#দ্বিতীয় পুরুষ
পর্ব ১১
_নীলাভ্র জহির
খালাবাড়ির পুকুর পাড়টা খুব সুন্দর। ছোট্ট পুকুর অথচ চারপাশে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো রয়েছে সুপারি ও আম গাছ। একপাশে শান দিয়ে বাঁধাই করা ঘাট। ঘাট থেকে একটু উঁচুতে খানিকটা দূরেই বাঁশ দিয়ে বানানো রয়েছে টং। টং এর উপর বসে এখানে বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় আড্ডা চলে। গরমকালে ভরা জোছনায় রাত্রি বেলাও বসে এখানে হাওয়া খেতে খেতে গল্প গুজব হয়। রূপক চিত্রাকে নিয়ে টং এর উপর এসে বসলো।
দুপুরের রোদ কেবল কমতে শুরু করেছে। ভাবীরা গোসল সেরে উঠে কাপড় ধুচ্ছে। শিরশির করে বাতাস লাগছিল গায়। টং এর উপর শুয়ে পড়ল রূপক। তার ভাবির ছেলে দৌড়ে গিয়ে ঘর থেকে একটা বালিশ নিয়ে এসে দিল। চিত্রা বসে রইল রূপকের পাশে। গরম গরম পোলাও, গরুর গোশত ও মাছ ভাজা দিয়ে ভাত খাওয়ার পর এই রকম শিরশিরে বাতাসে ঘুম চলে আসে। সঙ্গে তার প্রেমিক স্বামী। ভীষণ সুখী সুখী মনে হচ্ছে নিজেকে চিত্রার। ভাবীরা কাপড় শুকাতে দিচ্ছেন। মাথায় গামছা বাঁধা। গামছা খুলে চুল ঝাড়ছিলেন মেজ ভাবি। চিত্রা রূপককে বলল, এইখানে আইসা আমার খুবই ভালো লাগতাছে।
দুইটা দিন থাকো। ভালো লাগবো। খালা অনেক আদর যত্নে রাখবো তোমারে।
হ, তা তো জানি। ভাবিরাও আমার অনেক খেয়াল রাখব।
কিন্তু তোমারে রাইখা গিয়ে আমি যে কেমনে থাকমু?
তাইলে আমারে রাইখা যাইয়েন না। আমারে লগে নিয়ে যান আর নয়তো আপনেও থাইকা যান।
পোলাপাইনের মতো কথা কইও না বউ। দোকানে যাইতে হইবো। কাম কাজ না করলে তোমারে খাওয়ামু কি? ৬ জন মানসের সংসার আমাগো। কাম কাজ করতে হইব না?
চিত্রা কোন কথা না বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই বাস্তবতা সে নিজেও বোঝে। মনটা মানতে না চাইলেও তাকে মানিয়ে রাখতে হলো।
রূপক বলল, মুখটা কেমন হইয়া আছে। এত ভালা ভালা খানা খাইলাম। আরসি কোলা খাওন লাগতো।
সবচেয়ে ছোট খালাতো ভাইকে ডেকে রূপক পকেট থেকে৷ পঞ্চাশ টাকা বের করে দিয়ে বলল, দোকান থাইকা একটা আরসি কোলা নিয়া আয়। একটা সিগারেটও আনিস।
ছেলেটা টাকা নিয়ে দৌড়ে চলে গেল। মেজ ভাবী বাটাতে করে পান নিয়ে এসেছেন। রূপক বলল,, বসেন ভাবি। পান একটু পরে খাব। আরসি কোলা আনতে দিছি। আগে আরসি খাইয়া লই।
আপনের ভাইয়ে পেপসি কিনা দোকানে রাখছে। তার নাকি বাড়ি আসতে লেট হইবো। কি একটা ব্যাপার আপনারে আরসি দিতে পারলাম না।
