তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো_ঘর (৩৩)
ছোটবেলা থেকেই মেঘ সিরিয়াস টাইপের মানুষ। লেখাপড়া, মিউজিক,অফিস সবকিছুতেই নিজের সিরিয়াসনেস দেখিয়েছে। ছেলের এই গুণের জন্যই শফিক আহমেদ ছেলের উপর ভীষণ সন্তুষ্ট।
তিনি এটুকু বিশ্বাস করেন,তার ছেলে অন্তত ভুল কিছু করবে না।
ভালোবাসার ক্ষেত্রেও যে মেঘ ভীষণ সিরিয়াস হবে তা শফিক আহমেদের কাছে অজানা নয়।সারারাত শফিক আহমেদ ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে গেছেন মাসুমা বেগম কি এমন চাইতে পারে ছেলের কাছে!
স্ত্রীকে তিনি চিনেন,চঞ্চল,অস্থির স্বভাবের ভীষণ নরম মনের মহিলা তিনি।কখনো স্বামীর কাছে এমন আবদার করেন নি যা অশোভন অথবা যা চাইলে শফিক আহমেদ দিতে পারবেন না।সবার সাথে সহজে মিশে যাবার এক অদ্ভুত ক্ষমতা মাসুমা বেগমের আছে।স্বচ্ছ কাঁচের ন্যায় একটা মন আছে তার।
যে কারো বিপদের খবর শুনলে মাসুমা বেগম অস্থির হয়ে পড়েন।নিজের একাউন্টের সব টাকা অসহায়, গরীব,এতিমে পিছনে ব্যয় করতে কখনো দুই বার ভাবেন না।
শফিক আহমেদের ভীষণ ভয় হলো স্ত্রীর এরকম সিরিয়াস টাইপ কথা শুনে।সবার সামনে যদি তিনি এমন কিছু চেয়ে বসেন যা ছেলের পক্ষে অসম্ভব, তখন শফিক আহমেদ কাকে সামলাবেন?
আর ভাবতে পারছেন না তিনি।বিছানা থেকে উঠে গিয়ে অযু করে তাহাজ্জুদ নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন।খোদার দরবারে দুই হাত তুলে কেঁদে বললেন,”সব কিছু তুমি সহজ করে দাও আল্লাহ।ছেলের আর ছেলের মায়ের মধ্যে যেনো কোনো ঝামেলা না হয়।তুমি তো সর্বোত্তম ফয়সালাকারী।”
আজকের দিনটি অন্যদিনের মতো রঙ্গিন মনে হচ্ছে না মেঘের।কেমন গুমোট ভাব যেনো চারদিকে।মন খারাপ করা রোদ উঠেছে মেঘের মনকে আরো বিক্ষিপ্ত করে দিতে।মেঘ বের হয়ে নিচে গিয়ে দেখে ইতোমধ্যে আত্মীয়রা সবাই এসে হাজির হয়েছে। চাচাতো, মামাতো,খালাতো,ফুফাতো ভাইবোন সবাই এসে হাজির।চাচী,মামি,খালা,ফুফুরা সবাই মিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে।সবাই আড্ডায় ব্যস্ত।কেউ চা খাচ্ছে,কারো হাতে কফির মগ,কেউ লাচ্ছি,কেউ শরবত।কেউ সোফায় গুটিসুটি মেরে বসে আছে,কেউবা চিৎ হয়ে শুয়ে আছে।কেউ ফ্লোরে শুয়ে সোফায় পা তুলে রেখেছে।একদল ব্যস্ত সেলফি তোলায়।শফিক আহমেদ আর মাসুমা বেগমের বিবাহবার্ষিকীর জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে।কেননা,প্রতিবছর এটাই হয় সবার মিলন মেলা।মেঘ চারদিকে তাকিয়ে শিমলাকে খুঁজলো।সবাই এসে হাজির শিমলা ছাড়া।
মেঘের কেমন যেনো বুকের ভেতর চিনচিন করে উঠলো শৈবালকে দেখে। অন্য সময় হলে মেঘ নিজে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তো দলের মধ্যখানে।মেঘকে দেখে কয়েকজন হৈহৈ করে ছুটে এলো।মেঘ মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করলো।
শৈবাল এগিয়ে গিয়ে মেঘকে জড়িয়ে ধরে বললো,”কি রে,আমাকে ইগনোর করছিস মনে হচ্ছে?”
