#ভ্যাম্পায়ার বর পর্ব ২২
#M_Sonali
হসপিটাল থেকে বেরিয়ে দ্রুত চাঁদনীর কলেজের দিকে যাচ্ছে চাঁদনীর আব্বু। কলেজের কাছে পৌঁছতেই শ্রাবনীর সাথে দেখা হলো চাঁদের আব্বুর।শ্রাবনীকে দেখেই এগিয়ে গিয়ে চাঁদের আব্বু বললো
— তুমি চাঁদনীর বান্ধবী না? তোমায় আমি বেশ কয়েকবার দেখেছি চাঁদের সাথে আমাদের বাসায় যেতে, তুমি কি সেই মেয়েটিই?
— জ্বী আঙ্কেল আমি চাঁদনীর বান্ধবী আমার নাম শ্রাবণী। কেন কিছু কি হয়েছে আঙ্কেল আপনি এভাবে উত্তেজিত হয়ে কোথায় যাচ্ছেন?
— আচ্ছা মা তুমি কি চাঁদনী ব্যাপারে কিছু জানো? ও কাউকে ভালোবাসো শ্রাবণ না কি যেন নাম তোমাদের কলেজেই পড়ে নাকি ওই ছেলেটা! ঐ ছেলেটার সাথে নাকি চাঁদের সম্পর্ক আছে তুমি কি এ ব্যাপারে আমাকে কিছু বলতে পারো?
চাঁদের আব্বুর কথা শুনে কিছুটা ঘাবড়ে গেল শ্রাবণী। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
— আপনি এত উত্তেজিত হয়ে আছেন কেন? আপনি আমাকে বলুন কি সমস্যা আর আপনি শ্রাবণ ভাইয়াকে কেন খুঁজছেন?
— শ্রাবণ ভাইয়া মানে! তুমি কি ঐ ছেলেটাকে চেনো নাকি! তোমার নাম শ্রাবণী তাইনা? আর ওই ছেলেটির নাম শ্রাবণ তারমানে তোমরা দুজন কি ভাই বোন নাকি? তুমি কি ওই শ্রাবনের বোন? সত্যি করে বল শ্রাবনী আমার কাছে কোন কিছু লুকিও না। আমার চাঁদনীর অনেক বিপদ ও মারা যাবে এখনই কিছু না করতে পারলে। তুমি তাড়াতাড়ি বল, সব কিছু বলো আমায় কি হয়েছে তোমাদের মাঝে?
চাঁদনীর আব্বুর কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ থেকে শ্রাবণী কিছু একটা ভাবলো। তারপরে শ্রাবন আর চাঁদের ব্যাপারে একে একে সব কিছু খুলে বলল চাঁদনীর আব্বুকে। শুধু লুকিয়ে গেল শ্রাবণ আর ও যে দুজন ভ্যাম্পায়ার এই কথাটা লুকিয়ে গেল শ্রাবনী।
শ্রাবণীর কথা শুনে চাঁদের আব্বু বলল
— তুমি এখনি তোমার ভাইয়াকে স্মরণ করো আর এখানে আমার সামনে আসতে বল। খুব দরকার আছে আমার তোমাদের সাথে। আমি জানি তুমি এবং তোমার ভাইয়া তোমরা দুজনেই হয়তো ভ্যাম্পায়ারের কোন কিছুর সাথে যুক্ত তাই তাড়াতাড়ি ডাকো শ্রাবনকে।
চাঁদনীর আব্বুর কথা শুনে অবাক হয়ে গেল শ্রাবণী। শ্রাবণী মনে মনে ভাবল চাঁদনীর আব্বু কি করে জানলো ওদের ব্যাপারে। তারপর নিজের ভাবনাটাকে সরিয়ে রেখে শ্রাবনকে চোখ বন্ধ করে স্মরণ করল শ্রাবণী। কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রাবন এসে উপস্থিত হলো ওদের সামনে। শ্রাবনকে সামনে দেখে পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল চাঁদের আব্বু। তারপর শ্রাবণকে উদ্দেশ্য করে বলল
— আমি জানি তুমি একজন ভ্যাম্পায়ার কারণ ভ্যাম্পায়ারের সম্পর্কে বেশ ভালো করেই জানি আমি। কিন্তু তুমি কি জানো ভালোবাসার নামে তুমি আমার মেয়েটার কত বড় ক্ষতি করেছো?
