্তু কোনো কথা বলিনি।
আমি ইতিকে নিয়ে আমার চেয়ারে বসলাম স্যারও আমার সামনের চেয়ারে বসলেন।
আমি স্যারের সাথে কোনো কথা বলছি না স্যারও বলছে না শুধু তাকিয়ে দেখছে।
আমি শুধু ইতির সাথেই গল্প করছি।
নাহিদা- আসবো ম্যাম?
আমি- হুম আসো?
নাহিদা- ম্যাম আপনাদের কারো জন্য কিছু আনবো?
আমি- হট কফি আর উনাকে জিজ্ঞেস করো উনি কি নিবেন।
নাহিদা- স্যার আপনার জন্য কি আনবো?
স্যার- হট কফি।
আমি- ইতি তুমি কি খাবা?
ছোট্ট ইতি- আইসক্রিম।
আমি- তোমার না ঠান্ডা লাগছে আইসক্রিম খাওয়া যাবে না চকলেট খাবা?
ছোট্ট ইতি- হু খাবো তো!
আমি- নাহিদা ইতির জন্য চকলেট নিয়ে এসো এখন যাও!
ছোট্ট ইতি- মিতা তুমি জানলে কিভাবে আমার যে ঠান্ডা লেগেছে আমি তো তোমাকে বলিওনি তাহলে?
আমি- কারণ আমি ডাক্তার তাই তোমাকে দেখেই বুঝে গেছি।
ছোট্ট ইতি- ডাক্তাররা বুঝি দেখলেই সব বুঝে যায়।
আমি- হুম বুঝে যায় তো যেমন আমি বুঝে গেছি।
কিছুক্ষণ পর নাহিদা কফি এনে দিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর ছোট ইতি- চলো না মিতা আমরা বাহিরে যাই।
আমি- কিন্তু আমার পেসেন্ট চলে আসবে ৩টা থেকে আমার থাকতে হবে।
স্যার- তিনটা এখনো বাজেনি তিনটা বাজতে এখনও এক ঘন্টা বাকি!
ছোট ইতি- চলো না প্লিজ চলো।
আমি- আচ্ছা চলো।
বলেই পিচ্চিটার হাত ধরে বাহিরে চলে এলাম।
স্যার ড্রাইবিং সিটে বসেছেন।
ইতি- মিতা তুমি আমার সাথে সামনে বসবে আমি তোমার কোলে বসবো।
আমি- কিন্তু?
ছোট্ট ইতি আমার আর কিছু বলতেই দিলো না হাত ধরে টেনে ফ্রন্ট সিটে বসিয়ে দিলো আর ও কোলে বসলো। কেমন জেনো আনইজি ফিল হচ্ছে।
এই প্রথম স্যারের পাশে বসছি না কিন্তু আজ এমন কেনো লাগছে তা নিজেও জানি না। কিছুক্ষণ পর রাস্তার পাশে গাড়ি থামে।
ছোট্ট ইতি মাঝখানে ওপাশে স্যার এপাশে আমি।
আজ আমার সেই ছয় বছর আগে স্যারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে পরছে। স্যারের হাত ধরতে চাওয়া স্যারের তাতে রাগ করা কৃষক কে মারা তারপর দৌড়ে পালানো। ভাবতে ভাবতে হেঁসে দিলাম।
ছোট্ট ইতি- মিতা তুমি হাসছো কেনো?
আমি- ওই কিছু না। কিছু পুরানো কথা মনে পরে গেলো তাই।
নীরবতা পালন করছি! ছোট্ট ইতি বেলুন নিয়ে খেলতে খেলতে একটু দুরে চলে গেছে।
স্যার- কিছু বলছো না কেনো ইতি?
আমি- আমাকে বলছেন?
স্যার- হুম!
আমি- ও বলার মতো কিছু নেই তাই বলছি না।
স্যার- সত্যিই নেই?
আমি- উমম আছে কিন্তু বলতে চাই না।
স্যার- বিয়ে করো নি কেনো এখনো?
আমি- আপনাকে খুঁজে পাইনি তাই।
স্যার- কেনো?
আমি- কেনো কেনো? আপনি জিজ্ঞেস করছেন কেনো? আপনি জানেন না কেনো?
ছয় বছর আগে হঠাৎ না বলে চলে গিয়ে ছিলেন আর ফিরে আসেননি এমন কি কোথায় যাচ্ছেন কেনো যাচ্ছেন কোনো কিচ্ছু বলে যান নি। এমন কোনো জায়গা বাকি রাখিনি আপনাকে খোঁজা লর সব জায়গাতে খুঁজেছি কোথাও পাইনি। কেনো পালিয়ে গিয়েছিলেন আজ পর্যন্ত আপনার অপেক্ষায় পহর গুনছিলাম আর ছয় বছর পর এলেন তো সাথে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে। আপনি তো বলেছিলেন আমকে ভালোবাসেন তাহলে পারলেন কি করে অন্য কাউকে বিয়ে করতে আমি তো পারিনি আপনার জায়গায় অন্য কাউকে চিন্তা করতে আপনি কিভাবে পারলেন। কেনো চলে গিয়েছিলেন এত কষ্ট দিয়ে কি পেয়েছেন আপনি শান্তি পেয়েছেন আপনি?
