#তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
পর্ব ১৯
নবনী বাসায় এসে চেয়ারে ধপ করে বসে পড়লো। রাবেয়া বেগম মেয়ের জন্য এক গ্লাস লেবুর শরবত বানিয়ে ফ্রিজে রেখেছেন ঘন্টা খানেক আগে।ঠান্ডা শরবতে চুমুক দিতেই নবনীর মন প্রাণ জুড়িয়ে এলো।
মায়েদের কি সুপার পাওয়ার থাকে?কিভাবে বুঝে যায় সন্তানের কখন কোনটা বেশি প্রয়োজন?
নবনীর মন খারাপ হয়ে গেলো আবার। বিয়ের এক বছর পর থেকে নবনী তামিমকে বলতো একটা বেবি নেয়ার জন্য। একটা বাচ্চার জন্য নবনীর মনপ্রাণ উতলা হয়ে থাকতো। বাসায় এতো মানুষ থাকার পরেও নবনীর নিজের বলতে কেউ ছিলো না।কেউ কখনো নবনীকে ডেকে দুটো সুন্দর করে কথা বলে নি।
যা বলেছে তা শুধু কাজের আদেশ আর নবনীর বাবা গরীব হওয়ার জন্য বাজে গালাগালি।
নবনীর ও ভীষণ ইচ্ছে হতো কেউ একজন থাকুক,তার একান্ত আপন কেউ,যার জন্য নবনীর অন্তর পুড়বে।কলিজায় কাঁপন ধরবে। কিন্তু তামিম রাজি হয় নি।নবনীকে বুঝিয়েছে এখন বাচ্চা নিলে অতিরিক্ত খরচ, অতিরিক্ত চিন্তা।তামিম এখনো প্রস্তুত না বাচ্চার জন্য।
তাহেরা বেগমকে তামিম একদিন কথার ছলে বাচ্চার কথা বলতেই তাহেরা বেগম রেগে গেলেন।ধমক দিয়ে তামিমকে বললেন,”গাধার মতো কথা বলছিস কেনো?কতো টাকা বেতন পাস তুই?এই বেতনে সংসার চলবে নাকি তোর বাচ্চার জন্য খরচ করবি?এই শয়তানি বুদ্ধি তোর বউয়ের আমি বুঝেছি।প্রতি মাসে আমাকে টাকা দিস এটা তার সহ্য হচ্ছে না। নিজের হাতে টাকা পাচ্ছে না,বাবার বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছে না।”
নবনী রান্নাঘর থেকে সব শুনতে পেলো। তামিমের বাচ্চা নেওয়ার অনিচ্ছা কেনো ভালো করে টের পেলো নবনী।
মানুষ কতো বিকৃত মনের হতে পারে নবনী তাহেরা বেগমকে দেখে বুঝেছে।সামিম প্রতি মাসে টাকা পাঠায় তামিম টাকা দেয় তাতেও তার চলছে না।একজন রিকশাচালক ও তার বউ বাচ্চা মা বাবা নিয়ে বেঁচে থাকে অথচ এতো টাকা বেতন পেয়েও তামিম সাহস করতে পারছে না মায়ের ভয়ে!
কিছু পুরুষ এমন মেরুদন্ডহীন হয় কেনো?
চেয়ারে হেলান দিয়ে নবনী ছাদের দিকে তাকিয়ে রইলো। এই জীবনে আর মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। এক জীবনে বিয়ের শখ তার মিটে গেছে।
রাবেয়া বেগম মেয়ের পাশে এসে দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন,”মন খারাপ তোর?”
নবনীর কান্না এলো মায়ের এরকম কোমল গলায় কথা শুনে। মায়ের কোমর জড়িয়ে ধরে বললো,”কেনো এমন হলো মা’গো,আমার জীবন কেনো এতো জটিল হলো?
কি অপরাধ করেছি আমি?
যারে এতো ঘৃণা করি তার কথাই কেনো মনে পড়ে যায়?
তামিম আর ওর বউ ও আমি যে অফিসে জয়েন করেছি সেখানে চাকরি করে। ওদের দুজনকে একসাথে দেখলে আমার অন্তর কেনো এতো পোড়ে মা?
আমি তো সব ছেড়ে নিজেই এসেছি তবে কেনো মনকে বশ করতে পারি না মা?মন কেনো আমার কথা শুনে না?”
রাবেয়া বেগম মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন,”তোর মন কি আবারও ওরে ফিরা পাইবার চায়?”
