অরোনী তোমার জন্য
পর্ব ১৮
লিখা- Sidratul Muntaz
অরোনী বিচলিত বোধ করছে। মাকে কিছু জানানোর সাহস এখনও হয়নি। রাফাতকে ফোন করে বলবে কি-না সেটাও বুঝতে পারছে না। ফোনে অবশ্য কথাটা বুঝিয়ে বলা সম্ভব না। অফিস থেকে ফিরে এলেই বলতে হবে। অরোনী অপেক্ষা করছে রাফাত কখন অফিস থেকে ফিরবে!
রাত নয়টায় ফিরল রাফাত। এসে থেকেই লক্ষ্য করেছে অরোনী খুব নিশ্চুপ হয়ে ঘুরছে৷ সকালের ব্যাপারটা কি সে এখনও মনে রেখেছে? আজ ফোনেও কিভাবে যেন কথা বলছিল মেয়েটা। রাফাত তাকে কিছু জিজ্ঞেস করল না। আগে গোসল করে নিল। ড্রেসিংটেবিলে দাঁড়িয়ে ভেজা চুলগুলো আঁচড়ে নিচ্ছিল। তখন অরোনী এসে বলল,” তোমার সাথে আমার জরুরী কথা আছে।”
রাফাত উষ্ণ আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরল অরোনীর কোমড়। কছে টেনে বলল,” স্যরি।”
” স্যরি কেন?”
” সকালে তোমার মনখারাপ ছিল। আমি খেয়াল করেছি। বলোতো কেন রাগ করেছিলে?”
অরোনীর মনে পড়ল সকালের ঘটনা৷ সারাদিন এতো ঝামেলার মধ্যে ব্যাপারটা বেমালুম ভুলেই গেছিল। অথচ রাফাত এখনও মনে রেখে দিয়েছে। অরোনী মৃদু হাসি দিয়ে বলল,” তেমন কিছু না।”
” তেমন কিছু না হলে তুমি এতো ডিস্টার্বড কেন?”
” এটা অন্য একটা ব্যাপার।”
” ওহ, কি ব্যাপার শুনি?”
রাফাত ব্যাপার শোনার জন্য বিছানায় এসে বসল। অরোনী অস্থিরচিত্তে বলতে লাগল,” গতকাল অথৈ স্কুলে যায়নি। আজ তোমার সাথে বের হয়ে যাওয়ার পর মা আমাকে ওর ব্যাপারে অনেক কথা বলেছে। মেয়েটার পড়াশুনায় মনোযোগ নেই। সারারাত নাকি জেগে থাকে। সকাল হলে ঘুমাতে যায়। ঘন ঘন স্কুল মিস করে। হাফ ইয়ারলিতে ফেইল করেছে। মায়ের কোনো কথা শোনে না৷ সারাক্ষণ ওর শুধু টাকা আর টাকা লাগবে। আমি এইখানে আসার পরেও ও আমার কাছে দুইহাজার টাকা চেয়েছে৷ এতো টাকা দিয়ে ও কি করে বলোতো? বাচ্চা একটা মেয়ে!”
রাফাত খুব সহজ ভঙ্গিতে বলল,” এই ব্যাপার? আচ্ছা এই জন্য এতো অস্থির হওয়ার কিছু নেই৷ ওর বয়সটা এমনি। একটু বুঝিয়ে বললে ঠিক হয়ে যাবে।”
অরোনী চোখ রাঙিয়ে বলল,” তোমার মাথা!আগে আমাকে পুরোটা বলতে দাও?”
” স্যরি। বলো।”
অরোনী বিছানায় বসে বলল,” মায়ের থেকে এসব শোনার পর আমার একটু সন্দেহ হয়। অথৈ আগে কখনোই এমন ছিল না। ও এতো ভালো স্টুডেন্ট। ফেইল করার প্রশ্নই আসে না। হুট করে ওর স্বভাবের এই পরিবর্তন আমার ভালো ঠেকছিল না৷ সেজন্য আমি কি করলাম জানো?”
