###পরগাছা ১ম পর্ব
###লাকি রশীদ
মা রাতে বলে রেখেছিল কালকে সকালে নাস্তায় রুটি,পরোটা,ভাজি এতো ভেজাল না করে খিচুড়ি রেঁধে দিবে। হাতের ব্যথায় হাত নাড়াতে পারছে না। নীতু ও আমি সাথে সাথে মাথা নাড়লেও বিন্দু বলে, আমি কি খিচুড়ি খাই না কি? সমস্যা নেই,চা খেয়ে চলে যাবো। মা থেমে থেমে এবার বললো, তুই আর তোর বাবা আমাকে কবরে দিয়ে ছাড়বি।
হারামির ঝাড়বংশ কোথাকার !!! আর যায় কই?
বিন্দু তার তীক্ষ্ম গলায় চেঁচিয়ে উঠল, শুধু শুধু বকবে না মা বলে দিলাম। আমি তো বলছি না, পরোটা করে দিতেই হবে।
আমি জানি মা যতো কষ্টই হোক এবার বিন্দুর পরোটা ডিমভাজি করে দিবে। চট করে উঠে বলি, আমি ব্রেড বাটার নিয়ে আসছি মা,বিন্দূ ও সবাই এগুলো খাবে। কোনো খিচুড়ি রাঁধার দরকার নেই। মা আঁতকে উঠে বলে, এতো রাতে আর বের হতে হবে না। আমি হেসে বলি,১১টা কি রাত হলো না কি? নিচের দোকান থেকে নিয়ে আসছি। দোকানে গিয়ে এসব কেনার পর হঠাৎ সেমাইয়ের প্যাকেটে চোখ পড়ে। মা দুধে ভেজা জবজবে সেমাই খেতে ভালবাসে। এক প্যাকেট কিনতে গিয়ে মনে হয়, কি করছি এটা? এখন নিয়ে গেলে মা ভাববে ছেলের খেতে ইচ্ছে করছে। ব্যথা ভরা হাত দিয়ে এটা রান্না করা শুরু করবে। বাসায় ফিরে নীতুকে বলি, সকালের চা তুই বানিয়ে নিস।
চাইলে আমি তোকে হেল্প করতে পারি।
বিছানায় গা লাগাতেই দুই চোখ জলে ভরে যায়। আমার মায়ের সারাটা জীবন কষ্টে কষ্টে কাটলো।অর্থকষ্ট না, কারণ একটাই বাবা কিছু করে না। বিয়ের সময় নাকি অনেক বড় গ্ৰোসারি শপ ছিল।যেটা দেখে নানা বিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাবার অলসতার কারণে,অনুপস্থিতির কারণে লাভ কমতে থাকে। এরপর বাবার মাথায় ভুত চাপে, দোকান বিক্রি করে দেবার। মা এখনও মাঝে মাঝে বলে, আমি তোর বাবার পা পর্যন্ত ধরেছি দোকান বিক্রি না করার জন্য। শোনেনি,এতো অলক্ষী, অলস মানুষ আমি আর দেখিনি রে বাবা। পরগাছার মতো সারাটা জীবন বোনদের উপর নির্ভরশীল আর মুখাপেক্ষী হয়ে রইলো।
