বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ৩৪
অথৈ: কি এটা মনে হচ্ছে একটা ডায়রি।( বলে হাতে তুলে নিলো) ইশ কতো ময়লা জমেছে ডায়রিতে। কতো দিন আগে কর ডায়রি কে জানে( বলে ডায়রি খুলে প্রথম প্রেজ টা চোখ বুলাতে অথৈ শকড)। আ প্রথম প্রজে এমন কথা কেউ লেখে যে আমি জানি ডায়রি টা তুমি পড়বে। কার ডায়রি বলে খুলে পড়া শুরু করলো। ( পুরা ডায়রি টা পড়ে অথৈর চোখ দিয়ে পানি ভেসে পড়লো)
অথৈ: তুমি এতো ভালোবাসতে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেলটাকে। আর ওনি তোমাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসতো। আমি আমি যেরকম ভেবেছিলাম ওনি সেরকম ছিলো না। আমি তোমাকে প্রমিজ করছি মিষ্টি আপু আমি ওনার বজ্জাত বউ হয়ে দেখাবো। আর মিষ্টি আপু তোমার পরশ কে আমি আগে পরশের ফিরে আনবে যতো দিন না তোমার পরশকে আগে মতো ফিরে না আনি ততোদিন এই বাড়ি থেকে কোথাও যাবে না। ( চোখের পানি মুছে বললো) আজ থেকে শুরু হলো আমার কাজ। দেখো না আগে আগে কি কি হয়। এখন নিচে যাই আমাকে না পেয়ে মামনি টেনশন করছে ( বলে নিচে চলে গেলো)
মামনি: অথৈ কোথায় ছিলি মা। আর আমি তোকে সারাবাড়ি খুজেছি কোথাও পাইনি। একি মা তোর চোখে কোনার পানি কেনো।
অথৈ: না না মামনি এখন বলা যাবে মিষ্টির আপু ডায়রি কথা ( মনে মনে বললো) না আসলে মামনি চোখে না পোকা গিয়েছিলো তাই।
মামনি: বের হয়েছে
অথৈ: হ্যা। আচ্ছা মামনি আমি বলছিলাম যে আজকে রাতে খাবারটা আমি রান্না করবো। তুমি না করবে না কিন্তু।
মামনি : ঠিক আছে করিস।
অথৈ: রান্না তো করতে চাইলাম কিন্তু কি করে রান্না করবো আমি তো রান্না করতে জানি না। আইডি আমি তো ইউটিউব দেখে রান্না করতে পারি। রান্না গেলো এখন ঘরে কাজ ( বলে রুমে চলে গেলো) ইশরে কি অব্যস্থা রুমে। অথৈ কাজে লেগে পড়ো। এই রুমটাকে পাল্টাতে হবে। আলমারি ওখানে ওগুলো কিসের বোতল। ( বলে আলমারি কাছে গিয়ে একটা বোতল হাতে নিতেই) ইশ কি বাজে গন্ধ। তারমানে এগুলো মদের বোতল। ওনি মদও খায়। ছি ছি ছি। না এগুলো সরাতে হবে।কিন্তু এগুলো কোথায় রাখি। পেয়েছি। ( বলে বোতলগুলো ছাদের চিলিকোঠার রেখে আসলো। আহ্ আমি ঘেমে গিয়েছি। এতো কাজ জীবনে করি নাই। এরজন্য শীতের মধ্য ঘেমে গিয়েছি। তবে রুম টা সাজানো হয়েছে। এখন রান্না টা করতে হবে ( বলে রান্না রুমে চলে গেলো) যাক কাজ হয়ে গেছে মিস্টার পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল না আঙ্কেল না বর দেখো না আজ তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।
রাতে
অথৈ: যাক সব রান্না শেষ। এখন শুধু টেবিলে নিয়ে যেতে হবে ( বলে খাবারগুলো টেবিলে নিয়ে সাজালো) মামনি, শুশুড় মশাই, দিশা আপু তোমরা এসে খেতে। তাড়াতাড়ি এসো।
মামনি: আরে আসছি আসছি বাহ্ খুব সুন্দর গন্ধ বের হয়েছে।
পরশের বাবা: হবে না রান্নাটা করেছে টাকে
মামনি: পরশ কোথায়। সেই সকালে বের হয়েছে এখনি ফিরে নাই। ছেলেটাকে নিয়ে করি।
দিশা: অথৈ তুমি এলাহি আয়োজন করেছো। তা এতো কিছু শেখলো কোথায় থেকে।
অথৈ: simple ইউটিউব থেকে।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