রূপক হাসতে হাসতে বলল আরে সমস্যা নাই বিকেলে আবার খামু। খাওয়ান কি একবেলা? খাওয়ন অনেক বেলাই খামু।
হ, ভাই। নতুন বউ নিয়া আইছো। আইজ রাতটা থাইকা যাও। আমার আম্মায় কইছিল বউরে নিয়া যাইতে। আমাগো বাড়িতে একবেলা ভাত খাইও।
না, ভাবি। অহন আর দাওয়াত খাওনোর সময় নাই। আইজ দোকান ফালাইয়া আইছি। রাতে বাড়ি ফিরতে হইবো। কাল দোকানে যামু।
তাইলে তোমার বউরে নিয়া আমি একদিন বাপের বাড়ি থাইকা ঘুরে আসি।
ও তো দুইদিন থাকবো।
খালি দুই দিন থাকবো? কইলেই হইলো? আমরা যাইতে দিতাছি না। সপ্তাহ খানেক থাকুক। সামনের শুক্রবার আপনি আইসা ওরে নিয়ে যাইয়েন।
আরে না। ওরে এখানে রাইখা আমার মায়ের ঘুমে ধরব না।
খালারে পাঠায় দিয়েন।
বাড়িতে সংসার আছে। গরু ছাগল হাঁস মুরগি আছে। মারে তো আর এখানে পাঠানো যায় না।
অত কথা বুঝি না ভাই। আমি ওরে নিয়া আমার বাপের বাড়িতে বেড়াইতে যামু। আমার মা বারবার কইরা ডাকছে।
ঠিক আছে। আপনে ওরে কালকে নিয়া ঘুইরা আইসেন। পরেরদিন মা আইসা ওরে নিয়া যাইবো।
এসব উল্টোপাল্টা কথা কইয়েন না ভাই। কয়েকটা দিন থাকুক ও এইখানে।
কথাটা বলেই ভাবি চিত্রাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো। ভাবির এই পরম স্নেহে নিজেকে মাখিয়ে ফেলল চিত্রা। মহিলাটাকে তার খুব আপন বলে মনে হল। ওনার গা থেকে বেরোচ্ছে লাক্স সাবানের ঘ্রাণ। খুব ভালো লাগলো চিত্রার।
চিত্রা বললো ভাবী আপনি ভাত খান নাই। এত কইরা কইলাম আমার লগে খাইয়া লইতে। আপনি যান। গিয়া খাইয়া লন।
না বইন। তোমার ভাই দোকান থাইকা আসুক।
ভাইজান দুপুরে বাড়িতে ভাত খায়?
হ, বাড়িতে আইসা খাইয়া যায়।
চিত্রার মনটা কেমন যেন করে উঠলো। তার স্বামীও যদি দুপুরবেলা বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে যেত তাহলে কতই না ভালো হতো। দুপুরের আগেই রান্না-বান্না শেষ করে গোসল করে সে সেজেগুজে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতো। তার স্বামী খেতে বসলে সে পাখা দিয়ে বাতাস করতে পারত। ভাত খাওয়ার পর এক খিলি পান বানিয়ে দিত সে স্বামীকে। পান খেতে খেতে ঘুমিয়ে পড়তো রূপক। কখনো বা ঘুমের ফাঁকে তাকে একটু জড়িয়ে ধরে সোহাগ করতে চাইত। দশ মিনিট বিশ্রাম নিয়েই আবার দৌড়ে দোকানে যেতে হতো তাকে। চিত্রার ইচ্ছে করতো না স্বামীকে ছাড়তে তবুও ছেড়ে দিত সে।
