Skip to content

kobitor

সেরা গল্পের ওয়েবসাইট

Connect with Us

Social menu is not set. You need to create menu and assign it to Social Menu on Menu Settings.

Categories

  • Golpo
  • Kobita
  • love story link
  • More Than Love
  • Picture Status
  • sad golper link
  • Uncategorized
  • অতৃপ্ত আত্মা
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম বউ
  • অরোনী তোমার জন্য
  • আত্মা
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন ২
  • আমি পদ্মজা
  • আরশিযুগল প্রেম
  • ইট পাটকেল
  • ইসলামিক গল্প
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উপন্যাস
  • এক কাপ চা
  • এক প্রহর ভালোবাসা
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি
  • এক মুঠো রোদ
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একটি ডিভোর্স লেটার
  • একটি রাতের গল্প
  • ওহে প্রিয়
  • কাঞ্চাসোনা
  • কালো বউ
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • ক্যান্সার যুদ্ধ
  • ক্যামেলিয়া
  • খুন
  • ঘেউলের সংসার
  • চার আনার জীবন
  • চিঠি
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
  • চেম্বার কথন
  • জলনূপুর
  • জানা অজানা
  • জীবন যখন যেমন
  • জীবনি
  • জ্বিন রহস্য
  • টু ফাইভ এইট জিরো
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
  • ডিভোর্স
  • ডিভোর্স পেপার
  • তিনি আমার সৎ মা
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন
  • দাম্পত্য সুখ
  • দেহ
  • দ্বিতীয় পুরুষ
  • দ্যা ব্লাক বুক
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক
  • নবনী
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
  • নীল চিরকুট
  • নীলার শাশুড়ী
  • নয়নে লাগিল নেশা
  • পরগাছা
  • পরবাসী মেঘ
  • পাপ
  • পিশাচ দেবী
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুর রহস্য
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • প্রণয়ের আসক্তি
  • প্রতিশোধ
  • প্রাণি জগত
  • প্রিয়োসিনী
  • প্রেমাতাল
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প
  • ফিরতি উপহার
  • ফুলসজ্জা
  • ফ্রিজ
  • বজ্জাত বউ
  • বন্ধু
  • বিচ্ছেদ
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিয়ের চাপ
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স
  • বেপরোয়া ভালোবাসা
  • ভাড়াটিয়া
  • ভাবির সংসার
  • ভালোবাসা রং বদলায়
  • ভুতের গল্প
  • ভ্যাম্পায়ার বর
  • ভয়ংকর নির্জন
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • মায়াবতী
  • মুভি
  • মেঘে ঢাকা আকাশ
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
  • যেদিন তুমি এসেছিলে
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২
  • রানিং গল্প
  • রুম নম্বর ৯০৯
  • রূপকথা
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • লিংক+রিভিউ
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
  • লেখক
  • শিমুল ফুল
  • শিশির বিন্দু
  • শিশিরের আদ্র
  • শেষ
  • শেষ পেইজ
  • শ্রাবন আধারে তুমি
  • সঙ্কোচ
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
  • স্যার i love you
  • হাসির গল্প
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি
  • ১৬ বছর বয়স
  • ১৮ বছর বয়স
Primary Menu
  • Home
  • Picture Status
  • Blog
  • Kobita
    • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • লেখক
  • লিংক+রিভিউ
    • love story link
    • sad golper link
  • রানিং গল্প 2
    • জলনূপুর
    • অন্তর্হিত কালকূট
    • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
    • ধারাবাহিক গল্প লিংক
    • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
    • এক মুঠো কাঁচের চুরি
    • নবনী
    • শেষ
    • শেষ পেইজ
    • বিমূর্ত প্রতিশোধ
    • শ্রাবন আধারে তুমি
    • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
    • কোথাও কেউ ভালো নেই
    • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
    • পরবাসী মেঘ
    • খুন
    • ভালোবাসা রং বদলায়
    • আত্মা
  • ভুতের গল্প
  • Golpo
    • জীবনি
    • ইসলামিক গল্প
    • প্রাণি জগত
    • জানা অজানা
    • হাসির গল্প
  • উপন্যাস
    • ওহে প্রিয়
    • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
    • স্যার i love you
    • বজ্জাত বউ
    • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
    • নয়নে লাগিল নেশা
    • প্রিয়োসিনী
    • চিঠি
    • বেপরোয়া ভালোবাসা
    • শিশিরের আদ্র
    • মায়াবতী
  • Home
  • উপন্যাস
  • এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৬
  • উপন্যাস
  • এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৬

alamin21 31/01/2023 1 min read
সকালে ঘুম থেকে উঠার পিক মেয়েদের

সকালে ঘুম থেকে উঠার পিক মেয়েদের

এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৬

লেখনীতে: নুসরাত সুলতানা সেঁজুতি 

সূর্য ওঠে,আলো ফোটে,সকাল হয়। শুরু হয় পিউয়ের ব্যস্ততম জীবন। দশটা থেকে কলেজ,আর চারটা থেকে কোচিং। এরপরে আবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে প্রাইভেট টিউটরের এক গাদা পড়া। সামনে ধেঁয়ে আসছে এইচ- এস-সির তা*ন্ডব। ভালো রেজাল্ট চেয়ে বসে আছে সবাই। প্রত্যেকের এক কথা ‘এ -প্লাস চাই পিউ’। কিন্তু এর পেছনের শ্রমটা যে দেয় সেই বোঝে! উচ্চ মাধ্যমিকে এ- প্লাস চাট্টিখানি কথা?  তাও আবার বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে? পরীক্ষার কথা ভাবলেই পিউয়ের হাত পা ঠা*ন্ডা হয়ে আসে। তাদের সিকদার বাড়িতে জ্ঞাতিগুষ্টির মধ্যে সবথেকে ভালো রেজাল্ট ধূসরের। এমনকি কোনও ক্লাশে  সেকেন্ড অবধি হয়নি সে। সবসময় ফার্স্ট! জেলা পর্যায়েও উঠে গেছিল ধূসরের নাম। সেই ধূসরকে জীবনে পাওয়ার স্বপ্ন দেখলে তার মতো হতে হবে না? রেজাল্ট টা তো একটু ভালো করা দরকার। গোল্ডেন না হোক, এ প্লাসটা অন্তত ঝুলিতে আয়ত্ত করতে হবে। বাকী সব গো*ল্লায় যাক! পরীক্ষার ফল খা*রাপ হলে কোন মুখে ধূসরের পাশে দাঁড়াবে সে? ইটস আ প্রেস্টিজ ইস্যু! 

