Skip to content

kobitor

সেরা গল্পের ওয়েবসাইট

Connect with Us

Social menu is not set. You need to create menu and assign it to Social Menu on Menu Settings.

Categories

  • Golpo
  • Kobita
  • love story link
  • More Than Love
  • Picture Status
  • sad golper link
  • Uncategorized
  • অতৃপ্ত আত্মা
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম বউ
  • অরোনী তোমার জন্য
  • আত্মা
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন ২
  • আমি পদ্মজা
  • আরশিযুগল প্রেম
  • ইট পাটকেল
  • ইসলামিক গল্প
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উপন্যাস
  • এক কাপ চা
  • এক প্রহর ভালোবাসা
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি
  • এক মুঠো রোদ
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একটি ডিভোর্স লেটার
  • একটি রাতের গল্প
  • ওহে প্রিয়
  • কাঞ্চাসোনা
  • কালো বউ
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • ক্যান্সার যুদ্ধ
  • ক্যামেলিয়া
  • খুন
  • ঘেউলের সংসার
  • চার আনার জীবন
  • চিঠি
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
  • চেম্বার কথন
  • জলনূপুর
  • জানা অজানা
  • জীবন যখন যেমন
  • জীবনি
  • জ্বিন রহস্য
  • টু ফাইভ এইট জিরো
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
  • ডিভোর্স
  • ডিভোর্স পেপার
  • তিনি আমার সৎ মা
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন
  • দাম্পত্য সুখ
  • দেহ
  • দ্বিতীয় পুরুষ
  • দ্যা ব্লাক বুক
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক
  • নবনী
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
  • নীল চিরকুট
  • নীলার শাশুড়ী
  • নয়নে লাগিল নেশা
  • পরগাছা
  • পরবাসী মেঘ
  • পাপ
  • পিশাচ দেবী
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুর রহস্য
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • প্রণয়ের আসক্তি
  • প্রতিশোধ
  • প্রাণি জগত
  • প্রিয়োসিনী
  • প্রেমাতাল
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প
  • ফিরতি উপহার
  • ফুলসজ্জা
  • ফ্রিজ
  • বজ্জাত বউ
  • বন্ধু
  • বিচ্ছেদ
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিয়ের চাপ
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স
  • বেপরোয়া ভালোবাসা
  • ভাড়াটিয়া
  • ভাবির সংসার
  • ভালোবাসা রং বদলায়
  • ভুতের গল্প
  • ভ্যাম্পায়ার বর
  • ভয়ংকর নির্জন
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • মায়াবতী
  • মুভি
  • মেঘে ঢাকা আকাশ
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
  • যেদিন তুমি এসেছিলে
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২
  • রানিং গল্প
  • রুম নম্বর ৯০৯
  • রূপকথা
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • লিংক+রিভিউ
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
  • লেখক
  • শিমুল ফুল
  • শিশির বিন্দু
  • শিশিরের আদ্র
  • শেষ
  • শেষ পেইজ
  • শ্রাবন আধারে তুমি
  • সঙ্কোচ
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
  • স্যার i love you
  • হাসির গল্প
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি
  • ১৬ বছর বয়স
  • ১৮ বছর বয়স
Primary Menu
  • Home
  • Picture Status
  • Blog
  • Kobita
    • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • লেখক
  • লিংক+রিভিউ
    • love story link
    • sad golper link
  • রানিং গল্প 2
    • জলনূপুর
    • অন্তর্হিত কালকূট
    • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
    • ধারাবাহিক গল্প লিংক
    • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
    • এক মুঠো কাঁচের চুরি
    • নবনী
    • শেষ
    • শেষ পেইজ
    • বিমূর্ত প্রতিশোধ
    • শ্রাবন আধারে তুমি
    • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
    • কোথাও কেউ ভালো নেই
    • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
    • পরবাসী মেঘ
    • খুন
    • ভালোবাসা রং বদলায়
    • আত্মা
  • ভুতের গল্প
  • Golpo
    • জীবনি
    • ইসলামিক গল্প
    • প্রাণি জগত
    • জানা অজানা
    • হাসির গল্প
  • উপন্যাস
    • ওহে প্রিয়
    • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
    • স্যার i love you
    • বজ্জাত বউ
    • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
    • নয়নে লাগিল নেশা
    • প্রিয়োসিনী
    • চিঠি
    • বেপরোয়া ভালোবাসা
    • শিশিরের আদ্র
    • মায়াবতী
  • Home
  • রানিং গল্প
  • স্বামী যদি স্ত্রীকে ভালো না বাসে
  • নবনী
  • রানিং গল্প

স্বামী যদি স্ত্রীকে ভালো না বাসে

alamin21 02/12/2022 1 min read

স্বামী যদি স্ত্রীকে ভালো না বাসে

টানা দুইঘন্টা ঝগড়ার পর আমার স্বামী রাতুল যখন বলল, 

Table of Contents

  • স্বামী যদি স্ত্রীকে ভালো না বাসে
  • নবনী পর্ব ১
  • স্ত্রীর প্রতি অবহেলার গল্প

– মিরা চলো আমার ডির্ভোস নিয়ে ফেলি, এইসব ঝগড়া ঝামেলা আর ভালো লাগছে না।  আমি সত্যিই ক্লান্ত। 

ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আমি প্রথম রিয়ালাইজ করলাম,  আমার ওর প্রতি আর কোন টান অনুভব হচ্ছে না। ওর এই কথায় আমি মোটেও কষ্ট পাচ্ছি না। কারণ আমি নিজেও অনেকবার ভেবেছি। আর পারা যাচ্ছে না। 

রাতুল ভেবেছে আমি কোন বাঁকা উত্তর দেবো৷ কিন্তু  হঠাৎ  চুপ হয়ে  সায় দেওয়াতে ও অবাক না হলেও স্বস্তি পেলো। দুইজনে মাথা নেড়ে সায় দিলাম। কাল এই ব্যাপারে ফ্যামিলির সাবাইকে জানাবো। ঘুমন্ত বাচ্চাদের দিকে আজকের মতো আমরা শান্ত হলাম। 