” কি করেছো?”
” অথৈ এর মোবাইল সিস্ট করেছি।”
” আচ্ছা, তারপর?”
” সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছি কিসে জানো? ও মোবাইলটা স্কুলে যাওয়ার আগে এমন জায়গায় লুকিয়ে যায় যে কারো পক্ষে পাওয়া সম্ভব না।”
” তাহলে তুমি কিভাবে পেলে?”
” আমি পেয়েছি বুদ্ধি করে। অথৈ এর পড়ার টেবিল, ওয়্যারড্রোব, সবকিছুর এক্সট্রা করে চাবি অনেকদিন আগে বানিয়ে রেখেছিলাম। যদি হারিয়ে যায় তাহলে ডুপ্লিকেট কাজে লাগবে সেই আশায়। অথৈ তার মোবাইল পড়ার টেবিলের ড্রয়ারে তালা মেরে রেখে যায়। অথচ ওইটা তালা মারার কোনো জায়গাই না। খাতা-কলম নিশ্চয়ই কেউ তালা মেরে রাখে না। তাই ওই ড্রয়ারে তালা দেখে আমার সন্দেহ হয়েছে। আমি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে অথৈ এর মোবাইল পেয়েছি। তখন রীতিমতো অবাক হলাম। তার মোবাইলে কি এমন আছে যে এতো সিকিউরিটি দিয়ে রাখতে হবে?”
রাফাত একটু হেসে বলল,” বাহ, আমার বউয়ের তো অনেক বুদ্ধি!”
অরোনী রেগে রাফাতের হাতে চিমটি কাটল।
” ফাজলামো করবে না। আমার কথা শোনো চুপচাপ।”
” আচ্ছা বলো।”
” ওর ফোনে কিন্তু পিনকোড দেওয়া। তাও তালা মেরে গেছে। এইটা আরও অদ্ভুত ব্যাপার। একটু পরেই একটা গ্রামীন নাম্বার থেকে ফোন এলো। এর আগেও ওই একই নাম্বার থেকে আরও অনেকবার মিসডকল ওঠা ছিল। কে অথৈকে এতোবার ফোন দেয়? আমি ফোনটা ধরলাম। কিন্তু নিজের পরিচয় দিলাম না। অথৈ এর মতো কণ্ঠ করে কথা বললাম। প্রথমে হ্যালো বললাম। দেখি একটা ছেলে। ছেলেটা বলল, কি সমস্যা? এতোক্ষণ ধরে ফোন দিচ্ছি ধরো না কেন? আমি বলেছি, মা পাশে ছিল।
এখন বলো। তখন ছেলে বলল,’ টাকা পাঠানোর জন্য থ্যাঙ্কস। আমি তো অবাক! কিসের টাকা? এটা আর জিজ্ঞেস করলাম না। তাহলে তো ধরা পড়ে যাবো। আমি বুদ্ধি করে জানার জন্য বললাম, কত টাকা পেয়েছো? তখন ছেলেটা উত্তর দিল, তুমি যত পাঠিয়েছো ততই। দুইহাজার। বলেছিলাম পাঁচহাজার দিতে। বাকি তিনহাজার কবে দিবে?”
রাফাত এতোকিছু শুনে হকচকিয়ে বলল,” কিন্তু ছেলেটা কে?”
” সেটা তো আমিও জানি না। এতো ঘটনা জেনে আমার হাত-পা কাঁপতে লেগেছিল। কিন্তু ছেলেটা আমার কণ্ঠ শুনে বুঝতেও পারেনি যে আমি অথৈ না। তারপর আমি ফোন রেখে দিলাম৷ অথৈ বাড়ি ফেরার পর ওকে জেরা শুরু করলাম। কিছুতেই মুখ খুলতে চাইছিল না। আমি মোবাইল ভেঙে ফেলার হুমকি দিলাম। তারপর ওর মুখ থেকে কথা বের হলো।”
” কি বের হলো?”
