#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ১৮
#M_Sonali
বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই কোন একটা জায়গায় চাঁদনীকে নিয়ে গিয়ে থেমে গেল শ্রাবণ।ততক্ষণে রাত নেমে এসেছে চারিদিকে।চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। তারপর চাঁদনীকে কোল থেকে নামিয়ে দিল। চাঁদনি ভয়ে ভয়ে চোখ খুলে দেখলো ওর বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ওরা। চাঁদনী পিছনে ঘুরে শ্রাবনকে কিছু বলতে যাবে, কিন্তু ঘুরে দেখে শ্রাবণ ওর সামনে নেই। এমনকি আশেপাশে কোথাও শ্রাবণের চিহ্নটুকুও নেই।চাঁদনী বেশ কিছুটা অবাক হয়ে আশেপাশের শ্রাবনকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু না শ্রাবণের চিন্হটুকুও কোথাও নেই। শেষে চাঁদনী আর খুঁজে না পেয়ে বাসার দিকে পা বাড়ায়। আর ঠিক তখনই চাঁদনীর সামনে এসে দাঁড়ায় শ্রাবনী আর ওকে বলে
— আমার সাথে জলদি চল চাঁদনী তোর সাথে জরুরি কিছু কথা আছে আমার।
— কি কথা শ্রাবণী, আর তুই এখানে কখন এলি আমি তো তোকে দেখিনি আসতে? আর শ্রাবণই বা কোথায় উধাও হয়ে গেল হঠাৎ। এত তাড়াতাড়ি আমরা এই জায়গায় আসলামই বা কি করে? আমার মাথায় হাজার হাজার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রাবণী। সব প্রশ্নের উত্তর চাই আমি তোদের ভাই বোন এর কাছ থেকে। তোদের ভাই বোনের মধ্যে কি রহস্য লুকিয়ে আছে আমি সবকিছু জানতে চাই।
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণী উত্তেজিত সুরে বলল
— প্লিজ চাঁদনী আর কথা বাড়াস না। একে একে আজ সবকিছু জানতে পারবি তুই। কিন্তু তার আগে তোকে আমার সাথে কোনো নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে। এই জায়গাটা তোর জন্য অনেক বিপদজনক।
— আমি তোদের ভাই বোনের কথা কিছুই বুঝতে পারছিনা শ্রাবণী। কিসের বিপদ লুকিয়ে আছে আমার জন্য? এখানেই তো আমার বাসা, আমি আর তোদের সাথে কোথাও যাবো না, ছাড় আমাকে আমি বাসায় যাব আমার আম্মু আব্বুর কাছে।
শ্রাবণী করুন কণ্ঠে বললো
— প্লিজ আর কথা বাড়াস না তাহলে তোর সাথে তোর আম্মুও অনেক বড় বিপদে পড়ে যাবে। তুই কি চাস তোর জন্য তোর আম্মু বিপদে পরুক তার প্রান সংশয় হোক? আমার সাথে চল আজকে তুই সব কিছুই জানতে পারবি, চাঁদনী প্লিজ আমার এইটুকু অনুরোধ রাখ।
শ্রাবনীর কথা শুনে চাঁদনী কিছু বলবে ঠিক তখনই ওদের সামনে এসে হাজির হলো ভয়ঙ্কর দুজন ভ্যাম্পায়ার। যাদের মুখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে তাজা রক্ত আর কি বিশ্রী তাদের চেহারা। মুখের দুই পাশ দিয়ে দুটি দাঁত বের হয়ে আছে চিকন ও লম্বা শরু দাঁত। একপাশে হেসে একজন বলে উঠলো
— কি ব্যপার শ্রাবণী ভাবিকে বাঁচানোর খুব শখ তাই না? কিন্তু আমাদের হাতে তো আজে ওকে মরতেই হবে। আজকে তো বাঁচাতে পারবে না ওকে তোমরা। কারণ আজ তোমরা শক্তিহীন আর আমরা হলাম অসীম শক্তির অধিকারী। ভুলেগেছো আজকে অমাবস্যার রাত আর এই রাতে তোমরা হয়ে যাও একেবারে শক্তিশূন্য।
কথাগুলো বলেই বিশ্রী ভাবে হাসতে লাগল ভ্যাম্পায়ার দুজন।ওদের দুজনের কথা শুনে যেন ভয়ে শিউরে উঠল চাঁদনী। চাঁদনীর মনে হচ্ছে ও যেন এসব কিছু স্বপ্ন দেখছে। বাস্তবে যে এইরকম ভ্যাম্পায়ার থাকতে পারে কখনো ভাবেনি চাঁদনী।চাঁদনীকে অবাক করে দিয়ে শ্রাবণীও একজন ভ্যাম্পায়ারের রুপে চলে এল।
