#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ৮
#M_Sonali
লাইব্রেরীতে গালে হাত দিয়ে বসে আছে চাঁদনী। মুখে যেনো একচিলতে মেঘ জমে আছে তার। মনটা যে ভিশন খারাপ তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। চাঁদনীকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে হৃদয় এসে চাঁদনীর মুখামুখি বসে বললো
— কি হয়েছে দুষ্টুপাখি, তুমি এমন মন খারাপ করে বসে আছো কেনো?
হৃদয়ের কথা শুনে অসহায় দৃষ্টিতে হৃদয়ের দিকে তাকালো চাঁদনী। তারপর ঠোট উল্টে বাচ্চাদের মতো ফেইস করে বললো
— আজকে আমার বেষ্টুরা একজনও আসেনি। ওদের ছাড়া নিজেকে কেমন একা একা লাগছে। পেত্নী দুটো কই গিয়ে ঘুম পারছে কে জানে। আমার কথা কি ওদের একবারও মনে পরছে না?
চাঁদনীর কথা শুনে হৃদয় যেনো সুজোগ পেলো। তাই চাঁদনীর আরো একটু কাছে গিয়ে বসে বললো
— ওহ হো দুষ্টুপাখি তুমি প্লিজ মন খারাপ করোনা। তোমাকে এমন মেঘে ঢাকা মুখে একটুও ভালো লাগে না। তোমার মুখে সব সময় হাসি আর দুষ্টুমিটাই বেশি ভালো লাগে। প্লিজ একটু হাসো।
কথাগুলো বলেই চাঁদনীর হাতের ওপর হাত রাখলো হৃদয়। আড়াল থেকে শ্রাবন এতক্ষণ সব কিছু দেখছিলো। হৃদয়কে চাঁদনীর হাত ধরতে দেখে রাগে চোখ মুখ রক্তবর্ণ ধারন করলো শ্রাবনের। হাতের মুঠ শক্ত করে হৃদয়ের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শ্রাবন।
— প্লিজ দুষ্টুপাখিটি আমার একটু হাসো। এমন মন মরা হয়ে থেকোনা প্লিজ। তোমার বেষ্টুরা আসেনি তো কি হয়েছে আমি তো আছি তুমি আমার সাথে কথা বলো দুষ্টুমি করো। তবুও একটু হাসো।
হৃদয়ের কথা শুনে চাঁদনী কিছু বলবে তার আগেই শ্রাবনী এসে বলে উঠলো
— তার কোনো দরকার নেই হৃদয়, দুষ্টুপাখির বেষ্টু চলে আসছে তাই আপনি এখন যেতে পারেন।
শ্রাবনীকে দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠলো চাঁদনীর। আর হৃদয়ের মুখটা মেঘে ঢেকে গেলো। হৃদয় মনে মনে বললো
— হারামি টা আর আসার সময় পেলো না। আর একটু হলেই চাঁদনীকে পটিয়ে ফেলতাম। মাঝখানে এসে পরে সব কিছু গণ্ডগোল করে দিলো।
কথাগুলো ভেবেই রাগে ফোস ফোস করতে করতে চলে গেলো হৃদয়। হৃদয় চলে যেতেই শ্রাবনী চাঁদনীর পাশে এসে বসে বললো
— কি রে দুষ্টুপাখি ঐ হৃদয়ের সাথে তোর এতো কথা কিসের হুমম। নাকি এর মাঝেই পটে গেলি?
শ্রাবনীর কথা শুনে শ্রাবনীর চুল ধরে টান দিয়ে ইচ্ছা মতো চিমটি কেটে দিলো চাঁদনী। তারপর রাগি গলায় বললো
— ফইন্নি পেত্নী এতক্ষণ কই ছিলি তুই? আর ঐ হারামি মিতু তিতু কই।তোরা জানিস তোদের ছাড়া আমার কতটা খারাপ লাগছিলো একা একা। তোরা নাই তাই এই সুজোগে ঐ হৃদয় নাকি গরুদয় আমার সাথে ভাব জমাতে এসেছিলো। মন খারাপ ছিলো বলে কিছু বলতেও পারলাম না।
— সরি রে সোনা, আসলে আমি মিতুকে দেখতে গিয়েছিলাম। তাই আসতে একটু দেড়ি হয়ে গেছে। আর মিতু হয়তো কয়েকদিন আসতে পারবে না। কাল রাতে ওর ওপর কিসে যেনো এটাক করেছিলো যার জন্যে ও অসুস্থ বিছানায় পরে আছে।
— কি বলছিস কি তুই শ্রাবনী, এত কিছু ঘটে গেলো আর আমি কিছুই জানলাম না? তুই আমায় রেখে একা ক্যান ওরে দেখতে গেলি? আমিও যাবো।
— তুই যাবি মানে? ক্লাস করবি না আজকে?