” ছেলেটার সাথে ওর রং নাম্বারে পরিচয়। তারপর হোয়াটস এপ, ফেসবুকে এড হয়েছে। ওদের রিলেশন চলছে আমার বিয়ের আগে থেকে। আর এই পর্যন্ত ওই ছেলেকে ও মোট পনেরো হাজার টাকা দিয়েছে।”
” বলো কি!”
” হুম। কিন্তু আমি ভাবছি ও এতোটাকা পেলো কোথায়? আর এতো বোকা ও কখনোই ছিল না। তাহলে এবার কি করে এতোবড় বোকামি করছে? এজন্যই কাল আমার কাছে দুইহাজার টাকা চেয়েছিল সে। আমি তো দেইনি। মাও দেয়নি। ও তাহলে কোথায় পেল টাকাটা?”
রাফাত অপরাধীর মতো বলল,” আমি দিয়েছিলাম।”
অরোনী কড়া দৃষ্টিতে তাকাল।
” কে বলেছে তোমাকে এই বাড়াবাড়িটা করতে? আমাকে জিজ্ঞেস না করে তুমি টাকা কিভাবে দিলে?”
” আমি কি জানতাম নাকি? ওই ছেলে ওর থেকে কি বলে টাকা নেয়?”
” আরে ছেলে ভীষণ চালাক। এমন ইমোশোনালি ব্লেকমেইল করেছে যে আমারই অবাক লাগছিল। দাঁড়াও তোমাকে ওদের চ্যাটিংগুলো দেখাই।”
অরোনী উঠে গিয়ে ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ার থেকে অথৈ এর মোবাইল বের করে আনল। রাফাত চ্যাটিংগুলো প্রথম থেকে পড়তে শুরু করল। অনেক চ্যাটিং। পড়তে অনেক সময়ের ব্যাপার। কিন্তু অরোনী বিশেষ কথাগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে রেখেছে। সেগুলোই রাফাতকে দেখাতে লাগল। রাফাত এসব দেখে যতটুকু বুঝল, ছেলে বিরাট ধাপ্পাবাজ। তাই অথৈ এর মতো বুদ্ধিমতী মেয়েকেও পটিয়ে ফেলেছে। তাছাড়া ওর বয়সটাই তো এমন। এইসময় আবেগের তাড়নায় মানুষ অনেক ভুল করে। অথৈ তেমন কিছু ভুল করেনি। শুধু টাকাই দিয়েছে। ওর জায়গায় অন্যকোনো মেয়ে হলে আরও বড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতো। কারণ ছেলের উদ্দেশ্য ভালো ছিল না। অথৈকে অনেকবার আকারে-ইঙ্গিতে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। দেখা করার কথা বলেছে। অথৈ একবারও রাজি হয়নি। কিন্তু অথৈ এর জায়গায় অন্যকেউ হলে দেখা-সাক্ষাৎ করে বিরাট কান্ড ঘটিয়ে ফেলতো।
রাফাত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,” আন্টি জানে এসব?”
” তুমি মাকে আন্টি কেন বলো?”
” প্রথমদিন আন্টি ডেকেছিলাম৷ তখন তো বুঝিনি তোমার সাথে এতো দ্রুত বিয়ে হয়ে যাবে। এখন অভ্যাসটা বদলাতে পারছি না।”
অন্যসময় হলে অরোনী এই কথা শুনে হেসে ফেলতো। কিন্তু এই মুহূর্তে হাসি হাসছে না। চিন্তিত কণ্ঠে বলল,” মাকে আমি কিছু বলিনি। মা এসব শুনলে অথৈকে মেরেই ফেলবে।”
” মারাটা ঠিক হবে না। ওকে এই ব্যাপারটা সুন্দর করে বোঝানো উচিৎ। “
” কিভাবে বোঝাবো? ওর যেই জেদ! বুঝতেই চাইছে না।”
” আমাদের মুখের কথা ও বুঝতে চাইবে না এটাই স্বাভাবিক। ওকে প্রমাণসহ বোঝাতে হবে।”
” এখন প্রমাণ তুমি কোথায় পাবে? এই ছেলে যে ধান্দাবাজ এর কোনো উপযুক্ত প্রমাণ তো আমাদের কাছে নেই।”
” হুম নেই। তাই প্রমাণ তৈরী করতে হবে।”
“কিভাবে?”