ধ্যানমগ্ন হয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে পিউ। ভাবতে ভাবতে আইসস্ক্রিম গলে কব্জি অবধি এলে ঘোর কাটল তার। তাড়াহুড়ো করে মুছতে গিয়ে কিছুটা লেগে গেল ইউনিফর্মের হাতাতে। পিউয়ের মন খা*রাপ হলো। ঠোঁট ওল্টালো। চকলেট ফ্লেভারের কালো রং সাদার ওপর কী বি*শ্রী লাগছে! মা দেখলে র*ক্ষে থাকবে আজ? 

আজ একটু আগে আগেই এলো কলেজে। ক্লাশ শুরু হয়নি এখনও। এইত সবে ন’টা পঞ্চাশ বাজে। এত্ত সকাল,সাথে শীতের সময়,অথচ পিউয়ের অদ্ভূতুরে ইচ্ছে জাগল আইসক্রিম খাওয়ার। লাগুক তাতে ঠান্ডা, হোক সর্দি,বসে যাক গলা। তবুও পিউ খাবে। ইচ্ছেকে দ*মিয়ে রাখতে নেই।

এই আইসক্রিম খাওয়া যদি ধূসর বা সাদিফ দেখতো,দুঃ*খ ছিল কপালে। অবশ্য সাদিফ সুন্দর করে বলতো,সে কখনও পিউয়ের ওপর চোটপাট দেখায়নি। কিন্তু ধূসর? তে*ড়েমে*রে এসে এক ঝটকায় কে*ড়ে নিত আইসক্রিম। তারপর এই রঙীন মিষ্টি বরফখন্ডটার জায়গা হতো রাস্তায়,কিংবা ডাস্টবিনে। 

সঙ্গে বাজখাই ধম*ক খেয়ে গাল ফোলাতে হতো পিউকে। কী একটা অবস্থা! এরকম ধ*মক-সমক খেয়েও কী করে ওই মানুষটাকেই ভালোবাসলাম আমি? 

পিউ নিজেকেই শুধালো। বরাবরের মত উত্তর এলো,

‘ অনুভূতি!  অনূভূতি!” 

পিউ লম্বা নিঃশ্বাস ফেলল। গলে গলে পরা কোন আইসক্রিমটার প্রতি হঠাৎই কেমন বি*তৃষ্ণা এলো। খেতে ইচ্ছে না করায় পাশের ময়লার বিনে ফেলে দিলো।  ভাল্লাগছেনা কিছু।  কাল ধূসর তার টিচার পালটে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। বাবার কানে কথাটা এখনও যায়নি। গেলে কী হবে কে জানে! ছেলেটাকে তিনিই ঠিক করেছিলেন। পরিচিত তার, আদব-কায়দা ভালো। চার মাসের মাথায় ধূসর বদলে ফেলল যে,এটা শুনলে উনি রা*গ করবেন না? 

এমনিতে পিউয়ের খা*রাপ লাগছেনা। ধূসর তো তার ম*ন্দ চাইবেনা কোনও দিন। একথা ধূসর নিজে বললেও সে বিশ্বাস করবেনা। ধূসর যদি একটা গণ্ডমূর্খ কে ধরে এনেও বলে ” নে আজ থেকে তুই এর কাছে পড়বি” পিউ তাতেও রাজি। শুধু চিন্তা একটাই,  বাবার সঙ্গে ধূসর ভাইয়ের ঝা*মেলা না হয়। এদের ঝা*মেলার পাল্লা যত ভারি হবে,ধূসরকে পাওয়ার পথ সংকীর্ণ হবে তার। ভাবতেই পিউয়ের ছোট্ট হৃদয় কেঁ*পে ওঠে। কপাল বেঁয়ে ঘাম ছোটে। 

পিউ ঢোক গিলে বাম হাত দিয়ে মুছে নেয় সে ঘামের ফোঁটা। ক্লাশের ঘন্টা পরেছে। সে হাঁটা ধরে সেদিকে। একই সময় পাশ দিয়ে রবিনকে ঢুকতে দেখে কপাল কোঁচকাল পিউ। আজ প্রায় এক সপ্তাহ পর কলেজে দেখল ওকে। গর্ত দিয়ে বের হলো কবে?  পিউ সঙ্গে সঙ্গে ডেকে উঠল,

” এই রবিন!” 

রবিন সাইকেল নিয়ে এসেছিল। ডাক শুনে পেছন ফিরে তাকাল। পিউকে দেখে থামিয়ে দিল গতি।  পিউ একটু জলদি হেঁটে এসে দাঁড়াল ওর সামনে। 

” কি রে, কবে ফিরলি তুই? ” 

” পরশু এসেছি। কাল ও তো এসেছিলাম কলেজে। তুই আসিস নি। ” 

পিউ মাথা দুলিয়ে বলল,

” হ্যাঁ, বাবা ফিরেছেন অনেকদিন পর। তাই আর কেউই….” 

” কাল ধূসর ভাই এসেছিলেন কলেজে,জানিস?” 

পিউ চকিতে তাকাল। অবাক হয়ে বলল,

” কী? কেন? তোকে কিছু বলেছে?” 

রবিন দুপাশে মাথা নেড়ে বলল,

” জানিনা। একাই বাইক নিয়ে এলেন, নামলেন। ওনাকে দেখেই আমার র*ক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছিল। কোন দিক দিয়ে দৌড়ে, কোনদিকে পা*লাব বুঝে পেলাম না। আর ঠিক তখনি উনি আমাকেই ডেকে পাঠালেন। ” 

এটুকু শুনতেই পিউয়ের গলা শু*কিয়ে গেল। অধৈর্য হয়ে বলল,

” তারপর, তারপর! ” 

রবিন চোখ বড় করে বলল,

” তারপর?  তারপর আমি গেলাম,সালাম দিলাম। অথচ আমার গলা কাঁ*পছে। ধরেই নিয়েছিলাম,আজ নাকমুখ ফাঁ*টিয়ে ঘরে যাব। ভ*য়টা আরো তরতরিয়ে বাড়ল যখন ধূসর ভাই আমার কাঁধে হাত রাখলেন। আমি পারলে ছেড়ে দে মা কেঁ*দে বাঁচি। অথচ সেরকম কিছুই হলোনা। 

উনি বেশ ঠান্ডা কণ্ঠে বললেন,

” এদিক ওদিক মন না দিয়ে ভালো করে পড়াশুনা করো। কেমন? ” 

আমি ভ*য়ে ভ*য়ে মাথা নাড়লাম। ব্যাস! এটুকু বলেই উনি চলে গেলেন। ভীষণ অবাক হয়েছি জানিস! তবে এখনও বুঝতে পারছিনা,ওটা উপদেশ ছিল না কী হু*মকি?” 

