এক মুঠো রোদ .
# লেখিকাঃ নৌশিন আহমেদ রোদেলা
# পর্বঃ ৪০
৭২.
পাহাড়ের মাথায় উজ্জ্বল রোদ। সময়ের সাথে সাথে সূর্যের তাপও বাড়ছে। এই রোদ মাথায় করেই সাবলীল ভঙ্গিতে হেঁটে চলেছে চারজন। রোজার পায়ের চোটের কারনে দুটো দিন থুইসাপাড়াতেই কাঁটাতে হয়েছে তাদের। আর যায় হোক, ১৭ কিঃমিঃ পথ কোলে হেঁটে পাড় করা সম্ভব নয়। এই দুইদিনে অনেক অজানা সত্যই জানতে পেরেছে মৃন্ময়। কোনো অাদিবাসী নয় কাছের কারো ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়েই প্রাণ হারাতে হয়েছে আরিয়া ফয়সালকে। মৃন্ময় অবাক হয় নি। এ তো নতুন কিছু নয়। সেই অতীত থেকেই এমনটা হয়ে আসছে। ইতিহাসের অন্ধকার গহ্বরগুলো গোলকধাঁধার মতো ঘুরে ঘুরে বর্তমানকে জানিয়ে দিয়ে চলেছে অতীতের নিষ্ঠুরতা। নতুন পাড়া পেরিয়ে হরিৎচন্দ্র পাড়ার কাছাকাছি পৌঁছোতেই দৌঁড়ে এসে মৃন্ময়ের পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো রোজা। মৃন্ময় সহাস্যে বললো,
—” আপনার না পায়ে ব্যাথা মিস.রোজা? তো দৌড়াচ্ছেন কেন?”
রোজা আড়চোখে মৃন্ময়ের দিকে তাকালো। এই দু’দিন খুব সূক্ষ্মভাবে রোজাকে এড়িয়ে চলেছে মৃন্ময়। কিন্তু কেন? জানা নেই রোজার। হয়তো সেই রাতের জন্য। অভিমান, লজ্জা আর অপমানে নিজেও চুপ ছিলো রোজা। মৃন্ময় আবারও ডাকলো,
—” মিস.রোজা?”
রোজা সচেতন চোখে তাকালো। স্মিত হেসে বললো,
—” আপনার সাথে কথা ছিলো বলেই দৌঁড়ে এলাম। সুপারস্টারদের পেছনে না দৌঁড়ালে কি তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ হয় মৃন্ময় সাহেব?”
রোজার মুখে “মৃন্ময় সাহেব” শব্দটা খুবই বেমানান লাগলো মৃন্ময়ের। তবু হালকা হেসে বললো,
—” জি বলুন। কি কথা?”
—” শাইয়াম চাং কে তো পেলেন। এবার নেক্সট প্ল্যান কি?”
মৃন্ময় স্পষ্ট গলায় বললো,
—” নেক্সট প্ল্যান হলো বান্দরবান থেকে ঢাকা। তারপর আগের মতোই বাঁধা ধরা জীবন।”
রোজা থমকে দাঁড়ালো। কপাল কুঁচকে বললো,
—” মানে? আসল কালপ্রিটকে খুঁজে বের করবেন না?”
মৃন্ময় দু-পা এগিয়ে গিয়েছিলো। রোজার কথায় থেমে গিয়ে ফিরে তাকালো। অকপটে বললো,
—” না।”
রোজা হেঁটে মৃন্ময়ের পাশাপাশি দাঁড়ালো। বিস্ময় নিয়ে বললো,
—” কেন?”
—” কারণ আমি হিংস্র হতে চাই না মিস.রোজা। সে যদি ভুলবশতও আমার সামনে চলে আসে তাহলে আমার এই মুখোশটা আর থাকবে না। মানবতা, দয়া — এই শব্দগুলোও তুচ্ছ হয়ে পড়বে।”
রোজা ব্যাগের ব্যাল্ট দুটো টেনে ধরে হাঁটতে হাঁটতে বললো,
—” মুখোশ? মুখোশ তো খারাপ মানুষের থাকে। আপনি কি ইন্ডাইরেক্টলি নিজেকে ব্যাড পার্সন বলতে চাইছেন?”
মৃন্ময় হেসে ফেললো। হাসিমুখেই বললো,
—” বলতে চাইছি না। বলছিই। প্রতিটি মানুষের মাঝে একজন হিরো এবং একজন ভিলেন লুকায়িত থাকে। একটাকে নিয়ে কি বাঁচা সম্ভব?”