— না রে মিতুকে দেখার জন্যে মনটা ছটফট করছে চলনা আগে ওকে একটু দেখে আসি।হঠাৎ কি হলো ওর।
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবনী মনে মনে বললো ” তোকে দেখার জন্যে তোর সাথে কথা বলার জন্যেও যে কেউ একজন ছটফট করছে” কথাটা ভেবেই শ্রাবনী বলে উঠলো
— আচ্ছা যাবো তুই একটু এখানে অপেক্ষা কর আমি একটু ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসছি। তারপর দুজন একসাথে মিতুকে দেখতে যাবো।
— আচ্ছা আমিও তোর সাথে যাই।
— না না তোর যেতে হবে না। আমি এই যাবো আর আসবো। তুই এখানেই আমার জন্যে অপেক্ষা কর।
— আচ্ছা যা তারাতারি আসবি কিন্তু।
চাঁদনীর কাছ থেকে শ্রাবনী উঠে বাইরে যেতেই চাঁদনী একটা বই হাতে নিয়ে পড়তে লাগলো। হঠাৎ সামনে থেকে কারো কন্ঠ শুনে বই পড়া বাদ দিয়ে সামনে তাকালো চাঁদনী।
শ্রাবন বাকা হেসে তাকিয়ে আছে চাঁদনীর দিকে। নীল টিশার্ট এর ওপর কালো হুডিওয়ালা জ্যাকেট, কালো জিন্স প্যান্ট, হাতে দামি ওয়াচ পড়া। গাড়ো বাদামি চোখ গুলো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে চাঁদনীর দিকে।হালকা গোলাপি ঠোটে লেগে আছে বাকা হাসি, ফর্সা গালগুলোতে থাকা ছোট ছোট চাপ দাড়ীগুলো যেনো টানছে চাঁদনীকে। দেখেই ইচ্ছা করছে দাড়িগুলো ছুঁয়ে দিয়ে খেলা করতে। চাঁদনী হা করে তাকিয়ে শ্রাবনকে পর্যবেক্ষন করছে।চাঁদনীকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে হালকা কেশে নিয়ে শ্রাবন বললো
— এই মেয়ে এভাবে একটা নিরিহ ছেলেকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো। আমার বুঝি লজ্জা করছে না।
শ্রাবনের কথা শুনে হেচকি উঠে গেলো চাঁদনীর। চাঁদনী বড় বড় চোখ করে হেচকি তুলতে তুলতে বললো
— কি কি কি বলছেন কি আপনি। আমি ক্যান আপনাকে চোখ দিয়ে গিলে খেতে যাবো। আপনি কি কোনো খাবার নাকি।
— হুমম তা তো দেখতেই পাচ্ছি কি করছিলে এতক্ষণ। আচ্ছা বাদ দাও। কি করছো তুমি?
শ্রাবনের কথা শুনে হাতে থাকা বইটা উচু করে ধরে পড়তে পড়তে চাঁদনী বললো
— কিছু না বসে বসে লুডো খেলছিলাম।
— কিন্তু আমি তো দেখছি তুমি বই পড়ছো?
