#ওহে প্রিয় .
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব ১২
৫.
ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিলো আম্মার সাথে দশবারোদিন কাটাবো। বড় আপু ঈদের তৃতীয় দিন আসবে। সে নাকি প্র্যাগনেন্ট। খালামুনি হবো আমি আনন্দে কুটিকুটি মন আমার৷ কিন্তু সেই আনন্দ বেশীক্ষণ ঠাঁই পেলো না আমার মনে। মেয়ে জাতির পরম শত্রু ঘটক মহাশয় হাজির হলেন ঈদের দ্বিতীয় দিন। যিনি আমার জন্য শুধু শত্রু পক্ষ নয় বরং ভয়ানক শত্রু পক্ষ। আমাদের গ্রামের চ্যায়ারম্যান সাহেব পাঠিয়েছেন ওনাকে। বড় আপুর বিয়ে দিতে গিয়ে আব্বা বেশ ঋণগ্রস্ত হয়। চড়ায় যেটুকু জমিজমা ছিলো সব টাকার বিনিময়ে লাগিয়েছিলেন অনেক আগেই। আপুর বিয়ে দিতে গিয়ে বাড়িটাও বন্ধক দিয়েছেন গোপন সূএে খবর পেলাম বাড়িটা বন্ধক দিয়েছেন চেয়ারম্যান সাহেবের কাছেই । এই নিয়ে চাচাদের সাথেও তর্কবিতর্ক হয়েছে বহুবার৷ বাড়ি ছাড়ানোর সম্পূর্ণ দায়ভার আব্বারই৷ চেয়ারম্যান সাহেব প্রস্তাব পাঠিয়েছেন আব্বাকে, আমাকে বউ করবেন তিনি। এর বিনিময়ে বাড়ি বিনা পয়সায় ছাড়িয়ে দেবেন। কথাটা শোনামাএই আগুন ধরে যায় আমার মাথায়। কি জঘন্য প্রস্তাব! চল্লিশের কাছাকাছি বয়স, বউ মারা গেছে বছরও গড়ায়নি। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে রয়েছে ঘরে। আমার বয়স বিশ সে হিসেবে দেখতে গেলে বাবার বয়সি লোক। সে কিনা টাকার পরিবর্তে আমায় বউ করে ঘরে তুলতে চাইছে? ঐ লোকটার কথা না হয় বাদই দিলাম। বড় ঘরের ছোট মন-মানসিকতার লোক সে তা আর বোঝার বাকি থাকে না। কিন্তু আমার আব্বা? সে কি করে নিজ সন্তান এর সাথে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে? সে কি করে খুশিতে গদগদ হয়ে ঘটককে কথা দিয়ে দিলো ছোট মেয়েকে তাঁর কাছেই দেবে? একবারও কি প্রয়োজন বোধ করলো না মেয়ের অনুমতি নেওয়ার? একবারো জানতে ইচ্ছে করলো না মেয়ে কি চায়? নিজের অল্প বয়সী শিক্ষিত মেয়েকে অমন বয়স্ক অশিক্ষিত দু বাচ্চার বাবার সাথে বিয়েতে মত দিয়ে দিলো? নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। পড়াশোনা করে শিক্ষিত হচ্ছি ন্যায়, অন্যায়ের প্রতিবাদই যদি না করতে পারি তাহলে এই শিক্ষার মূল্য কি? প্রতিবাদ করলাম আব্বার সাথে। বিনিময়ে কিছু বিশ্রি গালি পেলাম। আর যাই সহ্য করিনা কেনো এই গালি জিনিসটা আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা৷ গ্রামের কিছু অশিক্ষিত বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষরা আর কিছু পারুক না পারুক যে কোন বিষয়ে জিততে না পারলে কিছু বিশ্রি গালি ঠিক আওড়াবে। দূর্বলদের প্রধান অশ্রই হচ্ছে গালি। তাঁরা যখন তর্ক করে যুক্তি তে না পারে তখন