চাঁদের আব্বুর কথা শুনে কিছু বুঝতে পারছেনা শ্রাবন, তখন শ্রাবনকে সবকিছু বুঝিয়ে বলল শ্রাবনী। সবকিছু শোনার পর মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে রইলো শ্রাবণ। শ্রাবনকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চাঁদনীর আব্বু বলতে শুরু করল
— যে অভিশাপের ভয়ে আমি নিজের সন্তানকে নিজের হাতে জঙ্গলের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। সেই অভিশাপ কিভাবে আমার মেয়ের উপরে উঠে গেল এটা আমি কি করে মানতে পারি তুমি বলতে পারো? আমি জানি তোমরা দুজনেই ভাম্পায়ার, আর তুমি কি জানো তুমি ভ্যাম্পায়ার হয়ে একজন মানুষকে বিয়ে করে
ওর কত বড় ক্ষতি করেছো? আমার মেয়েটা তোমার সন্তানের মা হতে চলেছে। যে সন্তান একটা ভ্যাম্পায়ারের সন্তান। যে সন্তান তার নিজের মাকে ভেতর থেকে রক্ত চুষে নিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। ওই সন্তান যদি ভূমিষ্ঠ হয় তাহলে আমার মেয়ে মারা যাবে। ওর শরীরের সব রক্ত খেয়ে ফেলবে তোমার ঐ ভ্যাম্পায়ার সন্তান।
এক নিঃশ্বাসে এতোটুকু বলে থামল চাঁদের আব্বু। চাঁদের আব্বুর কথা শুনে শ্রাবণ ও শ্রাবণী দুজনই অবাক হয়ে বললো
— এ আপনি কি বলছেন আঙ্কেল চাঁদনী প্রেগনেন্ট?
— হ্যাঁ চাঁদনী প্রেগন্যান্ট চাঁদনীর পেটে চার সপ্তাহের বাচ্চা। তবে এ বাচ্চা কোন সাধারন বাচ্চা নয়, এটা একজন ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চা। আর ঐ বাচ্চার কারণে আমার মেয়েটা ভিতর থেকে রক্তশূন্য হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
চাঁদের আব্বুর কথা শুনে শ্রাবণী অবাক হয়ে বললো
— কিন্তু আপনি এত কিছু কি করে জানলেন আঙ্কেল? চাঁদ কি আপনাকে বলেছে আমরা দুজন যে সাধারন মানুষ নই বরং ভ্যাম্পায়ার আর আপনি ভয় পাচ্ছেন না কেন আমরা ভ্যাম্পায়ার এটা জেনেও?
— চাঁদনী আমায় কিছুই বলেনি, কিন্তু আমি সব জানি আজ থেকে 25 বছর আগে এই রকম একটা ভ্যাম্পায়ারের কারনে আমার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল। নিজের দোষের কারনে নিজের সবচেয়ে বড় ভুলের কারণে আমি আমার ভালবাসাকে হাড়িয়েছিলাম। আমি চাইনা আমার মেয়ের সাথেও ঐ রকম কিছু হোক।
চাঁদনীর আব্বুর কথা শুনে শ্রাবণ আর শ্রাবণী দুজনেই অবাক হয়ে একসাথে বলে উঠল
— কি এমন হয়েছিল আঙ্কেল 25 বছর আগে যার জন্য আপনি এতটা ঘাবড়ে আছেন?
