ভয়ঙ্কর সেই মেয়েটি ৪র্থ পর্ব
ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলেন বেলকনির দিকে। আধো আলো-আধারীর মধ্যে অস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে ওখানে একটা নারী মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি কয়েকবার ডাকলেন, ‘কে?’ ‘কে ওখানে?’ কোনো উত্তর না পেয়ে ধকধক বুক নিয়েই এগিয়ে গেলেন সামনে।
মেয়েটার একদম পেছনে এসে দাঁড়ালেন। এমন সময় খিলখিল করে হাসতে হাসতে ঘরের আরেক কোণা দিয়ে ছুটে গেল একটি ছোট ছেলে। এই হাসি তার চেনা। তার মৃত ছেলে রাব্বির! দ্রুত ঘুরে সেদিকে তাকালেন। ছেলেটাকে দেখতে পেলেন না তিনি। ঘাড় সোজা করতেই আৎকে উঠে জমে গেলেন। তার ঠিক মুখোমুখি বড় বড় চোখ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে তার মৃত স্ত্রী রেহানা। সারা মুখ, শরীর আর শাড়ি রক্তে মাখা। মাথা ফেটে থেঁতলে আছে। তবুও চেনা গেল তাকে। খোরশেদ বুঝতে পারছে না, হচ্ছেটা কী! এটা কী দুঃস্বপ্ন কোনো!
জ্বলজ্বল করে জ্বলছে রেহানার দুচোখ। থেতলে যাওয়া বিকৃত মুখটা আরো বিকৃত হয়ে আছে ক্রোধে। একটা ফেসফ্যাসে কণ্ঠ বেরিয়ে এলো রেহানার গলা থেকে, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চরিত্রহীনতার অভিযোগ করে আমাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে এখন খুব সুখে একা জীবন যাপন করে যাচ্ছ! কী নিষ্ঠুর তুমি! আমাকে তোমার সন্তানকে, একটুও মনে পড়ে না তোমার!’
স্বপ্নই যদি হবে এটা তবে এত বাস্তব কেন! থতমত খেয়ে গেল খোরশেদ। কম্পিত কন্ঠে বললেন, ‘আমি তোমাদের খুব ভালোবাসি! আমি তোমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই করিনি। তুমিই আমাকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আমার বেঁচে থাকার সব আশা-ভরসা নিয়ে পালিয়ে গেছ!’
‘মিথ্যা, ধোকা দিয়েছ তুমি! ভালোই যদি বাসো তাহলে চলো আমাদের সাথে এই দুনিয়ায়!’ সেই একই ক্রোধে ভরা কণ্ঠ রেহানার।
এমন সময় ছুটে এলো রাব্বি তার পেছন থেকে। বুকটা কেঁপে উঠলো ইঞ্জিনিয়ারের। থেতলে কী ভয়াবহ চেহারা হয়েছে তার প্রিয় ছেলেটার। যেদিন ওরা মারা গেল সেদিন ভালো করে ওদের দিকে তাকানোর অবস্থাতেই ছিল না সে। রাব্বি বলল, ‘আমাকে ভয় পাচ্ছ কেন বাবা! আমিই তোমার ছেলে। চলো আজ আমাদের সাথে। আমরা তোমাকে নিতে এসেছি।’
লাল আভা ঠিকরে বের হচ্ছে এখন রাব্বি আর রেহানা দুজনের চোখ থেকেই। শরীর এবং চিন্তাশক্তি দুটোই অবশ হয়ে গেল খোরশেদ আলমের। চোখের পলকেই দেখলেন তার স্ত্রী আর সন্তান ঘুরে লাফিয়ে পড়ে গেল বেলকনি থেকে। ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা স্পর্শ অনুভব করলেন তিনি। তখনই তারণা অনুভব করলো তার সমস্ত শরীর স্ত্রী আর সন্তানের কাছে যাওয়ার জন্য। দ্রুত ছুটে বেলকনি টপকে লাফিয়ে পড়লেন তিনি। রাস্তার উপর মুখ থুবড়ে পড়লেন স্ত্রী আর ছেলের মতো। আরও একটা রহস্যজনক মৃত্যু একই বিল্ডিং থেকে অভিশপ্ত তকমা দিয়ে দিল এই বিল্ডিং টাকে। এলাকার মানুষ পৌঁছে গেছে আতঙ্কের চরম সীমায়।