সত্যি কিভাবে যে এতোটা বছর বাবা শুয়ে, ঘুমিয়ে,আড্ডা দিয়ে কাটালো। ১২টা পর্যন্ত ঘুমায়, তারপর উঠে গোসল করে বন্ধুদের সাথে তাদের দোকানে, চালের আড়তে চলে যায়। সংসার চলে ফুপূদের বদান্যতায়। আমার দুই ফুপু আমেরিকা ও ইংল্যান্ড এ থাকেন। মাসের প্রথম দিকে দুজনে বেশ ভালো এমাউন্ট পাঠান। দেশেও এক ফুপূ বেশ ভালো আর্থিক সচ্ছলতায় আছেন, উনিও যখন যা প্রয়োজন পাঠিয়ে দেন। কিন্তু, প্রতিমাসে টাকা এলেই মা যেন লজ্জায় গুটিয়ে যায়। প্রথম প্রথম বাবাকে বলতো, এভাবে টাকা না এনে তুমি এককালীন কিছু টাকা এনে ছোট খাট ব্যবসাও তো করতে পারো। এভাবে ফকিরের মতো হাত পেতে নিতে আমার অসহ্য লাগে।
বাবা বিকারহীন ভাবে বলে,বূবুদের একটি মাত্র ভাই ই আমি। এতে লজ্জা পাবার কিছু নেই বিনু। আমরা যে বাসায় থাকি সেটা আমার বড়ফুপুর বাসা। বিশাল ৫ বেডরুম নিয়ে বানিয়েছেন কারণ তার ৪ ছেলে মেয়ে যদি কখনো এসে থাকতে চায়। এখন পর্যন্ত কেউ ই আসেনি যদিও। শুধু বছর বছর ফুপু দুই মাসের জন্য আসেন। উনি আসলে মা ও নীতুর অনেক কষ্ট বেড়ে যায়। খান না খান অনেক আইটেম মাকে দিয়ে রাঁধান। খুঁজে খুঁজে মানুষ কে ডেকে এনে খাওয়ান। উনার টাকা দিয়ে খাওয়ান অবশ্য, কিন্তু রান্নার চাপটা তো মা ই সামলায়।
প্রচন্ড শুচিবায়ুগ্ৰস্ত বলে নীতু কে বিছানা চাদর থেকে শুরু করে তার কাপড়,পর্দা কতোবার যে বদলাতে হয়……. তা বলার মতো না। তার ওয়াশ রুমে কেউ যেন না ঢুকে সেটাও নিশ্চিত করতে হয়। নীতু তখন আমাদের বলে, আমেরিকায় উনার স্বামী সন্তানদের সাথে কি এমন করতে পারেন বুঝিস? কক্ষনো না, লাথি মেরে বের করে দিবে ওরা। পারেন শুধু আমাদের জ্বালাতে। বাবা উনাদের উপর এতো নির্ভরশীল হওয়ায় আমাদের
এসব টর্চার করার সুযোগ পান এরা। তখন বাবা সামনে ছিল। নির্বিকার হয়ে বলছে,বয়স্ক ফুপু কে দুই মাস একটু সহ্য করতে পারিস না? তোরা এত খারাপ কেন? একটুও ধৈর্য্য সহ্য নেই। নীতু এবার কঠিন স্বরে বলে, আমাকে মায়ের মতো ভাবলে মস্ত বড় ভুল করছো বাবা। কোনদিন রাগ উঠলে আমি সবকিছু উলটপালট করে ফেলতে পারি। সেটা দয়া করে মনে রেখো।
বিন্দু ঘরের কোনো কাজ ই করে না। ফাঁকিবাজের চুড়ান্ত !!! সে আছে তার পড়াশোনা ও সাজগোজ নিয়ে। মা মাঝে মাঝে দুঃখ করে বলে, আমি চাই না তোরা কেউ তোদের বাবার মতো অকর্মণ্য হোস। কিন্তু বিন্দুকে দেখলে আমার কাছে তোদের বাবার কার্বনকপি মনে হয়। ও তখন রেগে বলে, আমার সম্পর্কে তোমার এতো উচ্চ ধারণা শুনে খুব খারাপ লাগছে মা। ঘরের কাজ করি না বলে কি বাবার মতো হবো আমি? লিখে নাও ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সেরা ডাক্তারদের মধ্যে আফরোজা বিন্দুর নাম থাকবে। জেদ আছে হয়তো সে ভালো ডাক্তার হবে। তবে আমি মানি সে ইমপ্র্যাকটিক্যাল কারণ প্রায়ই গর্ব করে বলে আমার কোনো বন্ধুরই এতো বড় কোনো বেডরুম নেই। আমি শুনে হাসি, এতো চড়ুই পাখির অট্টালিকায় থাকা সুখের মতো ঘটনা হয়ে গেল। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে নীতু, তার মাষ্টার্স ফাইনাল দিচ্ছে। ওর সাবজেক্ট ইংলিশ, রেজাল্টও খুব ভালো। খাটতে পারে,তাই অনেক গুলো টিউশনি করে সে। আমি ও সে দুজনেই টিউশনির অর্ধেক টাকা মার হাতে তুলে দেই। কিন্তু পুরো মাসের খরচের এক চতুর্থাংশও তো হয় না।
মা অনেক আশায় ছিল ভাইয়া বেলজিয়ামে এ
গেছে এবার হয়তো আমাদের মাসিক খরচটা ও
দিতে পারবে। তাহলে হয়তো বা আর বড়ফুপুর নেয়া টাকাগুলো প্রতিমাসে মাথা নিচু করে নিতে হতো না। কিন্তু ভাইয়া ওখানে এখনো লিগ্যাল হয়
নি। অদূর ভবিষ্যতে হবার আশাও ক্ষীণ বলা যায়। মা মাঝে মাঝেই বলে, আমার দূটো ছেলে চাকরি পেলেই এই বাসা ছেড়ে ছোট বাসায় চলে যাবো।কম খাবো তবু তো ইজ্জতের সাথে থাকবো।
আমাকে নীতু প্রায়ই বলে,এই সুখের আশায় থাকতে থাকতে মা মরেই যাবে। আমি চিৎকার দেই,এসব কথা বলতে তোর মুখে আটকায় না? মা সুখস্বপ্ন যা দেখছে সফল হবেই। নীতু হেসে বলে, আমি তোর মতো ভাববিলাসী না ছোটভাই।তুই তো কয়েক মাস ধরে চাকরির কতো চেষ্টা করছিস? কোনো লাভ হয়েছে? কতো বড় বড় স্বপ্ন, জ্বালানি কোম্পানিতে চাকরি করবি, অনেক টাকা স্যালারী পাবি…….. জীবন এতো সহজ না। আমি প্রাকটিক্যাল তাই এসব বলছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মাকে জোর করে চেয়ারে বসিয়ে রেখেছি। আমি চায়ের কাপ ধুয়ে দিয়েছি, নীতু চা বানিয়ে আনলো। মা হাসছে, তোরা যে এতো আদর দিচ্ছিস দুপুরে কি রান্না করতে হবে না নাকি? পকেটে দুদিন আগে পাওয়া টিউশনির
কড়কড়ে নোট আছে বলে বললাম,আজ সবার জন্য বিরিয়ানি আনবো মা। খালাকেও বলো যেন আমাদের সাথে খেয়ে যায়। মা বলছে, শুধু শুধু এতো টাকা নষ্ট করার কোনো মানে আছে? চিন্তা করিস না, আমি ম্যানেজ করে ফেলবো। আমি বলি, তোমার কি সুখ সহ্য হয় না মা? আজ তুমি কিচেনে গেলে অনেক খারাপ হবে।
এবার মা বলছে, সারাদিন বাসায় বসে বসে তাহলে করবো টা কি শুনি? তোরা সবাই বের হয়ে যাবি, তোর বাবা ভোস ভোস করে ঘুমাবে………..