গালিকেই প্রধান অস্র হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু বাবা হয়ে মেয়েকে অমন নিকৃষ্ট ভাষায় গালি দেবে? সহ্য করতে না পেরে উচ্চ স্বরে বলে ওঠলাম ‘তুমি বাবা নামের কলঙ্ক’। আব্বা তখন ঝাড়ু হাতে তেড়ে এসে কয়েকটা লাগালো পিঠে আম্মা বাঁধা দিতে এলেই আম্মাকেও ইচ্ছে রকম মারলো। আমি ফেরাতে গেলে কতো যে চড়, থাপ্পড় খেলাম হিসেবের বাইরে। দাদি তাঁর ঘরে মুখে কুলু পেতে বসে রইলো। চাচি ঘরে খিল দিয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নিশ্চুুপ রইলো। ঝগরা,মারামারির সমাপ্তি ঘটিয়ে আব্বা যখন বাজারে চলে গেলেন। আমি তখন ব্যাগ পএ গুছিয়ে আম্মার থেকে বাস,রিকশা ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম শহড়ের উদ্দেশ্যে। আসার সময় আম্মা আদর করে কপালে চুমু খেয়ে বলে দিলেন,
-‘সাবা মা রে যতোদিন বেঁচে আছি যা পারি তা দিয়েই তোরে পড়াশোনা করামু তুই চিন্তা করিস না। অনেক বড় হবি মা অনেক দূর আগাবি তুই দেখিস। আমগোর এই দুঃখ একদিন দূর হবোই ‘।
আমি আম্মার মাথায় হাত বুলিয়ে হাতের উল্টোপিঠে চুমু খেয়ে বললাম,
-‘ আম্মা চিন্তা করোনা এবার গিয়ে টিউশনি করিয়ে হলেও নিজের খরচ নিজে চালাবো তোমাকে আর কষ্ট করতে হবেনা। একটু সাবধানে থেকো আম্মা ঠিকঠাক একটা ব্যাবস্থা হলে নিজের খরচ চালানোর মতো কর্ম পেলে তোমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আপুকে বলো সাবধানে যেনো থাকে ‘।
রাত তখন ১২ঃ৪২ বাজে। বাস থেকে নামতেই নির্মলকে পাই। আমাদের বাস স্ট্যান্ডের এক দোকান থেকেই নির্মলের ফোনে ফোন করে জানিয়েছিলাম। সে সময় মোবাইল ফোন হাতেগোনা কয়েকজন ব্যবহার করতো। আমাদের বাড়ির কারোরি মোবাইল ফোন ছিলো না। যার ফলে দোকান থেকেই ফোন করতে হয় নির্মল কে। মামি বা জেসমিন কেউই ফোন ব্যবহার করে না। মামা জানিয়েছে বিদেশ থেকেই মোবাইল পাঠাবে মামি এবং জেসমিন কে। অতোরাতে ভরসা করার মতো এই শহড়ে নির্মল ছাড়া কাউকে পাইনি আমি। আমার অতি বিপদে, অতি কষ্টের মূহুর্তে যে নামটি সর্বপ্রথম এসেছে সে হলো নির্মল। আমি বড্ড স্বার্থপর সুখের সময় মানুষ টা কে একবার স্মরণ না করলেও দুঃখের সময় হাজারবার স্মরণ করতাম। তখনও জানতাম না আমার সুখ,দুঃখের সবের সঙ্গী হবে শুধুই নির্মল।
আমাকে বাস থেকে নামতে দেখেই ওর ঘর্মাক্ত,চিন্তান্বিত মুখে উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে। এক গাল হেসে এগিয়ে এলো নির্মল। স্বস্তির এক নিঃশ্বাস ফেলে