— দীর্ঘ 25 বছর আগের কথা, আমার একজন প্রিয় বন্ধু ছিল যার নাম ছিল ইকবাল। ইকবাল ছিল একজন সাইন্টিস্ট ও সব সময় নতুন নতুন বিষয় নিয়ে গবেষনা করার চেষ্টা করত। ঠিক তেমনিভাবে ও একবার ভ্যাম্পায়ারদের নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেয়। এর মাঝে একজন ভ্যাম্পায়ারের সাথে ওর ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ওই ভ্যাম্পায়ারটা ছিলো একজন পিয়র ভাম্পায়ার। শুনেছি ওই ভ্যাম্পায়ার নাকি ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের রাজা ছিলো।কিন্তু সেই ভ্যাম্পায়ার রাজা এবং রাণীর কোন বাচ্চা-কাচ্চা হচ্ছিল না। ওই সময় ইকবালের স্ত্রী ছিল এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তখন ইকবাল সিদ্ধান্ত নেয় ও সেই ভ্যাম্পায়ার রাজার ডিএনএ নিয়ে নিজের স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চার ভিতর পুশ করবে। আর সেই বাচ্চা হবে ভাম্পায়ার রাজ্যের সবচাইতে শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার। সেই বাচ্চা হবে মানুষ এবং ভাম্পায়ারের সংমিশ্রণে সৃষ্টি কৃত বাচ্চা। সেই ভ্যাম্পায়ার হবে সকল ভ্যাম্পায়ার থেকে আলাদা। তার মধ্যে যেমন থাকবে মানুষের মতো আচরণ তেমনি থাকবে ভ্যাম্পায়ারের মত আচরনও। ওই ভ্যাম্পায়ার বাচ্চাটা দিনের বেলায় সূর্যের আলোতেও বের হতে পারবে যেখানে অন্য সব ভ্যাম্পায়ারেরা বের হতে পারেনা।
ইকবালের কথা মত সেদিন রাজি হয়ে যায় ভ্যাম্পায়ার রাজ্যের সেই রাজা। ভ্যাম্পায়ার রাজার ডিএনএ নিয়ে সেইদিনই নিজের স্ত্রীর অজান্তে তার গর্ভের সন্তানের মাঝে পুশ করে সেই ডিএনএ স্যাম্পল। ইকবালের সবচাইতে ভালো বন্ধু ও কাছের বন্ধু হওয়ায় আমায় সব কিছু অজাতো তখন ইকবাল।আমিও সেই ভাম্পায়ার রাজ্যের রাজা কে দেখেছি বেশ কয়েকবার, কিন্তু আমি ভয়ে তাদের সাথে কোনো কথা বলতাম না কখনো।
এতোটুকু বলে থামল চাঁদের আব্বু। চাঁদের আব্বুকে থামতে দেখে শ্রাবন এবং শ্রাবণী একসাথে উত্তেজিত হয়ে বললো
— তারপর কি হল অঙ্কেল? তারপর কি সেই ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চাটা হয়েছিল? প্লিজ বলুন আঙ্কেল আমরা সবকিছু জানতে চাই!
