#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ৬
#M_Sonali
চাঁদনী লাইব্রেরী থেকে বেরিয়ে কলেজের মাঠে আসতেই মিতুর সাথে দেখা হলো ওর। চাঁদনীকে দৌড়ে আসতে দেখে মিতু বললো
— কি রে দুষ্টুপাখি, এভাবে দৌড়ে আসলি কোথা থেকে বলতো? আবার কার সাথে ঝগড়া বা দুষ্টুমি করলি তুই?
মিতুর কথা শুনে চাঁদনী কিছু বলার আগেই পিছন থেকে শ্রাবনী বলে উঠলো
— আরে আমাদের দুষ্টুপাখি তো তার #ভ্যাম্পায়ার_বরের সাথে রোমান্স করতে গিয়েছিলো। আর সেখান থেকেই এখন আসলেন উনি।
শ্রাবনীর কথা শুনে মিতু আর চাঁদনী দুজনেই অবাক চোখে তাকালো শ্রাবনীর দিকে। তারপর মিতু ভ্রু কুঁচকে জিগ্যেস করলো
— মানে কি শ্রাবনী? আমি ঠিক বুঝলাম না?
মিতুর কথা শুনে হা হা করে হাসতে লাগলো শ্রাবনী। মিতু আর চাঁদনী শ্রাবনীর এমন হাসি দেখে রাগে কটমট করতে করতে দুজন মিলে হামলা চালালো শ্রাবনীর ওপর। কিল ঘুষি মেরে মেরে মাটিতে ফেলে দিলো শ্রাবনীকে। কিন্তু তাতে যেনো শ্রাবনী আরো জোরে জোরে হাসতে লাগলো। শেষে মিতু আর চাঁদনী হয়রান হয়ে বসে পরলো। তারপর চাঁদনী বললো
— ঐ চামচিকার বউ তোর ঐ বিশ্রী ময়লা দাঁতের হাসি বন্ধ করবি, নাকি আমি তোকে খুন করমু বল।
চাঁদনীর কথায় হাসি থামিয়ে শ্রাবনী ভ্রু নাচিয়ে বললো
— হুমম হুমম আমি তোর আর শ্রাবনের রোমান্সের প্রমান। তুই প্রমান লুকাতে আমায় খুন করতেই পারিস। তুই যা রাগি বাবা রে বাবা, আজকে নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতামনা।
শ্রাবনীর কথা শুনে শুকনো ঢোক গিললো চাঁদনী। আর মনে মনে ভাবলো “তাহলে কি শ্রাবন আর ওর লাইব্রেরীতে ঘটা ঘটনাগুলো শ্রাবনী সব দেখে নিয়েছে?” মিতু শ্রাবনীকে লক্ষ করে বললো
— ঐ শ্রাবনী এমন ভঙিতা না করে বলনা প্লিজ কি দেখেছিস তুই? আর তুই তো আমায় লাইব্রেরীর ওদিকে যেতে দিলি না। বললি ওখানে চাঁদ নাই।তাহলে চাঁদ ওখানে কি করছিলো আর তুই কি বা দেখেছিস বলতো?
— ওকে ওকে তবে শোন। তোকে লাইব্রেরীতে যেতে নিষেধ করে আমি একটা দরকারে লাইব্রেরীর ওদিকে যাই। আর সেখানে গিয়ে দেখি আমাদের দুষ্টুপাখি এই কলেজের মিস্টার শ্রাবনের বুকের সাথে জরিয়ে তার দিকে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে।ইশশ দৃশ্যটা যা রোমান্টিক ছিলো না কি বলবো।
— ওরে পেত্নী আমাকে একা থাকতে বলে আপনি একা একা গিয়ে ওদের রোমান্স দেখেছেন। আপনার তো আজকে খবর আছে।
— আরে আরে রেগে যাচ্ছিস কেনো মিতু। আগে তো আমার পুরো কথাটা শোন। তারপর আমি ওদের ঐ অবস্থায় দেখে ভাবলাম তোকে ডাকবো। কিন্তু তুই যা বাচাল আর যেভাবে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কথা বলিস। তোর জন্যে সব মজা মাটি হয়ে যেতো তাই ডাকিনি। কিন্তু তারপর আমাদের দুষ্টুপাখি কি করলো জানিস?
