কিছু জোড়া শালিকের গল্প পর্ব ১৭
#প্যাচ
লেখিকা : #Lucky_Nova(কপি নিষেধ)
“এখানে কী করছ তুমি?”
হালকা চমকালো তিয়াসা। তাকালো পিছন ফিরে। সামান্য দূরত্বে প্রয়াসকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাসলো কোমলভাবে। চোখের ইশারা করে পুনরায় ঘুরলো সামনের দিকে।
ভ্রুকুটি করলো প্রয়াস।
অফিস থেকে ফিরে তিয়াসাকে বাগানে দেখে বেশ অবাক হয়েছে ও। মেয়েটা এই ভরসন্ধ্যাবেলা বাগানে কী করছে!
দেখার উদ্দেশ্যে এগিয়ে গিয়ে পাশে দাঁড়ালো প্রয়াস।
ছোট ডালিম গাছটার উপর বিছানো জালে একটা শালিকের পা জোড়া আটকে আছে। সেটাই ছাড়ানোর প্রচেষ্টা করছে তিয়াসা। কিন্তু কিছুতেই পারছে না। পাখিটার পায়ের সাথে বেশ জটিলভাবে আটকে আছে জালটা। যতটুকুওবা তিয়াসা ছাড়াচ্ছে, পাখিটার ছটফটানিতে সেটুকুও আবার জড়িয়ে যাচ্ছে।
এতসময় চেষ্টা করেও যখন হলো না তখন মুখটা মলিন করে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো তিয়াসা। যেন ওর পা-ই আটকে গেছে।
“আমি এটাকে ধরবো না।” আবদার বুঝে সরাসরি বলে দিলো প্রয়াস।
হতাশ হলো তিয়াসা। ঠোঁট উলটে ফের নিজেই চেষ্টা করতে লাগলো। পাখিটা বড্ড বেশি অস্থির। ছটফটিয়ে উঠে তিয়াসার আঙুল কামড়ে দিচ্ছে। হয়তো ভয়ে। কিন্তু তিয়াসা তাও হাল ছাড়ছে না। বিরক্ত বা ব্যথাবোধও করছে না।
প্রয়াস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেললো। হাতে ঝুলানো কোটটা তিয়াসার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে ভারি স্বরে বলল, “ধরো এটা।”
তিয়াসা তাকালো প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে।
প্রয়াস কোটটা তিয়াসার ডান কাধে রেখে ওর হাতের ভাঁজ থেকে পাখিটাকে ছাড়িয়ে নিলো।
তিয়াসা ড্যাবড্যাব করে তাকালো। একটু আগেই না সে বলল এটাকে ধরবে না! এখন আবার ঠিকই ধরলো!
প্রয়াস সময় নিয়ে জালটা ছাড়াতে লাগলো পাখিটার পা থেকে। কিন্তু পাখিটা উপকার বুঝলো না। কামড় দিলো প্রয়াসকেও। সে ভ্রুকুটি করে পাখিটার দিকে তাকাতেই খানিক ভড়কালো তিয়াসা। হাত বাড়িয়ে ঠোঁট চিপে ধরলো পাখিটার।
ওর দিকে তাকালো প্রয়াস। চোখাচোখি হতেই নৈশব্দে হাসলো তিয়াসা। যেন বলতে চাইলো, ‘পাখিটা একটু বোকা, তাই কামড়ায়।’
বেশ সময় লাগলো জালটা ছাড়াতে। নির্ঘাত রেখাই জাল দিয়ে রেখেছে পাখিরা ডালিম নষ্ট করে বলে। সেই সুবাদেই ডালিম খেতে এসে এই পাখিটা ধরা পড়েছে।
পাখিটাকে সম্পূর্ণভাবে ছাড়িয়ে নিতেই মুখটা খুশিতে ঝলমলে হয়ে উঠলো তিয়াসার। প্রয়াসের হাত থেকে নিজের হাতে নিলো পাখিটাকে।
“কী করবা এটাকে এখন?” জিজ্ঞেস করতে করতেই পাখিটাকে মুক্ত করে দিলো তিয়াসা।
ফুড়ুৎ করে উড়াল দিলো সে। আমগাছের উপর গিয়ে বসলো, তার সঙ্গিনীর পাশে। যে বিচলিত হয়ে অপেক্ষা করছিলো তারজন্য।
তিয়াসা মুক্ত চাহনিতে অবারিত হাসি হেসে প্রয়াসের একবাহু টেনে অন্যহাতে ইশারা করে দেখালো পাখিদুটোকে।
প্রয়াস তিয়াসার হাতের দিকে তাকিয়ে তারপর তাকালো সেদিকে।