মেঘ হেসে বললো, “না,ইগনোর কোথায়।কেমন আছিস?চাকরি কেমন চলে?”
শৈবাল ফিসফিস করে বললো,”মাম্মা,কাহিনী তো ঘটে গেছে অন্যখানে।তোর সাথে দেখা করন আমার জন্য মনে কর একেবারে ফরজ হয়ে গেছে।আমি তো মাম্মা ঝামেলায় জড়িয়ে একেবারে ছ্যাড়াবেড়া অবস্থা। আম্মা তো গতকাল সকালে ছোট আম্মারে নিয়ে গিয়ে একটা মেয়ে দেখে আসছে। মেয়ের ছবি এনে আমারে দেখাইলো।প্রথমে আম্মা রাজি হয় নি,মেয়ে ডিভোর্সি শুনে।পরে কি হলো কে জানে,আম্মা এখন ওই মেয়ের সাথেই নাকি আমার বিয়া দিবো।কিন্তু কাহিনী হলো গিয়ে,আমি তো আরেকজনরে ভালোবাসি।মনে কর,আমার এই যে দিল আছে না,দিলের পুরোটা আমি তারে দিয়ে দিছি।এখন তুই আমারে বাঁচা।আমার মুশকিলের আসান মাম্মা তুই শুধু।”
মেঘের মুখ ২০০ ওয়াটের লাইটের মতো উজ্জ্বল হয়ে গেলো শৈবালের অন্য মেয়ে পছন্দ আছে শুনে।শৈবালকে জড়িয়ে ধরে বললো,”তুই কোনো চিন্তাই করবি না।তোর পছন্দ করা মেয়েটার পরিবারে কথা বলছস তুই?ওরা জানে?”
শৈবাল মাথা চুলকে বললো,”সেখানেও তো মাম্মা আরেক কাহিনী। মনে কর ওর বাপ,ভাই খুবই প্রভাবশালী লোক।ওরা তো সহজে রাজি হইবো না।ভয়ে এখনো ওর পরিবারে জানাতে পারি নি।”
মেঘ শৈবালের কাঁধ চাপড়ে বললো,”দূর,এসব কোনো ব্যাপারই না।আমি আছি তো।ওর বাবা,ভাইয়ের সাথে আমি কথা বলবো।১ সপ্তাহের মধ্যে তোর বিয়ে দিবো।”
শৈবাল মেঘের হাত চেপে ধরে বললো,”প্রমিস?”
মেঘ বললো,”প্রমিস,প্রমিস,প্রমিস।মেয়ের নাম কি বল,বাবা,ভাইয়ের নাম বল।মেঘ তোরে কথা দিছে।দুনিয়া উলটে যাবে মেঘের প্রমিস এদিক সেদিক হবে না।”
শৈবাল রিল্যাক্স মুডে বললো,”মেয়ের নাম মেঘলা আহমেদ,বাবার নাম শফিক আহমেদ,ভাইয়ের নাম মেঘালয় আহমেদ।”
মেঘের মনে হলো সে কানে ভুল শুনছে।শৈবালকে আবার জিজ্ঞেস করতেই শৈবাল রোবটের ন্যায় রিপিট করে বললো।
হতভম্ব মেঘ প্রথমে বুঝতেই পারলো না ব্যাপারটা। তারপর বুঝতে পারতেই হাহা করে অট্টহাসিতে ভেঙ্গে পড়লো। শৈবালের কান টেনে বললে,”এজন্যই তো বলি মেঘলা হঠাৎ গতরাতে নিজেই বিয়ের কথা কেনো বললো।তলে তলে এতোদূর!
