#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ১৫
#M_Sonali
কলেজে লাইব্রেরীতে বসে আছে শ্রাবণ। শ্রাবণী গিয়ে শ্রাবনের পাশে দাঁড়িয়ে বললো
— ভাইয়া তুমি এখানে আর আমি তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে অস্থির হয়ে যাচ্ছি। এক্ষুনি আমার সাথে চলো তোমার সাথে আমার একটি প্রয়োজনিয় কথা আছে। তুমি কি জানো আজকে কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে আমাদের?
শ্রাবণীর কথা শুনে শ্রাবণ বলল
— কি হয়েছে শ্রাবণী, এমন অস্থির দেখাচ্ছে কেন তোর মুখটা? এমন লাগছে কেন তোকে, কি হয়েছে তোর, কি ক্ষতি হয়েছে আমাদের বল?
— ভাইয়া তুমি কি জানো মিতু আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। ওই এভিক আর তিয়াসা ওকে মেরে ফেলেছে ভাইয়া। ওর রক্ত খেয়ে ওকে খুন করেছে ওরা। আমি ওদের কোনভাবেই ছাড়বো না ভাইয়া। আমিও ওদের ঐ ভাবেই মারবো ঠিক যেভাবে ওরা আমার বেষ্টুকে মেরেছে। আমি মিতুর মৃত দেহকে দেখে সহ্য করতে পারিনি ভাইয়া। আমার জন্য শুধুমাত্র আমার জন্য আজকে আমার বেষ্টু হারিয়ে গেল ভাইয়া। আমি যদি কাল রাতে এত তাড়াতাড়ি না চলে আসতাম, যদি আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতাম ওর কাছে, তাহলে হয়তো ওকে এভাবে হারাতে হতো না ভাইয়া। আর এভিক ও তিয়াসাও ওকে কিছু করতে পারত না ভাইয়া। আমার ভালো লাগছে না কিছুই ভাইয়া। মিতুর মৃত্যু টা মেনে নিতে পারছি না আমি ভাইয়া।
কথাগুলো বলতে বলতে কান্না করতে করতে ফ্লোরে বসে পড়লো শ্রাবণী। শ্রাবনীর কথা শুনে রাগে হাতের মুঠো শক্ত করে উঠে দাড়ালো শ্রাবণ। তারপর চোখ মুখ লাল করে বলল
— ওদের এত বড় সাহস, ওরা আমাদেরকে টপকে মিতুর রক্ত খেয়ে মিতুকে মেরে ফেলেছে? ওদের আমি ছাড়বো না। ওই এভিক আর তিয়াসার রক্ত আমি খাবো। ওদের কেও একি ভাবে আমার হাতে মরতে হবে।আজকে ওদের শেষ দিন হবে আমার হাতেই মরবে ওরা।
কথাগুলো বলে রাগে কটমট করতে করতে বেরিয়ে যেতে নিল শ্রাবণ। তখনই শ্রাবণী শ্রাবণ এর হাত ধরে বলল
— ভাইয়া এভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা। তুমি ভুলে যেও না আমাদের মত ওরাও ভ্যাম্পায়ার আর তাছাড়া আমরা ভ্যাম্পায়ার হয়ে অন্য ভ্যাম্পায়ার কে বিনা কারণে মারতে পারি না।এতে আমাদের শক্তি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওরা ভ্যাম্পায়ার তাই একটা মানুষ খেতেই পারে। কিন্তু ওদের মারতে হলে আমাদের অন্য কোন পথ বাঁচতে হবে।
শ্রাবনীর কথা শুনে থেমে গেল শ্রাবণ। তারপর কিছুক্ষণ চুপ থেকে মাথা নিচের দিকে দিয়ে কিছুক্ষণ কিছু একটা ভেবে বলে উঠলো
— ঠিক আছে আমি দেখছি কি করা যায় তুই কান্নাকাটি করিস না শ্রাবণী। ওদের শাস্তি ওরা ঠিক পাবে। এভিক আর তিয়াসা জানেনা ওরা কত বড় ভুল করেছে। ওদের শাস্তি আমি নিজে হাতে দেবো শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।কিন্তু তার আগে চাঁদনী কে নিয়ে আমাদের দূরে কোথাও চলে যেতে হবে। কারণ আমার যতটুক বিশ্বাস ওরা হয়তো চাঁদনী আর আমার সম্পর্কে কিছু আঁচ করতে পেরেছে।
শ্রাবনের কথা শুনে চোখের পানি মুছে শ্রাবণী অবাক হয়ে বলল
— এ তুমি কি বলছো ভাইয়া, ওরা কি করে তোমার আর চাঁদনীর ব্যাপারে জানতে পারে? ওদের তো এটা জানার কোন প্রশ্নই আসে না। কেননা ওরা দিনের বেলাতে বের হতে পারে না, আর রাতের বেলায় কিভাবে তোমাদের বিষয়টা জানতে পারবে ওরা?