দশবছরের সংসার। এরেঞ্জ ম্যারেজ। তাও বিয়ের আগে তিনমাস ভালোই প্রেম করেছি দুজন। বিয়ের পর ও ভালোই স্বাভাবিক ছিলাম। প্রথমে বড় মেয়েটা হওয়ার পর থেকে আমি মেয়ে নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পরি দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। মেয়ে নাকি বাবার ভাগ্য আনে, এই শুনিয়ে রাতুলেও বড় পোস্ট পেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। বাসায় ফিরলে মেজাজ থাকে তুঙ্গে। প্রথমে আমি চুপ থাকলেও সারাদিনে বাসায় মেয়ের পেছনে ঘুরে, ঘরের কাজ সামলে আমার মেজাজ ও সপ্তম আকাশে৷ বছর দুয়েক পর ছেলেও হলো। সব চাহিদা ঠিকঠাক পূরণ করলেও দুজনের মধ্যে প্রায় কথা কাটাকাটি, ঝগড়া, ঝামেলা লেগেই থাকে৷ 

বিশাল কোন কারণ লাগে না সামান্য বিষয়েই আমরা বিশাল ঝামেলা করে ফেলি। প্রথমে একজন চুপ থাকলেও অন্য জনের কথার খোটায় দুজনেরেই বাঁধ ভাঙ্গে।  তখন থামানো যায় না কাউকেই। 

এমন না যে কেউ অন্য কারো প্রতি আসাক্ত তাও নিজেদের মধ্যে কোন টানেই  যেন আর নেই। আমাদের চেয়ে ভালো সম্পর্ক আমাদের সাথে কাজের লোকেদের। 

এইটা ধীরে ধীরেই হয়েছে, একদিনে নয়। কারো থাকা না থাকা যেন মেটারেই করে না আমাদের কাছে। 

দুইজনের রুম ও আলাদা হয়ে গেলো। তাও আমাদের ঝগড়া থামে না। মানসিক অশান্তির চাপ আমাদের ছাড়িয়ে বাচ্চাদের মধ্যেও পড়ছে আমরা ভালোই বুঝতে পারি।তবে রাগ হলে নিজেদের থামাতে পারি না। এই সমস্যা শুধু আমাদের নয়। এমন অনেকে ফ্যামিলিতেই আছে। 

পরের দিন মা বাবার রুমে গিয়ে আমাদের ডির্ভোস এর কথা বলায়, মা তার উলের কাটা থামিয়ে আমাদের দিকে একবার তাকালো, বাবাও বইয়ে পাতা উল্টে একবার তাকিয়ে বলল- 

– তোমারা দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক৷ তোমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া পূর্ণ অধিকার আছে। 

আমি আর রাতুল একজন আরেকজনের দিকে তাকালাম। মা বাবার এমন ভাবলেশ কথায় আমরা যেন আহত হলাম কেন বুঝতে পারলাম না। আমি বললাম,

-আপনাদের কোন সমস্যা নেই? 

দুজনেই একসাথে বলে উঠলো, আমাদের কি সমস্যা থাকবে?

বাবা বইয়ের পাতা উল্টে বললেন, তোমাদের জীবন, তোমাদের সিদ্ধান্ত।  আর প্রতিদিন ঝামেলা হওয়ার থেকে এইটাই ভালো।  আমরাও একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবো রাতে৷ নয়েজ লেস। 

আমরা বেশ লজ্জায় পেলাম। আসলে ঝগড়া করার সময় আমাদের খেয়াল থাকে না পাশে রুমে মা বাবার অসুবিধা হয়। 

রাতুল বলে উঠল, আর বাচ্চারা?

মা উঠে উনার সুতার বক্সে কাটা রাখতে রাখতে বলে, ওরা কি? ওরা তো কোন সমস্যা না। সমস্যা তোমাদের মধ্যে। তোমরা সিদ্ধান্ত নেবে কার কাছে কত দিন রাখবে। ওদের উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের জীবন নষ্ট  করার কোন মানে হয় না। এইভাবে চলতে থাকলে ওদেরেই লাইফে বিরাট প্রভাব ফেলবে। 

মা বাবার এমন  কথায় আমরা অবাক না হয়ে পারছি না। মা আবার বলল- 

-তবে তোমরা যদি আমাদের থেকে অনুমতি চাও। আমাদের একটা শর্ত তোমাদের পালন করতে হবে। 

– কি শর্ত? 

-তেমন কঠিন কিছু না৷ এক মাস তোমাদের এক ঘন্টা করে  একটা রুমে কাটাতে হবে। 

দুজনেই তাচ্ছিল্য একটা হাসি দিলাম যেন কোন ছেলেমানুষী আবদার। বাবা এইবার গম্ভীর গলায় বলে, 

– উই আর সিরিয়াস। 

বাবার কথার উপর কোন কথা হয় না।  মা বলল-

-দশ বছর একঘরে এক বেডে কাটিয়েছো। আমাদের জন্য একটা ঘন্টা কাটাবে তোমরা একা। রুমে তোমরা কি করছো এইটা মেটার করে না। যে যার মতো থাকবে।  কথা না বলে। জাস্ট একঘন্টা পর তোমরা বেড়িয়ে আসবে। এরপর যা ইচ্ছে কর। 

রাতুল আট টায় ফিরে। তোমরা নয় টা থেকে দশটা একঘন্টা রুমে কাটাবে।  এরপর যে যার রুমে। 

-তখন রান্নাবান্না, বাচ্চাদের পড়ালেখা- 

মা হাত তুলে থামিয়ে বলে, সন্ধ্যা থেকে এনাফ  টাইম থাকে। রান্না শেষ করবে। না পারলে আমি আছি, আর বাচ্চাদের তো তোমাদের ছাড়া থাকতেই হবে।তোমাদের এক সাথে পাবে না। তাছাড়া তোমরা নতুন জীবন ও শুরু করবে। তখন ওদের তোমাদের ছাড়া থাকতে হবে, এখন অল্প অল্প করে অভ্যাস করালে তো তোমাদেরেই সুবিধা। 

মা কথাটা সত্য বললেও, শুনতে খুব একটা ভালো লাগছে না। মা বাবার কথা অমান্য কেউ করি না। তাই অগত্য মাথা নেড়ে সায় দিলাম। নিত্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলাম, মায়ের শর্ত ভুলে গেলাম। রাতুল অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হয়ে বসার পর মা এসে বলল, 

-যাও তোমাদের টাইম শুরু হচ্ছে এখন। 

রাতুল খেলা দেখছিলো, বিরক্ত সুরে বলে, এইসব ছেলে মানুষীর কোন মানে হয় না মা। এইসবে আমাদের সর্ম্পকে কোন প্রভাব ফেলবে না। ইট জাস্ট ফিনিশ। 