এতটুকু বলতেই চাঁদনী চিল্লিয়ে উঠে শ্রাবনীর মুখ চেপে ধরে বললো
— ঐ হারামি আমি কিছুই করিনি। তুই এবার চুপ কর নইলে তোর আমি সব চুল ছিঁড়ে ফেলবো বললাম।
চাঁদনীকে এমন খেপে যেতে দেখে হা হা করে হাসতে লাগলো শ্রাবনী।তখনি চাঁদনীর হাত ধরে টান দিয়ে সরিয়ে মিতু বললো
— তার পর কি হলো বল বল আমি শুনতে চাই।
— তারপর আর কি আমাদের দুষ্টুপাখি ঐ শ্রাবনের প্রেমে পরে গেলো যার ফলে শ্রাবনের গলায় গভির চুমু একে পালিয়ে এলো।
শ্রাবনীর কথা শুনে মিতু বড় বড় চোখ করে চিৎকার করে বলে উঠলো
— কিইইইইইইইইইইই, তলে তলে এতদুর আর আমরা কিছুই জানিনা। ওরে চাঁদ তুই তো খুব এডভান্সটেড। এখনি চুমু অব্দি পৌছে গেছিস ভাবা যায় এগুলো?
— চুমা না তোদের দুজনের মাথা হারামির দল। আমি ওনাকে চুমু দেইনি বরং ভ্যাম্পায়ারের স্টাইলে কামড় দিয়েছি। কারন উনি আমার সাহস দেখতে চাইছিলো তাই। ব্যাটা বলে কিনা আমি ভ্যাম্পায়ারের সাথে ভাব করতে পারবো না আমার নাকি সাহস নাই। তাই দিয়েছি গলায় বসিয়ে একটা কামড়। এখন বুঝুক ঠেলা।
চাঁদনীর কথা শুনে কিছুক্ষণ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে হো হো করে হেসে দিলো মিতু ও শ্রাবনী। তারপর হাসি থামিয়ে দুজন এক সাথে বলে উঠলো
— ধন্যি তুমি দুষ্টুপাখি, তুমি সত্যিই একটা ভ্যাম্পায়ারের বউ হওয়ার যোগ্য।
কথাটা বলেই তিনজনে এক সাথে হাসিতে ফেটে পরলো। হঠাৎ শ্রাবনীর কি হলো। ও মিতু আর চাঁদনীকে থামিয়ে দিয়ে বললো
— তোরা থাক নয়তো বাসায় চলে যা, আমি গেলাম। জরুরী একটা কাজ পরেছে আমার।
কথাটা বলেই মিতু আর চাঁদনীকে কিছু বলার সুজোগ না দিয়েই দ্রুতো স্থান ত্যাগ করলো শ্রাবনী।তারপর গেটের বাইরে গিয়ে আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখে হাওয়ার বেগে কোন দিকে যেনো ছুটে চলে গেলো।
শ্রাবনী চলে যেতেই মিতু বলে উঠলো
— হঠাৎ এই শ্রাবনীর কি হলো বলতো? এভাবে কোথায় গেলো ও?
— আমার মনে হয় ওর জোরে বাথরুম পেয়েছে তাই বাথরুমে গলো। হিহিহিহি
কথাটা বলেই হাসতে লাগলো চাঁদনী। চাঁদনীকে হাসতে দেখে মিতু হালকা ধমক দিয়ে বললো
— আহ চাঁদ থামতো, সব সময় এমন ইয়ার্কি ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে এই শ্রাবনীকে আমার কাছে কেমন যেনো অদ্ভুত লাগে। তুই একটা জিনিস খেয়াল করেছিস চাঁদ। শ্রাবনী কিন্তু কখনো আমাদের সাথে কিছু খায়না।এমনকি পানিও না।
— আজব তো, তুই হঠাৎ শ্রাবনীকে নিয়ে এত গবেষনা করতে বসে গেলি কেনো আলতো মিতু তিতু? ও বাইরের খাবার পছন্দ করে না তাই খায়না এখানে আজবের কি হলো বলতো?
