তুমিঅন্যকারোসঙ্গেবেঁধো_ঘর (৩০)
বাহিরে হিমহিম ঠাণ্ডা, কুয়াশার হালকা আস্তরণ। পাতলা কাঁথা গায়ে দিয়ে তামিম আরাম করে ঘুমিয়েছিলো।
তামিম ঘুম থেকে উঠে নিজেকে তাহেরা বেগমের রুমে দেখে অবাক হলো।যতোদূর মনে পড়ে তার,সে বাহিরে ছিলো।বাসায় আসলো কখন তাহলে?
মাথার ভেতর কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে তামিমের,সারা শরীর ভীষণ হালকা অনুভব হচ্ছে।বহু পরিশ্রমের পর শান্তির ঘুম হলে শরীর যেমন ঝরঝরে হয়ে যায় তেমন লাগছে।
আড়মোড়া ভেঙে তামিম বের হলো মায়ের রুম থেকে।বাহিরে এসে দেখে ফ্লোরে নিতু বসে আছে পাথরের মূর্তির মতো।ফোলা ফোলা দুই চোখ,এলোমেলো চুল,পরনে এলোমেলো শাড়ি।ক্লান্ত,বিধ্বস্ত নিতুকে দেখাচ্ছে জীবন যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকের ন্যায়।
সারারাত নিতু এখানে বসে ছিলো। সামিম তামিমের সাথে শুয়েছিলো।সকালে উঠে এসে সোফায় বসেছে। সামিম বুঝে উঠতে পারছে না কাকে দোষ দিবে?
এতোদিন নিতুকে সে খারাপ ভাবতো,কিন্তু এখন সামিম বুঝতে পারছে সবচেয়ে বেশি নিতু ঠকেছে।অন্ধ ভালোবাসার পুরষ্কার এমনভাবে পেয়েছে বেচারা যে তার কাছে দিন রাত সব এক হয়ে গেছে।
তামিম এসে জিজ্ঞেস করলো,”তুই বাসায় এলি কখন?তোর ভাবী এভাবে বসে আছে কেনো?”
সামিম মুচকি হেসে বললো,”আমি পরশু এসেছি ভাইয়া।”
তামিম বুঝতে পারলো দুই দিন সে বাসায় আসে নি।কিছুটা লজ্জা পেলো তামিম।সেদিন নবনীর হাতের থাপ্পড় খেয়ে তামিমের মাথায় রক্ত উঠে গেছে।নিজের রাগ,ক্ষোভ সামলাতে না পেরে ঘৃণ্য জায়গায় যেতেও বিবেকে বাঁধে নি।
আড়চোখে নিতুর দিকে তাকালো তামিম।তারপর সামিমকে বললো,”ও এভাবে বসে আছে কেনো?”
সামিম হেসে বললো,”যার স্বামী প্রাক্তন স্ত্রীর হাতে মার খেয়ে পরনারীর কাছে যায়,মদে চুর হয়ে বাসায় আসে,মাতাল হয়ে নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর নাম ধরে ডাকে বর্তমান স্ত্রীর সামনে।সে আর কিভাবে থাকবে ভাইয়া?তার ভালোবাসা যখন প্রশ্নবিদ্ধ তখন তার অবস্থা কেমন হবে?”
তামিম চোখ রাঙিয়ে সামিমকে ইশারা করলো নিতুর সামনে এসব না বলার জন্য।সামিম হাসলো ইশারা বুজবতে পেরে।তারপর বললো,”এখন কেনো ভয় পাও ভাইয়া?কাল যখন নিজেই সব বলে দিয়েছো,নবনী,নবনী করে হেসেছো,কেঁদেছ তখন তো ভাবো নি ওনার কি হবে!
এই মেয়েটাকে যখন ঠকিয়ে বিয়ে করেছ,তখন কেনো ভাবো নি যেদিন এই মেয়েটা সব সত্যি জানতে পারবে তখন কেমন করে ভেঙে গুড়িয়ে যাবে এর সমস্ত ভালোবাসা,বিশ্বাস?
এর জীবন নরক করে দেয়ার আগে কেনো ভাবো নি ভাইয়া?ভাবী সব জেনে গেছে ভাইয়া,কি লুকাতে চাও আর?আর কতোদিন লুকিয়ে রাখতে?”