রবিন থামল। চেহারায় ভী*তির ছাপ এখনও আধো আধো। গতবছর স্বচক্ষে দেখেছিল ধূসরকে মা*রপিট করতে। তাও তাদের এলাকার গন্যমান্য এক ব্যক্তির ছেলেকে। সেই থেকেই ধূসরকে দেখলে আ*ত্মা শুকিয়ে যায়। পিউয়ের সাথে শুরু থেকে সম্পর্ক ভালো ছিল। পিউ মিশতো,হাসতো,গল্প করতো। এত কাছাকাছি থেকে রবিনের কিশোর মন পরে গেল প্রেমে। ভেবেছিল পিউও একইরকম পছন্দ করে ওকে। সেই সা*হস থেকেই প্রেমপত্র দিয়েছিল সেদিন। অথচ কী হলো? সেই মাশুল হিসেবে পরাণ হাতে নিয়ে ছোটাছুটি করছে। রবিন ক*ষ্ট নিয়ে শ্বাস টানল। পিউ তখন গভীর চিন্তায়। প্রথম দিন ধূসরের হ*ম্বিতম্বির সঙ্গে আজকের এই ঘটনার মিল পেলনা। এত সহজে,এত অল্প কথায় ধূসর মিটিয়ে নিলো বিষয়টা? 

রবিন বলল,

” আমি একটা প্রতিজ্ঞা করেছি বুঝলি।” 

পিউ ধ্যান ভে*ঙে তাকায়। কালো মুখে ছোট করে শুধায়,

” কী?” 

” লাইন মারার আগে চেক করে নেব মেয়ের বড় ভাই টাই আছে না কী! যদি ধূসর ভাইয়ের মত ডে*ঞ্জারাস বড় ভাই থাকে তবে নেটওয়ার্ক সেখানেই কাট। ” 

পিউয়ের সবে সবে হওয়া মন খা*রাপটা এক ধাপ বাড়িয়ে দিল রবিন। ইহজগতে তার সবথেকে বি*শ্রী লাগা শব্দটাকে ব্যবহার করে বি*গড়ে দিল মেজাজ। নাকচোখ কুঁচকে তাকাল পিউ। ক্ষে*পে টেপে একাকার হয়ে বলল,

” খবর*দার রবিন! ধূসর ভাইকে আমার ভাই বলবিনা একদম,খুব খারা*প হয়ে যাবে কিন্তু। “

পিউয়ের হঠাৎই চেঁ*তে যাওয়ায় ভড়কাল রবিন। ভীষণ অবাক হয়ে বলল,

” ওমা কেন? ধূসর ভাই তো তোর ভা…

পরেরটুকু উচ্চারন করার আগেই ওর কাঁধে শ*ক্তপো*ক্ত চ*ড় বসাল পিউ। ভ্যাবাচেকা খেয়ে তাকাল রবিন। পিউ ফুঁ*সে উঠে বলল,

” উনি আমার ভাই নন। চাচাতো ভাই আর আপন ভাই এক নয় বুঝেছিস? ” 

রবিনের হকচকানোর মাত্রা কাটেনি তখনও। ঘাড় ডলতে ডলতে বোঁকার মত মাথা নাড়ল। অর্থাৎ বুঝেছে সে। পিউ বুকের সাথে দুহাত বেঁ*ধে চটপটে কণ্ঠে বলল,

” আপন ভাই মানে আপন ভাই। চাচাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ের চান্স থাকে, আপন ভাইয়ের সাথে কী থাকে?” 

রবিন দুইগালে দুটো চ*ড় মেরে জ্বি*ভ  কে*টে বলল,

” আসতাগফিরুল্লাহ! না না থাকেনা।” 

পিউ আঙুল উঁচিয়ে বলল ” তাহলে আর বলবি উনি  আমার ভাই?” 

রবিন দুপাশে মাথা নাড়তে গিয়েও থমকাল। সতর্ক চোখে চেয়ে বলল,

” এক মিনিট, তুই কি ধূসর ভাইকে বিয়ে করবি পিউ?” 

পিউ নেত্র সরু করে বলল 

” কেন? তোর আপত্তি আছে? দাওয়াত পেতে চাসনা?” 

রবিন দুঃখী দুঃখী মুখ করে বলল 

” এটা কি ঠিক করলি? বাবা হতে চেয়েছি বলে মামা বানিয়ে দিবি?” 

পিউ নাক ফোলাল। 

” আরেকটা থা*প্পড় খাবি ? ” 

এর মধ্যেই দ্বিতীয় ঘন্টা পরল ক্লাশের। কথা অসম্পূর্ণ রেখেই দুজন ছুট লাগাল সেদিকে। 

_______

বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরল পিউ। ক্লান্ত সে এক পা এক পা করে সিড়ি বেয়ে উঠল। ঘরে ফিরতে যাবে তখনি কিছু কথায় কদম থামল সেখানেই। পিউ ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল। মনোযোগ দিল কথার উৎসের দিকে। ধূসরের বাবা মায়ের গলার স্বর আসছে কানে। কন্ঠ চে*পে চে*পে কথা বলছেন দুজন। পিউয়ের আগ্রহ জাগল। প্রতিবার ধূসরের নাম শুনতে পেয়েই পা বাড়াল সেদিকে।  দরজার বাইরে দাঁড়াল এসে। একবার মনে হলো,আড়িপেতে কথা শোনা ঠিক হবেনা। পরেরবার ধূসরের কথা ভেবে সটান দাঁড়িয়ে রইল। মন,কান দুটোই সজাগ রাখল। 

দরজা চাপানো। হাল্কা ফাঁকা থেকেই স্পষ্ট কথা শোনা যাচ্ছে।  আফতাব সিকদারের কণ্ঠই এলো প্রথমে। তিনি ভীষণ আ*ক্ষেপ নিয়ে বলছেন,

” হবেনা, হবেনা। তোমার এসব কথার কোনও যুক্তিই নেই। “

রুবায়দা বেগম নিচু কন্ঠে বললেন,

” কেন হবে না? হওয়ালেই হবে। তুমি চেষ্টা তো করে দ্যাখো।” 

” কী করে হবে? কোন বাবা মেয়ে দেবে তোমার ছেলেকে? মাথা ঠিক থাকলে বেকার ছেলেকে কেউ মেয়ে দেয়না বুঝলে! ” 

” আহ! বেকার কোথায়? রাজনীতি করছে, নিজের খরচা নিজে চালাচ্ছে তাহলে? ” 