আমি কোন কাক তাড়াবো বল? হঠাৎ মনে পড়ল
যেন,মা বলছে নিশাত কে অপারেশন এর পর দেখে আসতে পারি নি। তাহলে কি ওদের বাসায় আজকের দিনটা কাটিয়ে আসবো? নিশাত বড় খালার ছোট মেয়ে। কয়েক দিন আগে টনসিলের অপারেশন হয়েছে। পৃথিবীতে মায়ের সুখদুঃখের সাথী বলতে আমরা ভাই-বোন ও বড়খালা ই। ২
বোন একজন আরেকজনের আত্মার অংশ বলা যায়। বললাম তাহলে লক্ষী মেয়ের মতো নাস্তা খেয়ে রেডি হও। আমি তোমাকে নামিয়ে দিয়ে যাবো।
খালা চলে এসেছে, ঝটপট হাতে বাসন ধুয়ে মুছে রাখছে। বললাম খালা আজ দুপুরে আমাদের সাথে খাবেন। খালা মুখে পানের পিক সামলাতে সামলাতে বললো,আইজ না বাজান। এখন আমি সাভারে মাইয়্যাটারে একটু দেখতে যামু। ফোন করছে ওর শরীর না কি বেশি জুইত না। মা বলে
তুমি নাস্তা খেয়ে বাসন ধুয়ে, ময়লা ফেলে চলে যাও।
কিছুক্ষণ পর আমি বাইরে থেকে শোনছি, বাবা কে
মা অক্লান্ত ভাবে ডেকে যাচ্ছে। বাবার ঘুম এতো সহজে ভাঙ্গে না। হুঁ হা করছেই,আর মা অনবরত বলছে আমি আপার বাসায় যাচ্ছি খোকার বাবা।
তুমি উঠে নাস্তা করে নিও। আমি বসে হালছাড়া ভঙ্গিতে মাথা নেড়ে ভাবছি, বাবাকে না বলে মা কখনো বাইরে যায় না। বাবা তুমি যদি বুঝতে কি রত্ন পেয়েছিলে, তাহলে মার মনের ইচ্ছের দাম দিতে। ভুল মানুষের কাছে আমার মা বাধা পড়ে এতোটা বছর কাটিয়ে দিল। কম্প্রোমাইজ আর কম্প্রোমাইজ……… এতো বছর ধরে তাই করে করে আসছে। অথচ বাবা চাইলে একটা কিছু তো করতে পারতো। ঘুমানো,আড্ডা আর টিভি দেখা।
এটা কোনো লাইফ হলো? মার জ্বালা মা ই জানে। মা খুব বেশি রেগে না গেলে তা বুঝার উপায়ও নেই।
পিঠের পেছনে হাত দিয়ে বলছে, কিরে দেরি হয়ে গেল? আমি হেসে বলি না মা দেরি হয়নি। মনে মনে বলি, তোমার জন্য শত সহস্র কোটি বছর দাঁড়িয়ে থাকতে রাজি আছি আমি। বের হবার সময় আমি এক দিকের দরজায় তালা মারতে মারতে দেখি, খালাকে ৫০০ টাকা দিয়ে মা বলছে এটা রাখো। মেয়ের প্রয়োজন মনে করলে দিয়ে দিও। খালা কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দ্রুত পায়ে হাঁটা শুরু করেছে।
পথে দোকান থেকে নিশাতের জন্য আইসক্রিম ও বড়খালার জন্য কেক কিনে মাকে নামিয়ে দিলাম।বলি, কে কিভাবে খাবে এসব না ভেবে বোনের সাথে সুন্দর সময়টা কাটাও মা। তিনটার আগে কেউই বাসায় ফিরবে না। আমি খাবার নিয়ে এর আগেই বাসায় চলে যাবো ইনশাল্লাহ। মা হেঁসে আদর করে আল্লাহর হাওলা বলে বিদায় দিল।