আমি রিধিকে হোমওয়ার্ক করাচ্ছিলাম। মা আমাকেও টেনে তুলে রুমে ডুকিয়ে দিলো। রাতুল কেও। রাতুল বিরক্ত হয়ে চেঁচিয়ে উঠলো। 

-আজীবন জ্বালিয়ে মারবে তোমরা আমাকে। খেলাটাও দেখতে দিচ্ছো না। 

মা রিধির সামনে বসে হোম ওয়ার্কের খাতাটা টেনে নিয়ে বলে, ল্যাপটপে দেখো।  আর হ্যাঁ কেউ কারো সাথে কথা বলবে না কিন্তু। 

মা দরজা লক করে দিতেই রাতুল আমার দিকে বিরক্ত চোখের  তাকিয়ে ল্যাপটপ খুলে খেলা দেখতে শুরু করলো। 

আমি টুকটাক ঘর গুছিয়ে রাখলাম। কেউ কোন কথা বলছি না। যেন আমাদের কোন কথায় নেই বলার জন্য।

সময় টা যেন যাচ্ছে না। আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম। রাতুলের  ল্যাপটপে খেলার শব্দে ঘুমাতে পারছি না। 

মা কথা বলতে নিষেধ করেছে। জানি এখন ভলিউম  ছোট করতে বললে, ঝগড়া হবে। তাই মাথায় বালিশ চাপা দিয়ে শুয়ে পড়লাম। কখন ঘুমিয়ে পড়লাম খেয়াল নেই। যখন মায়ের ডাকে ঘুম ভাঙ্গল তখনও রাতুল খেলা দেখছে। 

এইভাবে মা চার দিন টেনে ধরে আমাদের রুমে ডুকিয়ে দেয়, আমি ঘুমিয়ে পরি, রাতুল ল্যাপটপ খেলা দেখে কিংবা কাজ করে। 

বাচ্চারা প্রথমে বিরক্ত করলেও কয়েক দিন ওরা নিজেদের মধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। 

আমি ঘুমিয়ে পড়তাম রুমে সে এক ঘন্টা। খেয়াল করলাম রাতুল ভলিউম ছোট করে দিতো আমি যখন বিছানায় যাই। 

শরীর টা কেমন যেন ফ্রেশ মুডে থাকে এখন। খিটখিটে ভাবটা কিছুটা কমেছে। ঘুম আসছে না পরের দিন। তাই বইয়ের তাকে ধুলো জমা বইগুলো ঝেড়ে নিয়ে আবার পড়তে শুরু করলাম। একসময় রোজ বই পড়তে হতো। ভাত না খেলেও চলবে তবে বই যেন থাকে। 

পাক্কা সাত আট বছর পর হাত পড়লো বইয়ে। বই ও কিনি না অনেক বছর৷ রাতুল তখন প্রতি জম্মদিন এক গাদা বই দিতো। এখন তো মনেই থাকে না৷ 

রাতুল আজ অফিসের কাজ নিয়ে বসেছে। আমি বিছানায় উপুর হয়ে শুয়ে বই পড়ছি। 

কেউ কারো সাথে কথা বলি নি পাঁচ দিন। 

মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছি। পাতা উল্টাতেই টুপ করে নিচে পড়লো একটা শুকনো গোলাপ আর চিরকুট। রাতুলেই দেওয়া, কোন এক জম্মদিনে। 

আমি খুব উৎসাহ নিয়ে রাতুল কে ডাক দিলাম, এই  দেখ -?  

রাতুল কাজ করতে করতে বিরক্ত চোখে ফিরে তাকালো, গোলাপ আর চিরকুট টা দেখে উঠে  আলতো হেসে হাতে নিলো। 

– কবের এইটা? 

চিরকুটের পাতা উল্টে দেখলাম লেখা আছে 2011, দুজনের মধ্যে একটা নস্টায়েলজিয়া ভাব এলো। বই গুলো উল্টে উল্টে দেখতে লাগতাম আমি।  আরো অনেক গুলো চিরকুট বেড়িয়ে এলো।

আমি ব্যঙ্গ সুরে বললাম, কি  বিশ্রী হাতের লেখা! 

অন্য সময় হলে রাতুল রেগে যেতো, আজ বলল, এই বিচ্ছিরি হাতের লেখায় তো প্রেমে গদগদ হতে। 

আমি ফিক করে হেসে দিলাম, রাতুল ও দাঁড়িয়ে হাসছে। আমি ওর দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখতে ও থেমে গেল। মনে হলো কত বছর আমাদের নিজেদের এক সাথে হাসাও হয় না। 

আরো দুই চারদিন যাওয়ার পর, মাকে আর জোর করে আমাদের রুমে পাঠাতে হয় না। আমরাই চলে আসি রুমে। রাতুলের সাথে খুব যে কথা হচ্ছে তা কিন্তু না। তবে ওর ওখানে বসে থাকাটাও যেন ভালো লাগছে। তবে আমি মোটেও তা প্রকাশ করছি না। 

খেয়াল করলাম আমাদের কথা না হলেও একটা টান অনুভব করছি। ও অফিস গেলে আমি ওকে মিস করছি। 

অনেক বছর  হলো  মোবাইলে আমাদের দরকার ছাড়া কথা হয় না। তার ডিউরেশন মিনিট দুয়েকের বেশি হয় না। 

দুপুরে রাতুল ফোন দিলো৷ খেয়েছি কিনা? বাচ্চারা খেয়েছে কিনা? 

আর কোন কথা খুঁজে না পেয়ে রেখে দিলেও যেন ওর সাথে কথা বলার ইচ্ছে টা বাড়ছে।  

সেদিন  রাতুল অফিস  থেকে যখন ফিরলো, বাসা ভর্তি গেস্ট, আর এক ঘন্টা কাটানোর সুযোগ নেই। আমি রান্না ঘরেই ছিলাম। মা গল্প করতে ব্যস্ত উনার মেয়ের সাথে। বাচ্চারা ব্যস্ত ননদের ছেলের মেয়ের সাথে। 

রাতুল রান্না ঘরে এসে দাঁড়িয়ে আছে দেখে আমি হেসে বলি,  

– এক ঘন্টার শাস্তি ভোগ করতে এসেছো? 