তামিম চমকে গেলো সামিমের কথা শুনে।নিতু বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো,তারপর রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। বাহিরে থেকে তামিম দরজা ধাক্কাতে লাগলো বারবার। চিৎকার করে বলতে লাগলো, “নিতু আমার কথা শোনো,আমাকে ব্যাপারটা এক্সপ্লেইন করতে দাও অন্তত। প্লিজ নিতু,একবার দরজা খোলো।আমি জানি আমি ভুল করেছি,আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
তামিমের চিৎকার শুনে তাহেরা বেগম উঠে এলো।তাহেরা বেগম বিরক্ত হয়ে বললেন,”মেয়ে মানুষের এতো তেজ কিসের আবার?বিয়ে তো আমরা জোর করে করাই নি।নিজেই তো পাগল হয়ে গেছে আমার ছেলেকে বিয়ে করার জন্য।এখন এতো নাটক দেখায় কেনো?”
সামিম হেসে বললো,”তোমার ছেলেকে ভালোবেসে মেয়েটা পাগল হয়ে গেছে মা,তাই সে কোনো খোঁজ খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করে নি।দোষ তোমার ছেলের।সে সত্যি গোপন করে মেয়েটাকে ঠকিয়েছে।”
তাহেরা বেগম ধমকে বললেন, “তুই চুপ কর।ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলিস বসে বসে,বেয়াদব ছেলে।”
সামিম বললো,”এই বেয়াদবিটা যদি আগে করতে পারতাম তবে হয়তো এই মেয়েটার জীবন এভাবে নষ্ট হতো না মা।আফসোস, আমি আগে জানতাম না মেয়েটা যে এসব ব্যাপারে কিছুই জানে না।”
নিতু বের হলো ৪৫ মিনিট পরে।পরনের শাড়ি চেঞ্জ করে সুতি একটা থ্রিপিস পরে,লাগেজ গুছিয়ে নিতু বের হয়ে এলো।কারো দিকে না তাকিয়ে সোজা হাটতে লাগলো। তামিম ছুটে গিয়ে হাত চেপে ধরলো।ব্যস্ত হয়ে কিছু বুঝানোর চেষ্টা করলো নিতুকে।নিতু হঠাৎ করে একটা অদ্ভুত কাজ করলো।
একদলা থুথু তামিমের মুখের উপর মে/রে বললো,”তোর এই নর্দমার চেহারা আমাকে আর দেখাবি না।যদি কখনো আমার সামনে আসিস,তবে সেদিন তুই আমার হাতে খু/ন হয়ে যাবি।”
সবাইকে হতবাক করে দিয়ে নিতু বের হয়ে গেলো বাসা থেকে।তাহেরা বেগমের এক মিনিট লাগলো ব্যাপারটা বুঝতে। বুঝার পর তাহেরা বেগম ছুটে গেলেন নিতুকে ধরতে।তার আগেই নিতু লিফটে উঠে গেলো। তাহেরা বেগম আক্রোশে বাসায় এসে একটা ফুলদানী ভেঙে ফেলল।
সামিমের গলা চেপে ধরে বললো,”শান্তি পাইছস তুই?এইটা ও আমার দেখার বাকি ছিলো?
জানো/য়ার তোর এসব উষ্কানির জন্য ওই ফকিন্নির ঘরের মাইয়া আমার ছেলেরে এভাবে অপমান করে গেছে।আমি ও এর শেষ দেখে ছাড়মু।ওই মাইয়ারে আমি মজা দেখামু।”
সামিম তাহেরা বেগমের হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বললো,”তোমার আরো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে মা।তোমার পিরিতির দিশাকে যেদিন আমি দুই লা/থি দিয়ে বের করে দিবো সেদিন তুমি আসল মজা পাবা।”
তাহেরা বেগম হতভম্ব হয়ে গেলেন।
সামিম উঠে চলে গেলো রুমে।তারপর বেরিয়ে এলো নিজের ওয়ালেট,ব্যাগ নিয়ে।কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে চলে গেলো বাসা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। তামিম হতভম্ব হয়ে রইলো পুরো ব্যাপারটায়।
কিছুক্ষণ পর তামিমের হুঁশ এলো নিতু তাকে অপমান করে বাসা থেকে চলে গিয়েছে।তামিম ভীষণ আশ্চর্য হলো এই ভেবে যে এতে তার একটুও খারাপ লাগছে না।বরং নিজেকে স্বাধীন মনে হচ্ছে ভীষণ। নিতু নেই মানে তামিমের একটা পিছুটান নেই।নবনীকে আর একবার ফিরে পাবার চান্স রয়েছে।
বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠলো নবনীর কথা ভাবতেই।মনে মনে তামিম বললো,”জীবন থেকে সবাই হারিয়ে যাক নবনী,তবুও তোমাকে আমার চাই।তোমার জন্য উন্মাদনায় মেতে আজ আমি নিতুকে হারিয়েছি তাতে আমার মোটেও আফসোস নেই তবুও আমি তোমাকে চাই।তার জন্য যা করা লাগে আমি করতে রাজি। “
তাহেরা বেগম ছেলের পাশে বসে বললেন,”মন খারাপ করবি না বাবা তুই।এরকম কতো মেয়ে তোর পায়ের কাছে এসে গড়াগড়ি খাবে দেখিস।আমি তোকে আরো ভালো জায়গায় বিয়ে করাবো।”
তামিম রেগে গিয়ে বললো,”আর কতো?আর কতো তোমার হাতের পুতুল বানিয়ে রাখবে আমাকে? আমার নিজেকে মানুষ বলে মনে হয় না।মেরুদন্ডহীন পুরুষ আমি।যার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তোমার পাল্লায় পড়ে আমার নবনীকে ছেড়ে দিয়েছি।এখন বুঝতে পারছি নবনীকে ছাড়া আমার কিছুতেই চলবে না।সোজাসাপটা একটা কথা শুনে রাখো মা,বিয়ে করে আমি আবার নবনীকে আনবো।তোমার থেকে আমার জীবন নিয়ে আর একটা উপদেশ ও আমি শুনতে চাই না।আমার জীবনটা তুমি নষ্ট করে দিয়েছ নিজের লোভ মিটাতে গিয়ে।”
তাহেরা বেগমকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তামিম নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো।তাহেরা বেগম সাপের ন্যায় ফুঁসতে লাগলেন।ওই ছোটলোকের মেয়ে নবনীর উপর এখনো ছেলের মন পড়ে আছে তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পান নি।
সাত সকালে নিতুকে দেখে রেবেকা ভীষণ অবাক হলেন।বরকত সাহেব মেয়েকে দেখে এগিয়ে এসে বুকে টেনে নিলেন।তারপর জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছিস তুই?”
নিতু কান্নার জন্য কথা বলতে পারলো না।রেবেকা বেগম ও গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন।কাঁদতে কাঁদতে নিতু বেহুঁশ হয়ে গেলো। বরকত সাহেবের মুখ রক্তশূণ্য হয়ে গেলো। রেবেকা মেয়ের মাথায় তেল পানি দিলেন,মুখে পানির ছিটা দিলেন।
কিছুক্ষণ পর নিতু উঠে বসলো। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,”আমি একেবারে চলে এসেছি বাবা।তামিমকে যতো শীঘ্র সম্ভব আমি ডিভোর্স দিতে চাই।”
বরকত সাহেব মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,”আচ্ছা ঠিক আছে মা।জীবন তোর,সিদ্ধান্ত ও তোর।তুই আগে সুস্থির হয়ে নে।তারপর কি হয়েছে সব খুলে বল।”
নিতু এক গ্লাস পানি খেয়ে বললো,”তামিম আমাকে ঠকিয়েছে বাবা।তামিম আগে একটা বিয়ে করেছে।নবনী নামের একটা মেয়েকে।তারপর আমার সাথে সম্পর্ক হবার পর তামিম,তামিমের মা আমার চাকরির লোভে পড়ে ওই নিরীহ মেয়েটাকে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে।
তামিম আমাকে মন থেকে ভালোবাসে নি বাবা।আমাকে হয়তো ওর ভালো লাগতো। সেটাকে ও ভালোবাসা ভেবে নিয়েছে।কিন্তু এখন যতো দিন যাচ্ছে ও বুঝতে পারছে ও আসলে আমাকে কখনো ভালোবাসতে পারে নি।এভাবে সংসার হয় না তো বাবা।আমি তো ওকে নিজের সবটা দিয়ে ভালোবাসি।সেখানে ওর সবটা জুড়ে আমি নেই।আমি এসব নিতে পারছি না বাবা।আমার যতোবারই মনে হচ্ছে আমার জন্য একটা মেয়ের সংসার ভেঙে গেছে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।
আর যতোবারই মনে হচ্ছে আমার সত্যিকার ভালোবাসার দাম তামিম দিতে পারে নি আমার ততবারই নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে।আমি সত্যিই ভালোবাসি ওকে,কেনো এভাবে ঠকালো আমাকে?”