— এ বিষয়ে আমিও শিওর নযই শ্রাবণী। কিন্তু কালকে রাতে আমি ভুল করে চাঁদনীর জানালার পর্দা টানিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম না।যে কারণে বাইরে থেকে হয়তো আমাকে আর চাঁদনীকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আর যেহেতু ভ্যাম্পায়ারেরা রাত্রেও চোখে দেখতে পারে সমানভাবে। সেহেতু ওরা আমাদের দেখে নিয়েছে ঘর অন্ধকার থাকলেও। আর তাই আমি সকালবেলা যখন উঠে চাঁদনী রুম থেকে বেরিয়ে আসছিলাম, তখন আমি সেখানে ভ্যাম্পায়ারের চলাফেরার মত আভাষ পেয়েছি। আমার তখন বারবার মনে হচ্ছিল যে সেখানে অবশ্যই কোন না কোন ভ্যাম্পায়ার যাতায়াত করেছে। আর আমি এখন শিওর যে ঐ ভ্যাম্পায়ার আর কেউ নয়। ঐ ভাম্পায়ার শুধুমাত্র এভিক আর তিয়াসাই হবে। কারণ ওরাই একমাত্র ভ্যাম্পায়ার যারা মিতুর রক্ত খাওয়ার পর হয়তো ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছিল। আর ফেরার পথে হয়তো আমাদের দেখে নিয়েছে। আর যদি সত্যিই এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আমার চাঁদপাখির জন্য মহাবিপদ এখন। আমার সবার আগে আমার চাঁদপাখিকে রক্ষা করতে হবে।
শ্রাবণ এতোটুকু এক নিঃশ্বাসে বলে থামল। শ্রাবণের কথা শুনে শ্রাবণী বলে উঠলো
— আমি আমার এক বেষ্টু কে হারিয়েছি ভাইয়া। আমি কোনভাবেই আমার আরেক বেষ্টু দুষ্টু পাখি কে হারাতে চাই না।তুমি যে করেই হোক আমার দুষ্টু পাখি কে ওই শয়তান ভ্যাম্পায়ারদের থেকে বাঁচাও। আমি তোমার সাথে আছি ভাইয়া কি করতে হবে তুমি শুধু আমাকে বল। চাঁদনীর দিকে সবসময় কড়া নজর রাখতে হবে ভাইয়া। ওর যখন তখন বিপদ হতে পারে। তার ওপর আগামী পরশু ঘর অমাবস্যার রাত। আর এই রাতে আমাদের মত প্রিয়র ভ্যাম্পায়ারের শক্তি সব লোপ পায় আর ওদের মতো শয়তান ভ্যাম্পায়াররা হয়ে যায় অধিক শক্তিশালী। আমরা কোনোভাবেই আগামী পরশু রাতে ওদের সাথে আর পেরে উঠব না ভাইয়া। তাই যে করেই হোক এই দুদিনের মাঝে আমাদের চাঁদনীকে কোথাও লুকিয়ে ফেলতে হবে ওদের আড়ালে। কেননা আমরা কোনোভাবেই ওদের সাথে পেরে উঠব না। ওরা আমাদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদনী কে নিয়ে যাবে, আর আমরা কিছুই করতে পারব না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া।
শ্রাবনীর কথা শুনে শ্রাবণ হাত মুখ শক্ত করে বলল
— ওই ভ্যাম্পায়াররা যদি কল্পনাতেও আমার চাঁদ পাখির কোন ক্ষতি করতে চায় না! তাহলে ওদের আমি একেবারে মাটির সাথে মিশিয়ে দেব। আর আমার চাঁদনীর দিকে চোখ তুলে তাকালে ওদের চোখে উপড়ে ফেলব আমি। কিন্তু এখন আমাদের এত রাগারাগি করলে চলবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাঁদনী কে নিয়ে এখান থেকে চলে যেতে হবে চাঁদনীর জন্যে নিরাপদ স্থানে। শোন শ্রাবনী আমি তোকে কিছু কথা বলছি সে অনুযায়ী তুই কাজ কর। আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাঁদনীকে নিয়ে আসার চেষ্টা করবি।
— ঠিক আছে বলো ভাইয়া আমাকে কি করতে হবে, আমি তোমার কথা অনুযায়ী সব কাজ করব।
শ্রাবনীর কথা শুনে শ্রাবণ বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করলো চাঁদনীর ব্যপারে শ্রাবনীর সাথে। তারপর শ্রাবণ বেরিয়ে চলে গেল, সাথে শ্রাবণী ও বেরিয়ে গেল সেখান থেকে।
,
,
প্রায় 10:12 মিনিট
সারাদিন বসে বসে মিতু জন্য কান্না করেছে চাঁদনী। কারো সাথে কোন প্রকার কথা বলে নি, খাওয়া-দাওয়াও করেনি ঠিকমতো। রাত্রে মায়ের অনেক জোরাজুরিতে দুলোকমা ভাত মুখে দিয়ে রুমে চলে আসে চাঁদনী। রুমে ঢুকতেই ভয় পেয়ে যায় ও। কেননা ওর রুমে এসে আগে থেকেই বসে আছে শ্রাবণ। আর শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদনীর দিকে। চাঁদনী প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও পরে নিজেকে সামলে নিয়ে শ্রাবনের কাছে এসে দাঁড়িয়ে আস্তে করে বলে
— আপনি কখন এসেছেন শ্রাবণ?