স্যার- কষ্ট কি শুধু তুমিই পেয়েছো আমি পাইনি?
আমি- আপনি আর কষ্ট কেনো কি জন্য পেয়েছেন? বলেই স্যারকে ধাক্কা দিয়ে একটু দূরে সরিয়ে দিলাম হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে স্যারের সামনে থেকে চলে আসছি। আর এক মিনিটও উনার সামনে দাঁড়াতে চাই না একটা ট্যাক্সি করে বাড়ির উদ্দেশ্য চলে আসলাম আজ আর হাসপাতাল যাবো না কল করে নাহিদাকে জানিয়ে দেই।
স্যার- আমিও যে আজও শুধু তোমাকেই ভালোবাসি ইতি কিন্তু তোমাকে আমি আমার করতে পারবো না। আমার মেয়ে যে আমার দায়িত্ব আমি আজও শুধু তোমারই আছি ইতি আর শুধু তোমারই থাকবো। আমার মনের রাজ্যে শুধু তোমারই বসবাস।
তুমি তোমার ভালোবাসা কষ্ট প্রকাশ করতে পারো কাঁদতে পারো কিন্তু আমি তো সেটাও করতে পারি না। কারণ আমি যে ছেলে এই শহরে ছেলেদের কষ্ট শুধু তাদের মনের মধ্যেই দাফন করে রাখতে হয়। ছেলেদের যে কাঁদতে নেই। আমি শুধুই তোমার ইতি তোমাকে হয়তো আর কখনো বলা হবে না।
পেছনে দাঁড়িয়ে ছোট্ট ইতি সব শুনেছে তা খেয়াল করেনি শাওন।
বাড়ি এসে!
ছোট ইতি- দিদা ও দিদা!
আন্টি- আরে দিদিভাই এত খুশি কেনো আজ?
ছোট ইতি- আমি মিতার সাথে দেখা করেছি আর সাথে ঘুরতেও গিয়েছি অনেক মজা হয়েছে।
শাওন ওখান থেকে সোজা রুমে চলে আসে।
ইতি- দিদা এই ভালোবাসা কি? কেউ কাউকে ভালোবাসলে তাকে আপন করতে পারে না কেনো?
আন্টি- দিদিভাই তুমি এইসব কথা কোথায় শুনেছো?
ইতি- দিদা আজ যখন আনরা ঘুরতে গেছিলাম তখন মিতা কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় আর মিতাকে যেতে দেখে আমিও সামনে এগিয়ে আসি আর আব্বুকে নিজে নিজে বলতে শুনি।
আন্টি- কি শুনেছো কি বলেছে তোমার আব্বু?
তারপর ছোট্ট ইতি সব কথা যা যা শুনেছিলো সব বলে।
আন্টি- দিদিভাই তুমি যে তোমার মিতার জন্য কেদেছিলো দেখা করতে আসেনি বলে আর খাওয়া ও বন্ধ করে দিয়েছিলো কেনো জানো?
ছোট্ট ইতি- কেনো দিদা?
আন্টি- কারণ তুমি তোমার মিতাকে ভালোবাসো আর একেই বলে ভালাবাসা। আর তোমার আব্বু ও তোমার মিতাকে ভালোবাসে।
ছোট ইতি- ওওও এক আঙুল থুতনিতে দিয়ে।
আন্টি- আমাদের ওদের দুজনের ভালোবাসা মিল করানো উচিত।
ইতি- কিভাবে?
আন্টি- তুমি কি চাও তোমার মিতা সারাজীবনের জন্য তোমার কাছে থাকুক?
ইতি- হো চাই তো দিদা।
আন্টি- তাহলে তোমার মিতাকে তোমার আব্বুর সাথে বিয়ে দিতে হবে তাহলেই তোমার মিতা সারাজীবন তোমার কাছে থাকবে আর কোথাও যাবে না।
ইতি- তাইলে বিয়ে দিয়া দাও দিদা।
আন্টি- তোমার আব্বুর সাথে বিয়ে হইলে তোমার মিতা তোমার আম্মু হয়ে যাবে কিন্তু.?
ইতি- আম্মু?
আন্টি- তুমি তো এতদিন আম্মুর জন্য কান্না করেছো আজ তোমার প্রিয় মিতা তোমার আম্মু হয়ে এলে তোমাকে অনেক ভালোবাসবে আদর করবে একসাথে ঘুমাবে খাইয়ে দিবে।
ইতি- সত্যি দিদা তাহলে এনে দাও আমার মিতাকে আমার আম্মু বানিয়ে।
আন্টি- তার জন্য আমাদের একটা কাজ করতে হবে।
ইতি- কি দিদা।
আন্টি- কানে কানে শোনো।
তারপর কানাকানি হলো।
To Be Continued?
[কার্টেসী ছাড়া কপি করা নিষেধ]