নবনী সাথেসাথে জবাব দিলো,”না মা,কিছুতেই না।কোনোদিন ও না।”
রাবেয়া বেগম মেয়েকে কিছুক্ষণ কাঁদতে দিলেন।তারপর বললেন,”এরকমই হয় রে মা।প্রথম প্রথম এরকমই লাগবো।কইলজা ছিড়া যাওনের মতো কষ্ট অইবো।দম বন্ধ হইয়া আইবো।যাই হোক, এক সময় তো তার লগে সংসার আছিলো। সংসারের একটা মায়া আছে না।তারপর একদিন দেখবি,সব ব্যথা চইল্যা গেছে।পুইড়া পুইড়াই তো সোনা খাঁটি হয়,মন তো সোনার চাইতে মূল্যবান জিনিস রে মা।সে পুড়বো না বুঝি?
এই মনডাই পুড়তে পুড়তে একসময় সহ্য কইরা নিবো সব। চোখের সামনে দেখস সারাদিন এইডা তো ভালোই। হঠাৎ হঠাৎ দেখা হইলে যেই কষ্ট হইতো,এখন দেখবি দেখতে দেখতে আর সেই কষ্ট লাগে না।এক সময় মন নিজেই কইবো আমি ক্যান এর লাইগা কষ্ট পাই,এ তো আমারে কষ্ট ছাড়া কিছু দেয় নায়।
তারপর পায়ের কাছে আইস্যা গড়াগড়ি খাইলেও কোনো কষ্ট লাগবো না,কোনো মায়া অইবো না।
শুধু একটু সময় লাগবো।একটু সময় শুধু।
ক্যান তুই দেহস না,হাত কাইট্টা যাওনের পরে মাইনসের হাতের সেই কাটা ঘাঁ একসময় শুকাইয়া যায়,ব্যথা চইলা যায় শুধু থাইকা যায় কাটা দাগ।তারপর একসময় সেই দাগ ও চইলা যায়।সম্পর্ক ভাঙলে ও এরকমই হয়।এই কাটা দাগের মতো অহন আছে,তারপর একেবারে চইলা যাইবো। “
নবনী মায়ের কথাতে সান্ত্বনা পেলো।তারপর উঠে গেলো নিজের রুমে।ফ্রেশ হয়ে রুমে আসতে আসতে শুনতে পেলো তার ফোন বাজছে।
অচেনা নাম্বার দেখে নবনী প্রথম দুই বার রিসিভ করলো না।
তারপর আবারও কল দেখে রিসিভ করে সালাম দিলো।
ওপাশ থেকে মেঘ বললো, “কেমন আছো নবনীতা? “
নবনী চমকে গেলো। এটা তো মেঘের আওয়াজ।নবনী কেঁপে উঠলো। এই লোক চায় কি?এরকম করছে কেনো তার সাথে বারবার?
নবনী কাঁপাকাঁপা গলায় বললো, “ভালো আছি।কেনো কল দিয়েছেন? “
“কেনো,কল দিতে কি পার্লামেন্টে থেকে অনুমতি নিতে হবে না-কি? “
নবনী বিরক্ত হয়ে বললো, “কি চান আপনি? “
মেঘ মুচকি হেসে বললো, “নবনীতাকে চাই।যাকে দেখে আমার মনের বাগানে বসন্তের কোকিল প্রথম বার ডেকে উঠেছে তাকে আমি আজীবনের জন্য চাই।যেভাবেই হোক।”
নবনী চমকে উঠলো এই সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি শুনে।
ভয়ে কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখলো।হৃদ স্পন্দন বেড়ে গেছে তার কয়েক গুণ।মাথা ঝিমঝিম করছে।
নবনী ফোন অন করলো আধাঘন্টা পর। অন হবার সাথে সাথেই মেঘের কল এলো আবার। নবনী রিসিভ করলো না।
মেঘ টেক্সট পাঠালো একটা, “একবার ডাক দিয়ে দেখো আমি কতোটা কাঙাল,
কতো হুলুস্থূল অনটন আজম্ন ভেতরে আমার। “
নবনীর বুকের ভেতর ঢিপঢিপ করে কাঁপতে লাগলো। নবনী জানে এসব ক্ষনিকের মোহ।প্রেম ভালোবাসা উঁচুতে আর নিচুতে কখনো হয় না।মেঘ যা করছে তা পুরোটাই মজা নিচ্ছে নবনীর সাথে।
নবনী কেঁদে ফেললো।সবাই কেনো তার সাথে এভাবে মজা নিতে আসে?