রাফাত তার বুদ্ধিটা অরোনীকে বোঝালো। অরোনী সাধুবাদ জানিয়ে বলল,” বাহ, তুমি গোয়েন্দা বিভাগে জয়েন করছো না কেন? এতো বুদ্ধি তোমার!”
রাফাত তার বিখ্যাত ডা/কা/তি হাসি হাসল।
রুমা ছোটচাচীর রুমে ঢুকেই গম্ভীর কণ্ঠে বলল,” আমার শাড়ি কোথায়?”
আশা থতমত খেলেন। ইদানীং মেয়েটার মেজাজ খুব খারাপ থাকে। তার সাথে কেউ ভণিতা করে কথা বলতে পারে না। সোজা-সাপটা জবাব দিতে হয়। নাহলে চিৎকার দিয়ে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলে। সকলের ধারণা বার-বার বিয়ে ভাঙার কষ্ট সইতে না পেরে রুমার মাথাখারাপ হয়ে গেছে। আশা আমতা-আমতা করে বললেন,” কোন শাড়ির কথা বলছিস মা? আমার কাছে কি তোর কোনো শাড়ি ছিল?”
রুমা কটমট করে তাকাচ্ছে। আশা ভয় পেয়ে গেলেন৷ পেছন থেকে উর্মি এসে বলল,” মা, সেদিন না তুমি জামদানি শাড়িটা নিয়ে আলমারীতে ঢুকিয়ে রাখলে? বলেছিলে রুমা আপু যদি নিজে এসে চায় তাহলেই দিয়ে দিবে? ভুলে গেছো নাকি?”
আশা মনে মনে মেয়েকে একগাদা গালি দিলেন। এমন ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ পেটে ধরার জন্য আফসোস করলেন৷ তারপর আলমারী থেকে শাড়িটা বের করে দিয়ে দিলেন। রুমা ঝটপট শাড়ি নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলো। উর্মিও তার সাথে বাহিরে এলো। রুমা বলল,” এই নে, তোর প্রিয় ছোটভাবীর শাড়ি। ফিরে এলে এটা দিয়ে দিস তাকে।”
উর্মি শাড়িটা রুমার হাতেই ফিরিয়ে দিয়ে বলল,” আমি না৷ এটা তুমি নিজের হাতে ছোটভাবীকে দিবে। তারপর ক্ষমা চাইবে। নাহলে ছোটভাবী এই শাড়ি কিছুতেই গ্রহণ করবে না।”
রুমার রাগ হচ্ছে। সে ক্ষমা চাইবে অরোনীর কাছে? অসম্ভব! কিন্তু উর্মির কথায় রাজি না হলেও উপায় নেই। উর্মিকে তার বিশেষ কাজে প্রয়োজন। রুবায়েত অরোনীর সাথে কি কি করেছে তার সবকিছু জানে উর্মি। রুমাকে এসব জানতে হবে। রুবায়েতের ইনটেনশন বুঝতে হবে। সে কিছুতেই ভুলতে পারছে না তাদের কাটানো সময়গুলো। রুমা বাধ্য হয়ে বলল,” ঠিকাছে। আমি ক্ষমা চাইবো। শাড়িও ফিরিয়ে দিবো। তারপর তুই আমাকে সবকিছু বলবি তো?”
