১.
প্রিয় আমির,
অমাবস্যার কলঙ্কিনী চাঁদকে স্বাক্ষী রেখে, অনুভূতি গুলোকে কালিতে রূপান্তর করে এক সুদর্শন পুরুষের উদ্দেশ্যে চিঠি লেখার আয়োজন করেছি আজ।
আমার চোখে কেন যেন এই “কালাচাঁদ” সম্বোধিত হওয়া আপনিই হৃদয়ের রঙতুলিতে আঁকা সেরা সুদর্শন পুরুষ।
পর সমাচার এই যে,আপনার বিশুদ্ধ প্রেমিক পুরুষ চরিত্রটি কোনো ষোড়শী কিশোরীর হৃদয়ে ভীষণ যত্নে দাগ কাটার জন্য যথেষ্ট!
তেমনই আবার,আপনার হিংস্রসত্তা কারো কারো হৃদয়ে জমিয়েছে ঘৃণার আধুলি!
আচ্ছা,কল্পনায় আঁকা প্রিয় মানুষের সাথে কি কখনো দেখা হয় না?হয়তো হয় না!
কে যেন লিখেছিলো,
“তোমার আমার দেখা হবে মরণেরও কালে!”
কিন্তু কোনো কিছু ভাবার আগেই আপনি হারিয়ে গেলেন। পূর্ণার দেয়া নাম রক্ষার্থে আকাশের ঐ চাঁদ হলেন।তবে কালাচাঁদ নয়,জ্যোৎস্না চুইয়ে পড়া পূর্ণিমার চাঁদ!যে চাঁদ রোজ আলো দিয়ে তার পদ্মফুলকে স্নিগ্ধ করে রাখে!
শেষ মুহূর্তে এসে ভালোবাসার মানুষের হাতে মৃত্যু হয়তো আপনার প্রাপ্য ছিলো কিন্তু কেন যেন এই নিষ্ঠুরতম সত্য আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা।
একবার মনে হয়,এইতো আপনি চোখের সামনেই !প্রিয়তমার সাথে খুনসুটিতে মত্ত এক শ্যামবর্ণের প্রেমিক পুরুষ।যে পুরো দুনিয়ার সামনে প্রিয়তমাকে উদ্দেশ্য করে বলতে পারে,
“সারা অঙ্গ কলঙ্কে ঝলসে যাক
তুই বন্ধু শুধু আমার থাক।”
পূর্ণা,প্রেমার প্রতি আপনার স্নেহের কারণেও আপনার প্রতি আরও বেশি মুগ্ধ হয়ে যাই!
আপনি কি জানেন আপনার থুতনিতে থাকা ঐ কাঁটা দাগটা আমাকে কত শত রাত নিশাচর বানাতে দায়ী?
সব অতৃপ্ততা মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে দিয়ে জানাতে চাই,”আপনার প্রেমিক সত্তাটি আমি প্রচন্ড ভালোবাসি”,এর চেয়ে সূক্ষ্ম কোনো সত্য আপাতত আমার জানা নেই!
ইতি
কোনো এক ষোড়শী কিশোরী।
_
কুহু চৌধুরী
সম্পূর্ণ গল্প + রিভউ নিচের লিংকে