” রাজনীতি?  রাজনীতির পাশাপাশি আর কোনও কাজের দরকার নেই? আছে তো না কি! বাড়ি শুদ্ধ সবাই বলে বেড়াচ্ছে,ব্যাবসায় জয়েন হতে, শুনছে? পারিবারিক ব্যাবসা, আমাদের পর আর কে হাল ধরবে এর? সাদিফ নিজের ইচ্ছেমতো প্রফেশন বেছে নিয়েছে। ওর টা তাও মানা যায়,সন্মানের কাজ। কিন্তু তোমার ছেলে? মা*রপিট করে বেড়ায় রাস্তায়,পথেঘাটে স্লোগান দেয়,মিছিলে নামে। একটা কথা কানে তোলেনা আমার। সব সময়  গা ঝাড়া হাবভাব। আমিতো এখন আর কিছু বলাই ছেড়ে দিয়েছি। শুধু ত*টস্থ থাকতে হয় এই বুঝি তোমার ছেলে একটা কান্ড ঘটাল,আর ভাইয়েরা সব হা*মলে পরল আমার ওপর।  আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা, আমার মত এরকম মানুষ যার নামে কোনও দিন কেউ বলতে পারেনা একটা ঝা*মেলায় জড়িয়েছি,কারো সাথে ঝগ*ড়ায় নেমেছি,সেই মানুষের ছেলে এতটা বেপ*রোয়া কি করে হলো? কার ছেলে ও?” 

কথায় কথায় কথাটা বললেও মাথায় বাঁ*জ পরল রুবায়দা বেগমের। সাংঘা*তিক রকম তেঁ*তে বললেন,

” কী বললে তুমি? তুমি শেষমেষ আমায় নিয়ে স*ন্দেহ করছ?” 

আফতাব সিকদার নির্বোধ বনে তাকালেন। আকাশ থেকে পরে বললেন,

” তা কখন বললাম? পাগল হলে?” 

” এইতো একটু আগেই বলেছো। কার ছেলে ও বলোনি? কী বোঝায় এ দিয়ে?” 

আফতাব সিকদার  মাথায় হাত দিয়ে বললেন,

” ইয়া আল্লাহ! এই মা ছেলের য*ন্ত্রনায় আমার নির্ঘাত  অ্যা*টাক ফ্যাটাক হয়ে যাবে।”

রুবায়দা বেগম কাঁ*দোকাঁ*দো কন্ঠে বললেন,

” হ্যাঁ সেতো বলবেই, বিয়ের পর থেকে সেবা শুশ্রূষা করে করে এখন ব*দনামের ভাগিদার হচ্ছি। সাথে টানছো আমার নিষ্পা*প ছেলেটাকেও।” 

পিউ মুখ ভেঙচালো। ধূসরের পাশে নিষ্পা*প শব্দটা শুনে অতি*ষ্ঠ  ভঙিতে দুপাশে মাথা দোলালো। এ ছেলে নিষ্পাপ হলে সে তো দুধের শিশু! 

রুবায়দা বেগম ফের বললেন,

” থাক,এখন তোমার সাথে এসব আজেবা*জে আলোচনা করার মত সময় নেই আমার। যা বলেছি পারলে কথাটা শোনো, ধূসরের বিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা করো। দেখবে, ঘরে বউ এলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে আমার।” 

পিউ আঁ*তকে উঠল কথাটায়৷ ধূসরের বিয়ে দেবে মানে? ঘরে বউ আনবে তারই বা অর্থ কী? 

“ধূসর ভাইকে অন্য কোথাও বিয়ে দেবেন চাচা-চাচী? নাআয়ায়ায়ায়া এ হতে পারেনা। এ খবর শোনার আগে আমার ম*রন কেন হলোনা?”  

দরজার বাইরে দাঁড়িয়েই পিউ মনে মনে আহা*জারি শুরু করল। তার ইচ্ছে হলো চা*পানো দরজা ঠেলে এক্ষুনি কক্ষে ঢুকে যেতে। মেজো মা কে কঠিন কণ্ঠে হুশিয়ার করতে,

” কোনও বিয়ে টিয়ে হবেনা। তোমার ছেলের বউ হব আমি,বুঝেছ?  আগে ধূসর ভাই আমার প্রেমে পড়ুক,তারপর এসব ভেবো। এখন রেহাই দাও মেজো মা।” 

কিন্তু আফসোস!  পারল না পিউ। তবে দুঃ*খে অধর কেঁ*পে কেঁ*পে উঠল। যেন এক্ষুনি কেঁ*দে ফেলবে মেয়েটা।  উত্তরে আফতাব সিকদার বললেন,

” মাথা খা*রাপ হয়েছে তোমার? পুষ্পর কথা ভুলে গেছো? বাড়ির বড় মেয়ে ও। ছোট বোনের বিয়ে না দিয়ে ধূসর আগেভাগে বিয়ে করবে কী করে? আগেতো ওর বিয়ে দিতে হবে না কী!”

কথাটা মাথায় ঢুকল রুবায়দা বেগমের। বোঝার ভঙিতে মাথা নাড়লেন তিনি। বিড়বিড় করে বললেন,

” তাইতো! আমারতো মনেই ছিল না। তাহলে বরং আগে পুষ্পর জন্যে ছেলে দেখব আমরা তারপর ধূসরের বিয়ে। কী বলো?’ 

ওপাশ থেকে আর উত্তর এলোনা। হয়ত আফতাব সিকদার সহমত দিলেন। কিন্তু পিউয়ের কা*ন্না কা*ন্না ভাব উবে গেল তৎক্ষনাৎ।  তটস্থ হলো সে। আগে পুষ্পর বিয়ে?  আপুর বিয়ের পর ধূসর ভাইয়ের বিয়ে? কী সর্বনা*শা কথাবার্তা!  

পিউ তড়িঘড়ি করে রুমে ছুটল। কাধ থেকে ব্যাগ নামিয়েই এরপরে ছুট লাগাল মা-বাবার ঘরের দিকে। সব ক্লা*ন্তি,অব*সাদ কর্পূরের মত মিলিয়ে গেছে তার। এনার্জিপ্যাক যেন গায়ে ঢেলে দিয়েছে কেউ। বৃহস্পতিবার হওয়ায় আজ আমজাদ সিকদার ও আফতাব সিকদার দুজনেই বাড়িতে। হাফ বেলায় অফিস থেকে ফেরেন তারা। পিউ কলেজ ইউনিফর্ম গায়ে পরেই এক দৌড়ে ঢুকে গেল মায়ের ঘরে। পায়ের ধুপধাপ শব্দ পেয়ে চোখ থেকে আড়াআড়ি রাখা হাতটা সরালেন আমজাদ। মেয়েকে দেখে কপাল গুছিয়ে উঠে বসলেন। এটুকুতেই উত্তেজনায় হা*পিয়ে গেছে পিউ। আমজাদ সাহেব অবাক হয়ে বললেন 

” কী ব্যাপার আম্মা? এই অবস্থা কেন আপনার? ” 

পিউ কতক্ষন জো*রে জো*রে নিঃশ্বাস ফেলল। পরপর উদ্বেগ নিয়ে বলল,

” আব্বু,আপুর বিয়ে দেবে কবে?” 