শা/লা,আমার বোনের সাথে লাইন করে নিয়ে আমাকে দিয়েই প্রমিস করিয়ে নিলি।”
শৈবাল হাসলো।হেসে বললো,”মেঘ,আমি মেঘলাকে ভীষণ ভালোবাসি রে।হতে পারে আমি তোদের মতো এতো বিলাসিতায় মেঘলাকে রাখতে পারবো না।হতে পারে মেঘলার এখনকার লাইফ স্টাইল তখন চেঞ্জ হয়ে যাবে।কিন্তু একটা ব্যাপারে আমি গ্যারান্টি দিতে পারি,মেঘলার প্রতি আমার ভালোবাসা আজীবন একই রকম থাকবে।তা কখনো চেঞ্জ হবে না।আমার ভালোবাসায় কোনো কমতি থাকবে না।আমি বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে ফেলেছি।আমাকে ফিরিয়ে দিস না।আমি আর মেঘলা কেউই সুখী হবো না তাহলে।”
মেঘ শৈবালকে জড়িয়ে ধরে বললো,”মেঘলা আমার বোন,আমার কলিজার টুকরো ও।ওকে আদর ভালোবাসা দিতে আমরা কখনো কার্পণ্য করি নি।সবসময় চেয়েছি আমার ভালোবাসার পুতুলটাকে এমন কারো হাতে তুলে দিবো যে কখনো ওকে ভালোবাসতে কার্পণ্য করবে না।যার কাছে আমার বোনের হাসিমুখের সামনে সারা পৃথিবীর সুখ তুচ্ছ হয়ে যাবে।তোর চাইতে বেটার অন্য কেউ হবে না মেঘলার জন্য।তুই ভাবিস না,আমি বাবা মা’কে ম্যানেজ করে নিবো। “
শৈবাল হেসে বললো,”আমি জানতাম মাম্মা,তুমি ছাড়া আমার এই বিপদে কেউ সাহায্য করবে না।”
শিমলা এলো আরো কিছুক্ষণ পরে।নীড়ের পরনে একটা শেরোয়ানি।নীড় এগিয়ে এসে গম্ভীর স্বরে শফিক আহমেদকে বললো, “বুঝলে নানুভাই,আজকের অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্রবিন্দু কিন্তু আমি।আমাকে আমার ডার্লিং বলেছে আমাকে নিয়েই কেক কাটবে।বুড়ো শফিক আহমেদকে কোনো পাত্তাই দিবে না।”
শফিক আহমেদ নীড়কে কোলে তুলে নিয়ে বললো, “ওকে ডিয়ার,তোমার ডার্লিং কে বলে দিও এক মাঘে শীত যায় না।আগামী বছর ইনশাআল্লাহ আমি ও আমার ছেলের ঘরের নাতনিকে নিয়ে কেক কাটবো।তোমার ডার্লিং তখন আউট হয়ে যাবে আমার লাইফ থেকে।”
নীর শফিক আহমেদকে খামচি দিয়ে বললো,”নো,নো,তখন আমার ডার্লিং দুইজন হবে।ও তোমার ডার্লিং হবে না,আমার হবে।”
শফিক আহমেদ হাসতে লাগলেন নীড়ের কথা শুনে।
মেঘ শিমলাকে একপাশে টেনে নিয়ে বললো,”আপা,মা কি কাল অথবা আজ তোর সাথে কোনো পরামর্শ করেছে?মা’র প্ল্যান কি জানিস কিছু?”
শিমলা আড়মোড়া ভেঙ্গে বললো, “সর এখান থেকে,এসেছি একটু আনন্দ করতে তুই আসছিস আমার সাথে ষড়যন্ত্রের আলাপ করতে।মামীর সাথে দীর্ঘদিন আমার কথা হয় না।আমি কিছুই জানি না।”
মেঘ ভ্রু কুঁচকে বললো, “সত্যি জানিস না?”