চাঁদনীর কথা শুনে কোনো উত্তর না দিয়ে মুচকি হাসে শ্রাবণ। তারপর চাঁদনীর হাত ধরে এক ঝটকায় টান দিয়ে চাঁদনীকে নিজের কোলে নিয়ে নেয়। তারপর কানের কাছে ফিসফিস করে বলে
— চাঁদপাখি তোমার চোখ দুটোর নিচে কেমন কালশিটে পড়ে গেছে কেনো? সারাদিন মনে হয় খাওনি তাই না? আর হয়তো অনেক বেশি কান্না করেছো তাই না? নিজের কথা না ভাবো আমার কথা তো অন্তত ভাববে। তোমাকে এই অবস্থায় দেখে আমার কেমন লাগছে বলতো? তুমি কেন এমন পাগলামি করো চাঁদ পাখি? তুমি জানোনা তোমার শরীর অসুস্থ হলে আমার খারাপ লাগে। মিতুর সাথে যেটা হবার সেটা হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে আর কান্নাকাটি করে কোন লাভ হবে বলো? ওকি আর ফিরে আসবে আমাদের মাঝে?এখন ওর জন্য দোয়া করাটাই শুধু করতে পারবো আমরা।
শ্রাবনের কথা শুনে এক ঝটকায় শ্রাবণের থেকে উঠে দাঁড়ালো চাঁদনী। তারপর দাঁত কিড়মিড় করে গরম সুরে বলল
— আমার মিতুকে যে বা যারাই মেরে থাকুক আমি তাদের ছাড়বো না। সে যেইই হয়ে থাকুক না কেন আমি তাকে ছাড়বো না। আমার সবচাইতে কাছের বেস্ট ফ্রেন্ড কে এভাবে মেরে ফেলছে ওরা কেড়ে নিয়েছে আমার থেকে
আমি তাদের ছাড়বো না।আমি কি করে থাকবো শ্রাবণ আমার বেষ্ট ফ্রেন্ডকে ছাড়া? নিজের বেষ্টুকে হারানোটা যে কতোটা কষ্টকর তা শুধু আমি জানি শ্রাবণ, আপনি জানেন না। আমি মিতুকে ছাড়া কি করে থাকবো শ্রাবণ কি করে থাকবো আমি।
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণ চাঁদনীর হাত ধরে আবার নিজের বুকে টেনে নিয়ে বলল
— সোনা এভাবে কেদোনা তুমি প্লিজ।তুমি এভাবে ভেঙে পড়ো না প্লিজ। তোমাকে এভাবে দেখে আমার কেমন লাগছে বলতো?মিতুকে যারা মেড়েছে তাদের আমি ছাড়বো না, তাদেরকে আমি নিজে হাতে শাস্তি দেবো। তোমাকে আমি কথা দিচ্ছি চাঁদ পাখি। কিন্তু প্লিজ তুমি এতটা ভেঙে পড়ো না। তোমাকে এই অবস্থায় দেখলে আমার কেমন লাগে বল আর তাছাড়া যেটা হবার সেটা হয়ে গেছে এখন এভাবে কান্না করলে কি আর মিতু ফিরে আসবে বলো? তবে মিতুর মৃত্যুর জন্য যারা কারণ তাদের আমি ঠিকই ভয়ানক শাস্তি দিবো,এটা তোমার কাছে আমার প্রমিজ চাঁদপাখি। এখন তো একটু শান্ত হও প্লিজ।
শ্রাবণের কথা শুনে চুপ করে রইলো চাঁদনী। তারপর কিছুক্ষণ শ্রাবণের বুকে মুখ লুকিয়ে রেখে একটু পর কিছু একটা ভেবে বলে উঠলো শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে
— কিন্তু আপনি রুমে কি করে এলেন শ্রাবণ? আমি তো জানালা লাগিয়ে রেখেছিলাম, জানালাটাতো খোলা ছিল না আজ। তাহলে আপনি রুমে ঢুকলেন কি করে?