প্রফেসর আমির হোসেনের হাত শক্ত করে চেপে ধরে আছে বৃষ্টি। চোখে শুধু আধার দেখলেন কয়েক মুহূর্ত তিনি। এরপরই অনুভব করলেন অনেক উঁচু থেকে পড়ছেন তিনি নিচে। চারপাশে অন্ধকার আর অন্ধকার। তখনও তার হাত চেপে ধরে রয়েছে একটি শক্ত হাত।
ধীরে ধীরে যত নীচে নামছেন অন্ধকার ফুঁড়ে ছড়িয়ে পড়ছে সামান্য আলোর আভা। ধীরে ধীরে তা গাঢ় হতে লাগলো। চারপাশে তাকিয়ে বিস্মিত হয়ে দেখলেন, অনেক গুলো দৃশ্য যেন ভেসে বেড়াচ্ছে এখান, ওখান দিয়ে। শরীর স্থির হয়ে গেল তার। আর পড়ছেন না। কোনো ছোট্ট একটা কুয়োর ভেতর যে তিনি নেই তা অনুভব করলেন। সামনে হঠাৎ ভেসে উঠলো একটা স্পষ্ট দৃশ্য। তিনি দেখতে পাচ্ছেন বেশ কয়েক মাস আগের একটি দৃশ্য। সেদিন তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে একটা ছোট আয়োজন করছিলেন তারা।
ঐতো বৃষ্টিকে দেখা যাচ্ছে। একটি সোফায় চুপচাপ বসে আছে মেয়েটি। তার সমবয়সী কেউই ছিল না সেরাতে অনুষ্ঠানে তাই হয়তো কিছুটা মন খারাপ। সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো মেয়েটি, কৌতূহলী হয়ে উকি দিচ্ছে বাড়ির বাইরের দিকে। এক বার চারপাশে তাকালো। বড়রা সবাই যার যার মতো ব্যস্ত। বৃষ্টি ধীরে ধীরে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলো। তার কৌতূহলী চোখজোড়া কিছু একটা খুঁজছে। হঠাৎ একদিকে তা স্থির হয়ে গেল। একটা গাছের পাশে বসে আছে একটা ছোট বিড়াল ছানা। কী সুন্দর সাদার উপর হালকা ছোপ ছোপ বাদামি রঙ ওটার। বৃষ্টি থেকে খুব দূরে নয়।
ওটার দিকে এগিয়ে গেল বৃষ্টি। ওটা চমকে কিছুটা পিছিয়ে গেল। বৃষ্টি আরেকটু এগিয়ে গেল, ওটা আরেকটু পেছালো। সম্মোহিতের মতো ওটার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো বৃষ্টি। একসময় চলে এলো বিড়াল ছানাটা সেই কুয়োর কিনারে। ধীরে ধীরে ঢাকনা সরে গেল ওটার ওপর থেকে। বৃষ্টি এবার ভয়ে ভয়ে তাকাচ্ছে ওদিকে। হঠাৎ বিড়ালটার আকার বৃদ্ধি পেতে লাগলো, কয়েক মুহূর্তে ওটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা আকৃতিতে রূপ নিল। বোঝার উপায় নেই কী ওটা! একটা গাঢ় কালো ছায়া যেন ওটা, অথচ মানুষের মতো অবয়ব ওটার। মুখায়ব এতই কালো যে কোনো চোখ,নাক,মুখের অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে না।চুলগুলো মাথা থেকে উপরে উঠে শূন্যে ভেসে রয়েছে, পায়ের জায়গায় রয়েছে অনেক গুলো সুতোর কুণ্ডুলি।
প্রায় ভেসে এসে বৃষ্টির পেছনে এসে দাড়ালো ওটা। পুরো আতঙ্কে বিস্ফোরিত হয়ে আছে মেয়েটার মুখ।
অনেকগুলো চেপ্টা লতা কিলবিল করছে ছায়া অবয়বটার হাত থেকে। ওটাই ধীরে ধীরে স্পর্শ করলো বৃষ্টির ঘাড়। বৃষ্টির শরীর কেঁপে উঠলো। ছায়া অবয়বটা ছুটে ঝাঁপিয়ে পড়লো কুয়োর ভেতর। ওটার পিছু নিয়ে বৃষ্টিও ঝাপিয়ে পড়লো কুয়োয়। অবাক হয়ে নিজের পাশ দিয়ে মেয়েটিকে পড়তে দেখলেন আমির হোসেন। তিনি শূন্যে ভেসে রয়েছেন। এটা কোথায়! যে শক্ত হাত তাকে চেপে রেখেছিল এতক্ষণ ওটাকে আশেপাশে দেখতে পাচ্ছেন না তিনি।