রাতুল কিছু বলল না, মুচকি হেসে দাঁড়িয়ে রইলো, আমারো কেন যেন খুব ভালো লাগছে ওর এইভাবে আসাটা।যেন মনে মনে চাইছিলাম। 

টুকটাক জিনিস পত্র এগিয়ে দিচ্ছে। এরমধ্যে কথাও হচ্ছে। কোন মজার কথা নেই তাও যেন ভালো লাগছে। হয়ত অনেক বছর পর এইভাবে ঝগড়া ছাড়া কথা হচ্ছে তাই। 

দশ দিন পার হয়ে গেলো। আমরা ঘন্টা পার হওয়ার পর ও যেন রুম থেকে বের হতে চাই না। কাছাকাছি পাশাপাশি বসে নেই। তাও- 

বই পড়তে পড়তে আমি বলে উঠি,

– কত বছর কোন মুভি দেখি না –

রাতুল ওর ল্যাপটপ সামনে এনে বলে,  

– বাংলা দেখবে নাকি হিন্দি? 

দুজনেই সার্চ দিয়ে ভালো একটা মুভি দেখা শুরু করলাম, মুভি শেষ হতে হতে অনেক রাত। দুজনেই জেগে রইলাম। মুভির নেশায় পেয়ে বসলো,  পরের দিন আবারো একটা নতুন মুভি।   

এখন পাশাপাশি ঘেষাঘেষি করতে বসতে যেন কোন বাধা নেই। আড়ষ্টতা নেই। হাসতে হাসতে গড়িয়ে পরি একজন আরেক জনের গায়ে। রোমেন্টিক সিনে চোখে চোখে তাকিয়ে হেসে উঠি। সারাদিন অফিস শেষে রাতুল ক্লান্ত থাকে,চোখ লাল হয়ে যায়। আমারও। তাও আমারা সাথে জেগে থাকি। আর আলাদা রুমে যাওয়া হয় না ওর। মেয়ের পাশেই শুয়ে পরে। 

এই একটা ঘন্টার জন্য যেন আমরা অপেক্ষা করা শুরু করলাম। পনের দিন শেষ,  রাতুল রুমে থেকে বের  মুভি দেখার জন্য ডাকলো, মা বলে উঠলো, 

-পনের দিন শেষ , এখন আর শাস্তি ভোগ করার দরকার নেই। 

রাতুল অবাক হয়েই বলল- শাস্তি? 

– হ্যাঁ।  তোদের একঘন্টা থাকার জন্য যে শাস্তি দিয়েছিলাম। 

রাতুল বলল, তুমি এক মাস বলেছিলে। 

– বলেছিলাম, তবে এখন কমিয়ে এনেছি। ভাবলাম অত্যাচার করে ফেলেছি।  শুধু শুধু ছেলেমানুষী করছি। তোরা কাল গিয়ে ডির্ভোস ফাইল করতে পারিস। 

রাতুল আর আমি চোখাচোখি হলাম, আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম আমরা কেন এইটা শুরু করেছিলাম। 

মা আয়েশী ভঙ্গিতে সোফার উপর পা তুলে বলে, 

– আর যাওয়া লাগবে না মিরার ঐ রুমে। যাও বৌমা আমার জন্য একটু ডিম ভুনা কর।।দুপুরে মাছে লবণ বেশি দিয়েছিলে খেতে পারি নি।  রান্নায় তোমার মনোযোগ নেই আজকাল৷ 

আমি উঠতেই রাতুল আমার হাত ধরে মায়ের দিকে তাকিয়ে  বলে, 

– তুমি এক মাস বলেছিলে কিন্তু, মিরা এখন রান্নাঘরে যাবে না। রুমে যাবে। 

আমাকে টেনে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লক করে দেয়, আমার নতুন বউ দের মতো লজ্জা লাগছে। বিয়ের পর জামাই রুমে ডাকলে নতুন বৌয়ের  যেভাবে লজ্জায় মাথা কাটা যায় ঠিক সেভাবে। আমি হাসি চেপে রাগি রাগি মুখ করে বললাম, 

– এইটা কি হলো? 

– কি হলো? মুভি দেখতে আনলাম আর কি-?  

-এইভাবে?

-তো কীভাবে আনবো? তোমার কি ইচ্ছে নেই মুভি দেখার?তাহলে যাও- 

আমি হাসি চেপে দরজার দিকে  এগিয়ে যেতেই, রাতুল আবার হাত চেপে ধরে বলে উঠলো, খবরদার বের হবে না। 

আমি অট্টহাসিতে গড়িয়ে পরি। রাতুল বোকা বোকা মুখ করে তাকিয়ে আছে। 

পরের দিন  বাবা একটা ফর্ম এনে বলে, 

– এই নেয়, আজ একটা কাজে গিয়েছিলাম কোর্টে তাই ফরম টা নিয়ে এলাম পূরণ করে কাল পরশু জমা দিয়ে আসিস তোরা গিয়ে। 

আমরা দুজনেই পড়ে দেখলাম বাবা ডির্ভোসের ফরম এনেছে। রাতুল আমার দিকে আহত চোখে তাকালো,  যেন আমি কি বলি দেখতে চায় সে। দুজনেই চুপ করে আছি দেখে, বাবা বলে, 

– কি রে কি সমস্যা? 

আমি আর রাতুল প্রায় এক সাথেই বলে উঠলাম, আমার ডির্ভোস চাই না। 

মা বাবা চোখাচোখি হলো, যেন ওরা হাসি চেপে রাখতে চাইছে। বাবা বেশ গম্ভীর মুখে বলল, 

– তোমরাই তো বলেছিলে,  আবার এখন উল্টে যাচ্ছো। 

আমরা যেন কোন কথায় খুঁজে পাচ্ছি না। এখন আমর অদ্ভুত এক অনুভূতি হচ্ছে। যেন কোন কিশোরীকে  তার মা বলছে তার প্রিয় মানুষটিকে ভুলে যেতে। আমার ভীষণ মন খারাপ লাগছে। একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে বসেছে বুকে।  মনে হচ্ছে আর একটা কথা বলতে হলে ছিটকে আমার কান্না বেরিয়ে আসবে। 

বাবা আর কিছু বলল না, ফরম টা আবার হাতে তুলে নিয়ে বলল, 

-আচ্ছা আর দুই তিন দিন সময় নাও, এরপর ভেবেচিন্তে পূরণ করবে। 

আমি যেন পা চালাতেই পারছি না। ধীরে ধীরে রুমে যেতেই রাতুল বলে উঠে, 

-তোমার ডির্ভোস চায়? 