কেনো সে নিজের মতো করে বাঁচতে পারে না।
মেঘ আবারও টেক্সট দিলো।
নবনী পড়ে দেখলো লিখা,”তোমারে যে চাহিয়াছে,ভুলে একদিন।
সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন”
নবনী রিপ্লে দিলো,”আমার সাথে এরকম ফাজলামো না করলেই আমি খুশি হবো।”
মেঘের ভীষণ রাগ হলো নবনীর এই মেসেজ পড়ে। তার মনে হলো অন্য ছেলেদের মতো যদি নবনীকে সে আসতে যেতে বিরক্ত করতো তবে হয়তো নবনী বিশ্বাস করতো। মেঘ ভেবে পেলো না কিভাবে সে নবনীকে বুঝাবে সে আসলেই তাকে ভালোবাসে।
কখনো কাউকে ভালো না বাসায় মেঘ বুঝতে পারছে না কিভাবে কোনো মেয়ের মন জয় করতে হয়।
অনেক ভেবে চিন্তে মেঘ তার ভার্সিটির বন্ধু শিহাবকে কল দিলো। কলেজ লাইফ থেকে শিহাব সবাইকে প্রেমের টিপস দিয়ে সাহায্য করতো,একসাথে ৩-৪ টা প্রেম করার অভিজ্ঞতা তার আছে।
————–
নিতু ফিরে আসার জন্য বাসে উঠে বসেছে। তখনই রিতু কল দিলো। রিতু নিতুর বড় বোন।
নিতু কল রিসিভ করতেই রিতু বললো,”এতো তাড়াতাড়ি চলে গেলি যে,দেখাও করে গেলি না আমার সাথে। “
নিতু বললো, “আমি অফিস থেকেই চলে এসেছি আপা।কাল আবার অফিস আছে।তামিম আসে নি তাই চলে যাচ্ছি। বাসায় বেড়াতে গেলে তুই চলে আসিস তখন দেখা হবে।”
রিতু উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,”নিতু সব ঠিক আছে তো তোদের?কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো?”
নিতু হেসে বললো, “সমস্যা হলে আমি সেটার মোকাবিলা করার সাহস রাখি আপা।ভয় পাস না।”
নিতু কল কেটে দিলো।
জানালায় হেলান দিয়ে নিতু ভাবছে বাবা মায়ের কথা।
নিতুরা দুই বোন,দুজনেই চাকরি করে। প্রতি মাসের ১ তারিখে বেতন পেলে বাবার হাতে দিয়ে আসে।বাবা নিতে চায় না তবুও দুজনে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যায়।স্কুল টিচার বাবার পেনশনের টাকায় সংসা চলবে না তা দুই বোন জানে।ছেলেরা যদি লেখাপড়া করে,চাকরি করে তাদের বাবা মায়ের দায়িত্ব নিতে পারে তবে মেয়েরা কেনো পারবে না?বাবা মা তাদের এতো লেখাপড়া করিয়েছে,তারা কেনো আজ বাবা মায়ের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে নিজেরা উপার্জনক্ষম হবার পরে?
শুধুমাত্র মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলে?
নিতু রিতু কেউই এই নিয়ম মানে না।রিতু একটা ব্যাংকে চাকরি করে।নিতু চাকরি করে এসএম ইন্টারন্যাশনালে।
নিতু বাসায় ফিরতে দেরি হয়ে গেলো কিছুটা রাস্তায় জ্যাম থাকায়। বাসায় ফিরে দেখে রান্না করা নেই।সকালে করে যাওয়া রান্না শেষ। সবাই হয়তো খেয়ে নিয়েছে।নিতু নিজের জন্য একটা ডিম ভেজে নিলো।তারপর খেয়ে নিয়ে এঁটো বাসন ধুয়ে রুমে যেতে নিতেই তাহেরা বেগম এলেন।নিতুকে মিষ্টি করে জিজ্ঞেস করলেন,”এতো দেরি হলো যে তোমার আসতে। “
নিতু বললো, “বাসায় গিয়েছিলাম।”
তাহেরা বেগম বললেন,”বেতন পাও নি তুমি? “
নিতু বললো,”হ্যাঁ মা,পেয়েছি তো।বেতন দিয়ে আসতেই তো গেলাম বাসায়।”
তাহেরা বেগম তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। গজগজ করে বললো,”তুমি আমার বাসার বউ,বিবাহিতা তুমি।পরের মাস থেকে তোমার বেতনের টাকা তুমি তোমার স্বামীর হাতে তুলে দিবে। নিজের এখন সংসার আছে,সেই সংসারের চিন্তা করো।”