শিমলা আগের মতো নির্বিকার থেকে বললো,”না জানি না।”
মেঘের বিশ্বাস হলো না।কিছুক্ষণ শিমলার দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,”মা’র সব আবদার আমি মেনে নিবো আপা,তবে মনে রাখিস নবনীতাকে নিয়ে আমি কারো সাথে আপোষ করবো না।এই একটা ব্যাপারে আমি আপোষহীন,পুরো পৃথিবী আমার বিপক্ষে যাক তবুও আমার নবনীতাকে আমার চাই-ই চাই।আমি সারা পৃথিবী তছনছ করে দিবো যদি মা আমার কাছে এরকম কোনো অন্যায় আবদার করে।”
মেঘের লাল টকটকে মুখের দিকে তাকিয়ে শিমলার ভীষণ হাসি পেলো। একটা ছেলে কারো প্রেমে পড়লে কেমন শান্ত হয়ে যায় আবার কোনো বিপদে কেমন উগ্র হয়ে যায় মেঘ তার স্পষ্ট প্রমাণ। শিমলা মুগ্ধ হয়ে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো।এই তো তার সেই ভাই যে কিনা কোনো মেয়ে তাকে প্রপোজ করলে কেমন বিরক্ত হতো।অথচ সেই আজ একটা মেয়ের প্রেমে পড়ে নিজের স্ট্যাটাস,নিজের অবস্থান সব ভুলে কেমন ক্রেজি হয়ে গেছে।
শিমলা কঠোর হয়ে বললো, “ছি মেঘ!এই তোর শিক্ষা?তুই ওনাদের একমাত্র ছেলে।তোর কাছে ওনাদের এক্সপেকটেশন থাকতেই পারে।মামীর যদি সত্যি এরকম চিন্তাভাবনা থাকে তবে তোর উচিৎ সেটা মেনে নেওয়া।জীবনে এরকম কতো মেয়ে আসবে,বাবা মা কি আসবে আর?”
মেঘ হতভম্ব হয়ে বললো,”ট্রিপিক্যাল বাঙ্গালি মহিলার মতো কথা বলছিস কেনো আপা তুই?তোর থেকে এরকম কথা এক্সপেক্টেড না আপা।তুই তো জানিস নবনী আমার জীবনে কি?বাবা মা’কে তো আমি অস্বীকার করছি না।কিন্তু তাই বলে নিজের ভালোবাসা,যাকে নিজের স্বত্তা হিসেবে জানি তাকে অস্বীকার করবো?সরি আপা,আমি সেই মানুষ না।”
শিমলার সাথে কথা না বাড়িয়ে মেঘ উঠে চলে গেলো।শিমলা ব্যস্ত হয়ে পড়লো অন্যদের সাথে কথা বলায়।
বিকেল হতেই তামিম নিজের ব্যাগ গুছিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।মাগরিবের পর পরেই বাস ছাড়বে।অফিসের কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ করে যেনো কি হলো।চার পাঁচটা ষন্ডা টাইপের ছেলে হকিস্টিক,স্ট্যাম্প নিয়ে তেড়ে এসে তামিমকে মারতে লাগলো। একজন বললো,”শা/লা মারুফের বাচ্চা,আর জীবনে দেখমু তোরে আমার বোনকে ডিস্টার্ব করছিস,আমার বোনের পিছু নিয়েছিস তবে বুঝবি তমার ভাইয়েরা বোনকে প্রটেক্ট করার জন্য তোর কলিজা ছিঁড়ে আনতেও দুই বার ভাববে না।”
তামিম চিৎকার করে বললো,”আমার নাম তামিম,আমি মারুফ নই।আপনাদের ভুল হচ্ছে।তমা নামে কাউকে আমি চিনি না।”
কেউ তার কথা শুনলো না।৫ মিনিট এলোপাথাড়ি মেরে হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেলো।
কয়েকজন পথচারী তামিমকে ধরে একটা হাসপাতালে নিয়ে গেলো।দু একজন দেশটা রসাতলে গেলো বলে ও গালি দিলো।নয়তো দিন দুপুরে এরকম করে নাকি!