রোজা উত্তর দেয় নি। এই দীর্ঘ জার্নিতে আর কোনো কথা হয় নি তাদের। কেন হয় নি? কিসের সেই বাঁধা নিজেও বুঝতে পারে নি রোজা। ঢাকায় ফিরে “ভালো থাকবেন” এই কথাটাকে পুঁজি করেই যার যার গন্তব্যে পা বাড়িয়েছে তারা। রোজা বেশ কয়েকবার পেছনে ফিরে তাকিয়েছে। কেমন একটা টান অনুভব করছে উল্টো পথে চলা সেই মানুষটার উপর।
৭৩.
আরুর গালে চড় বসানোর পর থেকেই নিজের ভুলটা উপলব্ধি করতে পারছে রাফিন। আর যায় হোক, আরু কে চড় মারাটা ঠিক হয় নি। এতে আরুর ভয়টা বাড়বে বৈ কমবে না। “সরি” বলাটা রাফিনের ধাঁচে নেই। জীবনের প্রথম রোজাকেই সরি বলেছিলো সে। তার আগে বা পরে কেউ নয়। রাফিন চেয়ারে গা এলিয়ে এসবই ভাবছিলো। ঠিক তখনই ধীর পায়ে ঘরে ঢুকলো আসিফ। মৃদু গলায় বললো,
—” ভাই?”
রাফিন চোখ মেলে তাকালো। আসিফকে দেখে হালকা হেসে বললো,
—” আয়, বস।”
আসিফ চেয়ার টেনে বসতে বসতে বললো,
—” মৃন্ময়রা ফিরেছে ভাই। মৃন্ময়রা যার কাছে গিয়েছিলো তাকে জেরা করে পলাশ যতটুকু জানতে পেরেছে তার সারমর্ম হলো, মৃন্ময়ের বাপ আর তার বন্ধু বান্দরবান জেলায় একটা কলেজ বানাতে চেয়েছিলো। তারই রেশ ধরে বান্দরবানে ডাকাতদের সহায়তায় খুন করে গুম করে দেওয়া হয় দু’জনকেই। খুন করার কথাটা যদিও উহ্য। ওদের শেষ পরিণতিটা এখনও জানতে পারে নি কেউ।”
রাফিন কিছুক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে চোখ বন্ধ করলো। রাফিনের মুখের কাঠিন্য চোখ এড়ালো না আসিফের। আসিফ ইতস্তত গলায় ডাকলো,
—” ভাই?”
রাফিন চোখ খুলেই মৃদু হাসলো। রাফিনের রহস্যমাখা হাসির কারণটা ধরতে পারলো না আসিফ। নীরবদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো রাফিনের মুখে। রাফিন সোজা হয়ে বসলো,
—” খারাপ মানুষ হওয়ার মতো ইন্টারেস্টিং আর কিছু হয় না আসিফ। খারাপ মানুষ হওয়াটাও দারুন একটা এক্সপেরিয়েন্স।”
উত্তরে কি বলা যায় বুঝতে না পেরে চুপ করে বসে রইলো আসিফ। রাফিন কয়েক সেকেন্ড নীরব থেকে বললো,
—” ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠা আসিফ। অনেকদিন যাবৎ চোর-পুলিশ খেলি না। আজ খেলবো। যা…”
আসিফ কথাটার ভাবার্থ না করতে পেরেও মাথা দুলালো কিন্তু উঠলো না। রাফিন স্থিরদৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
—” কিছু বলবি?”
আসিফ সাহস নিয়ে বললো,
—” জ্বি ভাই। ভাই? আজ পাঁচবছর ধরে আপনার সাথে আছি ভাই। সবসময় ছোট ভাইয়ের মতোই ভালোবাসছেন। সেই হিসেবে আমার মনে হয়েছিলো আমি আপনাকে অল্প হলেও বুঝি। কিন্তু…”
রাফিন কপাল কুঁচকে বললো,
—” কিন্তু কি?”
আসিফ ঢোক গিললো। চোখ নামিয়ে নিয়ে নিচু গলায় বললো,
—” কিছুদিন যাবৎ আমার মনে হচ্ছে আমি আপনাকে বুঝতাছি না ভাই। কেমন যেন ধাঁধার মতো লাগছে সব। এর আগেও মেয়েদের সাথে আপনার সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু এখন…”
রাফিন কিছু বললো না। তার দৃষ্টি স্থির। আসিফ জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বললো,
—” ভাই আপনার চোখে নতুন কিছু দেখেছি আমি। হয়তো আমি ভুল কিন্তু আমার বিশ্বাস আমি ভুল নই।”
রাফিন মুচকি হাসলো। সকৌতুকে বললো,
—” নতুন কি দেখেছিস?যা বলবি স্পষ্ট করে বল।”
আসিফ মৃদু গলায় প্রশ্ন করলো,
—” ঘোর। রোজা ম্যাডামের নাম শুনলে আপনি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যান ভাই। আমার ধারনা কি সত্যি?”