শ্রাবণের কথা শুনে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চাঁদনীর আব্বু আবার বলতে শুরু করলো
— সেই বাম্পারের ডিএনএ ইকবালের স্ত্রীর গর্ভে পুশ করার পর থেকেই ইকবালের স্ত্রী অস্বাভাবিক আচরণ করতে লাগল। হঠাৎ তার খাওয়া বেড়ে গেল সে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতো।তার এমন খাওয়া দেখে সবাই অবাক হয়ে যেত। তখন ইকবাল ভেবেছিল হয়তো তার স্ত্রীর পেটে ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চা বলে সে এত খাচ্ছে।তাই প্রথমে গুরুত্ব দেয়নি ব্যাপারটা ইকবাল।
তখন আমিও নতুন নতুন বিয়ে করেছি ভালোবেসে আর আমার স্ত্রীর পেটে ছিল আমার ভালোবাসার ফসল আমার প্রথম সন্তান। তখন ইকবাল আমাকে তার কথার জালে ফাসায়। ইকবাল আমাকে বলে ও আমার স্ত্রীর গর্ভে ভ্যাম্পায়ারের ডিএনএ পুশ করতে চাই এতে করে আমার সন্তান হবে শক্তিশালী ভ্যাম্পায়ার। তাকে দিয়ে যেকনো কাজ করাতে পারবো। পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে ধনী লোক হবো আমরা। ওর কথার জালে ফেঁসে আমি ওর কথায় রাজি হয়ে যাই।যেটা ছিলো আমার জীবনের সব চাইতে বড় ভুল।তারপর আমার স্ত্রীর আড়ালে আমি আর ইকবাল পরামর্শ করে চালাকী করে আমার স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চার ওপরেও ভ্যাম্পায়ারের ডিএনএ স্যাম্পল পুশ করি। আর আমার স্ত্রীও সেই একইভাবে অস্বাভাবিক খাবার খাওয়া শুরু করে দেয়। এবং ধীরে ধীরে আরো সুন্দরী এবং ফর্সা হতে থাকে। ওর এমন অদ্ভুত খাওয়া-দাওয়া এবং আচরনে আমি অবাক হয়ে যাই। আমি তখন ইকবালকে জিজ্ঞেস করি আমার স্ত্রী কেন এমন করছে?তখন ইকবাল আমায় বলে, ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চা পেটে থাকার কারণে সে এমন করছে। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আমিও বোকার মত সেদিন ইকবালের কথা গুলো বিশ্বাস করে নেই।
ইকবালের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার 5 মাসের মাথায় তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। তখন তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে জোড়া বাচ্চা হয় তার একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে বাচ্চা। সেই বাচ্চা হওয়ার সময় ইকবালের স্ত্রী রক্তশূন্য হয়ে মারা যায়। কারণ সে মানুষ আর মানুষের পেটে ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চা হওয়ার কারনে তার শরীরের সব রক্ত চুষে নেয় যার ফলে সে রক্তশূন্য হয়ে তখনই মারা যায়।
এই ঘটনায় ইকবাল যেনো একটুও শোকাহত হয়নি। তার স্ত্রী যে এ ভাবে মারা গেল সেদিকে তার কোন খেয়ালই নেই, যেনো এতে কিছুই যায় আসে না তার বরং সে তার বাচ্চাদের নিয়ে পাগল। ইকবাল ভেবেছিল সে ঐ ভ্যাম্পায়ারের বাচ্চা নিয়ে তাদের দিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ধনী মানুষ হবে। কিন্তু ঐ যে কথায় আছে না অতি লোভে সব সময় খারাপই হয়। তাই ইকবালের সাথেও তাই হয়েছিল, ইকবাল যেমন লোভ করেছিল ঠিক তেমনি ওর সাথেও খুব খারাপ হয়েছিলো। ভাম্পায়ার রাজ্যের রাজা এবং রাণী ইকবালের ঐ বাচ্চা দুটোকে নিয়ে যায় আর যাওয়ার আগে নির্মমভাবে হত্যা করে ইকবালকে।
এই ঘটনার পর আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে অনেক টেনশনে পড়ে যাই। কারণ আমি কখনো চাইনি আমার স্ত্রী এভাবে মারা যাক। আমি ওকে অত্যন্ত ভালবাসতাম। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই আমার স্ত্রীর গর্ভের বাচ্চা টাকে নষ্ট করে দেবো আমি। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল, বাচ্চাটা নষ্ট করার আগেই আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। আর ইকবালের স্ত্রীর মতো আমার স্ত্রীও বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় আমায় ছেড়ে সারা জীবনের মতো চলে যায় না ফেরার দেশে। আমার একটা ফুটফুটে ছেলে সন্তান হয়েছিল। যে ছিলো ভ্যাম্পায়ার। কিন্তু সেই ছেলের প্রতি আমার কোন ভালোবাসা মায়া কিছু ছিল না। আমি আমার স্ত্রীকে হারিয়ে অনেক ভেঙে পড়েছিলাম তাই সেই ছেলেকে সেদিন রাত্রে আমি জঙ্গলে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসি।
এতোটুকু বলে হু হু করে কান্না শুরু করলো চাঁদনীর আব্বু। কান্না করতে করতে নিচে বসে পড়লো উনি। শ্রাবণ চাঁদনীর আব্বুর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে বললো
— আচ্ছা আঙ্কেল আপনার স্ত্রীর যে বাচ্চাটা হয়েছিলো সেটাও কি ভ্যাম্পায়ার রাজার ডিএনএ থেকে?