চাঁদনীর কথা শুনে মিতু চুপ মেরে গেলো আর কিছু বললো না। তারপর আরো কিছুক্ষণ সময় ওরা কলেজের মাঠে বসে গল্প করে বাসার উদ্যেশ্যে রওনা হলো।
,
,
রাত ১২.০০ টা
একটি ধবধবে সাদা গায়ের রঙের ছেলে আর একটি মেয়ে মিলে সারা সিলেট জুরে ছুটে চলেছে শিকারের আশায়। কিন্তু আজকে কোনো মানুষকেই খুজে পাচ্ছে না তারা। এদিকে রক্তের নেশা জেকে বসেছে ওদের মনে। এই মুহুর্তে কোনো মানুষের রক্ত খেতে না পারলে যেনো সব কিছু ধ্বংস করে দিবে তারা।
কিন্তু না, অনেক খুজেও কোথাও কোনো জনমানবের চিন্হও খুজে পেলো না তারা। এতে করে তাদের মুখের চেহারার হিংশ্রতা যেনো আরো বেরে গেলো।
বেশ কিছুদিন হলো এক নাগাড়ে অদ্ভুত ভাবে সিলেটের লোক মারা যাওয়ায় ভয়ে রাতে আর কেউ বাইরে বের হয়না। যার ফল সরুপ এই ভ্যাম্পায়ার ছেলে মেয়ে দুটো কোনো শিকার খুজে পাচ্ছে না।
খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ ওদের চোখ আটকে গেলো সামনের বিল্ডিংয়ের বারান্দায় দাড়িয়ে থাকা একটি মেয়ের দিকে। মেয়েটি কার সাথে যেনো ফোনে কথা বলছে হেসে হেসে। মেয়েটাকে দেখেই ছেলে মেয়েদুটার চোখ মুখ চকচক করে উঠলো। তারা তাদের শিকার পেয়ে গেছে। আজকে এই মেয়েটির রক্ত দিয়েই নিজেদের তৃষ্ণা মিটাবে ওরা।
বারান্দায় দাড়িয়ে যে মেয়েটি ফোনে কথা বলছে সে আর কেউ নয়, সে হলো শ্রাবনী আর চাঁদনীর বান্ধবী মিতু। মিতুর কিছুদিন আগে বিয়ে ঠিক হয়েছে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে। আগামি মাসেই ওদের বিয়ে। আর সেই চাচাতো ভাইয়ের সাথেই কথা বলছে মিতু। কিন্তু মিতু জানেও না তার জন্যে কি অপেক্ষা করে আছে। নিশ্চিত মৃত্যু হয়ে মিতুর দিকে লোভাতুর দৃষ্টি নিয়ে এগিয়ে আসছে ঐ ভ্যাম্পায়ার ছেলে মেয়ে দুটা।
,
,
গাড়ো নীল রঙের পাঞ্জাবী পড়ে চাঁদনীর দিকে হাত বাড়িয়ে ছাদে চাঁদের আলোয় দাড়িয়ে আছে শ্রাবন। শ্রাবনকে দেখতে এখন কোনো রাজ্যের রাজপুত্রর চাইতে কোনো অংসে কম লাগছে না। নীল শেরোয়ানী স্টাইলের পাঞ্জাবী, মুখে ছোট ছোট চাপ দাড়ি, হাতে দামি ওয়াচ, মাথার সিল্কি চুলগুলো বাতাসে উড়ছে, সাথে মুখে লেগে আছে মিষ্টি হাসি। চোখ ধাধানো সুন্দর লাগছে শ্রাবনকে।
শ্রাবনের দিকে তাকিয়ে চাঁদনী যেনো আর চোখ সরাতে পারছে না। উফফ এতটা সুন্দরও বুঝি কোনো ছেলে হয়? চাঁদনীর মতো করে শ্রাবনও তাকিয়ে আছে চাঁদনীর দিকে। কারন চাঁদনীকেও যে আজ কোনো ডানা কাটা পরীর চাইতে কম লাগছে না।
চাঁদনী একটা সাদা ধবধবে রঙের অনেক সুন্দর গাউন পড়েছে, সাথে গলায় পড়েছে সাধা ডায়মন্ড পাথড়ের নেকলেস, কানে বড় ডায়মন্ড পাথড়ের এক জোড়া টপ, হাতের কনুই পর্যন্ত সাদা পাতলা হাত মোজা,ঠোটে টকটকে লাল লিপস্টিক,চোখে গাড়ো কাজল, আর চুলগুলো সুন্দর করে খোপা করে তাতে পাঁচটা সাদা গোলাপ গুঁজে রাখা। চাঁদনীর রুপে যেনো আজ চাঁদও লজ্জা পেয়ে যাবে। শ্রাবন এক নজরে নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে চাঁদনীর দিকে। আর হাত দিয়ে এশারা করে চাঁদনীকে কাছে ডাকছে। চাঁদনীও শ্রাবনের ডাকে মন্ত্র মুগ্ধের মতো শ্রাবনের কাছে কুটুর কুটুর পায়ে এগিয়ে গেলো। শ্রাবনের কাছে গিয়ে দাড়াতেই শ্রাবন চাঁদনীর হাত ধরে একটানে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো। শ্রাবনের এমন আচরনে বড় বড় চোখ করে শ্রাবনের দিকে তাকালো চাঁদনী। চাঁদনীকে এভাবে তাকাতে দেখে চাঁদনীর কোমড় আরো জোরে জরিয়ে ধরলো শ্রাবন তারপর চাঁদনীর কানের কাছে মুখ নিয়ে কানে ছোট্ট করে চুমো দিয়ে ফিস ফিস করে বললো
— এই মেয়ে আমাকে কি পাগল করার প্ল্যানে আছো নাকি তুমি? এভাবে আমার সামনে কে আসতে বলেছে তোমায়। আমি তো তোমার প্রতি নেশাগ্রস্থ হয়ে পরছি।
শ্রাবনের কথা শুনে চাঁদনী শ্রাবনের থেকে ছাড়া পাওয়ার বৃথা চেষ্টা করে তুতলিয়ে বললো
— আ আমাকে ছা ছাড়ুন বলছি, আপনি আমায় কেনো ডেকেছেন সেটা বলুন। বাট প্লিজ আমায় আগে ছাড়ুন।
চাঁদনীর কথা শুনে মুচকি হাসলো শ্রাবন তারপর চাঁদনীর ঘারে নাক ঘষতে ঘষতে বললো
— ছাড়ার জন্যে তো তোমায় ধরিনি আমি চাঁদপাখি, তোমাকে দেখতেই এতটা মিষ্টি লাগছে না জানি তোমার রক্ত খেতে কতটা মিষ্টি আর মজা হবে।
কথাটা বলেই চাঁদনীর দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাসি দিলো শ্রাবন। আর শ্রাবনের কথা শুনে চাঁদনী ভয় পেয়ে বললো
— মানে কি শ্রাবন? আমার রক্ত খেতে মানে? আপনি কি ভ্যাম্পায়ার নাকি যে আমার রক্ত খাবেন?