তামিমের কপালে,মাথায় স্টিচ দেওয়া লাগলো। পায়ে ভীষণ চোট পেলো।ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে তামিম তবুও অফিসের দিকে গেলো।
নিজের শারীরিক অবস্থার চাইতে তামিমের কাছে বড় হয়ে উঠলো জাফলং গিয়ে মেঘ আর নবনী প্রেম করবে,আর সে বাসায় বিছানায় পড়ে থাকবে?
অসম্ভব!
মেঘের মোবাইলে একটা টেক্সট এলো,”মিশন তামিম কমপ্লিট গুরু।ব্যাটারে হালকার উপর ঝাপসা করে কয়েকটা দিয়েছি। আপনি বলায় গুরুতর কিছু করি নি,শুধুমাত্র ট্রেইলার দেখিয়ে ছেড়ে দিয়েছি,নয়তো পুরো সিনেমা দেখাতাম ওরে।রাস্তার সাথে পিষে ফেলতাম।”
মেঘ মুচকি হেসে ফোনটা ব্যাগে রাখলো।সবাই নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে।
তিনটা এনা বাসে সবাই রওয়ানা হলো সিলেটের উদ্দেশ্যে।সিদ্ধান্ত হলো সকালে আগে এনিভার্সারি সেলিব্রেট করা হবে।তারপর সবার ঘুরাঘুরি।
শুনে মেঘ মায়ের দিকে তাকালো। কথা তো ছিলো সন্ধ্যায় এনিভার্সারির পার্টি হবে,তবে হঠাৎ টাইম এগিয়ে আনার কারন কি?
কেমন নির্বিকার ভঙ্গিতে মাসুমা বেগম বসে আছেন।নিজের মা’কে মেঘের নিজের কাছেই অচেনা মনে হলো।
নবনীকে শিমলা নিজের পাশে বসিয়ে ছাড়লো।মেঘ কয়েকবার শিমলার আশেপাশে ঘুরে ঘ্যানঘ্যান করলো নবনীর সাথে বসার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।শিমলা ব্যাপারটা পাত্তাই দিলো না।
নয়ঘন্টা জার্নি করার পর সবাই হোটেল নুরজাহান গ্রান্ডে বুক করা রুমে গিয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়লো। ঘুম এলো না শুধু মেঘের চোখে।শিমলার কথার ধরন থেকে মেঘ ৯০% শিওর হলো মাসুমা বেগম মেঘের বিয়ে রিলেটেড কিছু চাইবেন।
কিন্তু কি চাইবেন……?
চলবে…..
রাজিয়া রহমান
(বি দ্র:আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে জানি না।আজকে আমার লিখায় মন প্রায় ছিলোই না।আপনারা অপেক্ষা করবেন বলে লিখেছি। এজন্য মাসুমা বেগমের ছেলের কাছে করা আবদার,বা মেঘের রিয়েকশান এসব এই পর্বে আনি নি।আনলেও আমি সেটা আমার মনমতো ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না।আজকেও রহস্য রেখে দেয়ায় কেউ হয়তো বিরক্ত হয়েছেন।আমি সরি তাদের কাছে।
দয়া করে আমার অবস্থাটাও একটু বিবেচনায় রাখিয়েন।
এলোমেলো করে লিখে দিলে আপনারাই তখন সমালোচনা করতেন।
যাই হোক,আগামী পর্বে সব ক্লিয়ার হবেন সবাই।আর একটা দিন কষ্ট করে ধৈর্য ধরেন।
সবার রিয়েক্ট,কমেন্ট আশা করছি।)