নিতু অবাক হয়ে বললো, “আমার বাবা মা আমাকে লেখাপড়া করিয়েছে,আপনার ছেলে আমাকে লেখাপড়া করায় নি মা।আপনি ও করান নি।তাছাড়া চাকরি আমি আমার যোগ্যতা দিয়ে পেয়েছি আপনার ছেলের সুপারিশে ও নয়।আপনার দুই ছেলে আছে আপনার সংসার চালানোর জন্য। আমার বাবা মায়ের কোনো ছেলে নেই,আমরা দুই বোন আছি।আপনার সন্তানের যেমন দায়িত্ব তার বাবা মায়ের দেখার,তেমনি আমার বাবা মায়ের সন্তানের ও দায়িত্ব তাদের দেখাশোনা করার।আপনার যেমন অধিকার আছে নিজের ছেলেদের অর্থ সংসারে ব্যয় করার,আমার বাবা মায়ের ও অধিকার আছে তেমন মা।আশা করছি এসব নিয়ে আপনার সাথে আর দ্বিতীয় বার আলোচনা করতে হবে না।”
তাহেরা বেগম চিৎকার করে তামিমকে ডাকলো।তামিম বিছানায় শুয়ে ছিলো। মায়ের চিৎকার শুনে বুঝতে পারলো আবারও কোনো ঝামেলা হয়েছে নিতুর সাথে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে এলো। তাহেরা বেগম ছেলেকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন,”তোর বউয়ের কথা শুনছস তুই?তোর বউ কি বলছে শুনছস?তোর বউ থাকবে এখানে,খাবে এখানে,বেতন দিবে না-কি বাবার হাতে?আমার বাড়িতে থাকতে হলে বেতন আমার হাতে দিতে হবে তোর বউকে বলে দিস।”
নিতুর বিস্ময়ভাব কাটলো না।কোনো মানুষ টাকার জন্য এভাবে বলতে পারে তা নিতুর ভাবনাতেও ছিলো না।
নিতু হতভম্ব হয়ে বললো,”তোমার মা এসব কি বলছে তামিম? “
তামিম বিরক্ত হয়ে বললো,”মা,এসব বাদ দাও।”
তাহেরা বেগম চিৎকার করে বললেন,”বাদ দিবো মানে?কি বললি তুই?তাইলে এই মেয়েকে কেনো এই বাসায় বউ করে এনেছি বল?ওর বেতনের টাকা আমার হাতে দিবে না নাকি?আমি কি মেনে নিবো?”
নিতু বিস্মিত স্বরে তামিমকে বললো,”আমার বেতনের জন্য আপনি বিয়ে করিয়ে এনেছেন আমাকে?আমি এতটা ও পাগল হই নি যে আপনার কথার ভয়ে আপনার হাতে আমি বেতন তুলে দিবো।”
তাহেরা বেগম বললেন,”হ্যাঁ বেতনের জন্যই। তুমি কিনা ২৫ হাজার টাকা বাবা মা’কে দিয়ে এলে!”
নিতু অট্ট হাসতে ভেঙে পড়লো। তারপর বললো,”আপনি যদি ভেবে থাকেন আমার বেতনের টাকা আমি আপনাকে দিবো,তাহলে ভুল ভাববেন।আমি নিতু দরকার হলে আপনার বাসা ছেড়ে যেতে দ্বিতীয় বার ভাববো না,তবুও আপনার এই ইচ্ছে কিছুতেই পূর্ণ হবে না মা।আমার বাবা মায়ের আমরা দুই বোন ছাড়া আর কেউ নেই,যতোদিন আমার বাবা মা আছে,আমার বেতনের টাকা তাদের হাতেই তুলে দিবো।”
তাহেরা হিসহিসিয়ে বললো,”সে কিভাবে আদায় করতে হয় আমি জানি।”
নিতু হেসে বললো, “দেখুন না চেষ্টা করে পারেন কি-না। “
তাহেরা নিতুর চুল ধরার জন্য এগিয়ে গেলো, মুহুর্তেই নিতু বাঘিনীর মতো তেড়ে এসে তাহেরার হাত মুচড়ে ধরলো। নরম স্বরে বললো, “আমাকে পুতুল ভাববেন না যে যেভাবে নাচাবেন সেভাবে নাচবো। আজ হাত আস্ত রেখেছি,পরের বার আর আস্ত থাকবে না।”
তাহেরা বেগম ব্যথায় অধৈর্য হয়ে হাত ছাড়িয়ে বললেন,”বেয়াদব মেয়ে কোথাকার, মুখে মুখে তর্ক করছে আমার সাথে।আমার সাথে হাতাহাতি করছে।এর চাইতে তো বউ হিসেবে নবনী ভালো ছিলো। “
নিতু থমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “নবনী?নবনী কে?”
তামিম মায়ের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো। তাহেরা বেগম কথা না বাড়িয়ে রুমের দিকে চলে গেলো। তামিম মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। নিতু বজ্রাহতের মতো তাকিয়ে রইলো তামিমের দিকে।
নিতু কল্পনাতেও ভাবতে পারে নি সামনের দিনে তাহেরা কতোটা উগ্র হবে সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য।
তাহেরা ও হয়তো ভাবে নি তার সব আশার প্রদীপ নিতু এক ঝোড়ো হাওয়ার মতো নিভিয়ে দিবে।
চলবে………
রাজিয়া রহমান