আচমকা প্রশ্নে কিছুটা হতভম্ব হলেন আমজাদ। ভ্রুঁ গুটিয়ে চেয়ে রইলেন মেয়ের দিকে। পিউ এগিয়ে এলো। বাবার পাশে বসে বলল,

” আপু তো সবে অনার্সে উঠেছে,ওকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া কী উচিত আব্বু?

আমজাদ সাহেব কিছুতেই কিছু বুঝলেন না। অবুঝের মত বললেন,

” পুষ্পর বিয়ে? এসব তোমাকে কে বলল আম্মা?” 

পিউ জ্বিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাল। 

” আমি শুনেছি। মা,মেজো মা এরা সবাই বলাবলি করছিল আপুর জন্যে ছেলে খুঁজবে। তুমি এত জলদি ওর বিয়ে দেবে আব্বু? এটা কি ঠিক হবে? লোকে বলবে তুমি বাল্যবিবাহ দিয়েছো।” 

আমজাদ সিকদার রাগী মানুষ। কিন্তু মেয়ের কথায় হেসে ফেললেন। মাথায় হাত বুলিয়ে নরম স্বরে বললেন,

” বোঁকা মেয়ে! বললেই কি হয় না কী? আগে পুষ্পর পড়াশুনা শেষ হোক, ও কতদূর পড়তে চায় শুনি তারপর ওসব ভাবব। অনেক দেরি এখনও। ” 

পিউয়ের ভেতরটা গদগদ হয়ে এলো আনন্দে। উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,

” সত্যি বলছো? “

আমজাদ সাহেব মৃদূ হেসে বললেন ” হ্যাঁ। আর বড়দের এসব বিষয় নিয়ে তুমি অত ভাবতে যেওনা। পড়াশুনায় মনোযোগ দাও। ভালো রেজাল্ট করতে হবেনা? এখনও ফ্রেশ হওনি দেখছি,যাও হাত মুখ ধুয়ে খেতে যাও আম্মা। ” 

পিউ মাথা দোলাল। বাবার মুখের কথায় আস্বস্ত সে। তার বাবা এক কথার মানুষ। এখনি পুষ্পকে বিয়ে দেবেন না যখন বলেছেন তখন দেবেন না নিশ্চয়ই। আপুর বিয়ের দেরি আছে মানে,ধূসরের আরো দেরি। ততদিনে সে কি পারবেনা,ধূসরকে নিজের প্রেমে ফেলতে?  নিশ্চয়ই পারবে। পিউ ভরসা পেল। হাসি হাসি মুখটা ফিরে এলো আবার। ঝটপট ঘর ছাড়ল। আমজাদ সিকদার মেয়ের যাওয়ার দিক চেয়ে রইলেন। একটা পূত্রসন্তানের ভীষণ শখ ছিল তার। পিউয়ের হওয়ার সময় ধরেই নিয়েছিলেন ছেলে হবে এবার। মেয়ে হয়েছে শুনে ক্ষুন্ন হয়েছিলেন খানিক। মন খা*রাপ করেছিলেন। কিন্তু যেই মুহুর্তে মেয়ের মুখখানি দেখলেন,মনে হলো তার মা স্বয়ং ফিরে এলেন যেন। গোলগাল,ফর্সা, ছোট্ট মুখটা অবিকল তার মায়ের প্রতিচ্ছবি। এরপর আর কোনও মনঃক্ষু*ন্নতা টিকলোনা। মেয়ের রুপে মাকেই জাপ্টে ধরলেন বুকে। তিনি প্রচন্ড মে*জাজি মানুষ, পুষ্প জোরে হাঁটলেই যেখানে রাগ দেখান,সেখানে পিউয়ের বেলায় যেন মোমের মত গলে যান। মেয়েটাকে দেখলেই মনে পড়ে মায়ের কথা। তাইতো ইচ্ছেই করেনা ওকে ব*কাঝকা করার। পরপর গুটিবসন্তে মায়ের ছট*ফটিয়ে মৃ*ত্যুর কথা মনে পড়তেই আমজাদ সাহেবের চোখে জল জমল। কোটর ছড়ানোর আগেই হাতের আঙুল দিয়ে মুছে নিলেন তিনি। 

______

পিউয়ের মন একটু আধটু খা*রাপ। ভাতের থালায় হাত চললেও মুখে যাচ্ছেনা। আকাশ-কুসুম ভাবনায় মত্ত সে। অন্য হাত গালে ঠেকিয়ে দেয়ালের দিকে তাকিয়ে। এই যে একটু আগে বাবার কাছে গিয়ে বোনের বিয়ে আটকাল এটা একটু স্বা*র্থপরতা হয়ে গেল না? যদি না পেছনে ধূসরের বিয়ের কথা উঠতো তবে কী এত লাফিয়ে- চড়িয়ে যেত বাবার কাছে? উলটে বোনের বিয়ের আনন্দে হৈহৈ করে মেতে উঠত। কসমেটিকস,লেহেঙ্গায় ভরে ফেলতো ঘর। পিউ মুখ ফুলিয়ে শ্বাস ফেলল।

প্রেমে পড়ে ছ্যাচ*ড়ার সাথে সাথে স্বা*র্থপর ও হয়ে যাচ্ছে সে। ঠিক তখনি পিঠের ওপর চড় বসালেন মিনা বেগম। ব্যা*থার সঙ্গে ভ*য়ে মুচড়ে উঠল পিউ। বিস্মিত হয়ে মায়ের দিক তাকাল। 

” খেতে বসেছিস কখন? তাড়াতাড়ি খা,আজ ধূসরের বন্ধু আসবে না তোকে পড়াতে?”

” আজ কেন মা? একবারে শনিবার থেকে আসতো।” 

মিনা বেগম চোখ পাঁ*কালেন,

” চুপ কর! ধূসর বলে গেছে, আজ থেকেই পড়াবে।”

পিউ বীতঃস্পৃহায় খাবার মুখে তুলল। কোনও রকমে খেয়েদেয়ে উঠে দাঁড়াতেই রিক্ত এসে আগলে ধরল হাত।  মুখে বে*জে পরা আধো বুলিতে আবদার করল,

” পিপু,চলোনা কেলি? ” 

পিউ ক্লান্ত কণ্ঠে বলল,

” এখন না সোনা,স্যার গেলে তারপর।  তুমি রাদিফের সাথে খেলো এখন।” 

রিক্ত দুদিকে দুবার জো*রে জো*রে মাথা নেড়ে  বলল,

” ও কেলবেনা। মা*রে আমাকে।” 

” আমি বলে দেব,যেন না মা*রে। কেমন? ” 