আমি চুপ করে আছি দেখে ও আমার কাছে এসে বলে, তোমার কি  ডির্ভোস চায় এখন মিরা? 

আমি কোন শব্দেই যেন বের করতে পারছি না। মুখ তুলে ওর দিকে তাকাতেই চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো, রাতুলও কোন কথা না বলে গভীর চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরলো। আমার তীব্র কাপুনি দিয়ে কান্না বেড়িয়ে আসছে। 

রাতুল আরো জোরে জড়িয়ে ধরে আমাকে। মনে হতে থাকে এই মানুষ টা ছাড়া আমি এক মূহুর্তেও থাকতে পারবো না। 

 বাবাকে গিয়ে বললাম,  আমাদের ডির্ভোস চাই না। আমরা এখন ঠিক আছি। 

মা বলল, এত দ্রুত কীভাবে সব ঠিক হলো তোমাদের? পনের দিন আগেও একজন আরেক জন কে সহ্য করতে পারতে না। 

আমরা মাথা নাড়লাম , জানি না। 

মা আর বাবা উচ্চস্বরে হেসে উঠে। আমরা অবাক হয়ে বলি, কি হয়েছে? 

মা হাসতে হাসতে বলে, আমরাও একবার ঠিক করেছিলাম আর থাকা যায় না এক সাথে এইবার ডির্ভোস নিবো। তখন আমার শ্বশুর শাশুড়ী ঠিক এইভাবে আমাদের একমাস এক ঘন্টা এক সাথে থাকার শাস্তি দিয়েছিলো। আমাদের অবশ্য এক সাপ্তাহেই  সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। বুঝতে পেরেছিলাম থাকা যাবে না একে  ছাড়া।

আমি বসে পড়তেই মা আমার হাত ধরে বলে, 

– বৌমা সবাই বলে, মা হওয়া অনেক কঠিন জিনিস মা হতে গেলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। এইটা আসলে একটার ভুল কথা। এইটার মাধ্যমে আমাদের সমাজে একটা মেয়ের উপর একটা ভার চাপিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েরা এইটা শুনেই বড় হয় মায়েদের সন্তানের জন্য সব করতে হয়। তাই যখন একটা সন্তান আসে আমরা মেয়েরা সব ভুলে সব ধ্যান জ্ঞান সন্তানের পেছনে লাগিয়ে ফেলি। কারো কোন দোষ থাকে না। তাও আমরা সে মানুষ টা থেকে অনেক দূরে চলে যাই যে মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি কাছে রাখার দরকার।  যখন একটু ফ্রি হয়, চোখ তুলে তাকাই তখন যেন তার কোন রাস্তায়  থাকে না তার মনে যাওয়া, নিজেরাই অর্বজনা ফেলে রাস্তা ভরাট করে ফেলি । কেউ কাউকে বুঝতে পারি না।   মনে হয় সে আমাকে আর ভালোবাসে না। কেয়ার করে না। অনুভূতি নেই। রাগারাগি, ভুল বুঝাবুঝি সবটা মিলিয়ে তিক্ততা চলে আসে। 

কিন্তু যদি পুরো দিনে কিছুটা আমরা একে অপর কে দিই, বিশ্বাস কর নিজেকেই ভাগ্যবান মনে হবে। শুধু সামান্য কিছু সময়। চিন্তা কর তোমরা গত দশ বছরে একসাথে থেকেও এইভাবে টাইম কাটানো হয় নি।  অবাক করা ব্যাপার কত গুলো দিন কত গুলো মাস একঘরে থেকেই একঘন্টা নিজের দাও নি তোমরা।  

সন্তান গুরুত্বপূর্ণ।  কিন্তু শেষ বয়সে এসে দেখ তোমাদের সাথে আমাদের কোন কথা নেই৷ তোমার মায়ের সাথে তোমার কথা নেই তুমি ব্যস্ত তোমার সংসারে। রাতুল ব্যস্ত ওর কাজে। 

কিন্তু আমাদের শেষ সময়ে একজন আরেক জনের সাথেই থাকতে হচ্ছে। ছেলে মেয়েদের সময় দিতে গিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের সময় দিতে ভুলে যাই। কিন্তু একটা ঘন্টায় কিন্তু তুমি বাচ্চা মানুষ করে ফেলছো না। কিংবা এরজন্য ওরা তোমাকে দোষী মানবে না। তোমাদের সর্ম্পক ভালো থাকলে ওদেরেই লাভ। 

রাতুল আমার হাত চেপে ধরেছে আবার। মা আবার বলে, 

– যে কোন সর্ম্পক একটা ছোট্ট গাছের মতো। একে যত্ন করতে হয়। পানি দিতে হয়, পরিচর্যা করতে হয়। যখন বড় হয়ে শেকড় গেড়ে ফেলে তখন রোজ পানি না দিলেও তাকে আর আলাদা করা যায় না। কিন্তু ছোট থাকতে না দিলে গাছ টা মারা যাবে। শেষ সময়ে গিয়ে যখন ফিরে তাকাবে দেখবে ভুল টা নিজেদেরই ছিলো। বিয়ের আগে সর্ম্পক গুলো ভীষণ ভালো থাকে কারণ তখন আমরা একজন আরেক জন টাইম দিই। কেয়ার করার চেষ্টা করি। বিয়ের পর যেন সব ভুলে যায়। যেন কেয়ার ব্যাপার টা থাকাই উচিত না।  একটা সর্ম্পক আপনা আপনি চলে না। একে যত্ন কর‍তে হয়। 

এরপর পঁচিশ বছর  পার হলো, আমাদের মধ্যে ছোট খাটো ঝামেলা হলেও কেউ কাউকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবি নি। 

রিধির বিয়ে হলো। আমাদের ছেলে ও বিয়ে করলো, ওদের বিয়ের পাঁচ বছর পর ওরাও এক সকালে এসে বলল- 

-ওরা ডির্ভোস নিবে। 

আমি আর রাতুল একে অপরের দিকে তাকালাম, রাতুল বলে উঠলো, 

-ঠিক আছে, তবে তোমাদের এক মাস এক ঘন্টা করে এক রুমে থাকার শর্ত মানতে হবে।

এক_ঘন্টার_শাস্তি 

দোলনা বড়ুয়া তৃষা

নবনী পর্ব ১

বিয়ে করেছি তিনদিন হয়েছে।  বউয়ের নাম ভুলে গেছি! নামটা কি যেন বলেছিল মনে পড়ছে না! বাসায় বড়ো খালা এসেছেন আমার বউ দেখতে তাই মা বললেন,  বউমা কে ডেকে নিয়ে আয়। আমি রুমে এসে দেখি ও ঘুমাচ্ছে।  ডাকতে গিয়ে খেয়াল করলাম ওর নাম আমার মনে নেই!