আমার হাতে থাকা ব্যাগটা নিজ হাতে নিয়ে রিকশা ডেকে বসে পড়লো। আমিও নিঃশব্দে মাথা নিচু করে ওর পাশে বসলাম৷ আম্মার পর দ্বিতীয় কাউকে দেখলাম আমার জন্য এতো উদগ্রীব হতে। রিকশা চলছিলো আপনগতিতে নির্মল ওটা, সেটা প্রশ্ন করছিলো। আমি কিছুরই উত্তর দিচ্ছিলাম না। অবশেষে বাসার সামনে এসে ভাড়া মিটিয়ে আমার দিকে তাকাতেই ওর কিছু খটকা লাগে বোধহয় খানিকটা দৌড়েই বাসার ভিতরে ঢুকে। কিন্তু আমি ওর সামনে পড়তে চাইনি। দেখাতে চাইনি আমার আবেগকে, আমার দূর্বলতাকে,চাইনি দেখাতে আমার দুচোখের অশ্রুপাতকে। গোপন করতে চেয়েছি আমার সব দুঃখ-কষ্টকে কিন্তু পারিনি। পৃথিবীতে বোধ হয় প্রত্যেক মানুষেরই একজন করে ব্যাক্তিগত মানুষ থাকে। যাকে না চাইতেও সব ব্যাক্তিগত কথা বলা হয়ে যায়। নির্মল আমার সেই ব্যাক্তিগত মানুষ। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা শুনে সে কি রাগ ওর৷ আমার দুগালে স্পষ্ট হয়ে ওঠা পাঁচআঙুলের দাগ ওর বুকে যেনো ঝড় বয়িয়ে দিয়েছিলো। ওর চোখ,মুখ ভীষণ রকমের লালচে বর্ণ ধারণ করেছিলো। আমার দু’পা জরিয়ে চিৎকার করে কেঁদেছিলো আমাকে অনুভব করাতে বাধ্য করেছিলো ওর বুকের রক্তক্ষরণ যন্ত্রণাকে। বলেছিলো,
-‘ প্লিজ সাবা আমাকে একটা সুযোগ দাও। আমি নিজে গিয়ে তোমার বাবা,মায়ের সঙ্গে কথা বলবো। প্রয়োজনে আমার পরিবার কেও পাঠাবো। আর ফিরিয়ে দিও না প্রিয় আমি যে আর এই দূরত্ব সইতে পারছিনা৷ পারছিনা দুচোখে তোমার এই আঘাত দেখে সহ্য করতে’।
আবেগে গা ভাসিয়ে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদার কথা থাকলেও সেদিন আমি সেটা করিনি। নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে ফেলি খুব সহজেই। আমার মন পাথরের ন্যায় শক্ত। শক্ত মানুষের পাষাণ মন তো থাকবেই। এই শক্ত মানবির কঠিন হৃদয়ের শাক্ষি সেদিন শুধু নির্মল হয়নি হয়েছিলো- নির্ঝর, জেসমিন এবং মামি। শেষ পর্যন্ত মামিও আমাকে বুঝিয়েছিলো কিন্তু আমি শুধু এটুকুই বলে ছিলাম,
-‘ এই শহড়ে আমি ভালোবাসার মানুষ, নিশ্চিন্ত একটা বুক খুঁজতে আসিনি মামি। অনেক লড়াই করে এ শহড়ে এসেছি আমি। জিতেই ফিরব কাউকে আঙুল তোলার সুযোগটুকুও দেবো না ‘।
আমার সে কথাগুলো শুনে করুন চোখে চেয়ে থাকে নির্মল। অনেকটা সময় পর এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিথর হয়ে একরাশ ব্যার্থতাকে বুকে জড়িয়ে নিজ ঘরে ফিরে যায়। যাওয়ার পর পরই নির্ঝরকে দিয়ে ব্যাথা কমানোর মলম ঠিকই পাঠিয়ে দেয়। গালে পড়া মারের দাগ যে ওর হৃদয়েও দাগ কেটে দিয়েছিলো। হৃদয়ের দাগ ওপেক্ষা করতে পারে নাকি সে? আমাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়নি। নির্মল চাইলেও কখনো জোর করেনি আমার ইচ্ছেকে সর্বদা সম্মান করেছে। বন্ধুত্বের যথার্থ মূল্যায়নও দিয়েছে। পাশে থেকেছে সব সময়। মাঝে মাঝে মাথা নত করে জানিয়েছে মনের কথাগুলো বিনিময়ে পেয়েছে শুধুই অবহেলা। তবুও কমতি রাখেনি কিছুরই না ভালোবাসায় না বন্ধুত্বে৷
.