রিক্তর ছোটখাটো চেহারাটা চকচকে হলো। আনন্দে মস্তক ঝাকিয়ে সেভাবেই  চলে গেল। পিউ বেসিনে গিয়ে হাত ধুঁয়ে পা বাড়াল কামড়ায়। 

বিছানায় শুতেও পারল না এর মধ্যেই মিনা বেগম ডাক ছুড়লেন,

” পিউ তোর টিচার এসছে।” 

মারাত্মক রকম বির*ক্ত হলো মেয়েটা। মুখ থেকে ‘চ’ বর্গীয় শব্দ করে উঠে দাঁড়াল। ব্যাগ থেকে বইপত্র বার করল। এলোমেলো চুল আয়নার সামনে গিয়ে ঠিকঠাক করল। গতদিন ফয়সাল দারুন লজ্জ্বা দিয়েছে এ নিয়ে। গায়ে  ওড়না পেঁচিয়ে পিউ আস্তেধীরে হাঁটা ধরল স্টাডিরুমের দিকে। ভেতর থেকে  আসছে মা আর মেজো মায়ের কন্ঠস্বর । ভীষণ তোষামোদ করে কথা বলছেন তারা।  যেন টিচার নয়,পাত্রপক্ষ এসছে। পিউ দরজায় দাঁড়াল। ভদ্রতার খাতিরে ভেতরে ঢোকার জন্যে শিক্ষকের অনুমতি চাইতে হবে তো! কথা বলতে গিয়ে সামনে তাকিয়েই মূর্তির ন্যায় জমে গেল।

সম্মুখে এক সুন্দরী, কম বয়সী মেয়ে দেখে পিউয়ের মাথা ঘু*রে উঠল। গো*ল্লায় গেল ভদ্রতা, অনুমতি। ত্রস্ত পায়ে কক্ষে ঢুকল সে।  সরাসরি কোমড়ে হাত দিয়ে প্রশ্ন ছুড়ল।

” আপনি কে?” 

মেয়েটি রুবায়দা বেগমের সঙ্গে কথা বলায় ব্যস্ত ছিল। পিউয়ের কথায় তাকাল ওর দিকে। মিষ্টি হেসে বলল,

” আমি মারিয়া। তুমি পিউ?” 

” হ্যাঁ, কিন্তু আপনি কেন এসেছেন?”

মিনা বেগম বললেন,

” ওকি কথা? কেন এসেছে মানে কী,উনিইতো পড়াবেন তোকে।” 

পিউ অবিশ্বাস্য চোখে চেয়ে বলল,

” আপনিই কি ধূসর ভাইয়ের বন্ধু? উনিই আপনাকে পাঠিয়েছেন?” 

পিউয়ের সিরিয়াস হাবভাব মেয়েটিকে অপ্রস্তুত করল খানিক। বিভ্রান্ত হয়ে আশেপাশের সবাইকে দেখে মাথা নেড়ে বলল ” হহ্যাঁ। ” 

ধূসরের পাঠানো মানুষটা যে মেয়ে, এটা ভাবতেই পিউয়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পরল। ব্রহ্মতালু অবধি দা*উদা*উ করে জ্ব*লে উঠল। সে দিন দুনিয়া ভুলে বসল। ধপ করে বসে পরল ফ্লোরে।  ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলল। হাত পা ছড়িয়ে  কাঁদ*তে কাঁদ*তে বলল,

” আমি ওনার কাছে পড়ব না। আমি ওনার কাছে পড়বনা।” 

____

পিউয়ের বাচ্চামোতে উপস্থিত সবাই হতভম্ব,হতচেতন। বলার জন্যে মুখের কাছে কোনও ভাষাই পেলনা। সতের শেষ করে দুদিন বাদেই আঠের তে যে মেয়ে পা দেবে তার এমন ছেলেমানুষী দেখে মিনা বেগমে লজ্জ্বায় মুখ লো*কানোর জায়গা পেলেন না। পড়াতে আসা মেয়েটির সামনে মাথা হেট করে দিল নিজেরই পেটের মেয়ে। মারিয়া নিজেও ভীমড়ি খেয়েছে। সে বিভ্রম নিয়ে বার কয়েকবার নিজের চেহারায় হাত বোলালো। মেয়েটা তাকে দেখতেই এমন করল কেন? গোবর লেপ্টানো থাকলেও এরকম করে কেউ? সে কী দেখতে এতটাই বা*জে?  এদিকে পিউ তখনও মেঝেতে বসে কাঁ*দছে। কা*ন্নার শব্দ পৌঁছে গেল বাড়ির কানায় কানায়। এমন আর্ত*নাদ করে কা*ন্না,যেন কী না কী ঘটেছে! আমজাদ সাহেব ঘুমিয়েছিলেন একটু। ঘুমের মধ্যে মেয়ের কা*ন্নার শব্দ পেতেই লাফিয়ে উঠলেন। উৎস ধরে ছুটে এলেন ত্রস্ত।  পড়ার ঘরটা নিমিষে ভরে গেল মানুষে। আফতাব সিকদার বই পড়ছিলেন বারান্দায়। সেও হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছেন। 

পিউয়ের কা*ন্না থামার নাম নেই। রুবায়দা বেগম গায়ে মাথায় হাত বোলাচ্ছেন। জবা বেগম বিভিন্ন খাবারের প্রস্তাব দিচ্ছেন ‘ এটা রান্না করে খাওয়াব,ওটা খাওয়াব’ তাও মেয়েটা থামলোনা। তার হেচকি উঠল এবার। ধূসরের এত সুন্দর মেয়ে বন্ধু আছে,কিছুতেই মানতে পারছেনা পিউ। এই জন্যেই ধূসর তার দিকে ফিরেও তাকায়না এবার বুঝল সে। এই দুঃ*খে কেঁ*দে বুক ভাসালেও কম হবে। 

এদিকে কেউই বুঝতে পারছেনা হঠাৎ মেয়েটার হলো কী। আমজাদ সাহেব এসেই উদ্বীগ্ন গলায় শুধালেন,

” কী হয়েছে? ও কাঁ*দছে কেন? ” 

পার্লামেন্টে মিটিং বসেছে। খুব জরুরি আলোচনা হবে সেখানে। অথচ ফোন পেয়েই বাড়ির পথে রওনা হলো ধূসর। পিউয়ের প্রতি রা*গে শরীরের র*ক্ত ফুটছে তার। একটা হেস্ত*নেস্ত করেই ছাড়বে পুচকিটার। বোঝে কম, চিল্লায় বেশি। রা*গের সাথে তাল মিলিয়ে বাইকের স্পিড বাড়াল ধূসর। 

বিশ মিনিটের মাথায় বাড়ি পৌঁছাল। বসার ঘরেই বসেছিল মারিয়া। মেয়েটা যে কী পরিমান অস্বস্তিতে পরেছে মিনা বেগম ঢের বুঝলেন। তাইতো ও ঘর থেকে সুমনা বেগমের সাথে পাঠিয়ে দিলেন এখানে। বাটি ভরে খেতে দিলেন দুধে ভেজানো পিঠা। ধূসর লম্বা কদমে বাড়িতে ঢুকল। সুমনা বেগমকে শুধাল,

” পিউ কোথায় ছোট মা?” 

