বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ৩৫
পরশ : না সাওয়ার করার পরও চুলকানি কমছে না ( বলে রুমে সোফার বসেতে একটা শব্দের আওয়াজ পেলো) এটা কিসের শব্দ হচ্ছে ( বলে রুমের চারদিকে তাকালো) না কোথাও তো কিছু পড়ে যাই নি তাহলে ( বলতে বিছানাতে তাকাতেই পরশ রেগে গেলো) এই মেয়ে দেখছি নাক ডাকছে। এদিকে আমি চুলকানি কারনে ঘুুমাতে পারছিনা তারপর এই নাক ডাকার শব্দ মেজাজটা খারাপ করে দিচ্ছে। ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে তুলে একটা আছার মারি অসহ্য। না চুলকানি পরিমাপ আরো বাড়ছে। দিশার কাছে যাবো। না এতো রাতে যাওয়া ঠিক হবে না। কাল সকালে ওর থেকে চুলকানি একটা ইনজেকশন নিয়ে নেবো। না আর পারছিনা ( বলে আবার সাওয়ার করতে গেলো।)
আহ্ ৫ বার সাওয়ার করার পরও কমছে না কেনো। আগে তো কখনো এমন হয়নি হ্যাচি হ্যাচি ( দিতে দিতে বেলকনিতে থাকার একটা চেয়ারে বসে টেবিলের উপর মাথা রেখে হালকা ঘুমিয়ে পড়লো।
সকাল
অথৈ: হা ( হাই তুলে) কি দারুন ঘুমটা হয়েছে। ( বলে ঘড়ি দিকে তাকালো) আহ্ ৮ টা বাজে। এতো বেলা হয়ে গেছে।অথৈ তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে যাই। ( বলে তারাতাড়ি করে ফ্রেশ করার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকলো । ওয়াশ রুম থেকে ফ্রেস হয়ে বের হতেই অথৈর চোখ পড়লো বেলকনির থাকার টেবিলের উপর। অথৈ চুল মুছতে মুছতে বেলকনিতে গেলো) বাহ্ পঁচা কুমড়ো বরকে দেখতে বেশ সুন্দর তো। একদম সালমান খানের ফটোকপি। শুধু সালমান খানে দাড়ি নেই আর ওনার বাট গাছে মতো মুখ ভরতি দাড়ি। আর ওনি একদম বাচ্ছাদের মতো ঘুমাচ্ছে। ইশ রাতে বেচারা যে কি কষ্ট পেয়েছে। মুখ, শরীলটা লাল হয়ে গেছে। ঠিক হয়েছে ( বলে অথৈ বেলকনিতে থেকে আসতে বসে হঠ্যৎ শাড়িটা বাধা পেতেই পেছন ফিরে দেখে)
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
পরশ: কেনো চলে যাচ্ছো মিষ্টি। তুমি জানো না সকালে তোমার ভেজা চুলে পানি মুখে না পড়লে আমার ঘুম ভাঙ্গে না তাহালে চলে যাচ্ছো কেনো বলে। ( ঘুমের মধ্য বললো)
অথৈ: ওনি স্বপ্ন দেখছে। ওনি এতো কষ্ট পাই মিষ্টি আপু জন্য অথচ সেই মিষ্টি আপুকে আজ পযন্ত দেখলাম দেখতে কেমন।
পরশ: মিষ্টি তুমি হাসছো কেনো। আর এভাবে সাদা রঙের শাড়ি পড়েছো কেনো। তোমাকে তো আগে কখনো সাদা রঙের শাড়ি পড়ো নাই তাহলে। কোথাও যাচ্ছো তুমি ওদিকে যেও না ওদিকে পাহাড়ে গর্ত আছে পড়ে যাবে। না মিষ্টি যেও না। মিষ্টি ( বলে চিৎকার করে উঠলো আর অথৈকে জরিয়ে ধরলো) যেও না মিষ্টি যেও না।
অথৈ: ওনি আমাকে এতো শক্ত করে জরিয়ে ধরাতে কেনো আমার এমন লাগছে মানে হচ্ছে পৃথিবীর যবোতীয় সুখ ওনার জরিয়ে ধারাতে আছে। কিন্তু ওনি তো ঘুমের মধ্য আমাকে জরিয়ে ধরেছে। ওনাকে ডাকবো। বরং ডাকি ( মনে মনে বললো) পঁচা কুমড়ো এই পঁচা কুমড়ো
পরশ: হ্যা ( বলে চোখ খুলতে অথৈকে দেখে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো) তোমার সাহস হয় কি করে আমার কাছে আসার।
অথৈ: আমি ইচ্ছে করে আসিনি। আপনাকে বেলকনিতে ঘুমতে দেখে এখানে আসতে তো আপনি আমাকে জরিয়ে ধরলেন। আচ্ছা আপনি মিষ্টি আপুকে খুব ভালোবাসতেন।
পরশ: তোমার কেনো কাজ নেই। সামনে থেকে সড়ো ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো)
অথৈ: মেজাজ দেখিয়ে গেলো। একটা ভালো কথা মুখ থেকে বের হয়না। আমি যাই নিচে যাই ( বলে নিচে চলে গেলো)
মামনি: কি মা ঘুম ভাঙলো।
অথৈ: হু কি করছো তুমি মামনি। আর দিশা আপু কোথায়।
দিশা: আমি এখানে।
অথৈ: তুমি কোথাই যাচ্ছো।
দিশা: আজকে আমার অসাহায় ভুমিহীন মানুষ দের একটা মেডিকেল টিমে হয়েছে সেখানে যাচ্ছি।
অথৈ: ও
