#পিশাচ পুরুষ ৭ম পর্ব
ভয়ানক সুন্দর একটা রাত পার করেছে কিশোরী মেয়েটা গভীর জঙ্গলে। ক্লান্তিতে অবশ্য শরীর এখন অবশ হয়ে আসছে। মন তবুও চঞ্চল হয়ে রয়েছে, শিকরগুলোর রস বাবার দৃষ্টিশক্তি যতক্ষণ না ফিরিয়ে দিচ্ছে, মনে কিছুতেই শান্তি পাবে না সে। তাকে পরীক্ষা করে দেখতেই হবে অচেনা সেই যুবকের কথা কতটুকু সত্য, বিকট সেই বৃক্ষের ক্ষমতা কতদূর প্রসারিত, সত্যি! ভোরের হালকা আভায় আলোকিত হয়ে উঠছে চারপাশ। বাড়ির কাছে পৌঁছে গেছে সকিনা। ভয়ে ভয়ে ঘরে ঢুকলো, বাবা ঘুমিয়ে আছে দেখে হাপ ছেড়ে বাঁচলো। কেউ টের পায়নি তার এই অভিযান সম্পর্কে। শিকড়ের ঔষধটা কাজ না করলে জঙ্গলের এই রাতটার কথা সে কাউকে বলবে না প্রতিজ্ঞা করলো।
শিকরগুলো বেঁটে প্রায় ভর্তার মতো করে ফেলল সে। ধীরে ধীরে এসে বিছানায় বাবার মাথার পাশে বসলো। ভর্তার প্রলেপটা লেপ্টে দিতে লাগলো তার বন্ধ চোখজোড়ার উপরে। তার বাবা চমকে উঠলেন, ‘কে? কে?’ বলে। সকিনা তাকে শান্ত করলো। বলল, ‘একটা ঔষধ দিচ্ছি বাবা, তুমি এখন থেকে আবার আগের মতো দেখতে পাবে।’ হোসেন মিয়া মুচকি হাসলেন, ‘তোর মাথা খারাপ হইছে সকিনা! মরা জিনিস কী আবার বাঁচে! রাত কত হইছে? ঘুমা গিয়া মা।’
‘আহা আব্বা, চুপচাপ শুইয়া থাকো তো।’
প্রলেপ দিয়েই ঘর থেকে বের হয়ে গেল সে। বুক ধড়ফড় করছে। কী হবে এখন! একবার মনে হলো সমস্তটাই ছেলে মানুষী, এমন আবার হয় নাকি! পরমুহূর্তেই ভাবল, রাতে তার সঙ্গে যা ঘটে গেল, এরপর অলৌকিক শক্তির প্রভাবে তার বাবা দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেলে আশ্চর্য্যের কী আছে!
বাইরে পুরোপুরি ফর্সা হয়ে উঠেছে। উঠানে একটা পিড়ি পেতে চুপচাপ বসে আছে সকিনা, মনে হাজার শঙ্কা। হঠাৎ ঘর থেকে ভেসে এলো বাবার চিৎকার। মনের ভুল নাকি! মনে হচ্ছে বাবা আনন্দে চিৎকার করে কাঁদছেন! ছুটে ঘরে গেল সে। হোসেন মিয়া বিছানা থেকে প্রায় লাফিয়ে নামলেন। টলতে টলতে এসে সকিনাকে জড়িয়ে ধরলো, ‘মারে! কত দিন পরে আমার মায়ের মুখটা দেখলাম। এই দেখ আমি সব দেখতাছি! কী ঔষধ দিলি তুই!’ আনন্দে কাঁদতে থাকে সকিনাও। সব তাহলে সত্যি! যুবকটা আর বিশাল গাছটার জন্য কৃতজ্ঞতায় মনটা ভরে উঠল।
মেয়েকে রেখে হোসেন মিয়া ছুটলেন গ্রামের রাস্তার দিকে। তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি আবার দেখতে পাচ্ছেন। পুরো গ্রাম বাচ্চা শিশুর মতো ছুটে বেড়ালেন তিনি। কতদিন পর দেখছেন এই সুন্দর দৃশ্যগুলো! গ্রামের সব মানুষ বিস্মিত হয়ে গেল হোসেন মিয়াকে দেখে। লোকটা দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেল কী করে! হোসেন মিয়া সবাইকে বলে বেড়াতে লাগলো, সকিনা এক অদ্ভুত ঔষধ তার চোখে মাখিয়ে দিয়েছিল, ওটাই তার জ্যোতি আবার ফিরিয়ে দিয়েছে।
আস্তে আস্তে হোসেন মিয়ার অলৌকিক ভাবে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার গুঞ্জনটা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো। সবাই হোসেন মিয়ার বাড়িতে এসে ভিড় জমালো। সকিনা বলল, হঠাৎ স্বপ্নাদেশ পায় সে জঙ্গলে যাওয়ার। স্বপ্নে পাওয়া পথ মোতাবেক রাতের আধারে একটা বড় গাছের নিচে হাজির হয় সে। হাটুমুরে গাছের কাছে প্রার্থনা করে বাবাকে নিয়ে। গাছটা তাকে শিকড়ের সন্ধান দেয় এবং তা দিয়েই তার বাবা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়।