ওপর থেকে ধূসরকে দেখেই দৌড়ে পিউয়ের কাছে গেল পুষ্প। তাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে চেয়ার টেবিলে বসাতে পেরেছেন রুবাইদা বেগম। কিন্তু নাকে কা*ন্না কমেনি। পুষ্প বাইরে দাঁড়িয়েই ঘোষণা দিল,

” ধূসর ভাইয়া এসেছেন,এবার মজা বোঝাবেন তোকে।” 

ব্যাস! পিউয়ের হেচকি বন্ধ। কা*ন্নাকা*টি শেষ। চোখ দুটো মারবেলের মতন করে তাকাল বোনের দিকে। পরপর রুবাইদা বেগমের পানে। রুবাইদা বেগম বলতে নিলেন ” কিছু হবেনা আমি___

কে শোনে পুরো কথা। পিউ তড়াক করে উঠে দাঁড়াল। এক ছুট্টে গিয়েই পুষ্পর মুখের ওপর দরজাটা ধড়াম করে লাগিয়ে দিলো। এই মুহুর্তে  দরজা আটকানো মানে জীবন বাঁচানো। 

চলবে,

Tags: গল্প

Continue Reading

Previous: এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫
Next: এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৭

Related Stories

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০ ফুল ও প্রজাপতির ছবি
1 min read
  • উপন্যাস
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০

01/06/2023
কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯ ফুল ও প্রজাপতির ছবি
1 min read
  • উপন্যাস
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯

31/05/2023
এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২ এক সমুদ্র প্রেম গল্প
1 min read
  • উপন্যাস
  • এক সমুদ্র প্রেম

এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২

30/05/2023

Recent Posts

  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০
  • অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০
  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯

Archives

  • June 2023
  • May 2023
  • April 2023
  • March 2023
  • February 2023
  • January 2023
  • December 2022
  • November 2022
  • October 2022
  • September 2022
  • August 2022
  • July 2022
  • June 2022
  • April 2022
  • January 2022
  • December 2021
  • October 2021
  • September 2021
  • August 2021
  • July 2021
  • June 2021

Categories

  • Golpo
  • Kobita
  • love story link
  • More Than Love
  • Picture Status
  • sad golper link
  • Uncategorized
  • অতৃপ্ত আত্মা
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান
  • অন্তর্হিত কালকূট
  • অন্যরকম তুমি
  • অন্যরকম বউ
  • অরোনী তোমার জন্য
  • আত্মা
  • আমার তুমি
  • আমার তুমি সিজন ২
  • আমি পদ্মজা
  • আরশিযুগল প্রেম
  • ইট পাটকেল
  • ইসলামিক গল্প
  • উইল ইউ ম্যারি মি?
  • উপন্যাস
  • এক কাপ চা
  • এক প্রহর ভালোবাসা
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি
  • এক মুঠো রোদ
  • এক সমুদ্র প্রেম
  • একটি ডিভোর্স লেটার
  • একটি রাতের গল্প
  • ওহে প্রিয়
  • কাঞ্চাসোনা
  • কালো বউ
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • কোথাও কেউ ভালো নেই
  • ক্যান্সার যুদ্ধ
  • ক্যামেলিয়া
  • খুন
  • ঘেউলের সংসার
  • চার আনার জীবন
  • চিঠি
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
  • চেম্বার কথন
  • জলনূপুর
  • জানা অজানা
  • জীবন যখন যেমন
  • জীবনি
  • জ্বিন রহস্য
  • টু ফাইভ এইট জিরো
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
  • ডিভোর্স
  • ডিভোর্স পেপার
  • তিনি আমার সৎ মা
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন
  • দাম্পত্য সুখ
  • দেহ
  • দ্বিতীয় পুরুষ
  • দ্যা ব্লাক বুক
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক
  • নবনী
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
  • নীল চিরকুট
  • নীলার শাশুড়ী
  • নয়নে লাগিল নেশা
  • পরগাছা
  • পরবাসী মেঘ
  • পাপ
  • পিশাচ দেবী
  • পিশাচ পুরুষ
  • পুকুর রহস্য
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • প্রণয়ের আসক্তি
  • প্রতিশোধ
  • প্রাণি জগত
  • প্রিয়োসিনী
  • প্রেমাতাল
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প
  • ফিরতি উপহার
  • ফুলসজ্জা
  • ফ্রিজ
  • বজ্জাত বউ
  • বন্ধু
  • বিচ্ছেদ
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস
  • বিয়ের চাপ
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স
  • বেপরোয়া ভালোবাসা
  • ভাড়াটিয়া
  • ভাবির সংসার
  • ভালোবাসা রং বদলায়
  • ভুতের গল্প
  • ভ্যাম্পায়ার বর
  • ভয়ংকর নির্জন
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি
  • মায়াবতী
  • মুভি
  • মেঘে ঢাকা আকাশ
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
  • যেদিন তুমি এসেছিলে
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২
  • রানিং গল্প
  • রুম নম্বর ৯০৯
  • রূপকথা
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন
  • রোমান্টিক অত্যাচার
  • লিংক+রিভিউ
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
  • লেখক
  • শিমুল ফুল
  • শিশির বিন্দু
  • শিশিরের আদ্র
  • শেষ
  • শেষ পেইজ
  • শ্রাবন আধারে তুমি
  • সঙ্কোচ
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
  • স্যার i love you
  • হাসির গল্প
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি
  • ১৬ বছর বয়স
  • ১৮ বছর বয়স

Trending News

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫ মেহজাবীন চৌধুরী পিক 1

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫

01/06/2023
কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০ ফুল ও প্রজাপতির ছবি 2

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০

01/06/2023
অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০ মেহজাবিন চৌধুরী পিক 3

অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০

31/05/2023
নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪ মেহজাবীন চৌধুরী পিক 4

নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪

31/05/2023
কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯ ফুল ও প্রজাপতির ছবি 5

কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯

31/05/2023
ব্রেকাপ ভালোবাসার গল্প ব্রেকআপ হওয়ার গল্প পিক 6

ব্রেকাপ ভালোবাসার গল্প

30/05/2023
এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২ এক সমুদ্র প্রেম গল্প 7