আমি মনে করার চেষ্টা করছি, কিন্তু নাম মনে করতে পারছি না। এই তিনদিনে কি ওর নাম ধরে আমি ডাকিনি!

ও বাচ্চাদের মতো গুটিশুটি মেরে ঘুমাচ্ছে।  দেখতে খুব সুন্দর লাগছে! আমি ভাবছি কি করে ঘুম ভাঙানো যায়। পা টিপে দিবো? আমার এক দূরসম্পর্কের কাকা ছিলেন। উনি তাবলীগ করতেন। আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে। ভোরবেলা আমার ঘুম ভাঙাতেন পা টিপে! ঘুম ভেঙে দেখতাম উনি আমার পা টিপছেন! বড্ড বিরক্তি লাগত! একজন বড়ো মানুষ পা টিপলে অস্বস্তি লাগে। কিন্তু উনি প্রতিবার এমন কাজ করতেন। 

আমি কি এ পদ্ধতি অবলম্বন করবো? না এটা করা যাবে না। মেয়েদের গায়ে অনুমতি ছাড়া হাত দেয়া যায় না।

আমি তিনদিনের ঘটনা মনে করার চেষ্টা করছি। বিয়ের সময় ওর নাম তো কাজী সাহেব বলেছেন নিশ্চয়। তখন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। সেই সময়ের কিছুই মনে পড়ছে না।

ওদের বাড়ি থেকে বিদায় নেয়ার সময় ওর বাবা-মা কি ওর নাম বলেছিল?  না নাম বলেছে বলে মনে হয় না। কান্নাকাটি করেছিল। ওর বাবা আমাকে বললেন, “আমার মেয়েকে দেখে রেখ বাবা। বড়ো আদরের মেয়েটা আমার।” না নামটা বলেনি তো।

গাড়িতে ওর সাথে তেমন কথা হয়নি। শুধু একবার পানি খাওয়ার কথা বলেছিল। গাড়ি থামিয়ে দোকান থেকে ঠান্ডা মাম পানির বোতল এনে দিলাম। পানির বোতল নিয়ে থ্যান্কস্ বলেছিল।  এই জিনিসটা ওর মধ্যে আছে। কিছু হলেই থ্যান্কস বলে মিষ্টি করে হাসি দেয়।

আমাদের বাড়িতে এসে নানা ধরনের আজব কান্ড করেছে আমার আত্মীয় স্বজনরা। আশ্চর্য কেউই ওর নাম একবারও বলেনি!

কাবিননামায় ওর নাম পাওয়া যাবে। কাবিননামাটা এখনো হাতে পাইনি। এটা পেতে আরো সময় লাগবে।

আমি ওর পাশে বসে মুখের দিকে চেয়ে আছি। ঘুমন্ত মানুষ কে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমি মুগ্ধ হয়ে চেয়ে আছি।

বাসর রাত নিয়ে মেয়েদের নাকি অনেক পরিকল্পনা থাকে শুনেছি।  আমারও একআধটু পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কী হলো! বন্ধুদের  আড্ডা থেকে ভাবি জোর করে যখন বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে গেল তখন ঘড়ির কাটা বারোটা ছুঁয়েছে। 

স্ত্রীর প্রতি অবহেলার গল্প

ঘরে ঢুকতেই একটা কাঁচা ফুলের গন্ধ এসে নাকে লাগল! গেন্দা,রজনীগন্ধার, আর সাদা কী সব ফুল দিয়ে ঘরটা সাজানো হয়েছে।  বিছানায় গোলাপের পাপড়ি ছিটানো তার মাঝে বসে আছে মেয়েটা। লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে থাকার কথা। কিন্তু এ মেয়ের কোনো ঘোমটা নেই!

আমাকে দেখে বলল,”বাসর রাত নিয়ে আপনার কোনো ফ্যান্টাসি নেই তো?”

কী সব আজব গল্প শুনেছি এ রাত নিয়ে মেয়েদের কত স্বপ্ন থাকে! আমার বউয়ের মুখে এ কী কথা? আমাকে চুপ থাকতে দেখে বলল,” আমার প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে,  গত দুইদিন ঘুমাতে পারিনি!”

বলেই সে বাথরুমে ঢুকে গেল। আমি কিছু সময় বসে রইলাম।  কত সময় এভাবে বসে থাকা যায়?  ভাবলাম বারান্দায় গিয়ে বসি। আজকের আকাশটা বড্ড অন্ধকার!  কোনো তাঁরা নাই। মনে হয় একটা ঝড় আসবে। বারান্দায় পাতা ইজি চেয়ারটায় শুয়ে পড়লাম।  

সারাদিনের ক্লান্তিতে কখন যে চোখ লেগে এসেছে বুঝিনি। ঘুম ভাঙলো সকালে। দেখি আমার গায়ে একটা কাঁথা!

আমার বউ গোসল সেরে বেরিয়ে এসেছে।  এক নজর দেখলাম দেখতে ওকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে!  কী মায়াবী চেহারা!  আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসি দিলো, সেই হাসিও অসাধারণ হাসি!

ঘুমন্ত বউয়ের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।  তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে!  গভীরভাবে শ্বাস নিচ্ছে।  দেখলাম গালের ওপর কিসের একটা দাঘ।  একটু নিচু হয়ে ভালোভাবে দেখতে যাব। এ সময় হুট করে করে চোখ খুলে গেল ওর। আমার দিকে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকাল। ঠোঁট বাঁকিয়ে একটা বাঁকা হাসি দিয়ে উঠে পড়ল। আমি বললাম,  “মা আপনাকে ডাকে।”

বাথরুমে ঢুকার আগে আবার ঠোঁট বাকিয়ে বলল, “অসভ্য! “

আমি বুঝতে পারলাম। আমি একটা বাজে কেস খেয়ে গেছি। এই মেয়ে কী ভেবে বসে আছে! 