আমি টিউশনি করিয়ে নিজের খরচ নিজে চালাবো এটা যেনো মানতেই পারছিলোনা নির্মল। কিন্তু আমি যখন আমার আত্মমর্যাদায় অটল এবং পরনির্ভরশীল নই সেখানে ওর আর কিছু করার থাকে না। বরং প্রতিনিয়ত মোহিত হয়ে পড়তো আমার ব্যাক্তিত্বে। এবং নিজেকেও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার জন্য বিচলিত হয়ে গেলো। আমি অন্যের বাসায় গিয়ে টিউশনি করাবো এটা হজম হচ্ছিল না ওর। আবার আমাকে বাঁধা দিতেও পারছিলোনা৷ পুরো তিনদিন চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিলো ছোট, ছোট বাচ্চা দের প্রাইভেট পড়াবে। যদি দেখা যায় বাচ্চা দের পরিমাণ বেড়ে গেছে তাহলে না হয় একটা কোচিং সেন্টার খুলে ফেলা যাবে। অন্যের বাড়িতে গিয়ে টিউশনি না করিয়ে বরং নিজেদের বাসারই একটা রুম বাচ্চা দের পড়ানোর জন্য ফিক্সড করা হবে। ঘুরে ঘুরে বাচ্চা যোগারের দায়িত্ব পড়ে নির্মলের বন্ধু-বান্ধব এবং বড় ভাইদের ওপর। অবশেষে আশেপাশেরই বেশ অনেকগুলো বাচ্চা যোগার হয়ে যায়। টিচার হিসেবে জয়েন করি আমি এবং নির্মল। পাশাপাশি নির্ঝর আর জেসমিনও পড়াতো। শুরু হয়ে যায় পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব। নির্মলের এসব প্রয়োজন ছিলোনা তবুও সে অংশগ্রহণ করেছিলো শুধু আমার জন্য আমাকে আত্মনির্ভরশীল করার পাশাপাশি হয়ে ওঠছিলো নিজেও আত্মনির্ভরশীল। একসময় দেখা গেলো বাবার থেকে নিজের হাতখরচ নেওয়াটাও বাদ দিয়ে দিলো। আমি আশ্চর্য হয়ে সেদিন দেখেছিলাম ভালোবেসে বড়লোকের ছেলেটির ঠিক কতোখানি অধঃপতন হলো। হ্যাঁ সকলের ভাষায় যেটা অধঃপতন আমার ভাষায় সেটা আমার অহংকার।
৬.
এতো ব্যাস্ততার ভীড়ে নির্মল তাঁর এক ঝাঁক গার্লফ্রেন্ডদের ভুলে গেলেও ভুলতে পারেনি আমাকে। পারবে কি করে? তাঁর হৃদয়ে যে সর্বক্ষণই আমার বিচরণ। পড়াশোনা, বন্ধু দের সাথে আড্ডা, বাচ্চা দের পড়ানো, কখনো কখনো ছাদে বাচ্চা দের নিয়ে ক্রিকেট খেলা বেশ যাচ্ছিলো দিনগুলো। নিয়ম করে সকালে দু’ভাই আমার হাতে কফি খেতো। বিকেল বেলা খেতো মুড়ি ভর্তা। আমি যখন কোন কাজ করতাম নির্মল তখন ওর পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টি ফেলতো আমার ওপর৷ খুব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতো আমায়। আচমকা যখন ওর চোখে আমার চোখ পড়ে যেতো ভূবন ভুলানো এক হাসি দিতো এগিয়ে এসে কানের কাছে মুখ এনে সুরেলা গলায় বলতো,
-‘ ওহে প্রিয় একটিবারের জন্যও কি এই অধমের ভালোবাসাকে মান্যতাদান করা যায় না ‘?