“দেখা হলে চলো ভিতরে। সন্ধ্যার সময় এখানে বের হয়েছ কেন? সন্ধ্যার সময় বের হবা না।” গাঢ় স্বরে বলল প্রয়াস।
তিয়াসা চোখ পিটপিটিয়ে হালকাভাবে মাথা নাড়লো।
“আমি কি জানতাম নাকি যে ক্যান্ডেলই সেই মেয়েটা। আর তাছাড়া তোমার মাকে এমনিই আমি আসতে বলেছিলাম যাতে এই সুবাদে তোমার সাথে সব মিটমাট হয়ে যায়। কে জানতো এসেই এমন একটা ঝামেলা হবে।” ঠোঁট উলটে বলল জয়িতা।
ইভান দুই হাঁটুর উপর হাত ভাঁজ করে রেখে তাতে মুখ ঢেকে আছে। প্রচন্ড বিরক্ত সে।
জয়িতা এক পা এগিয়ে এলো। তারপর স্বর নামিয়ে মিনমিনে কণ্ঠে বলল, “বিয়েটা করে নিলেই তো পারো। এভাবে আর কতদিন! অবিবাহিত অবস্থায় এমন সম্পর্ক রাখা ঠিক না। হ্যাঁ, মানছি যে ও ছোট থেকে বাহিরের দেশে ছিল। তুমিও অনেক বছর বাহিরে পড়াশুনা করেছ। সেখানে এসব কিছুই না। কিন্তু আমাদের দেশে তো তেমন না বলো! আমাদের দেশে থাকতে হলে বিয়ে করে থাকতে হয়।”
ইভান দাঁত কিড়মিড়িয়ে মুখ তুলে তাকালো জয়িতার দিকে।
চোখ বড়োবড়ো করলো জয়িতা। অবাক হয়ে বলল, “তুমি আমাকে কেন রাগ দেখাচ্ছ বলো তো! আর যতই যা বলো না কেন ঠাকুরপো, সে আমার মাসির মেয়ে। তাকে তুমি এভাবে ছেড়ে দিতে পারো না। বিয়ে তোমাকে করতেই হবে।”
জয়িতার উলটো-পালটা কথায় প্রচন্ড রকমের বিরক্ত হয়ে উঠলো ইভান। ধপ করে উঠে বেরিয়ে গেলো রুমটা থেকে।
“আরে আরে! কোথায় যাচ্ছ তুমি?” পিছু পিছু এগিয়ে এলো জয়িতা।
ড্রয়িং রুমে থম মেরে বসে ছিলেন ইশারা। পাশেই ক্যাথি। ক্যান্ডেল উপরে চলে গেছে অনেকক্ষণ আগেই।
ইভান পাশের রুমটা থেকে বেরিয়েই তাদের মুখোমুখি হলো পুনরায়। অস্বস্তিকর মূহুর্তের সৃষ্টি হলো যেন।
ততক্ষণে জয়িতা এসে দাঁড়িয়েছে ইভানের পাশে।
‘ঠাকুরপো’ বলে কিছু বলতে যাওয়ার আগেই ইভান বেজার দৃষ্টিতে তাকালো তার দিকে। কেন জানি ওর সব দোষ জয়িতাকেই দিতে ইচ্ছে করছে।
না জয়িতা এখানে আসতে বলতো, আর না এসব হতো! কিন্তু এখন এসব ভেবে লাভ নেই। তাই জ্বালাময়ী এক নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ইভান বেরিয়ে গেল বাসাটা থেকে।
জয়িতা পিছু ডাকলো কয়েকবার। এগিয়ে গেলো দরজা পর্যন্ত। ইভান তোয়াক্কা করলো না।
ছেলের এমন বেপরোয়া ব্যবহারে ইশারার গমগমে মুখটা আরো গুমট হয়ে এলো।
বিছানায় শরীর এলিয়ে শুয়ে পড়লো ইভান। মুক্ত এক শ্বাস ফেলে পকেটে অনবরত ভাইব্রেট হওয়া ফোনটা বের করে হাতে নিলো। তবে স্ক্রিনে জয়িতার নামটা দেখে ধপ করে রেখে দিলো বিছানায়। মুখ দিয়ে শব্দ করলো অপছন্দসূচক।
কপালে হাত তুলে দিয়ে চোখ বন্ধ করতে না করতেই সেই অপ্রীতিকর মুহূর্তগুলো ভেসে উঠলো চোখের পাতায়।
চট করে হাত সরিয়ে চোখ খুললো ইভান। বেজার অস্বস্তিতে পড়ে কপালে ভাঁজ ফেললো কয়েকটা।
সে মোটেও ওইসময় ওখানে উপস্থিত থাকতেই চায় নি। শার্টটা শুকাতে দিয়ে অপেক্ষা করতে গিয়ে ওই বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েছিলো ও।