তারপর বলল
— আমাদের এতটাও দুর্বল ভেবো না তিয়াসা আর এভিক। তোমরা ভুলে যেও না আমরা হলাম পিওর ভ্যাম্পায়ার। তোমরা শুধু রাত্রে বের হতে পারো আর আমরা দিনের বেলায়ও বের হতে পারি। আমাদের শক্তির কাছে তোমাদের শক্তি কিছুই না। হতে পারে আজ আমাবস্যা বলে আমাদের শক্তি হালকা একটু ক্ষুন্ন হয়েছে। কিন্তু এটা ভেবোনা যে তোমরা সব সময়ের মতো আজকেও আমাদের হাত থেকে বেঁচে যাবে।
শ্রাবনীর কথা শুনে হা হা করে হাসতে লাগলো তিয়াসা। তিয়াশার হাসি দেখে যেন গা জ্বলে যাচ্ছে শ্রাবণীর। কিন্তু শ্রাবনী নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
— শুনো তিয়াসা আমার মত তুমিও একজন মেয়ে। তাই তোমাকে ভালোভাবে বলছি তুমি তোমার ভাইকে নিয়ে এখান থেকে চলে যাও। নইলে তোমাদের পরিণতি অনেক খারাপ হবে। আমার এক বান্ধবীকে তোমরা মেরে ফেলেছো আমরা কিছুই বলিনি। কিন্তু আমার এই বান্ধবীর যদি তোমরা ক্ষতি করার চেষ্টাও করো তা হলে তোমরা ভাবতেও পারবে না তোমাদের কি হাল করবো আমরা।
শ্রাবণীর কথা শুনে হা হা করে হাসতে লাগলো এভিক। তারপর হাসতে হাসতে বললো
— তোমার সাহস দেখে আমরা আশ্চর্য হচ্ছি শ্রাবণী। তুমি ভালো করেই জানো যে আজকে তোমাদের চাইতে অনেক শক্তিশালী আমরা। তবুও তুমি কোন মুখে এত সাহস নিয়ে আমাদের সামনে কথা বলছ শ্রাবণী? তোমার কি মৃত্যুর ভয় নেই? আজকে তো তোমার বান্ধবীর সাথে তোমাকেও মারবো আমরা।
কথাটা বলেই দুজন মিলে হা হা করে হাসতে লাগলো। শ্রাবণী উপরে সাহস দেখালেও বেশ কিছুটা ঘাবড়ে গেছে মনে মনে। তাই আর কোন উপায় না দেখে চাঁদনীকে এক দৌড়ে কোলে তুলে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করলো শ্রাবনী। দৌড়াতে দৌড়াতে অনেকদূর চলে যাচ্ছে শ্রাবণী। চাঁদনী অবাক হয়ে দেখছে এ যেন এক অন্য মানুষকে দেখছে চাঁদনী। চিনতে পারছেনা চাঁদনী ওর বেষ্টু শ্রাবনীকে।
বেশ কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর এই শ্রাবণীর সামনে এসে দাঁড়ালো এভিক আর পিছনে রয়েছে তিয়াসা। শ্রাবণী অনেকটাই ঘাবড়ে গেছে, বুঝতে পারছেনা কি করে ও চাঁদনী কে বাঁচাবে। এদিকে শ্রাবণ কোথায় আছে সেটা জানেনা শ্রাবনী। তখন শ্রাবনীই শ্রাবন কে স্মরণ করে ডাকে কারণ শ্রাবনীকে মারার প্ল্যান করেছিলো এভিক আর তিয়াসা। তাই শ্রাবণ চাঁদনী কে নিয়ে চলে আসে এখানে। আর চাঁদনীকে কোল থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় শ্রাবণী কে বাঁচাতে। কিন্তু তারপরে এভিক আর তিয়াসা ফিরে এসেছে কিন্তু শ্রাবণ কোথায়? শ্রাবন কে কি তাহলে ওরা মেরে ফেলেছে? এমনটা ভাবতেই বুকের ভেতর কেপে ওঠে শ্রাবনীর।
— কি ভাবছো শ্রাবণী, তোমার ভাইকে নিয়ে ভাবছো তাইতো? চিন্তা করো না, ও ওর জায়গায় চলে গেছে। আমাদের মুখের রক্ত দেখতে পাচ্ছো এটা কিন্তু তোমার ভাইয়ের রক্ত। তোমার ভাইয়ের রক্ত খেয়ে ওকে মেরে ফেলেছি আমরা।
কথাটা শোনার সাথে সাথে শ্রাবনীর বুকের মধ্যে যেন কেঁপে ওঠে ভয় পেয়ে যায় ও। সাথে চাঁদনীও নাআআআ বলে চিৎকার করে ওঠে।
চাঁদনীর চিৎকার শুনে এভিক আর তিয়াসা হা হা করে হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে বলে