সন্ধ্যায় মাকে আনতে গিয়ে দেখি দুই বোন খুব আয়েসি ভঙ্গিতে বিছানায় গল্প করতে করতে চা খাচ্ছেন। আমি তাদের মাঝখানে গিয়ে সটান হয়ে শুয়ে পড়ি। মা বলছে, কিরে বেশি টায়ার্ড নাকি? আমি হেসে বলছি,হ্যা নিজের হাতের বাজে চা খেয়ে আমি খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। নীতুর
বান্ধবী আসায় ওকে না বলে আল্লাহ আল্লাহ করে নিজে বানিয়ে দেখি, খুব ই নিকৃষ্ট চা হয়েছে। নষ্ট করবো না কি? তাই জোর করে খেয়ে এখন বমি বমি লাগছে।
বড়খালার সহকর্মী টেবিলের উপর ট্রে রাখতেই বলছেন, উঠে উৎকৃষ্ট মানের চা নাস্তা খা। দেখবি
ভালো লাগবে। বসে দেখি মায়ের প্রিয় দুধে ভেজানো সেমাই। টপাটপ খাওয়া শেষ করে ওই
রুমে নিশাতকে দেখতে যাই। কথা বলে না, বিশাল এক খাতা পাশে নিয়ে লিখে লিখে সবার সাথে ভাব বিনিময় করছে। আমি হেসে বলি,যাক এক ওসীলায় তোর গলা কিছুটা অন্তত রেষ্ট পেয়েছে।সারাক্ষণ বিন্দুর মতো শুধু বকবক করিস তো, সেজন্য বলছিলাম আর কি। মোটা মোটা চোখ দিয়ে চেয়ে আছে,যেন খেয়ে ফেলবে আমাকে একেবারে। এতো সুন্দর মেয়েদের এতো রুক্ষ রুপ দেখা কষ্টকর বলে বের হয়ে আসি।
দুপুরে কেউই বিরিয়ানি খায়নি। প্রচন্ড গরম ছিল, কেউ খাবে না বলে নীতু ঠান্ডা মিষ্টি দই দিয়ে চিড়া মেখে দিয়েছে। বাবা বাসায় আসেনি, আমরা তিন ভাই বোন খেয়েছি। তাই রাতের রান্নার জন্য মাকে কিচেনে ঢুকতে হয়নি। শুধু কিচেন অগোছালো হয়ে আছে বলে কিছুক্ষণ বকাঝকা করে ঠিক করে গোসলে ঢুকেছে।
শসা, লেবু নিয়ে বিরিয়ানি খেতে খেতে বাবা তার বন্ধুকে কিভাবে প্রতারক বোকা বানিয়ে টাকা নিয়ে গেছে সেটা হাসতে হাসতে শোনাচ্ছে। আমরাও হাসছি, খাচ্ছি। কিন্তু কোন সুখ ই যে দীর্ঘস্থায়ী নয়
সেটা প্রমাণ করতেই যেন তক্ষুণি ফোন বেজে উঠলো। বড়ফুপু তার হেড়েগলায় খুশি খুশি হয়ে বাবাকে বলছেন, মিন্টু আর এক সপ্তাহ পরের টিকেট করেছি রে। এবার আর মন মানছে না বলে এক বছর হবার আগেই চলে আসছি। খোকা কে বলবি অবশ্যই যেন সে এয়ারপোর্টে থাকে। আমি পরে সময় জানাবো। বাবা খুশি খুশি গলায় বলছে, ঠিক আছে বুবু আমরা বাপ ছেলে
দুজনেই থাকবো ইনশাল্লাহ। তুমি কোনো চিন্তা করো না।
ফোন লাউডস্পিকারে দেয়া ছিল বলে সবাই ফুপুর সব কথা শোনেছি। বাবা তাকিয়ে দেখছে আমরা সবাই বিরক্ত দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছি। কেউ কিছু বলছে না, শুধু মা শ্লেষের স্বরে স্পষ্ট করে বললো খুব তো বোনকে বলে দিলে এয়ারপোর্টে থাকবে। তখন তোমার ঘুম ভাঙ্গবে তো? না কি দেশে এসে প্রথম দিনই তোমার বোন চেঁচিয়ে হুলস্থুল কান্ড বাধাবেন? বাবা নিশ্চুপ হয়ে এবার ভাত খুঁটছে।
(চলবে)
.
সম্পূর্ণ গল্পের লিংক একসাথে