খালা ওকে দেখে বললেন, ” বাঃ!  কী সুন্দর!  কী নাম তোমার মা?”

আমার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে হালকা ঠোঁট বাকাল। কোমল কন্ঠে বলল, “নবনী।”

“খুব সুন্দর নাম!”

খালা মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,”  রুবি খুব ভালো একটা বউ পেয়েছিস!”

যাক শেষমেশ নামটা জানা হলো নবনী।  আসলেই সুন্দর নাম! নবনী দেখতেও বেশ!  পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি লম্বা। উজ্জ্বল শ্যামলা বর্ণের, হালকা-পাতলা দেহের গড়ন। সব মিলিয়ে দারুণ লাগে!

বিয়ের সাতদিন কেটে গেছে এখনো নবনীর কাছে যেতে পারিনি!  মেয়েটা এমনিতে খুব ভালো কিন্তু কেন জানি দূরে দূরে থাকে। এমন সুন্দর একটা মেয়ে পাশে থাকলে তাকে না ছুঁয়ে থাকাটা বড্ড কঠিন! কঠিন কাজটাই আমি করছি!

মা বলল, “তোরা কোথা ঘুরে আয়। নতুন বউ নিয়ে ঘরে বসে আছিস কেন?”

আমারও ইচ্ছে হলো নবনী কে নিয়ে দার্জেলিং যাই। এ জায়গটা হানিমুনের জন্য খুব ভালো। এখানে সারা বছর শীত থাকে। যেহেতু আমাদের বিয়েটা গরমকালে হয়েছে।  যদিও আমাদের দেশের বেশিরভাগ বিয়ে শীতকালে হয়।

নবনী কোথাও যেতে রাজি না! আমি ঠিক বুঝতে পারছি না কী করব? কারো সাথে পরামর্শ করার উপায় নেই!  আমার এত আপন কেউ নাই যাকে এ সমস্যার কথা বলা যায়। অবশ্য সমস্যা কি-না সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।

নবনী পর্ব ১

চলবে–

® নাবিল মাহমুদ

সম্পূর্ণ গল্পের লিংক একসাথেত

https://kobitor.com/category/running/noboni/

Tags: গল্পের লিংক ২০২৩

Continue Reading

Previous: শিমুল ফুল ৫১ সমাপ্ত পর্ব
Next: নবনী পর্ব ২

Related Stories

অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০ মেহজাবিন চৌধুরী পিক
1 min read
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • রানিং গল্প

অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০

31/05/2023
একটি রাতের গল্প পর্ব ১ চাঁদের ছবি
1 min read
  • Golpo
  • sad golper link
  • উপন্যাস
  • একটি রাতের গল্প
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক
  • ভুতের গল্প
  • রানিং গল্প
  • লিংক+রিভিউ

একটি রাতের গল্প পর্ব ১

30/05/2023
অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ১৯ মেহজাবিন চৌধুরী পিক
1 min read
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • রানিং গল্প

অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ১৯

30/05/2023

Recent Posts

  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০
  • অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০
  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯

Archives

  • June 2023
  • May 2023
  • April 2023
  • March 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • November 2022
  • October 2022
  • September 2022
  • August 2022
  • July 2022
  • June 2022
  • April 2022
  • January 2022
  • December 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • August 2021
  • July 2021
  • June 2021

Categories

  • Golpo
  • Kobita
  • love story link
  • More Than Love
  • Picture Status
  • sad golper link
  • Uncategorized
  • অতৃপ্ত আত্মা
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম বউ
  • অরোনী তোমার জন্য
  • আত্মা
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন ২
  • আমি পদ্মজা
  • আরশিযুগল প্রেম
  • ইট পাটকেল
  • ইসলামিক গল্প
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উপন্যাস
  • এক কাপ চা
  • এক প্রহর ভালোবাসা
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি
  • এক মুঠো রোদ
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একটি ডিভোর্স লেটার
  • একটি রাতের গল্প
  • ওহে প্রিয়
  • কাঞ্চাসোনা
  • কালো বউ
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • ক্যান্সার যুদ্ধ
  • ক্যামেলিয়া
  • খুন
  • ঘেউলের সংসার
  • চার আনার জীবন
  • চিঠি
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
  • চেম্বার কথন
  • জলনূপুর
  • জানা অজানা
  • জীবন যখন যেমন
  • জীবনি
  • জ্বিন রহস্য
  • টু ফাইভ এইট জিরো
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
  • ডিভোর্স
  • ডিভোর্স পেপার
  • তিনি আমার সৎ মা
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন
  • দাম্পত্য সুখ
  • দেহ
  • দ্বিতীয় পুরুষ
  • দ্যা ব্লাক বুক
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক
  • নবনী
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
  • নীল চিরকুট
  • নীলার শাশুড়ী
  • নয়নে লাগিল নেশা
  • পরগাছা
  • পরবাসী মেঘ
  • পাপ
  • পিশাচ দেবী
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুর রহস্য
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • প্রণয়ের আসক্তি
  • প্রতিশোধ
  • প্রাণি জগত
  • প্রিয়োসিনী
  • প্রেমাতাল
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প
  • ফিরতি উপহার
  • ফুলসজ্জা
  • ফ্রিজ
  • বজ্জাত বউ
  • বন্ধু
  • বিচ্ছেদ
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিয়ের চাপ
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স
  • বেপরোয়া ভালোবাসা
  • ভাড়াটিয়া
  • ভাবির সংসার
  • ভালোবাসা রং বদলায়
  • ভুতের গল্প
  • ভ্যাম্পায়ার বর
  • ভয়ংকর নির্জন
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • মায়াবতী
  • মুভি
  • মেঘে ঢাকা আকাশ
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
  • যেদিন তুমি এসেছিলে
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২
  • রানিং গল্প
  • রুম নম্বর ৯০৯
  • রূপকথা
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • লিংক+রিভিউ
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
  • লেখক
  • শিমুল ফুল
  • শিশির বিন্দু
  • শিশিরের আদ্র
  • শেষ
  • শেষ পেইজ
  • শ্রাবন আধারে তুমি
  • সঙ্কোচ
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
  • স্যার i love you
  • হাসির গল্প
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি
  • ১৬ বছর বয়স
  • ১৮ বছর বয়স

Trending News

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫ মেহজাবীন চৌধুরী পিক 1

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫

01/06/2023
কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০ ফুল ও প্রজাপতির ছবি 2