গ্রামের মানুষেরা বিস্মিত হয়ে শোনে। অনেকেই বিশ্বাস করে ঘটনাটা। কেউ কেউ আবার বলে, পাগলের প্রলাপ। আপনা আপনিই সেরে উঠেছে হোসেন মিয়া। গাছ আবার ইচ্ছা পূরণ করে নাকি! সকিনা তাদের বলে , পৃথিবীর এমন কিছু নেই যা ওই গাছটা দিতে পারবে না। কিন্তু জঙ্গলের ওই অংশটা পুরুষদের জন্য বিপদজনক। শুধু নারীরাই সেখানে যেতে পারবে এবং যেতে হবে মধ্যরাতে। হাটুমুরে গাছটার কাছে জানাতে হবে প্রার্থনা। পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো ঘটনাটা।
জঙ্গলের খুব ভেতরে এই গ্রামের কেউই কোনোদিন যায়নি। যাওয়ার তেমন কোনো প্রয়োজনও পড়েনি। অনেকেই জানতো এই জঙ্গলের শেষ মাথায় একটা বড় নদী আছে, যা কিনা সাগরের সাথে মিশেছে। যারা অতি বয়স্ক তারাও তাদের ছোটবেলায় বড়দের কাছে শুনেছে জঙ্গল শেষের ওই নদীর পাড়ে নাকি একসময় প্রাচীন একটা গোষ্ঠী বাস করতো। নানান পিশাচ দেবতা পূজারী ছিল তারা । ভয়ানক ভয়ানক পিশাচের পুজো করতো তারা। আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসতো তাদের মাঝে। তাদের সাহায্যে পূর্ণ করতো নিজেদের মনসকামনা। লাভ করতো, দীর্ঘায়ু, অসীম শক্তি। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ বন্ধি করে এনে উৎসর্গ করতো পিশাচের উদ্দেশ্যে। কোনো এক পিশাচ বিরোধী নারীর ছলনায় পরে গোষ্ঠীর প্রধান মাতবর, এক শক্তিশালী পিশাচের পুজোয় অবহেলা করেছিল। পিশাচটা ক্রোধে, ক্ষোভে অভিশাপ দিয়ে গ্রাম প্রধান সহ তার সব সন্তানদের গাছ বানিয়ে ফেলে। অভিশপ্ত গাছ অনন্তকালের জন্য। গোষ্ঠীর বাকি লোকগুলোও তার রাগ দেখতে রক্ষা পায়নি।
গোষ্ঠীর বাকি মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে এক অচেনা অদ্ভুত রোগ। তাদের শরীরের ভেতর পোকা জন্মাতে শুরু করে। রক্ত শুষে ফুলতে থাকে আকারে ওগুলো। তারপর ধীরে ধীরে সংখ্যায় কয়েক হাজারে পরিণত হয় শরীরের ভেতরেই। মানুষের মাংস ছিদ্র করে বেরিয়ে আসতে থাকে বাইরে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিলবিল করতে থাকে সারা শরীরে। শরীর জুড়ে হাজার ফুটো তৈরি হয়, ওসব থেকে পুঁজ বের হয় অনর্গল আর পোকাগুলো ভেতরে ঢোকা এবং বের হওয়ায় ব্যাস্ত থাকে পথটা দিয়ে। শরীরে ঘা হয়ে যায়, পঁচা গন্ধে ছেয়ে যায় চারপাশ, তাদের মাংস গলেগলে পড়তে থাকে শরীর থেকে। ভয়ঙ্কর বীভৎস হয়ে ওঠে চারপাশ। কয়েকজন তখন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় শুধু।
এইসব কথাগুলো গল্প হিসেবেই গ্রামের সবাই শুনতো। তাও বহু বহু বছর আগে। বিশ্বাস করার মতো কিছুই ছিল না এতে। গোষ্ঠীর যেসব লোক পালিয়ে গিয়েছিল তাদের কেউ কেউ নাকি আশেপাশের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের থেকেই এইসব গল্প ছড়িয়েছে। পিশাচ চর্চা যে কী ভয়ঙ্কর বিপদ বয়ে আনে তা বুঝতে পেরে পরবর্তী জীবন তারা এসব থেকে দূরে থাকে। এরপরে এসব কাহিনী প্রায় ভুলেই গিয়েছিল গ্রামের লোকেরা আজ পর্যন্ত।