এক সমুদ্র প্রেম পর্ব ৫২

30/05/2023

Categories

  • Golpo (246)
  • Kobita (36)
  • love story link (73)
  • More Than Love (18)
  • Picture Status (43)
  • sad golper link (22)
  • Uncategorized (12)
  • অতৃপ্ত আত্মা (14)
  • অনির কলমে আদ্রিয়ান (33)
  • অন্তর্হিত কালকূট (20)
  • অন্যরকম তুমি (58)
  • অন্যরকম বউ (6)
  • অরোনী তোমার জন্য (20)
  • আত্মা (5)
  • আমার তুমি (44)
  • আমার তুমি সিজন ২ (56)
  • আমি পদ্মজা (93)
  • আরশিযুগল প্রেম (65)
  • ইট পাটকেল (48)
  • ইসলামিক গল্প (8)
  • উইল ইউ ম্যারি মি? (10)
  • উপন্যাস (1,584)
  • এক কাপ চা (48)
  • এক প্রহর ভালোবাসা (20)
  • এক মুঠো কাঁচের চুরি (51)
  • এক মুঠো রোদ (50)
  • এক সমুদ্র প্রেম (57)
  • একটি ডিভোর্স লেটার (4)
  • একটি রাতের গল্প (8)
  • ওহে প্রিয় (49)
  • কাঞ্চাসোনা (15)
  • কালো বউ (35)
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প (30)
  • কোথাও কেউ ভালো নেই (15)
  • ক্যান্সার যুদ্ধ (3)
  • ক্যামেলিয়া (36)
  • খুন (5)
  • ঘেউলের সংসার (4)
  • চার আনার জীবন (4)
  • চিঠি (1)
  • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস (30)
  • চেম্বার কথন (45)
  • জলনূপুর (6)
  • জানা অজানা (2)
  • জীবন যখন যেমন (20)
  • জীবনি (8)
  • জ্বিন রহস্য (6)
  • টু ফাইভ এইট জিরো (4)
  • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি (8)
  • ডিভোর্স (4)
  • ডিভোর্স পেপার (3)
  • তিনি আমার সৎ মা (8)
  • তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর (42)
  • থ্রিলার নভেম্বর রেইন (4)
  • দাম্পত্য সুখ (14)
  • দেহ (8)
  • দ্বিতীয় পুরুষ (36)
  • দ্যা ব্লাক বুক (6)
  • ধারাবাহিক গল্প লিংক (32)
  • নবনী (9)
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ (338)
  • নীল চিরকুট (71)
  • নীলার শাশুড়ী (6)
  • নয়নে লাগিল নেশা (5)
  • পরগাছা (6)
  • পরবাসী মেঘ (4)
  • পাপ (3)
  • পিশাচ দেবী (5)
  • পিশাচ পুরুষ (11)
  • পুকুর রহস্য (4)
  • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা (5)
  • প্রণয়ের আসক্তি (41)
  • প্রতিশোধ (3)
  • প্রাণি জগত (1)
  • প্রিয়োসিনী (29)
  • প্রেমাতাল (57)
  • প্রেমিক অপ্রেমিকের গল্প (32)
  • ফিরতি উপহার (2)
  • ফুলসজ্জা (20)
  • ফ্রিজ (15)
  • বজ্জাত বউ (45)
  • বন্ধু (5)
  • বিচ্ছেদ (20)
  • বিমূর্ত প্রতিশোধ (10)
  • বিশ্বাস অবিশ্বাস (7)
  • বিয়ের চাপ (10)
  • বৃষ্টিময় প্রেম গল্প (76)
  • বৃহন্নলার ডিভোর্স (12)
  • বেপরোয়া ভালোবাসা (50)
  • ভাড়াটিয়া (20)
  • ভাবির সংসার (59)
  • ভালোবাসা রং বদলায় (4)
  • ভুতের গল্প (17)
  • ভ্যাম্পায়ার বর (26)
  • ভয়ংকর নির্জন (5)
  • ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি (5)
  • মায়াবতী (36)
  • মুভি (11)
  • মেঘে ঢাকা আকাশ (16)
  • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি (10)
  • যেদিন তুমি এসেছিলে (51)
  • যেদিন তুমি এসেছিলে সিজন ২ (46)
  • রানিং গল্প (442)
  • রুম নম্বর ৯০৯ (4)
  • রূপকথা (17)
  • রোদ শুভ্রর প্রেমকথন (63)
  • রোমান্টিক অত্যাচার (17)
  • লিংক+রিভিউ (96)
  • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ (4)
  • লেখক (5)
  • শিমুল ফুল (52)
  • শিশির বিন্দু (7)
  • শিশিরের আদ্র (23)
  • শেষ (3)
  • শেষ পেইজ (9)
  • শ্রাবন আধারে তুমি (22)
  • সঙ্কোচ (7)
  • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে (8)
  • স্যার i love you (23)
  • হাসির গল্প (86)
  • হীরের নাকফুল ও লাল বেনারসি (5)
  • ১৬ বছর বয়স (44)
  • ১৮ বছর বয়স (32)

তালিকা

  • Home
  • Picture Status
  • Blog
  • Kobita
    • পৃথিবীর সেরা প্রেমের কবিতা
  • লেখক
  • লিংক+রিভিউ
    • love story link
    • sad golper link
  • রানিং গল্প 2
    • জলনূপুর
    • অন্তর্হিত কালকূট
    • সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা অবলম্বনে
    • ধারাবাহিক গল্প লিংক
    • মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
    • এক মুঠো কাঁচের চুরি
    • নবনী
    • শেষ
    • শেষ পেইজ
    • বিমূর্ত প্রতিশোধ
    • শ্রাবন আধারে তুমি
    • লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
    • কোথাও কেউ ভালো নেই
    • চিত্ত চিরে চৈত্রমাস
    • পরবাসী মেঘ
    • খুন
    • ভালোবাসা রং বদলায়
    • আত্মা
  • ভুতের গল্প
  • Golpo
    • জীবনি
    • ইসলামিক গল্প
    • প্রাণি জগত
    • জানা অজানা
    • হাসির গল্প
  • উপন্যাস
    • ওহে প্রিয়
    • ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
    • স্যার i love you
    • বজ্জাত বউ
    • কিছু জোড়া শালিকের গল্প
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ
    • নয়নে লাগিল নেশা
    • প্রিয়োসিনী
    • চিঠি
    • বেপরোয়া ভালোবাসা
    • শিশিরের আদ্র
    • মায়াবতী

Recent Posts

  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৫
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ৩০
  • অন্তর্হিত কালকূট পর্ব ২০
  • নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ৪
  • কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ২৯
  • Home
  • About us
  • Contact Us
  • Privacy Policy
  • নীল ক্যাফের গল্প গ্রুপ

Copyright © All rights reserved by kobitor.com