কলমে: মিথিলা জামান নিভা – Methela Jaman Neva
তিনি আমার সৎ মা পর্ব ৮ (শেষ পর্ব)
নতুন গল্প
#সাঁঝবাতির_সাজবাড়ি
কলমে: মিথিলা জামান নিভা – Methela Jaman Neva
পর্ব:১ (হরর থ্রিলার)
আমার দাদার বাবা ছিলেন জমিদার। জমিদার মানে জমিদার। হুলুস্থুল পর্যায়ের জমিদার। শোনা যায়, তাঁর নাকি ইচ্ছা ছিলো এই বিস্তীর্ণ গ্রামের পুরোটাই কিনে নেওয়ার। কোনো জমির মালিক যদি তাঁর কাছে জমি বেচতে না চাইতো, তিনি নাকি জোরপূর্বক তার বউ বা মেয়েদের তাঁর বাড়িতে ধরে আনতেন তারপর রাতভর নির্যাতন চালানোর পর ভোরবেলা তাকে তার বাড়ি ফেলে আসতেন। লোকলজ্জার ভয়েই হোক আর যে কারণেই হোক সেই ভদ্রলোক পরদিন রাতের অন্ধকারেই পরিবার নিয়ে গ্রাম ছাড়তেন। তখন দাদার বাবার আর কোনো সমস্যাই হতো না তার জমি দখল করতে। আর এতো নামকরা মানুষের বিপরীতে মামলা মোকদ্দমা চালানোর মতো সাহস বা অর্থ কোনোটাই গ্রামের কারো ছিলো না। এরকম করে নাকি উনি প্রচুর সম্পদ বানিয়েছিলেন। শেষের দিকে নাকি কেউ ভয়ে উনার মুখের উপর না বলতে পারতো না, পাছে আবার তার মেয়ে বউকে তুলে নেয় যদি। কিন্তু ওইযে কথায় আছে, পাপের সম্পদ, সর্প হয়ে করে দংশন। দাদার বাবা মীর মতলেব খাঁ এর শেষ জীবন ছিলো অত্যন্ত বিভীষিকাময়। তাঁর ছিলো তিন ছেলে, মেয়ে ছিলো না। তিন ছেলের মধ্যে আমার দাদা ছিলেন বড়। তার তিন ছেলেই কমবয়সে বখে গেলো। জুয়া, মদ, নারী এমন কোনো নেশা নেই যা তারা করতো না। মীর মতলেব খাঁ মাত্র পঁয়ষট্টি বছর বয়সে কোনো এক অজানা কারণে পঙ্গু হয়ে যান। একদম বিছানায় পড়ে যান। শোনা যায়, তার শরীরে এমন দুর্গন্ধ হয়েছিলো কেউ তার কাছে যেতে পারতো না তার সেবা করার জন্য, এমনকি কোনো দাসীও পাওয়া যেতো না। ছেলের বউরা মানে আমার দাদী আর তার দুই জা শুধু খাবারটা দিয়ে আসতেন তার ঘরে আর মাঝে মাঝে তার বাথরুম পরিষ্কার করে দিতেন। এছাড়া কেউ তার কাছে যেতে পারতো না। শেষের দিকে নাকি অনেক রাতে উনি চিৎকার করে কাঁদতেন আর বলতেন,”আমারে ছাইড়ে দে রে তোরা, ছাইড়ে দে। আর মারিস নে আমারে, ছাইড়ে দে।”
দাদীরা ভয়ে সেদিকে যেতেন না। কে তাকে ধরছে, কে তাকে মারছে কিছুই দেখার সাহস ছিলো না তাদের।
………………………..
সম্পূর্ণ গল্পের লিঙ্ক