কারণ তাকে আবার কাজে ফিরতে হবে। প্রতিদিন সারাটাদিন অপেক্ষায় না থেকে যদি দুপুরবেলা একবার রূপক বাসায় ভাত খেতে আসত তাহলে দিনটা আরো সুন্দর হয়ে যেত তার। কথাগুলো কল্পনা করেই চিত্রার অন্যরকম আনন্দ হতে লাগলো। কিন্তু তাদের দোকান বাড়ি থেকে অনেক দূরে। যাতায়াত খুব কষ্টকর হয়ে যাবে। ভালো হবে যদি রূপকের একটা সাইকেল হয়ে যায়। সাইকেল থাকলে সে স্বামীকে অনুরোধ করে বলবে দুপুরে বাড়িতে খাইতে আসেন। তাহলে নিশ্চয়ই সাইকেল চালিয়ে তার স্বামী প্রতিদিন না হলেও অন্তত সপ্তাহে দু তিন দিন বাড়িতে খেতে আসবে। এবার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে বাবাকে সাইকেলের ব্যাপারে একটু চাপ দিতেই হবে। অনেক দিন তো হয়ে গেল। শুধু ফুপাতো ভাইদের আশায় বসে থাকলে চলবে না। আনমনে কথাগুলো ভাবছিল চিত্রা।
এমন সময় রূপকের খালাতো ভাই আরসি কোলা নিয়ে ফিরলো। মেজ ভাবী দৌড়ে ঘরে গেলেন গ্লাস নিয়ে আসতে। ঢকঢক করে এক গ্লাস কোক খেয়ে সিগারেট ধরালো রূপক। চিত্রা আবার কোক খেতে পারে না। সামান্য একটু খেয়ে সে ভাবিকে খেতে অনুরোধ করল। ভাবি আরসির বোতলটা হাতে করে নিয়ে বাড়ির ভিতরে গেলেন। বললেন তার স্বামী বাড়িতে ফিরলে ভাত খেয়ে তারপর খাবে।
রূপকের সিগারেটের গন্ধে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল চিত্রা।
রূপক বলল তোমার কি গন্ধ লাগতাছে। তুমি একটু ঐদিকে গিয়া খাড়াও।
সমস্যা নাই। আপনি খান।
সিগারেট শেষ করে পানের খিলি মুখে দিল রূপক। তার মুখ থেকে এখন পানের ঘ্রান বের হবে। চুন মুখে দিতেই তার উপরের ঠোট লাল হয়ে গেল। একটু পানের পিক মাটিতে ফেলল সে। শিরশির করে বাতাস আসছে। টঙের বালিশে মাথা রেখে রূপক শুয়ে পড়ল। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। চিত্রাকে বলল বউ কেমন লাগতেছে তোমার।
চিত্রা বলল, আমার তো খুবই ভালো লাগতাছে। যদি আপনেরে লইয়া এইখানে আরো দুইটা দিন থাকতে পারতাম তাইলে আরো ভালো লাগতো। আপনে চইলা গেলে আমার মনটা বড় খারাপ হইয়া যাইবো। মন চাইতাছে আপনারে আমার শাড়ির আচল এর লগে বাইন্ধা রাখি।
রূপক চিত্রার কথার কোন উত্তর দিল না। চিত্রা খেয়াল করে দেখল ঘুমে ঢলে পড়েছে রূপক। তার ভীষণ মায়া লাগলো রূপকের ঘুমন্ত মুখ দেখে। চিত্রার ও খুব লোভ হচ্ছে এখানে শুয়ে শিরশিরে বাতাসে একটু ঘুম দিতে। কিন্তু এখানে এসে এসব ছেলেমানুষি মানায় না। সে নতুন বউ এই বাড়ির মেহমান। রুপক ঘুমিয়ে পড়লে চিত্রা উঠে বাড়ির ভিতরে এল। মেজো ভাই বাড়িতে ফিরেছেন। বারান্দায় বসে ভাবি সহ ভাত খেতে বসেছেন তিনি। চিত্রা ওনাকে সালাম দিতেই তিনি হাসিমুখে বললেন আরে ভাবি কি অবস্থা?
চিত্রা বলল জি ভাই ভালো। আপনি ভালো আছেন?