চাঁদনী কথা শুনে কিছুটা থতমত খেয়ে গেল শ্রাবণ। তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে উঠলো
— আমি আজ তোমাদের দরজা দিয়ে এসেছি চাঁদ পাখি। কিন্তু তোমরা কেউ আমাকে দেখতে পাওনি, কারন আমি লুকিয়ে এসেছিলাম।
— কই আমি আর আম্মু তো দরজার কাছেই বসা ছিলাম কিন্তু আপনাকে তো দেখতে পাইনি? আপনি কখন সেখান দিয়ে এসেছেন শ্রাবণ?
চাঁদনীর কথা শুনে চাঁদনীকে পিছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শ্রাবন বলল
— তুমি কি আমাকে এখন পুলিশের মত জেরা করবে নাকি চাঁদ পাখি? কোথায় বর এসেছে একটু আদর করবে তা না করে তুমি তখন থেকে শুধু একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছ। আরে আমি বললাম তো আমি লুকিয়ে এসেছি। আর লুকিয়ে আসলে বুঝি কেউ দেখতে পায়?
শ্রাবণের কথা শুনে চাঁদনী আর কথা বাড়ালো না। চুপ করে রইলো, তারপর শ্রাবন আর কিছু না বলে চাঁদনী কে কোলে তুলে নিল। তারপর বিছানায় গিয়ে দুজন একসাথে শুয়ে পরলো। চাঁদনীর বুকে মাথা রেখে শ্রাবন বলে উঠলো
— চাঁদ পাখি তোমায় যে আম্মুকে বলতে বলেছিলাম আমি তোমাকে নিয়ে এক জায়গায় ঘুরতে যাব সাত দিনের জন্য। তোমার আম্মুকে তুমি কি বলেছিলে সে কথা? আম্মু কি বলল শুনে?
শ্রাবনের কথা শুনে গোমরা মুখ করে চাঁদনী বলল
— আপনি এখনো বেড়াতে যাওয়া নিয়ে পড়ে আছেন শ্রাবণ? আমি মিতুর টেনশনে পাগল হয়ে যাচ্ছি ওকে ছাড়া আমার কতটা খারাপ লাগছে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আর আপনি কি করে ভাবলেন এই সময় আমি বেড়াতে যাব আপনার সাথে? সেটা কখনো সম্ভব নয় শ্রাবণ, আমি আম্মুকে কিছুই বলবো না। এখন কোথাও যাবনা আমি। আমি যেদিকে তাকাচ্ছি যা ভাবছি সব সময় শুধু আমার মিতুর কথাই মনে পড়ছে। ওকে ছাড়া নিজেকে ভাবতে পারছিনা আমি শ্রাবণ মিতু যে আমার রক্তে মিশে ছিল আমার বেষ্টু হয়ে।
চাঁদনীর কথা শুনে চাঁদনীকে শক্ত করে বুকে জড়িয়ে নরম গলায় শ্রাবণ বলল
— চাঁদ পাখি এখন তুমি যত বাসায় থাকবে যত মিতুর কথা চিন্তা করবে তোমার মন শরীর ততোই খারাপ হবে। আমি চাইনা তোমার কিছু হোক, তোমার কিছু হলে আমি থাকতে পারবো না, বাঁচতে পারব না চাঁদ পাখি। কেন বোঝনা তুমি? তাই আমি চাই তোমাকে নিয়ে কিছু দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে যেতে.।তাহলে তোমার মনটাও ভালো হবে,সাথে তোমার শরীরও ভালো থাকবে। আর মিতুর কথা তুমি ভেবো না মিতুকে যারা এমন ভাবে মেরেছে আমিও তোদের সেভাবে মেরে ফেলবো।তাদের কে আমি ছাড়বো না এটা তোমার কাছে আমার প্রমিজ চাঁদপাখি।
তোমার সামনেই আমি তাদেরকে শেষ করে দেবো।
— কিন্তু শ্রাবন,,,
— আর কোন কিন্তু নয় চাঁদ পাখি অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পরো লক্ষ্মী মেয়ের মতো। গুড নাইট,,
কথাটা বলেই চাঁদনীকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চাঁদনীর কপালে চুমু একে দিল শ্রাবন। তারপর দুজনেই পাড়ি দিল ঘুমের রাজ্যে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,