রাফিনকে বেশ চিন্তিত দেখালো। চিন্তার রেখা তার কপালে স্পষ্ট। আসিফ সাহস নিয়ে বললো,
—” আমার ধারনা কি ভুল ভাই?”
রাফিন হালকা হেসে বললো,
—” তোর না গার্লফ্রেন্ড আছে? এটা কত নাম্বার?”
হঠাৎ এমন প্রশ্ন করায় বোকা বনে গেলো আসিফ। আমতা আমতা করে বললো,
—” সাত নাম্বার ভাই।”
রাফিন হেসে উঠে বললো,
—” কমই তো। আট নাম্বারটার খোঁজ চালু করিস নি এখনও?”
আসিফ লাজুক হেসে বললো,
—” না ভাই। এটাই ফাইনাল। আপনি অনুমতি দিলো খুব জলদি বিয়ে করে নিবো ভাই। বয়স তো হইছেই।”
রাফিন অবাক হয়ে বললো,
—” বিয়ে করবি নাকি?তাহলে বাকি মেয়েদের কি হবে রে। এক বউ নিয়ে থাকতে পারবি নাকি আরো ডজনখানিক করবি?”
আসিফ হেসে ফেললো,
—” একটাই করবো ভাই। ভালোলাগা হাজার থাকলেও ভালোবাসা তো একটাই হয়।”
রাফিন হাসলো।
_______________
আরু বই পড়ছিলো। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের “পার্থিব”। উপন্যাসটা অসাধারণ হলেও আরুর কাছে পানসে ঠেকছে। আজকাল কোনো কিছুতেই মন বসে না তার। রাফিনের চড় খেয়ে পানসে ভাবটা দ্বিগুণ হয়েছে বলেই বোধ হচ্ছে। কথায় কথায় মরে যেতে ইচ্ছে করছে। হাতের দিকে তাকালেই হাতের রগগুলো কেটে ফেলার মতো দুঃসাহসিক চিন্তা করে পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছে। নয়তো গলায় ফাঁস। কিন্তু সমস্যা হলো রাফিনের রুমে ফ্যান নেই। ফ্যান না থাকার ব্যাপারটাতেও ভীষণ বিরক্ত আরু। তার বারবারই মনে হচ্ছে ঘরে ফ্যান না থাকাটাও তার দোষ। সে রুমে আছে বলেই ফ্যান নেই। রুম থেকে বেরিয়ে গেলেই বুঝা যাবে ফ্যান আছে এবং মহা উৎসাহে ঘুরছে। আরু দীর্ঘশ্বাস ফেললো। সাথে সাথেই দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো রাফিন। হাতে দুটো প্যাকেট। দরজা বন্ধ করে ফিরে তাকিয়ে আরুকে দেখেই থমকে গেলো সে। পরক্ষণেই ইতস্তত করে এগিয়ে এলো। তুমুল অস্বস্তি নিয়ে আরুর দিকে প্যাকেটগুলো এগিয়ে দিয়ে বললো,
—” তোমার জন্য।”
এই দুটো শব্দ উচ্চারণ করতেই যেন ধম শেষ হয়ে এলো রাফিনের। কি ভীষণ অস্বস্তিই না লাগছে তার। এই পরিস্থিতিতে না পড়লে হয়তো “অস্বস্তি” নামক বস্তুটির সাথে কখনো পরিচয় হওয়াটাও হয়ে উঠতো না রাফিনের। আরু ভয়মাখা চোখে প্যাকেট দুটোর দিকে তাকিয়ে আছে। তার চাহনী দেখে মনে হচ্ছে রাফিন তাকে কোনো গিফ্ট নয় আস্ত মিসাইল দিচ্ছে। আরুকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো রাফিন। শক্ত গলায় বললো,
—” কি ব্যাপার? নিচ্ছো না কেন? নাও।”
আরু কিছুক্ষণ অপলক তাকিয়ে থেকে প্যাকেটগুলো নিলো। হাতদুটো থরথর করে কাঁপছে তার। রাফিন মাথা চুলকে বললো,
—” এখানে একটা শাড়ি আর একটা জামা আছে। তোমার যা পছন্দ পড়ে আসো। তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাবো।”
আরু অপ্রকৃতিস্থর মতো দাঁড়িয়ে রইলো। চোখদুটো বড়বড় করে তাকিয়ে আছে সে। রাফিন এবার আরো অস্বস্তিতে পড়লো। নিজের চুলই টেনে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে। এই মেয়ের পেছনে টাইম ওয়েস্ট করার চিন্তা করাটাও যে একটা বড় মাপের বলদামো তাও বুঝা হয়ে গেছে তার। রাফিন নিজের রাগ কন্ট্রোল করে মুখে হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললো,
—“কি হলো যাও।”
আরুর পা দুটো যেন মেঝের সাথে এঁটে আছে তবুও নড়েচড়ে উঠলো সে। বহুকষ্টে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালো। আরু ওয়াশরুমে ঢুকতেই পাশের টেবিলে লাথি লাগালো রাফিন। জীবনটা পুরোদমে সার্কাস হয়ে গেছে তার। উফফ!