— আমি শ্রাবন, আমি শুধু ভ্যাম্পায়ার নয়, আমি হলাম সব ভ্যাম্পায়ারের মধ্যে সব চাইতে শক্তিশালী পিয়র ভ্যাম্পায়ার।যাকে পৃথিবীর সব ভ্যাম্পায়ারেরা নিজেদের রাজার মতো মান্য করে।
কথাটা বলেই চাঁদনীকে আর কিছু বলার সুজোগ না দিয়েই শ্রাবন তার বিশাল বিশাল দাঁত নিয়ে চাঁদনীর গলায় বসিয়ে দিলো। চাঁদনী ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে শ্রাবনকে জরিয়ে ধরে খামচি ধরলো, তারপর একটু পর ধিরে ধিরে নিস্তেজ হয়ে শ্রাবনের বুকেই ঢলে পরলো। আর শ্রাবন চাঁদনীর রক্ত খাওয়া শেষ করে চাঁদনীকে শক্ত করে বুকের সাথে চেপে ধরে হা হা করে হাসতে লাগলো।
,
,
ভয়ে চিৎকার দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বসলো চাঁদনী। এসির মাঝেও ঘেমে সারাশরীর ভিজে গেছে চাঁদনীর। ওর কাছে মনে হচ্ছে এটা যেনো স্বপ্ন নয় সত্যিই ছিলো। চাঁদনী নিজের কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘামগুলো মুছে রাগি গলায় বললো
— ব্যাটা শ্রাবইন্না খাটাস একটা, কলেজেও জ্বালিয়ে মারে এখন আবার স্বপ্নের মাঝেও চলে আসছে আমায় জ্বালাতন করতে। আমি আস্তে করে কি একটা কামড় দিয়েছিলাম বলে হনুমানটা স্বপ্নে এসে আমার রক্ত খেয়ে নিলো। ঐ ব্যাটা আসলেই একটা ভ্যাম্পায়ার রাক্ষস। তবে খুব সুন্দর দেখতে। হিহি
কথাগুলো একা একা বলে আনমনে হাসতে লাগলো চাঁদনী। তারপর ওর টেডিবিয়ারটাকে জরিয়ে ধরে আবার শুয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
,
,
মিতু হেসে হেসে ওর হবু বরের সাথে কথা বলছে। আনন্দ যেনো ধরছে না ওর। এদিকে হাওয়ার বেগে ঐ ভ্যাম্পায়ার ছেলে মেয়ে দুটো এগিয়ে আসছে মিতুর দিকে। মিতুর রক্ত দিয়েই আজকে ওরা নিজেদের তৃষ্ণা মিটাবে।
কথা বলতে বলতে হঠাৎ সামনে তকিয়ে ভয়ে চিৎকার করে উঠলো মিতু। দুজন ছেলে মেয়ে বাদুরের মতো করে উড়ে আসছে ওর দিকে। কি ভয়ানক চেহারা তাদের। উফ দেখেই যেনো অন্তর আত্বা কেপে উঠছে মিতুর। দেখতে দেখতে ভ্যাম্পায়ার ছেলে মেয়ে দুজন মিতুর একদম কাছে চলে এলো। ভয়ে মিতুর হাত থেকে ফোনটা নিচে পরে গেলো,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আমার সকল পাঠক পাঠিকাকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ঈদ
মোবারক