আরেকটা দৃশ্য ভেসে উঠলো সামনে। হতভম্ব হয়ে তাকালেন তিনি শূন্যে। ঐতো ফরহাদকে দেখা যাচ্ছে, ছোট মেয়ে বৃষ্টিকে কোলে করে নিয়ে সোফায় শুইয়ে দিল, কেমন বিষন্ন লাগছে ফরহাদকে। ধ্যান ধরে বসে আছে। ঐতো চোখ খুলল বৃষ্টি। মুখে কেমন ক্রুর হাসি। মুহূর্তেই বৃষ্টির শরীর গলে গেল যেন, ওখানে উদয় হলো সেই কুয়োর পাশের ছায়া মানবটা। আলতো করে স্পর্শ করলো তার ফিতাগুচ্ছ হাতটা ফরহাদের ঘাড়ে। কী হয়ে গেল ফরহাদের। সে ছুটে গিয়ে লাফিয়ে পড়লো বেলকনি থেকে। ঝুকে নিচে তাকালো। কোনো রাস্তা বা বাড়ি ঘরের চিহ্ন নেই। তার সামনে উদয় হয়েছে সেই প্রাচীন আধার ভরা কুয়োটা। ঝাঁপিয়ে পড়লো ফরহাদ।
প্রফেসর লক্ষ করলেন তার গা ঘেষে নীচে নেমে গেল ফরহাদের অচেতন শরীর। হচ্ছেটা কী! আবার সামনে ভেসে উঠলো আরেকটা দৃশ্য। রেহানা দাঁড়িয়ে আছে বেলকনির পাশে। তার ঘাড়ের পেছনে সেই ছায়া অবয়বটার হাতের কালো ছাপ। বেলকনির দিকে যেতে তার সামনেও উপস্থিত হলো গভীর কুয়োটা। নীচে কি যেন একটা দেখল। লাফিয়ে পড়লো সে কুয়োর ভেতর। ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে ছায়া অবয়বটা হিংস্র ভঙ্গিতে। রাব্বি ছুটে এসেছে। কিছু বলল ওটা ওকে। হিংস্র ছায়া অবয়বটার হাত স্পর্শ করলো। রাব্বির ঘাড়। সেও বেলকনির ওপাশে দেখতে পেল কুয়োটাকে। সেখানে আনন্দ ভরা মুখ নিয়ে অপেক্ষা করছে ওর বাবা-মা। মুহূর্তে সেও বেলকনি থেকে লাফিয়ে পড়লো।
নিজের সামনে দিয়েই নীচে পড়ে যেতে দেখলেন প্রফেসর রেহানা আর রাব্বির দেহ। একই ভাবে রেহানার স্বামী খোরশেদ আলম, জেলখানায় থাকা ফরহাদের স্ত্রী তানিয়া এবং ভাই রাকিবের মৃত্যুর দৃশ্য ভেসে উঠলো প্রফেসরের চোখের সামনে। প্রতিটা মৃত্যুর জায়গাতেই তিনি স্পষ্ট দেখলেন সেই অশুভ বিকৃত হিংস্র চেহারার অদ্ভুত ছায়া অবয়বটাকে।
এক মুহূর্তে আবার সব অন্ধকার হয়ে এলো। প্রফেসর বুঝতে পারলেন আবার কুয়োর নীচে নেমে যাচ্ছেন তিনি। তার মস্তিষ্কের ভেতর নাড়া দিতে লাগলো এই কুয়ো সম্পর্কে তার জানা সব তথ্য। প্রফেসর আমির হোসেন যেখানে এখন থাকেন বাড়িটা ঢাকার ভেতরে হলেও ঢাকা শহর থেকে বেশ বাইরের দিকে। দুই বছর আগে জমিটা কেনেন তিনি। বসতি খুবই কম আশেপাশে। খোলা-মেলা জায়গা, প্রাকৃতিক গাছ-গাছালিতে ভরা একটি জায়গা। নিজের এত বছর ধরে জমানো টাকা, নিজের গ্রামের বাড়ির জমি-সম্পদও যখন তাদের একমাত্র সন্তান ফাহিম এর বাইক এক্সিডেন্ট হওয়ার পর কোনো কাজে লাগলো না। দুটো পা হারিয়ে ১৫ দিন হাসপাতালে ভুগে মারা গেল তখন এই দম্পতির জীবনের সমস্ত আনন্দ চলে গিয়েছিল।
সব কিছু ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার বাসনা জন্ম নিল মনে। তাই তখন সমস্ত টাকা খরচ করে এই বিশাল জায়গাটা কিনে স্ত্রী সহ এখানে চিরদিন বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। শিক্ষকতা থেকে অবসর নেননি এখনও প্রফেসর। এই বিশাল জায়গাটির সঙ্গেই ছিল সেই কুয়ো। খুবই পুরাতন কুয়ো যে এটি তা দেখেই বোঝা যায়। কুয়োটা যখন তিনি প্রথম দেখেন তখন