মামনি: দিশা তোর ভাইয়াকে ফোন দে।
দিশা: আমি না অথৈ ফোন দেবো। অথৈ ফোন দাও।
অথৈ: আমি না মানে। ok দিচ্ছি (বলে ফোন বের করে ফোন দিতে যাবে তখনি বাড়ি কলিং বেলটা বেজে ওঠলো)
দিশা: আমি দেখছি ( বলে দরজায় খুলে দিলো বললো) ভাইয়া।
মামনি: পরশ এখানে এসে খেতে বসো।
পরশ: আমার খিদে নেই।
অথৈ: মামনি জানো তো একটা কথা আছে সব মানলে পেট মানে না। দেখবি খিদে পালে তখন সুড়সুড় করে চোরের মতো রান্না ঘরে গিয়ে খেবে নেবে।
পরশ: এই মুখ সামলে কথা বলো। তুমি জানো না কার সামনে দাড়িয়ে কথা বলছো।( চোখ রাঙিয়ে বললো)
অথৈ: রক্ত, মাংস, হার দিয়ে গড়া ৬.২ ইনচি লম্বা মুখ ভরা দাড়িওয়লা একটা গোখরা সাপে যে কথায় কথায় শুধু ফনা তুলে তার সামনে দাড়িয়ে কথা বলছি। আর মামনি যানো আমি না কারো রাঙা চোখ দেখে ভয় পাই না।
পরশ: অসভ্য মেয়ে( বলে উপরে নিজের রুমে চলে গেলো)
মামনি: তুই এভাবে না বললে পারতি।
অথৈ: যা বলেছি বেশ বলেছি। তোমরা খাওতো।
পরশ: এই মেয়ে কি ভেবেছে নিজেকে
অথৈ: এলিজাবেথ ( পেছন থেকে বললো)
পরশ: কেনো এসেছো এই রুমে। আর রুমটা এভাবে সাজালো কে।
অথৈ: পছন্দ হয়েছে না। খুব সুন্দর হয়েছে না। আসলে আমি যা করি তা সবসময় সুন্দরি হয়।
পরশ: তোমার সাহস হয় কি করে আমার রুম সাজানো।( চিৎকার বললো)
অথৈ: আপনি একটু ভুল করছেন। রুমটা আপনার একার নয় আমারো। ( বলে বিছানাতে বসে পড়লো)
পরশ: এটা শুধু আমার রুম।
অথৈ: আরে আপনাকে আর কতো বার বললো এটা আমারো রুম। আচ্ছা আপনি ভুলে গেছেন আমি আপনার ২য় বিয়ে করা বউ। কি ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমাই good night বর ( বলে বিছানাতে শুয়ে পড়লো) ও হ্য please লাইট টা offকরে দেবেন। আসলে আলো থাকলে আমার ঘুম হয়না। বলে মুখ টিপে হাসতে লাহলো।
পরশ: আহ্( বলে ঘটে উপর লাথি করলো) এখানে তো বোতল গুলো রেখেছিলাম। কোথায় গেলো। না আসপাশে নেই তো। এই মেয়েটা বোতলগুলো একবার জিঙ্গাসা করবো। না কাল সকালে জিঙ্গাসা করবো বোতলগুলো কি করেছে। না এই মেয়েটার একটা ব্যাবস্থা করতে হবে ( বলে কম্বলটা নিয়ে সোফার শুয়ে পড়লো)
অথৈ: পঁচা কুমড়ো বর কি ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুমাক। কতো ক্ষন আর ঘুমাবে। একটু পর থেকে আর বেচারা ঘুমাতে পারবে না ইশরে।
রাত ১ টা
পরশ: এতো চুলকাছে কেনো আমার। আমার তো কখনো এভাবে চুলকাই না। নাহ আর পারছি না। অসহ্য রকম ভাবে চুলকাছে ( বলে সোফার উপর বসলো) আহ্ সারা শরীল চুলকাছে। যাই একবার সাওয়ার করে আসি যদি চলকানিটা কমে ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো)
অথৈ: কাজ শুরু হয়ে গেছে। ভাগিস আজ রান্নার ঘরে জানালা দিয়ে বিছুটি পাতার উপর চোখ পড়েছিলো। আমাকে কালকে রুম থেকে বের করে দিয়েছিলো না আজ তোমার ঘুম টা হারাম করে দিলাম। আমি এখন নাক ডেকে ঘুমাই ( বলে শুয়ে পড়লো)
পরশ: না সাওয়ার করার পরও চুলকানি কমছে না। ( বলে রুমে সোফার উপর বসতে একটা শব্দের আওয়াজ পেলে) এটা কিসের শব্দ হচ্ছে ( বলে রুমে চারদিকে তাকালো) না কোথাও তো কিছু পড়ে যাই নি তাহলে বলে বিছানায় দিকে তাকাতেই………..( চলবে)