সকিনার পিতার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়া, সকিনার জঙ্গলের কাহিনী বর্ণনা, শক্তিশালী গাছটির আবির্ভাবের প্রসঙ্গে তাই গ্রামের বয়স্করা চঞ্চল হয়ে উঠলেন সেই ছেলেবেলার গল্পটার কথা মনে হতে। বললেন, ছোট বেলায় এমন গাছের কথা তারা শুনেছিলেন বড়দের কাছে। গাছটা একটা পিশাচের অভিশাপ। ওটা পিশাচ বৃক্ষ। ছোট উপকারের ফাঁদে ফেলে বড় ক্ষতি করে ফেলবে। কেউ যাতে ভুল করেও লোভে পরে জঙ্গলে না যায়। বয়স্ক মানুষের কথার তাৎপর্য কেউই অনুধাবন করে না। গ্রাম্য মানুষেরা কুসংস্কারচ্ছন্ন হলেও পিশাচ জিনিসটার সাথে পরিচিত নয়। অবশ্য গ্রামে বেশ শান্তি শান্তি একটা পরিবেশ বিরাজ করছিল। কারণ সেই রাতে কুকুর গুলোর সাথে সাদা জন্তুটার ভয়ানক লড়াই হওয়ার পর থেকে তারা আর ওটার দেখা পায়নি। ওটা নিয়ে তাই আতংক অনেকটাই কেটে গিয়েছিল।
গ্রামের কয়েকজন যুবক সকিনার বর্ণনায় কৌতূহলী হয়ে উঠেছিল। সত্যিই যদি এমন এক গাছ থাকে যা তাদের মনের সব ইচ্ছা পূরণ করবে! তারা দলবেঁধে দিনের আলোতে জঙ্গলের ভেতর প্রবেশ করলো গাছটাকে খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে। কিন্তু জঙ্গলের একটু গহীনে ঢুকতেই পথ হারিয়ে ফেলল, মুখোমুখি হতে লাগলো বন্য জন্তুর। কোনো রকমে দৌড়ে প্রাণ নিয়ে জঙ্গল থেকে পালিয়ে আসতে পারলো তারা। জঙ্গলে আবার ঢোকার সাহস নেই। সকিনার বলা পথ মতো অনেক পুরুষ লোকও জঙ্গলের ভেতর গভীর রাতে গিয়ে বৃক্ষের কাছে পৌঁছাতে চাইলো। কিন্তু অল্পখানি এগিয়েই পথ হারিয়ে ফেলে হতাশ হয়ে অনেক কষ্টে বাড়িতে ফিরে আসতে হল তাদের। মহিলারা এখনো কেউ সাহস করে উঠতে পারেনি। যেখানে পুরুষেরা পারছে না তারা কী করে মধ্যরাতে জঙ্গলে প্রবেশ করবে!
একজন মহিলা একদিন এসে সকিনার কাছে মনোযোগ দিয়ে সমস্ত বিবরণ শুনে নিল। মহিলাটি নিঃসন্তান ছিল। তার যৌবনের অন্তিমে পৌঁছে গিয়েছে। এখন বাঁচা-মরা তারপক্ষে বড় কিছু নয়। ভয়হীন মন। তাই একরাতে সে সাহস করে লুকিয়ে হারিকেন হাতে ঢুকে পড়লো জঙ্গলে। সোজা হাটতে লাগলো। এমন সময় জঙ্গলের ভেতর চোখে পড়লো একটি রাস্তা। যেন দীর্ঘদিন ধরে মানুষ চলতে চলতে এটা তৈরি হয়েছে। সেই পথ ধরে হাটতে হাটতে পৌঁছে গেল সে দানব আকৃতি বৃক্ষের কাছে। সমস্ত মন-প্রাণ ভয় আর আতঙ্কে টনটন করছে। হাটুমুরে প্রার্থনা করলো ওটার কাছে একটা সন্তান। এরপরেই বাড়ি ফিরে গেল। কোনো বিপদই হলো না পথে।
তার কিছুদিন পরই মহিলাটি আবিস্কার করলো সে সন্তান সম্ভবা। সে আর তার স্বামী উন্মাদ প্রায় হয়ে গেল। গ্রামের লোকেরাও অবাক হলো শেষ যৌবনে ফুলবাণুর জীবনে এই পরিবর্তন দেখে। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়লো কথাটা। ফুলবাণু নাকি জঙ্গলে গিয়েছিল গভীর রাতে। সেই বৃক্ষের কাছে প্রার্থনা করায় সন্তান পাওয়ার আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। গ্রামের নারীরা পুলকিত, শিহরিত হয়ে উঠলো। এটা সত্যি তাহলে! কোনো পুরুষ না পারলেও নারীর মনোবাসনা পূরণ করে গাছটি!