বরকত সাহেব মেয়ের কষ্ট অনুভব করতে পারলেন।বেঁকে বসলেন রেবেকা বেগম। মুখ অন্ধকার করে বললো,”বিয়ে ছেলেখেলা নয় নিতু।সমাজে আমাদের একটা সম্মান আছে।সবাই যখন জানবে তোর ডিভোর্স হয়ে গেছে,আমরা মুখ দেখাতে পারবো না।তাছাড়া, তামিম আগে যদি বিয়ে করেও থাকে তাকে এতো হাইলাইট করার কি আছে?এরকম তো অহরহ হচ্ছে। সব মেয়ে কি তাই বলে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসে না কি?
একটা ভুল করে ফেলেছে তাকে ক্ষমা করে দিলেই তো হয়।সব কিছুকে এতো বড় করে দেখতে নেই।”
বরকত সাহেব অবাক হয়ে বললেন,”কি বলছ তুমি এসব?এই তোমার শিক্ষা রেবেকা?আমার মেয়েকে ওরা ঠকিয়েছে।একে তো সত্যি গোপন করে বিয়ে করেছে,তারপর আমার মেয়ে ওর স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সেই ছেলে অন্য একটা মেয়েকে চাচ্ছে।
যেখানে আমার মেয়ের এতো বড় অপমান হয়েছে সেখানে আমার মেয়ে আবারও ফিরে যাবে?”
রেবেকা ঠান্ডা গলায় বললো,”হ্যাঁ যাবে।না গিয়ে কি করবে? ডিভোর্সি মেয়েকে তুমি ঘরে রেখে কি করবে?
লোকে হাসাহাসি করবে।রিতুর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা শুনলে মেয়েকে অপদস্থ করবে,রিতু শুনলেও রাগ হবে।তাছাড়া এই সমাজে ডিভোর্সি মেয়েদের কতো দোষ তুমি জানো?বিয়ে দিতে পারবে মেয়েকে?”
নিতু মায়ের কথা শুনে ভীষণ চমকালো।এই কাকে দেখছে সে?এই কি তার আপন জন্মদাত্রী মা?
শিক্ষিত একজন মানুষ হয়েও তিনি এরকম মানসিকতা ধারণ করেন?
মেয়ের এই নাজুক অবস্থায় মেয়েকে সাপোর্ট না দিয়ে উল্টো মেয়েকে কথা শোনাচ্ছেন?
শিক্ষিত হলেই যে কেউ প্রকৃত মানুষ হতে পারে না তার আবারও প্রমাণ পেলো নিতু।
মানুষ হতে গেলে মানবিকতা দরকার হয়।সবাই কি এক রকম হয়?আমাদের সমাজে এরকম কতো বাবা মা আছেন,যারা মনে করেন মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংসার করে যাওয়াটাই হচ্ছে জীবনের মূল উদ্দেশ্য। সেখানে স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে মনের মিল থাকুক আর না থাকুক।লোক দেখানো সম্পর্ক থাকলেই হলো।ভেতরে ভেতরে দুটো মানুষ যে দুই মেরুর অধিবাসী হয়ে যায়,তাদের কাছে সম্পর্ক শব্দটা হয়ে যায় সম্পূর্ণ ঠুনকো তা কে জানে?
চলবে……………
রাজিয়া রহমান
বি দ্র:১(একটা কথা বলি, আপনাদের যাদের মনে হয় যে আমি বাংলা সিনেমা লিখছি,অপ্রয়োজনীয় মেসেজ দিচ্ছি গল্পের মাধ্যমে, তাহলে প্লিজ গল্পটা আপনারা পড়বেন না।অনুরোধ রইলো আমার গল্পটা ইগনোর করার।
আর যদি পড়েন তবে প্লিজ এই রকম মন্তব্য গল্পটা সম্পূর্ণ শেষ হলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে করবেন। আপনাদের এরকম ১/২ টা কমেন্ট দেখলে মন ভেঙে যায়। এটা আমার লিখা প্রথম গল্প,তাই একটু ইমোশন বেশি কাজ করে। সমালোচনা অবশ্যই করার অধিকার আছে আপনাদের,তবে সম্পূর্ণ গল্প পড়েই করবেন।মাঝখানে থেকে এ ধরনের কথা বলে মানসিক ভাবে আহত করবেন না প্লিজ।)
বি দ্র:২(সব সময় একটা পর্বে সবাইকে নিয়ে লিখা সম্ভব হয় না।এই ব্যাপারটা আপনারা কেনো বুঝতে পারেন না আমি বুঝি না।যখন যেই ক্যারেক্টার ইমপোর্টেন্ট তখন তাদের আনা হয়।আমাকে প্লিজ আমার মতো লিখতে দিন।)