৭৪.
ভার্সিটির লাইব্রেরিতে বসে আছে রোজা-তীর্থ। এসব আউল-ফাউল কাজ করেই টার্ম ফাইনাল চলে এসেছে তাদের। ফ্রেন্ডদের থেকে নোট জোগাড় করে সেই নোটেই মাথা গুঁজে বসে আছে দু’জনে। এটলিস্ট মানসম্মান বাঁচানোর মতো সিজিপিএ তো পেতে হবে নাকি? সেকেন্ড চাপ্টারের “Citizen Investigations —Planning and Carrying Out an Investigation” টপিকটা বোঝার চেষ্টা করছিলো রোজা। তার মাঝেই বাহুতে কনুই দিয়ে গুঁতো দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেই বলে উঠলো তীর্থ,
—” দোস্ত? সত্যি করে বল তো…তোর মনটা কি হালকা পাতলাও খারাপ না?”
রোজা স্থির দৃষ্টিতে তাকালো। হালকা হেসে সহজভাবে বললো,
—” হ্যাঁ। হালকা খারাপ।”
তীর্থ উৎসাহ নিয়ে বললো,
—” আমার ধারনা ঠিক হলে ওই হিরোর জন্য মন খারাপ তোর। প্রেমে পড়েছিস তাই না? অনেস্টলি আন্সার দে।”
রোজা হাসলো। নোটটা বন্ধ করে তীর্থের দিকে ফিরে নিচু গলায় বললো,
—” দোস্ত? তোকে আমি অলওয়েজ অনেস্টলিই আন্সার দেই। দেখ,প্রেমে পড়েছি কিনা সেটা বড় ব্যাপার নয়। ব্যাপারটা হলো মেলবন্ধন। প্রথমত, আমি যদি প্রেমে পড়েও থাকি তবু উনি প্রেমে পড়েন নি। আমাদের মতো সিম্পল মেয়েদের উপর উনারা প্রেমে পড়ে না। এসব উনার মতো মানুষদের কাছে নর্মাল। হাজার মেয়েরা প্রেম নিবেদন করে। সেই হিসেবে প্রেমে পড়া জনিত কারনে আমার গিল্টি ফিল হচ্ছে। নিজেকে আট-দশটা মেয়ের মতো চিপ মনে হচ্ছে। আর তুই জানিস আমার আত্মসম্মানবোধ প্রবল। দ্বিতীয়ত, উনার আর আমার মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান। উনার প্রয়োজন চাকচিক্য আর আমার প্রয়োজন সহজলভ্যতা। আমি নায়ক হিসেবে উনার প্রেমে পড়ি নি। উনার পরোপকারীতা, নিরহংকারিতা, বুদ্ধিদীপ্ততাতেই আমি মত্ত। অল অফ দিস, উনার সাথে আমার মেলবন্ধনটা হবে না রে। আমাদের উনার সাথে কাটানো সময়গুলোকে ভুলে যাওয়া উচিত তীর্থ। আমি ঠিক বলছি না?”
রোজার বেদনামাখা হাসিতে যোগ দিতে পারলো না তীর্থ। কিছুক্ষণ মন খারাপ করে বসে থেকে বললো,
—” তুই একদম গিল্ট ফিল করবি না। তুই কখনোই আট-দশটা মেয়ের মতো এতোটা ইজি নোস। তুই রোজা। তুই মৃন্ময়ের জন্য নয় বরং মৃন্ময় তোর জন্য পার্ফেক্ট ছিলো না। বাদ দে ওই শালাকে। আমি তোর জন্য সাত রাজার ধন খুঁজে বের করবো।”
রোজা কপাল কুঁচকে তাকালো। তীর্থ দাঁত কেলিয়ে বললো,
—” মানে হলো গিয়ে….যে ব্যাটার সাত মাইয়া আর একটা মাত্র পোলা থাকবো। মাইয়া মানেই তো ধন। লজিক বোঝ।”
রোজা খিলখিল করে হেসে উঠলো। মৃন্ময়কে নিয়ে এক তিল পরিমাণ ভাবনাও চলবে না তার। রোজা তো কল্পনাপ্রবণ মেয়ে নয়। তাকে কল্পনায় সাজে না। কখনো না।
# চলবে….