ঘুম ভেঙেছিল ভরসন্ধ্যায়, আচমকা দরজা বন্ধের আওয়াজে। চোখদুটো কুচকে ঘুমঘুম দৃষ্টিতে চোখ মেলেছিলো ও। সময় নিয়ে ঘুমের রেশ কাটিয়ে পূর্ণদৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকিয়েই থমকে গিয়েছিলো। ঘটনার আকস্মিকতায় পুরোদস্তুর বিমূঢ় হয়ে পড়েছিলো। সম্পূর্ণ বিষয়টা মস্তিষ্ক সচলভাবে ধারণ করতেই দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিয়েছিলো ও। যদিও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল।
মেয়েটা ওয়াশরুমে ঢুকে পড়তেই তাকে কোনোরকম অস্বস্তিতে না ফেলার জন্যই তখনি বেরিয়ে পড়তে চেয়েছিলো ইভান।
কিন্তু কপাল ছিল তার ষোলোআনাই খারাপ। বেলকনিতে থেকে শার্টটা নিয়ে যেই না বের হলো ওমনি তার মুখোমুখিই হতে হলো আবার। একদম সরাসরি।
তারপরের ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটে গেল। কিয়ৎপলের মধ্যেই ইশারা জল ঘোলা করে ফেললো। সে যে ওই মুহূর্তেই ওখানে উপস্থিত হতে পারে সেটা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেনি ইভান।
ইভান উঠে বসলো। বাজতে থাকা ফোনটা একেবারে বন্ধ করে ঢুকে গেলো ফ্রেশ হতে।
“আপামনি খাবার।” রাশেদা খাবার হাতে ঘরে ঢুকলো। পুরো ঘর অন্ধকার দেখে বলল, “এত আন্ধার কইরা রাখছেন ঘরডা! কিছুই তো দেহি না।”
ক্যান্ডেল চুপচাপ উলটো পাশ ফিরে বিছানায় শুয়ে ছিল। রাশেদার স্বর শুনে বেশ বিরক্ত হলো।
প্রথমত একে একশোবার বললেও, সে নক করে ঘরে ঢোকে না। আর দ্বিতীয়ত ওকে কোনো জিনিস মানা করলে সেটা ওর গায়েই লাগে না।
এই যেমন একটু আগেই খাবার হাতে বিদায় করেছে। বলে দিয়েছে খাবে না। তবুও আবার এসেছে এই মেয়ে।
ক্যান্ডেল রাশেদার কথার কোনো উত্তর দিলো না। ধুম ধরে শুয়ে রইলো।
রাশেদাও নড়লো না। উত্তরের অপেক্ষায় ‘আপামনি আপামনি’ বলে ঘ্যানঘ্যান করেই চললো।
বাধ্য হয়েই মুখ খুললো ক্যান্ডেল। গনগনে গলায় বলল, “একবার বলেছি না, খাব না?”
“খালাম্মার উপরে রাগ করছেন? রাগ কইরেন না। আস্তে আস্তে সবাই মাইনা নিবো। প্ররথম প্ররথম এট্টু এমন করেই সবাই।”
ভ্রুদুটো কুঞ্চিত হলো ক্যান্ডেলের।
“কী মেনে নেবে?”
রাশেদা একটু লজ্জা পেলো বোধহয়। নাজুক স্বরে বলল, “আবার জিগায়! আপনাগো দুইজনকে।”
মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়লো ক্যান্ডেল। চট করে উঠে বসে টেবিল ল্যাম্প জ্বালতে জ্বালতে রাশেদার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়লো, “মানে!”
“আরে আপামনি আপনের বিয়ার কথা কইতাছি। আপনার আর আপনার ‘হের’। সবাই মাইনা নিবো। একটু খালি সবুর করেন।”
হা হয়ে গেলো ক্যান্ডেল। ভ্রুতে ভাঁজ পড়লো। অবাক কণ্ঠে বলল, “কীসের মেনে নেওয়া? আর কীসের বিয়ে? এসব ফালতু কথা কে বলছে?”
ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো রাশেদা। কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে তারপর বুঝতে পারার মতো করে বলল, “ভাইয়ের লগে রাগারাগি করছেন নাকি! হয় হয়, আমারো হয়।”
আহ্লাদে গদগদ হয়ে বলল রাশেদা।
বেজার বিতৃষ্ণা নিয়ে তাকালো ক্যান্ডেল। গমগমে স্বরে বলে উঠলো, “কে তোমার ভাই? অদ্ভুত তো! বেশি কথা না বলে এখান থেকে যাও। যাও।”
থতমত খেয়ে গেলো রাশেদা।
“খাওন?”