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০

01/06/2023
অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০ মেহজাবিন চৌধুরী পিক 3

অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০

31/05/2023
নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪ মেহজাবীন চৌধুরী পিক 4

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪

31/05/2023
কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯ ফুল ও প্রজাপতির ছবি 5

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯

31/05/2023
ব্রেকাপ ভালোবাসার গল্প ব্রেকআপ হওয়ার গল্প পিক 6

ব্রেকাপ ভালোবাসার গল্প

30/05/2023
এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২ এক সমুদ্র প্রেম গল্প 7

এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২

30/05/2023

Categories

  • Golpo (246)
  • Kobita (36)
  • love story link (73)
  • More Than Love (18)
  • Picture Status (43)
  • sad golper link (22)
  • Uncategorized (12)
  • অতৃপ্ত আত্মা (14)
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান (33)
  • অন্তর্হিত কালকূট (20)
  • অন্যরকম তুমি (58)
  • অন্যরকম বউ (6)
  • অরোনী তোমার জন্য (20)
  • আত্মা (5)
  • আমার তুমি (44)
  • আমার তুমি সিজন ২ (56)
  • আমি পদ্মজা (93)
  • আরশিযুগল প্রেম (65)
  • ইট পাটকেল (48)
  • ইসলামিক গল্প (8)
  • উইল ইউ ম্যারি মি? (10)
  • উপন্যাস (1,584)
  • এক কাপ চা (48)
  • এক প্রহর ভালোবাসা (20)
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি (51)
  • এক মুঠো রোদ (50)
  • এক সমুদ্র প্রেম (57)
  • একটি ডিভোর্স লেটার (4)
  • একটি রাতের গল্প (8)
  • ওহে প্রিয় (49)
  • কাঞ্চাসোনা (15)
  • কালো বউ (35)
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প (30)
  • কোথাও কেউ ভালো নেই (15)
  • ক্যান্সার যুদ্ধ (3)
  • ক্যামেলিয়া (36)
  • খুন (5)
  • ঘেউলের সংসার (4)
  • চার আনার জীবন (4)
  • চিঠি (1)
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস (30)
  • চেম্বার কথন (45)
  • জলনূপুর (6)
  • জানা অজানা (2)
  • জীবন যখন যেমন (20)
  • জীবনি (8)
  • জ্বিন রহস্য (6)
  • টু ফাইভ এইট জিরো (4)
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি (8)
  • ডিভোর্স (4)
  • ডিভোর্স পেপার (3)
  • তিনি আমার সৎ মা (8)
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর (42)
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন (4)
  • দাম্পত্য সুখ (14)
  • দেহ (8)
  • দ্বিতীয় পুরুষ (36)
  • দ্যা ব্লাক বুক (6)
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক (32)
  • নবনী (9)
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ (338)
  • নীল চিরকুট (71)
  • নীলার শাশুড়ী (6)
  • নয়নে লাগিল নেশা (5)
  • পরগাছা (6)
  • পরবাসী মেঘ (4)
  • পাপ (3)
  • পিশাচ দেবী (5)
  • পিশাচ পুরুষ (11)
  • পুকুর রহস্য (4)
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা (5)
  • প্রণয়ের আসক্তি (41)
  • প্রতিশোধ (3)
  • প্রাণি জগত (1)
  • প্রিয়োসিনী (29)
  • প্রেমাতাল (57)
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প (32)
  • ফিরতি উপহার (2)
  • ফুলসজ্জা (20)
  • ফ্রিজ (15)
  • বজ্জাত বউ (45)
  • বন্ধু (5)
  • বিচ্ছেদ (20)
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ (10)
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস (7)
  • বিয়ের চাপ (10)
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প (76)
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স (12)
  • বেপরোয়া ভালোবাসা (50)
  • ভাড়াটিয়া (20)
  • ভাবির সংসার (59)
  • ভালোবাসা রং বদলায় (4)
  • ভুতের গল্প (17)
  • ভ্যাম্পায়ার বর (26)
  • ভয়ংকর নির্জন (5)
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি (5)
  • মায়াবতী (36)
  • মুভি (11)
  • মেঘে ঢাকা আকাশ (16)
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি (10)
  • যেদিন তুমি এসেছিলে (51)
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২ (46)
  • রানিং গল্প (442)
  • রুম নম্বর ৯০৯ (4)
  • রূপকথা (17)
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন (63)
  • রোমান্টিক অত্যাচার (17)
  • লিংক+রিভিউ (96)
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ (4)
  • লেখক (5)
  • শিমুল ফুল (52)
  • শিশির বিন্দু (7)
  • শিশিরের আদ্র (23)
  • শেষ (3)
  • শেষ পেইজ (9)
  • শ্রাবন আধারে তুমি (22)
  • সঙ্কোচ (7)
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে (8)
  • স্যার i love you (23)
  • হাসির গল্প (86)
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি (5)
  • ১৬ বছর বয়স (44)
  • ১৮ বছর বয়স (32)

তালিকা

  • Home
  • Picture Status
  • Blog
  • Kobita
    • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • লেখক
  • লিংক+রিভিউ
    • love story link
    • sad golper link
  • রানিং গল্প 2
    • জলনূপুর
    • অন্তর্হিত কালকূট
    • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
    • ধারাবাহিক গল্প লিংক
    • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
    • এক মুঠো কাঁচের চুরি
    • নবনী
    • শেষ
    • শেষ পেইজ
    • বিমূর্ত প্রতিশোধ
    • শ্রাবন আধারে তুমি
    • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
    • কোথাও কেউ ভালো নেই
    • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
    • পরবাসী মেঘ
    • খুন
    • ভালোবাসা রং বদলায়
    • আত্মা
  • ভুতের গল্প
  • Golpo
    • জীবনি
    • ইসলামিক গল্প
    • প্রাণি জগত
    • জানা অজানা
    • হাসির গল্প
  • উপন্যাস
    • ওহে প্রিয়
    • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
    • স্যার i love you
    • বজ্জাত বউ
    • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
    • নয়নে লাগিল নেশা
    • প্রিয়োসিনী
    • চিঠি
    • বেপরোয়া ভালোবাসা
    • শিশিরের আদ্র
    • মায়াবতী

Recent Posts

  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০
  • অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০
  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯
  • Home
  • About us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ

Copyright © All rights reserved by kobitor.com