এরপর থেকে প্রায় রাতেই কখনো একা, কখনো দল বেঁধে নারীর দলকে আলো হাতে জঙ্গলে প্রবেশ করতে দেখা গেল। খুব সহজেই বৃক্ষের কাছে পৌঁছানোর পথ খুঁজে পাচ্ছে তারা ঢোকা মাত্রই, কোনো জন্তুর হামলারও শিকার হচ্ছে না। বৃহৎ আকার গাছটার দিকে তাকাতে এমনিই তাদের মনে ভক্তি জাগছে। জানাচ্ছে তাদের প্রার্থনা ওটার কাছে। সবার প্রার্থনাই পূরণ হতে থাকে। কেউ চায় সন্তান, কেউ চায় অধিক ফসল, কেউ চায় অর্থ, কারো রোগ থেকে মুক্তি।
দিন যত যেতে থাকে রাতে জঙ্গলের ভেতরে নারীদের আনাগোনা তত বাড়তে থাকে। সবার মুখে মুখে অনেক দূর ছড়িয়ে পড়েছে গাছটার মহত্ব।
এরপরেই ঘটতে থাকলো নিয়তির ভয়ংকর খেলা তাদের সঙ্গে। কেউ ছয় জনের দল নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করলো হঠাৎ দেখলো তাদের মধ্যে একজন উধাও হয়ে গিয়েছে। অনেক খুঁজেও আর তাকে পাওয়া গেল না। না জঙ্গলে না গ্রামে। কোনো এক গ্রামের বউ কাউকে না জানিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়লো বৃক্ষের কাছে যাবে বলে। কিন্তু সে আর ফিরলো না। কেউ জানতেও পারলো না সে কোথায় নিখোঁজ হলো। নারীগুলো এতই আলাদা সময়ে, আলাদা ভাবে নিখোঁজ হলো যে সাধারণ নারীরা তেমন আতঙ্কিত হলো না। ভাবল, হয়তো বন্য জন্তুর শিকার হয়েছে মেয়েগুলো। এত বড় সাহায্য পেতে গেলে একটু বিপদের ঝুঁকি তো নিতেই হবে!
কিন্তু দিন যত গড়াতে লাগলো। নারীদের নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যাও বাড়তে লাগলো। যা চোখে পড়ার মতো। এখন আশেপাশের প্রায় অনেক নারীরাই এখানে রোজ রাতে আসেন। তাদের অধিকাংশই ফিরে যেতে পারে। শুধু নিখোঁজ হয়ে যায় কয়েকজন। কোথায় যায় ওরা?
বৃদ্ধ পিশাচ বৃক্ষ পুরুষ তার সন্তানের বুদ্ধিতে মুগ্ধ। এত দ্রুত কাজটা হয়ে যাবে সে আন্দাজও করেনি। ভাগ্যিস অর্ধেক মানুষের শরীর নিয়ে জন্মেছে জন্তুটা। কত যুগ পরে তার মনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে। অভিশাপ কাটিয়ে ওঠার পথ খুব কাছে চলে আসছে। তার কোটরে এখন নারী ঘুমিয়ে আছে ৬০জন। আর মাত্র ৪০টা শিকার লাগবে।
গাছের আড়ালে লুকিয়ে আছে সেই সুদর্শন যুবক। ঐতো একজন নারী হারিকেন হাতে এগিয়ে আসছে এদিকে, তার আশেপাশে আর কেউ নেই। যুবকটাকে দেখে থমকে গেল মেয়েটা। একটা গাছের আড়ালে চলে গেল যুবক। মেয়েটা নেশাগ্রস্থের মতো গাছের সারির কাছে চলে এলো। যুবকটার শরীরের সাথে জড়িয়ে নিল নিজেকে। মুহূর্তেই চমকে উঠলো বাহুতে লোমশ শরীরের অস্তিত্ব টের পেয়ে। তাকিয়ে দেখল একটা সাদা জন্তুকে জড়িয়ে রেখেছে সে। কিছু বোঝার আগেই কামড় বসিয়ে দিল জন্তুটা তার ঘাড়ে। যুবক , জন্তু বিষয়টাই অপরিস্কার। জন্তুটা টেনে নিয়ে যাচ্ছে তার ৬১ তম শিকার নারীকে গাছটার কোটরে। গাছটার ভেতর থেকে যেন এক আনন্দের জয়ধ্বনি বেরিয়ে এলো। কে জানবে এই গর্তের ভেতরে স্তুপ করে রাখা হয়েছে ৬১টি লাশ!……………………………………
.
.
. . . . চলবে . . . .
.
.
লেখা: #Masud_Rana