“নিয়ে যাও।” দারাজ কণ্ঠে ধমকে উঠলো ক্যান্ডেল।
অতিরিক্ত কথা বলে এই মহিলা।
তিয়াসা পাশে এসে দাঁড়াতেই তোয়ালেতে মাথা মুছতে মুছতে আয়নায় ওর দিকে তাকালো প্রয়াস৷
তিয়াসা স্নিগ্ধ, নীরব হাসি হেসে ড্রেসিং টেবিলের উপর থেকে চিরুনি হাতে নিতেই সন্ধিহান দৃষ্টিতে ফিরে তাকালো প্রয়াস।
তিয়াসা এগিয়ে এলো ওর কাছে। বিনাবাক্যে দুই পায়ের পাতার উপর ভর করে দাঁড়িয়ে উঁচু হলো খানিক। একহাত প্রয়াসের কাধের উপর রেখে অন্যহাতে মাথায় চিরুনি করে দিতেই হতভম্ব হয়ে গেলো প্রয়াস। তোয়ালে ধরে রাখা হাতটা আস্তে আস্তে নেমে গেলো নিচে। বিস্মিত চোখে চেয়ে রইলো কতক্ষণ।
তিয়াসা যেমন পারলো তেমনভাবে মাথা আঁচড়ে দিলো।
তারপর কাধ থেকে হাত সরিয়ে ঠিক হয়ে দাঁড়িয়ে পরখ করে দেখে নিবদ্ধ ঠোঁটদুটো প্রশস্ত করে হাসলো।
বোকা হয়ে পলক ঝাপটালো প্রয়াস। নিজেকে সামলে খুকখুক করে গলা ঝাড়লো। গম্ভীর গলায় বলল, “তোমাকে এসব কে করতে বলেছে?”
বলেই সে চুল নেড়েচেড়ে ফের অগোছালো করে ফেললো। তোয়ালে টাঙিয়ে দিতে চলে গেলো বারান্দায়।
তিয়াসা আশাহত হয়ে তাকিয়ে দেখলো। ম্লান হয়ে এলো মুখখানা। ও ভেবেছিলো প্রয়াস খুশি হবে।
প্রয়াস বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকলো। তিয়াসাকে চুপসানো মুখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলল, “ঘুমাতে যাও। রেখা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।”
তিয়াসা গমগমে হয়ে নাখুশ চাহনিতে তাকালো। প্রয়াস গাঢ় স্বরে ফের বলল, “ঘুমাবা না? অনেক রাত হয়ে গেছে। রেখা বসে আছে।”
প্রয়াসের কথার মাঝেই গটগট করে ওর বিছানায় গিয়ে উঠলো তিয়াসা। অভিমানী মুখটা ফুলিয়ে পাতলা চাদরটা গায়ে টেনে নিয়ে শুয়ে পড়লো ধপ করে। অর্থাৎ সে যেতে নারাজ।
হতভম্ব হয়ে চেয়ে দেখলো প্রয়াস৷ মেয়েটা বড্ড বেশি জেদি।
প্রয়াস ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। ধীর, অপরিবর্তনীয় অভিব্যক্তিতে বলল, “তোমাকে না বলেছি রেখার সাথে ঘুমাতে?”
তিয়াসা কানে না শোনার মতো করে চোখ চিপে বন্ধ করে রইলো।
“আমি জানি তুমি ঘুমাও নি। ওঠো আর চলো।” থমথমে গলায় বলল প্রয়াস।
তিয়াসা নড়লো না।
প্রয়াস ওর গা থেকে কাথাটা সরিয়ে দিতে দিতে শান্ত গলায় বলল, “আমি দিয়ে আসি চলো।”
তিয়াসা চোখ খুললো। তবে অভিমানে ভরা চোখদুটো নত রাখলো। প্রয়াস সবসময় শুধু ওকে তাড়িয়েই দিতে চায়। খুব খারাপ সে। একটুও ওকে পছন্দ করে না, বন্ধু ভাবে না।
একগাদা অভিযোগ জমা হলো ওর মনের কোণে। মুখটা ভার হয়ে এলো।
প্রয়াস আলতো করে ওর হাতটা ধরে ওকে উঠিয়ে বসাতেই চোখের জল ছেড়ে দিলো ও। টপ করে গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে।
হতবুদ্ধি হয়ে পড়লো প্রয়াস। ওকে কাঁদতে দেখে নিজের অজান্তেই হড়বড়িয়ে বলে ফেললো, “কোথাও যেতে হবে না। এখানেই থাকো তুমি।”
(চলবে…)