” নিশ্চয়ই বলবো।”
” ওকে ডান।”
” ডান।”
রুমা চলে গেল শাড়ি নিয়ে। উর্মি মুখ টিপে হাসছে। রুমাকে বোকা বানানো কত সহজ! প্রেমে পড়লে মানুষ নির্বোধ হয়ে যায় কথাটা তাহলে সত্যি। একদম টিন এইজ মেয়েদের মতোই আচরণ করছে রুমা আপু। তবে শাড়ি উদ্ধার করার এই মাস্টারপ্ল্যানটা উর্মির একার মাথায় আসেনি। পুরোটাই তাহসিনের বুদ্ধি। রুমা আপুকে ট্র্যাপে ফেলে শাড়ি উদ্ধার করার কি চমৎকার কৌশল!
অথৈ এর কান্না থামছেই না। সে মানুষ চিনতে এতোবড় ভুল করল? সে ভেবেছিল হাসিব ভালো ছেলে। সত্যি তার জীবনে অনেক কষ্ট। তাই মায়ায় পড়ে তাকে টাকা পাঠাতো। কিন্তু এখন বুঝতে পারল, কষ্ট বলতে কিছু নেই। সে মানুষটাই এমন। অথৈ এর প্রতি তার দেখানো ভালোবাসাও মিথ্যা।
অথৈ এর পাশে এখন অরোনী বসে আছে। অরোনীর মোবাইলটা অথৈ এর হাতে। কিছুক্ষণ আগে অরোনী তার ফেসবুক আইডি থেকে হাসিবকে মেসেজ করেছিল। অরোনীর সুন্দর ছবি দেখে হাসিব মুগ্ধ। কত মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছে। সে অরোনীর কণ্ঠে গানও শুনতে চেয়েছে। কতবড় অসভ্য! সুন্দরী মেয়ে দেখেই একদম হ্যাংলামি শুরু। অথৈ এবার বুঝতে পারছে হাসিব আসলে সব সুন্দরী মেয়ের সাথেই এভাবে কথা বলে। সে একটা বদমাইশ।
অথৈ এর আবার কান্না পেল। এতোদিন কাকে বিশ্বাস করেছিল সে! অরোনী বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,” কাঁদার মতো কিছু হয়নি। মানুষের সাথে এর চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা ঘটে৷ তোর তো তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। শুধু টাকা খরচ হয়েছে। এটাও কোনো ব্যাপার না। প্রবাদ শুনিসনি? If Money is lost, nothing is lost. If Health is lost, something is lost. But if character is lost everything is lost. তোর তো ক্যারেক্টার নষ্ট হয়নি। তার মানে তোর কিছুই নষ্ট হয়নি। তাহলে তুই কাঁদবি কেন?”
অথৈ কাঁদতে কাঁদতেই জবাব দিল,” জানি না। কিন্তু আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।”
” এই কষ্ট সাময়িক। খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। এখনও বুঝতে পারছিস না কতবড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছিস তুই। যখন এটা বুঝতে পারবি তখন দেখবি তোর আর কোনো কষ্টই লাগছে না। বরং আনন্দ হচ্ছে।”
” আচ্ছা আপু, তুমি কিভাবে ওর সাথে এমন করে কথা বললে? এমন বুদ্ধি তোমার মাথায় কেন এলো?”
অরোনী হেসে বলল,” আমি বলিনি। কথা বলেছে তোর রাফাত ভাই।”
” রাফাত ভাইয়া তোমার ছবি দিয়ে এভাবে কথা বলেছে?”
অথৈ বিস্মিত! অরোনী ঘাড় নেড়ে বলল,” হুম। আমি হলে জীবনেও এভাবে কথা বলতে পারতাম না। মেজাজ খারাপ হয়ে যেতো। কখন কি গালি দিয়ে বসতাম!”
অথৈ এর একটু একটু হাসি পাচ্ছে। কিন্তু কষ্ট কমেনি। তার সাথে কেন এমন হলো? জীবনের প্রথম ভালোবাসাই কেন ভুল মানুষের জন্য হলো?
চলবে…..