হ, ভাবী ভালো আছি। বসেন ভাত খান।
আমরা খাইছি ভাইজান। আপনেরা খাইয়া লন।
চিত্রাকে একটা চেয়ার নিয়ে এসে দিল একজন। বারান্দায় বসল চিত্রা। ইটের পাকা ঘর খালাদের৷ কিন্তু মেঝে কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি। বারান্দার উপরে টিনের ছাউনি। নিচে মাটি। বেশ ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা একটা পরিবেশ পুরো বাড়িতে। গাছগাছালি রয়েছে অনেক। তবে বাড়িতে লোকজন বেশি থাকায় সব সময় একটা গমগমে ভাব বিরাজ করে।
প্রায় ঘণ্টাখানেক পর একটা বাচ্চা এসে চিত্রাকে বলল রূপক তাকে ডাকছে। চিত্রা তখন খালার সঙ্গে বসে গল্প করছিল। মুরুব্বির সামনে থেকে উঠে যেতে তার লজ্জা লাগলেও খালা ইশারায় বললেন যাও ওর ঘুম ভাঙছে মনে হয়।
চিত্রা তৎক্ষণাৎ পুকুর পাড়ে এসে দেখল রূপক বালিশে শুয়ে তার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।
চিত্রা বলল, আপনার ঘুম হইল
হ, বউ খুব আরামের একটা ঘুম দিসি। মনে হইতাছে বেহেশত থাইকা ঘুইরা আইলাম।
ভালো হইছে। মেজো ভাই বাড়িতে আইছিল। আপ্নারে ডাকতেছিল কথা কওনের লাইগ্যা। আপনি ঘুমাইছেন শুইনা আর ডাকে নাই।
ভাইয়া কই?
উনিতো ভাত খাইয়া দোকানে চইলা গেছে।
ও আচ্ছা।
রূপকের চেহারায় ঘুমের দাগ স্পষ্ট। সে টং থেকে নেমে ঝোপের আড়ালে গিয়ে প্রস্রাব করল। তারপর পুকুরের ঘাটে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে কুলি করে চিত্রা কে বলল, কত সুন্দর বাতাস আইতাছে খেয়াল করছো?
হ, খুব সুন্দর বাতাস লাগতাছে।
এইডারে কয় বেহেশতী হাওয়া।
আপনারে কইসে?
কইছে তো। আমি আবার তোমারে কইলাম।
আপনারে কে কইছে? ফেরেশতা আইসা কইছে?
হ,
ঘুমের মধ্যে কি ফেরেশতার লগে কথা কইতে ছিলেন?
রূপক হাসতে হাসতে বলল হ।
কি কইলো ফেরেশতা?
কইল আমার নাকি একটা পোলা হইবো।
ধুর আপনে খালি প্যাক প্যাক করেন।
চিত্রা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল। স্বামীর কথায় সে খুশি হল নাকি বিরক্ত হল বোঝা গেল না। তবে ঘোমটার আড়ালে রাঙ্গা হয়ে উঠল তার লাজুক মুখ খানা। রূপক তখন বাড়ির ভেতরের দিকে যেতে যেতে চিত্রাকে বলল, আসো ভিতরে যাই।
খালা বললেন, জমেনা দের বাড়ি থাইকা বউরে নিয়ে ঘুইরা আয়।
খালার বাড়ির আশেপাশে দু একজন মহিলার সঙ্গে রূপকের বেশ ভালো পরিচয়। মুরুব্বী মহিলাগুলো রূপককে একসময় অনেক স্নেহ করতেন। নতুন বউকে নিয়ে তাদের ঘর থেকে একটু ঘুরে না আসলে হয় না। রুপক তার মেজ ভাবী ও বউকে সঙ্গে নিয়ে পাড়া ঘুরতে বের হলো। বের হওয়ার আগে মাথার চুল আঁচড়ে মুখে আরেকটু ক্রিম লাগিয়ে নিল চিত্রা। নতুন শাড়িতে তখন কুঁচকে গিয়ে বেশ কিছু ভাঁজ পড়েছে। তবুও তাকে বেশ নতুন বউ এর মতই দেখাচ্ছে। কানে ও গলায় ইমিটেশনের গয়না। হাত ভর্তি কাচের চুরি রিম ঝিম করছে। মাথায় লম্বা করে ঘোমটা টেনে দিল চিত্রা।