— এখনই না বলে চিৎকার করছো, তোমার হাজব্যান্ড মরে যাওয়ার কথা শুনে? একটু পর তো তুমিও তার কাছে পৌঁছে যাবে।তোমাকেও তো আমরা একি ভাবে মারবো রক্ত চুষে নিয়ে।
কথাটা বলেই সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে তিয়াসা আর এভিক। ওদের এগিয়ে আসতে দেখে শ্রাবণী গিয়ে দাঁড়ায় চাঁদনীর সামনে। তারপর বলে
— দেখো তিয়াসা আর এভিক তোমাদের ভালোভাবে বলছি তোমরা আমার চাঁদনীকে কিছু করবে না। ওকে ছেড়ে দাও। চাঁদনী পালা এখান থেকে চলে যা এখান থেকে তারাতারি।
কথাটা বলতে বলতেই তিয়াসা আরে এভিক এসে হামলা করে চাঁদনী আর শ্রাবনীর উপর। ওদের এগিয়ে আসতে দেখে ভয়ে চিৎকার দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে চাঁদনী, শ্রাবনীরও একই অবস্থা। কিছুক্ষণ পর চাঁদনী অনুভব করে ওদের সামনে অন্য কেউ দাঁড়িয়ে আছে। চোখে খুলে তাকাতেই ওরা দেখতে পায় ওদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবণ আর আকাশ। দুজনেই ভয়ানক ভ্যাম্পায়ার রুপে। কি ভয়নক লাগছে ওদের চেহারা। আর কতটা হিংস্র দেখতে। ভয়ে চাঁদনী মুখে হাত দিয়ে চোখ মুখ ঢেকে ফেলে। চাঁদনী বিশ্বাসও করতে পারছে না যে ওর ভালোবাসার শ্রাবন এতটা পাল্টে গেছে। এতটা ভয়ানক তার চেহারা। সবকিছু যেন স্বপ্নের মত লাগছে ওর কাছে।
শ্রাবণ আর আকাশকে দেখে তিয়াসা আর এভিক কিছুটা দূরে সরে গিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে বলে উঠলো
— শ্রাবণ তুই এখানে কি করে এলি? তোকে তো আমরা নিজে হাতে মেরে ফেলেছি। আর আকাশ তুই এখানে কিভাবে?
ওদের কথা শুনে শ্রাবণ হা হা করে হেসে বলল
— তোরা হয়তো ভুলে গেছিস যে আমি কে? তোরা কি ভুলে গেছিস এই শ্রাবণ একসময় ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের রাজকুমার ছিল? আর তোরা কিভাবে ভাবলি সেই শ্রাবনকে এত সহজে তোরা মেরে ফেলতে পারবি?
— তুই যতই শক্তিশালী হোস না কেন শ্রাবণ, কিন্তু আজকে এই অমাবস্যার রাতে তো তোর শক্তি সব চলে যাওয়ার কথা? তাহলে তুই কোথা থেকে এমন শক্তি পেলি? তুইতো পিয়র ভাম্পায়ার আর একজব পিয়র ভ্যাম্পায়ারের তো আমাবস্যা রাতে এমন শক্তি পাওয়ার কথা নয়?
এভিকের কথা শুনে কিছুটা হাসল শ্রাবণ। তারপর বলল
— তোদের সাথে এত কথা বলার সময় আমাদের নেই।
কথাটা বলেই আকাশ আর শ্রাবণ মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ল তিয়াসা আর এভিকের উপর। তারপর নিমিষের মধ্যে ওদের গলায় নিজেদের বড় বড় বিশাল দাঁত বসিয়ে রক্ত চুষে নিল আর হাতের নখ দিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলে দিলো চারিদিকে। এমন ভয়ানক দৃশ্য দেখে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলল চাঁদনী।
,
,
সকালের মিষ্টি রোদের আলো চোখে পড়ায় ঘুম ভাঙলো চাঁদনীর। চাঁদনী ঢুলুঢুলু চোখে তাকিয়ে দেখল ও শুয়ে আছে শ্রাবণের বুকের মাঝে। সেই প্রাসাদটায় যেখানে শ্রাবনের সাথে দু দিন আগে ও এসেছিল। ধীরে ধীরে গত রাতের সব কথা মনে পড়ে গেল চাঁদনীর। মনে পড়ার সাথে সাথে ও শ্রাবনকে ধাক্কা দিয়ে নিচে নেমে গেল। শ্রাবন উঠে বসে অবাক হয়ে বলল
— কি হয়েছে চাঁদ পাখি তুমি এভাবে আমার কাছ থেকে সরে গেলে কেন?