এটির মুখ সিমেন্ট, ইট দিয়ে বন্ধ করা ছিল। ইট সিমেন্ট ও যে অনেক বছর আগে করা তাও বোঝা যাচ্ছে। যার কাছ থেকে জমিটা কিনেছেন লোকটা প্রফেসরের চেয়েও বয়স্ক। তাকে কুয়োটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এটি খুবই পুরোনো এবং গভীর কুয়ো। এটাকে ভরার চেষ্টা নাকি করেছিলেন তার দাদা অনেক বছর আগে। কিন্তু কিছুতেই এটা ভরছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ইট-সিমেন্ট লেপ্টে বন্ধ করে দেন এটি। এখানে অবশ্য পৈতৃক সূত্রেই জায়গাটার মালিকানা বদল হয়েছে কয়েক শ বছর ধরে। কুয়োটার সঠিক ইতিহাস তিনি নিজেও জানেন না ভালো করে।
তাদের বংশের কেউই এখানে স্থায়ী ভাবে থাকেননি কোনোদিন। এখন যেমন থাকার পরিবেশ এক সময় তার কিছুই ছিল না। এখান থেকে অদূরেই ছিল ঘন জঙ্গল। তবে লিজ নিয়ে অনেক পরিবারই দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করেছে।
বর্তমান সময়ে অবশ্য এখানে আধুনিক জীবনের কোন উপকরণেরই অভাব নেই। প্রায় এক বছর স্বাভাবিক ভাবেই থাকেন এখানে। বেশ কিছু পুরোনো ইট-সিমেন্টের ভাঙা-চোরা বাড়ি ছিল এখানে। লোক লাগিয়ে এগুলো ভেঙে ফেলেন তিনি। কিন্তু জমে যায় অনেক রাবিশ , যা কিনা আরো নোংরা করে ফেলে জায়গাটার একটা অংশ। তখনই কুয়োটার মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কুয়োর মুখ ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয় লোকদের। পুরোনো হলেও খুবই মজবুত করে বন্ধ করা হয়েছিল ওটা।
সমস্ত রাবিশ ওটার ভেতর ফেলেও আলো জ্বেলে ওটার তল দেখতে পেল না কেউ। খুবই অবাক হলেন প্রফেসর। তবে কুয়োটা অনেক কাজের তা বোঝা গেল। যেহেতু বাড়িতে ছোট ছেলে মেয়ে, কোনো জন্তু নেই তাই আলগা একটি ঢাকনা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এইতো এরপর কেটে যায় কয়েক মাস। কুয়ো থেকে কোনো বিপদের আশংকাই করেননি তিনি। কিন্তু এলো সেই বিবাহ বার্ষিকীর রাত। ৭ বছরের বৃষ্টিকে তিনি এই গভীর কুয়ো থেকে একা উঠতে দেখলেন।
প্রফেসর এখন নিশ্চিত, এরপর থেকে যতগুলো মানুষ মারা গেল এর সাথে এই কুয়োটা আর সেই রাতের সম্পর্ক রয়েছে। তাই কুয়োর ভেতর নামার পর থেকে সমস্ত দৃশ্যগুলো তার চোখের সামনে উদয় হয়ে গেল। কিন্তু সেই ছায়া অবয়বটা এই কুয়োয় কী করে এলো, বৃষ্টির শরীরে ওটা প্রবেশ করলো কেন, কারা কিভাবে কেন এই কুয়োটার মুখ এমন পুরু ভাবে বন্ধ করে রেখেছিল এর উত্তর তিনি জানেন না। এর উত্তর জানার জন্য তার মন উশখুশ করছে। তাছাড়া তিনি কোথায় যাচ্ছেন, তার পরিণতি কী, এসব ভেবেও মন শঙ্কায় ভরে উঠছে। বৃষ্টি কোথায় গেল!
হঠাৎ আবার স্থির হয়ে গেল তার শরীর। অন্ধকার ফুঁড়ে ছড়াতে লাগলো লালচে আভা। তার সামনে ঘুরে বেড়াতে লাগলো অনেক গুলো নতুন দৃশ্য, অনেক গুলো অপরিচিত মানুষের মুখ। এই জায়গাটি ঘিরেই বয়ে যাচ্ছে সমস্ত দৃশ্য। তার অবচেতন মন বলছে কুয়োটা এখন তার মনে জমা প্রশ্ন গুলোর উত্তর তার সামনে হাজির করছে ধীরে ধীরে । সে জানতে পারবে এই প্রাচীন কুয়োর প্রাচীন অভিশাপের মূল কথা!…..
………………………………………………………….
.
.
. . . . চলবে . . . .