প্রশ্নটি শুনতেই আমার থমথমে মুখ ভেসে ওঠতো ওর আঁখিদ্বয়ে। কিছু অনুভূতি থাকে যা কখনোই কোনভাবে প্রকাশ করা যায় না। সময়, পরিস্থিতি, ভাগ্য এতোটাই নিষ্ঠুর হয় যে বহু মানুষের অজস্র আবেগকে,অনুভূতিকে সেই নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়৷ এ পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষ রয়েছে। রয়েছে অসংখ্য মানুষের না বলা কথা,সুপ্ত অনুভূতি। তাঁদের সেই অপ্রকাশিত অনুভূতি সবসময় প্রকাশ পায় না। পরিবারের কথা ভেবে সমাজের কথা ভেবে অনুভূতি গুলোর মৃত্যু ঘটাতে হয়৷ কিন্তু আমি না পারছিলাম মৃত্যু ঘটাতে না পারছিলাম সম্পূর্ণ ভাবে প্রাণ দিতে। এ যেনো গলায় আটকে থাকা কাঁটার মতোন৷ না উগরে ফেলা যায় না গিলে ফেলা যায়। আমার মনের সুপ্ত কোনে চেপে রাখা গভীর সেই অনুভূতি কে হুটহাট খোঁচাতো নির্মল। আর আমার মুখটা হয়ে যেতো বিষন্ন। সেই মুখশ্রী দেখে নির্মলও কেমন হয়ে যেতো৷ নিজেকে কি করে যে সামলাতো, সেই সাথে আমাকেও সামলে নিতো নিখুঁতভাবে৷ হু,হা করে হেসে ওঠতো কখনো পিঠে কিল বসিয়ে দিতো কখনো বা মাথায় একটা গাট্টা মেরে বলতো,
-‘ ওহে পাষণ্ড হৃদয়ের অধিকারীনি, ওহে আমার নির্মল হৃদয় হরণকারীনি। ঐন্দ্রজালিক,একরাশ মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ এই মুখশ্রীর আচমকাই ক্ষুন্ন রূপের অবসান ঘটিয়ে এই অধমকে ধন্য করে দাও প্রিয় ‘।
অসহায় মুখ, করুন দুটো চোখ,ভয়ার্ত হৃদস্পন্দন নিয়ে সুদর্শন পুরুষ টি কবিদের ন্যায় বুলি আওড়াচ্ছে তা দেখে কি রাগী লুক বা বিষন্ন মনে থাকা যায়? হেসে ফেলতাম আমি চোখ পিট পিট করে ও বোঝার চেষ্টা করতো কতোখানি খুশি আমি। আমি তখন ওর কপালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে হিহি করে হেসে ওঠতাম আর ও মাথা চুলকে এলোমেলো দৃষ্টি ফেলতো। আমি এক ভেঙচি কেটে কাজে মন দিতাম৷ বেচারা তখন একহাত পকেটে গুঁজে আরেক হাতে ওটা সেটা ধরতো। কখনো আমার ওড়নার এক কোনা নিয়ে নাড়াচাড়া করতো আর পিছন পিছন ঘুরতো সে সময় ওর মুখটা কি যে ইনোসেন্ট লাগতো বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
চলবে….
ভুলত্রুটি ক্ষমা করে ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন। যাদের বোরিং লাগছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন৷ কমেন্টে বোরিং লাগছে বলে লাভ হবেনা কারন কারো বোরিং লাগা আমি কমিয়ে দিতে পারবোনা গল্প গল্পের মতোই আগাবে। সব গল্প সবার মন ছুঁতে পারে না। এটাই বাস্তব। আর হ্যাঁ আমি একজন স্টুডেন্ট যারা এইচএসসি ব্যাচ ২০২০ ছিলো কেবলমাএ তাঁরাই বুঝবে বর্তমান আমার পরিস্থিতি। তবুও লেখার জন্য সময় বের করে প্রতিদিন ছোট করে হলেও একপার্ট দিব৷