আশে পাশের বাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে বিকেল গড়িয়ে এলো। কোন কোন বাড়িতে খেতে দিল মুড়ি চানাচুর কেউবা দিল বিস্কুট। নাস্তা খেয়ে পেট ভরে গেছে। তারওপর বাড়িতে ফিরতেই খালা আবার কিছু পিঠাপুলি খেতে দিলেন। দুপুর জুড়ে তিনি নানান রকমের পিঠা তৈরি করেছেন। খালার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছে চিত্রা ও রূপক।
সন্ধ্যাবেলা সবাই মিলে আড্ডা দিতে বসল। গল্পগুজব চললো রাত পর্যন্ত। রাত প্রায় ন’টা বাজে তখন রূপক ভাত খেয়ে বলল, আমি বাড়ি যাই।
চিত্রার মনটা কেমন যেন করে উঠলো।
খালা তখন রূপককে বললেন, এত রাইতে আর বাড়ি যাইতে হইবো না। মেলাদিন পর আইছোস। একটা রাত থাইকা যা। কোন দিন বাঁচি কোন দিন মরি কওন যায় না।
খালা কাইল দোকানে যাইতে হইবো।
সকাল সকাল দুইটা ভাত খাইয়া দোকানে যাইস। আমি মেহেদিরে কইয়া দিমু তোরে হুন্ডাই কইরা কুন্দনপুর বাজারে রাইখা আইতে।
রূপকেরও মনটা চাইছে আজকের রাতটা এখানে থেকে যেতে। এত ভাল ভাল খাবার খাওয়ার পর তার শরীরে যে জোয়ার এসেছে, বউকে কাছে পেয়ে তা মেটাতে হবে। আজকে অনেকক্ষণ ধরে বউকে সে আদর সোহাগ করতে পারবে। শরীরে যেন নতুন করে লোভ জাগলো। অলসতায় বিছানায় শুয়ে পড়ল রূপক। বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। আজকের রাতটা থাইকাই যাই। মেজ ভাবী আমারে একটা লুংগি আইনা দেন। আমিতো জামাকাপড় কিছুই নিয়া আসি নাই।
মেজ ভাবী তার ঘর থেকে একটা গেঞ্জি ও লুঙ্গি নিয়ে এসে দিলেন। সেগুলো পরে হাতমুখ ধুয়ে এসে বিছানায় শুলো রূপক। রাত বেড়ে যাচ্ছে। সারাদিন অনেক ঘোরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া ও গল্প গুজব হয়েছে। এখন একটু বিশ্রাম নেয়া দরকার। চিত্রা ঘরে ঢুকতেই রূপক বলল বউ দুয়ার আটকাইয়া দিয়া আসো।
এত তাড়াতাড়ি? বাড়ির সবাই জাইগা রইছে।
তাতে কি হইছে? সবাই ভাববো আমরা ঘুমাইয়া পড়ছি। তুমি দরজা আটকাইয়া দিয়া আসো আমরা একটু ছবি দেখি।
দরজা বন্ধ করে দিয়ে চিত্রা বিছানায় এল। খালার বাড়িতে সৌর বিদ্যুতের আলো আছে। টিমটিম করে জ্বলছে একটা সাদা রঙ্গের বাতি। বিছানার পাশেই বাতির সুইচ। হাত বাড়িয়ে আলোটা নিভিয়ে দিল রূপক। তারপর সে তার বউকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। স্বামীর আলিঙ্গন পেয়ে চিত্রার শরীরটাও যেন হঠাৎ করেই জেগে উঠলো। সেও খুব করে চাইছিল তার স্বামীকে। আর এক মুহূর্ত দেরি করল না রূপক। ভালোবাসার অন্য রকম স্পর্শে চিত্রাকে ভরিয়ে দিতে লাগলো।
চলবে..