শ্রাবণের কথা শুনে কান্না থামিয়ে চাঁদনীর আব্বু বলল
— না ওটা ভ্যাম্পায়ার রাজার ডিএনএ ছিলনা। আমি ইকবালকে বলতে শুনেছি ওইটা ছিল ভ্যাম্পায়ার রাজার কোনো এক বন্ধু আরেক ভ্যাম্পায়ারের ডিএনএ।
চাঁদনীর আব্বুর কথা শুনে শ্রাবণী বলল
— তাহলে চাঁদনী আপনার মেয়ে হলো কিভাবে আঙ্কেল? আপনি কি তাহলে আবার বিয়ে করেছিলেন?
— হ্যাঁ আমার প্রথম ভালোবাসা আমার স্ত্রী আমার ভুলে মারা যাওয়ার পর আমি দুই বছর প্রায় পাগল হয়ে ছিলাম। তারপরে আমার জীবনে আসে চাঁদনীর আম্মু তাকে বিয়ে করি আমি। আর আমাদের একমাত্র মেয়ে চাঁদনী ঘর আলো করে জন্ম নেয় আমার স্ত্রীর কোলে। অনেক সুখি ছিলো আমার পরিবার। কিন্তু তোমরা ভ্যাম্পায়ার হয়ে আমার মেয়ের জীবনে অভিশাপ হয়ে এসে তার জীবনটাকে অভিশপ্ত করে ফেলেছ। আমার মেয়েটাও ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে সেই অভিশাপের দিকে। এখনই ওর পেটের বাচ্চাটা নষ্ট না করলে, ও ঠিক আমার স্ত্রীর মতো করে মারা যাবে হয়তো।
আমি তোমাদের পায়ে পড়ি আমার সন্তানকে তোমরা বাঁচাও। আমার চাঁদনীকে তোমরা বাঁচাও। আমি জানি চাঁদনী যদি জানতে পারে ওর পেটে বাচ্চা আছে ও কখনোই সেই বাচ্চা নষ্ট করতে দেবে না। তোমরা প্লিজ আমার মেয়েটাকে বাঁচাও। ওর পেটের বাচ্চাটাকে মেরে ফেলো তোমরা। আর আমার চাঁদনী কে ছেড়ে তোমরা চলে যাও। তোমরা আমার মেয়ের জীবন থেকে চলে যাও। তোমরা আমার মেয়ের জীবনের অভিশাপ আমি চাইনা আমার স্ত্রীর মত তোমরা অভিশাপ হয়ে আমার মেয়ের জীবনটাও শেষ করে দাও। চলে যাও চলে যাও তোমরা তোমাদের পায়ে পড়ি আমি। আমার মেয়েটাকে মুক্তি দাও।
কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়ে চাঁদনীর আব্বু,,,,,,
(এটা সম্পূর্ণই একটা কাল্পনিক গল্প দয়া করে কেউ কল্পনার সাথে বাস্তব কে মিলিয়ে ফেলবেন না। ভালো না লাগলে ইগনোর করুন)
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,