— আপনি একজন ভ্যাম্পায়ার শ্রাবণ আমি আপনার সাথে থাকব না। আমাকে এখানে কেন এসেছেন আমাকে রেখে আসুন প্লিজ।আমি আপনাদের কারো সাথে থাকবো না শ্রাবণ। আপনি একজন ভাম্পায়ার আমি কালকে রাতে নিজের চোখে দেখেছি আপনাদের সেই হিংস্র রূপ। আমার ভীষণ ভয় করছে আমাকে প্লিজ রেখে আসেন আমার বাসায়। আমি আপনার সাথে থাকব না।
কথাগুলো বলেই দ্রুত শ্রাবনের কাছ থেকে ছেড়ে চলে যেতে নিল চাঁদনী। সাথে সাথে শ্রাবণ চাঁদনীর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিল। তারপর বলতে লাগলো
— এই পাগলী কোথায় যাচ্ছ তুমি আমায় ফেলে? আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো বল? আমার সবকিছু তুমি আর তাছাড়া আমি একজন ভ্যাম্পায়ার এটা ঠিক কিন্তু আমি কখনো কোন ভাল মানুষের ক্ষতি করি না, বরং শয়তান ভ্যাম্পায়ার দের হাত থেকে সবাইকে বাচাই। তুমি এভাবে আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না চাঁদ পাখি। তোমাকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না।
শ্রাবনের কথা শুনে চাঁদনী কিছুক্ষণ ভাবে ও বুঝতে পারে সত্যিই তো শ্রাবন কখনো কারো ক্ষতি করেনি। বরং ওকে নিজের জীবনের বিনিময়ে বাঁচিয়েছে তিয়াসা আর এভিক নামের ভ্যাম্পায়ারের হাত থেকে। আর তাছাড়া ও শ্রাবনকে ভালবাসে শ্রাবন ওর স্বামী। কথাগুলো মনে পড়তেই চাঁদনীর শ্রাবনকে জড়িয়ে ধরে। জড়িয়ে ধরে বলে
— আমি সবকিছু জানতে চাই শ্রাবন, আপনার আর শ্রাবণীর ব্যাপারে আমি সবকিছু জানতে চাই?
চাঁদনীর কথা শুনে মুচকি হাসে শ্রাবণ। তারপর চাঁদনী কে কোলে তুলে নিয়ে চাঁদনীর কপালে চুমু এঁকে দিয়ে বলে
— চাঁদ পাখি আজকে আমি তোমার কাছে সবই বলব আর তোমার কাছে লুকানোর কিছু নেই আমার। কিন্তু তার আগে তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে কিছু খেয়ে নাও কাল রাত থেকে কোন কিছুই খাওনি তুমি।
শ্রাবণের কথা শুনে চাঁদনী বলে
— আমি তো খাব কিন্তু আপনি খাবেন না? আপনাকে তো আমি কখনোই খেতে দেখলাম না কিছু। আর শ্রাবনীও বার বার খাওয়ার কথা বললে আমায় আর মিতুকে এরিয়ে চলতো। সেদিন দুপুরেও আমি শ্রাবনীর জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু শ্রাবনী খায়নি, বলেছিলো ও বাসায় আপনার সাথে খেয়ে এসেছে।
— সবকিছু বলব চাঁদনী তোমার সব প্রশ্নের উত্তর দেবো আমি। কিন্তু তার আগে তুমি ফ্রেশ হয়ে এসে একটু কিছু খেয়ে নাও। তারপর তোমার মাথায় যতগুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর আমি তোমায় দেবো। এটা তোমার কাছে তোমার শ্রাবণের প্রমিস।
শ্রাবনের কথা শুনে আর কথা বাড়ালো না চাঁদনী। ওয়াশরুমে চলে গেল, ফ্রেশ হয়ে এসে চাঁদনী দেখলো শ্রাবণ ওর জন্য খাবার নিয়ে বসে আছে। শ্রাবনকে খেতে বললে শ্রাবণ মুচকি হেসে চাঁদনীকে খেতে বলল। চাঁদনী খাওয়া শেষ করে শ্রাবনের সামনে বসে বলল
— এখন শুরু করুন আমি সবকিছু জানতে চাই আপনার আর শ্রাবণীর ব্যাপারে।
চাঁদনী কথা শুনে চাঁদনীর হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চাঁদনীর মুখামুখি বসে শ্রাবন বলতে শুরু করল,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,