মামনি : অথৈ মা তোর পড়াশুনা করতে হবে না।
অথৈ: এই রে আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আমি পড়াশুনা করি। বিয়ে আগে তো ইন্টার পরীক্ষা ফল টা ভালো ছিলো। এডমিশন দেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিলো না আব্বুর কথাই শুধু ঢাকা ভার্সিটিতে এডমিশন নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি চ্যান্জ পেয়েছি কিনা জানি না। না পেলে ভালো আমি তো প্রাইভেটে ভার্সিটিতে পড়ার ইচ্ছা ( বিড় বিড় করে বললো)
মামনি : কি কউ হারিয়ে গেলি। শুনেছি ইন্টার পাস করেছো এবার ভাড়সিটিতে পড়তে হবে না।
পরশ: আম্মু বানোর হাতে খুনতা ধরিয়ে দিলে যেমন তার দ্বারা কিছুই হয় না তেমন এই অসভ্য মেয়ে দ্বারা পড়াশুনা অস্বভাব। শুধু অন্য পকেট কাটতে পারে।
অথৈ: আপনি কি বলতে চাই আমি ভালো স্টুেডেন না আপনি ভুল করছেন আমি কিন্তু s.s.c ও h.s.c তে a+ পেয়েছি হ্যা।
পরশ: আজ কাল প্রশ্ন আউট করে সবাই + পাই।
অথৈ : মামনি
আম্মু : পরশ তুই। পরশ তোর হাত টা লাল হয়েছে কেনো।
পরশ: ও দিশা দেখ তো গতো রাতে হঠ্যৎ প্রচুর চুলকাছিলো। জানি না কি হয়েছে সাওয়ার কারার পরও কমেনি হ্যাচি।
দিশা: দেখি ঠান্ডা লেখেছে। এতো অনেক লাল হয়েছে। আর তো বিসু( বলতে দিশা অথৈর দিকে তাকালো)
অথৈ: এই রে দিশা আপু কি বুঝে ফেলেছে যে এটা বিসুটির পাতার চুলকানি। please দিশা আপু তুমি বলে না যদি বলো তাহলে ওনি টের পেয়ে যাবে আর আমাকে কচু কাটা করে বিরায়ানি বানিয়ে খেয়ে ফেলবে।
দিশা: অথৈ কে দেখ মনে হচ্ছে এটা ওর কাজ ( মনে মনে বললো)
পরশ: কিসের জন্য এটা ( বলতেই পরশের ফোনটা বাজতে লাগলো। পরশ ফোন রিসিভ করে বললো) আসলাম সাহেব আপনি ফাইল রেডি করুন আমি ৩০ মিনিটের মধ্য আসছি। দিশা কি তাড়াতাড়ি বল কিসের জন্য হয়েছে এটা। ও তুই একটা চুলকানি ইনজেকশন দিয়ে দে তাড়াতাড়ি কর।
দিশা: দিচ্ছি ( বলে ইনজেকশন দিয়ে দিলো)
পরশ: আমি আসছি ( বলে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো)
দিশা: অথৈ তুমি
অথৈ: আমার খেতে দাও খুব ক্ষিদে পেয়েছে ( বলে খেতে বসলো)
দিশা: আম্মু আমি আসছি ( বলে বেরিয়ে গেলো)
অথৈ: মামনি মিষ্টি আপু দেখতে কি খুব সুন্দর ছিলো।
মামনি : হ্যা মিষ্টি দেখতে একদম মিষ্টির মতোছিলো। একটু দুষ্টমী ভালোবাসা আর জানিস তো মিষ্টি সবসময় নুপুর পড়ে থাকতো। সারাবাড়ি তে নুপুরে আওয়াজ করতো ভারি ভালো মেয়েছিলো।
অথৈ: মিষ্টি আপু ছবি আকতে পারতো না
মামনি
: তুই জানলি কি করে
অথৈ: না মানে আসলে ( বলতে অথৈর ফোনটা বেজে উঠলো) মামনি আমার ফোন বাজছে ( বলে ফোন রিসিভ করলো) হ্যালো
রিয়া: অামি রিয়া বলছি অথৈ।
অথৈ: ও রিয়া বল কি খবর তোর
রিয়া: আমার খবর বাদ দে। তুই তো বিয়ের পর আমাকে ভুলে গিয়েছিস। বিয়েতে দাওয়াত দিলি না। কেনো রে তোর বরকে কি কেড়ে নিতাম। তা তোর হিরো খবর কি।
অথৈ: হিরো নয় ভিলেন
রিয়া: কি বললি তুই
অথৈ: কিছু না তুই কিসের জন্য ফোন দিয়েছিস সেটা বল।
রিয়া: আচ্ছা তুই কি যাদু জানিস। তুই পড়িস কম অথচ করিস ভালো। আর আমি
অথৈ: ন্যাকামি না করে বল
রিয়া: বলছি তুই ঢাকা ভার্সিটিতে চ্যান্জ পেয়েছিস তাও accounting এ। আর আমি পেয়েছি marketing এ
অথৈ: এ্যা ( বলে বসে পড়লো)
রিয়া:অথৈ এই যা এই অথৈ ফোন কেটে দিলো।
মামনি: কিরে মা কে ফোন করেছিলো আর তুই এভাবে বসে পড়লি কেনো।
অথৈ: মামনি আমি পেয়েছি
মামনি: কি পেয়েছিস
অথৈ: চ্যান্জ
মামনি: কোথায়
অথৈ: ঢাকা ভার্সিটিতে
মামনি: এতো ভালো খবর। মিষ্টি মুখ কর ( বলে মিষ্টি খাইয়ে দিলো)
রাতে
অথৈ: সারাদিন এতা ওটা করতে করতে ভুলে গিয়েছি। আচ্ছা আজ পঁচা কুমড়ো বরকে কি করা যাই আইডি…….. ( চলবে)