— তো দেখতেই যখন পারছেন তাহলে কানার মতো জিগ্যেস করছেন কেনো কি করছি। বাচাল একটা লোক।
— এই মেয়ে তোমার সাহস তো কম নয় তুমি আমায় কানা আবার বাচাল বলছো? তুমি তো দেখছি খুব ঝগড়াটে।
শ্রাবনের কথা শুনে রাগি গলায় চাঁদনী বললো
— তো কি বলবো শুনি, আপনি নিজেই যেচে এসে আমার সাথে বকবক করছেন আবার আমাকেই ঝগড়াটে বলছেন। দেখুন মিষ্টার আমার এখন একদমই ঝগড়া করার মুড নেই। তাই আপনি এখন আসতে পারেন।
কথাগুলো বলেই উঠে দাড়িয়ে হাতের বইটা লাইব্রেরীর তাকের ওপর রেখে দিলো চাঁদনী। তারপর পিছনে ঘুরতেই দেখলো শ্রাবন ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে জ্যাকেটের হাতা ফোল্ড করতে করতে চাঁদনীর দিকে বাকা হেসে এগিয়ে আসছে।
শ্রাবনকে এগিয়ে আসতে দেখে চাঁদনীর সেদিনের শ্রাবনের গলায় কামড় দেওয়ার কথা মনে পরে গেলো। ভয়ে চাঁদনী শুকনো ঢোক গিলে পিছুতে পিছুতে তুতলিয়ে বললো
— আ আ আপনি আমার দিকে এ এভাবে এ এগিয়ে আসছেন কে কেনো? আমি কিন্তু চিৎকার করবো বলে দিলাম।
কথাগুলো বলতে বলতে দেওয়ালের সাথে পিঠ ঠেকে গেলো চাঁদনীর। শ্রাবন চাঁদনীর একদম কাছে চলে গিয়ে বললো
— ওহ তাই, আচ্ছা চিৎকার করোতো দেখি কেমন পারো? সেদিন তো খুব সাহস নিয়ে আমার গলায় কামড় দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে ছিলে? তা এখন সেই সাহস কই গেলো তোমার দুষ্টুপাখি?
শ্রাবনের কথা শুনে মনের ভিতরে ভয় পেলেও ওপরে নিজের চেহারায় সাহস এনে বলে উঠলো চাঁদনী
— আমার অনেক সাহস, আপনি যদি আমার সাথে বেশি বারাবারি করেন তো আমি কিন্তু আবার সেদিনের মতো আপনাকে কামড় দিবো বলে দিলাম।
— ওহ তাই বুঝি? তো ঠিক আছে এই নাও আমি আমার গলা এগিয়ে দিলাম পারলে সেদিনের মতো কামড় দিয়ে দেখাও তো?
চাঁদনীর একদম কাছে এসে দাড়িয়ে কথাগুলো বললো শ্রাবন। চাঁদনী কি করবে ভেবে না পেয়ে মনে মনে ঠিক করলো আজকেও কামড় দিয়ে পালাবে। যে ভাবনা সেই কাজ, চোখ বন্ধ করে শ্রাবনকে কামড় দিতে গেলো চাঁদনী। কিন্তু হলো তার উল্টো। চাঁদনী কামড় দেওয়ার বদলে শ্রাবনকে কিস করে বসলো। বিষয়টা অনুভব হতেই চোখ মেলে তাকালো চাঁদনী। আর দেখতে পেলো শ্রাবন ওর দিকে দুষ্টু হেসে তাকিয়ে আছে। সাথে সাথে চাঁদনী শ্রাবনকে শরীরের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিলো পালানোর জন্যে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হলো না। কারন শ্রাবন তার জায়গা থেকে এক চুলও নড়েনি।
শ্রাবন হঠাৎ করেই চাঁদনীর কোমড় জরিয়ে ধরে বললো
— এটা কি হলো চাঁদপাখি? এভাবে একটা নিরিহ ছেলের ওপর টর্চার করার কোনো মানে হয়? এখন যদি আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যেতাম, তাহলে তোমার কি হতো বলোতো? তুমি তো বিয়ের আগেই বিধবা হতে?
— দে দে দেখুন আ আপনি আমায় ছাড়ুন বলছি, আমি কিছু করিনি। ওটা ভু ভুল করে মিস্টেক হয়েছে। আমি বা বাইরে যাবো ছাড়ুন আমায়।
— উহু তা বললে তো মানবো না, ভুল যখন তুমি করেছো শাস্তি তোমায় পেতেই হবে। তুমি আমায় একটা কামড় আর একটি হাম্মি দিয়েছো। আমিও তোমায় দিয়ে শোধ করে দিবো।
শ্রাবনের কথা শুনে বড় বড় করে তাকালো চাঁদনী। তারপর বললো
— মাম মাম মানে কি হুমম আমি বাইরে যাবো। এই শ্রাবনী দেখ এই লোকটা কি করছে,,,,
চাঁদনীর মুখে কথাটা শুনতেই চাঁদনীকে ছেড়ে পিছনে তাকালো শ্রাবন। এই সুজোগে চাঁদনী ফুড়ুত। দৌড়ে লাইব্রেরীর দরজার কাছে গিয়ে শ্রাবনের দিকে ফিরে তাকিয়ে চাঁদনী বললো
— ব্যাটা আফগানীস্থানের কান কাটা লেজ বিশিষ্ট চিংড়ি মাছ। এর পর কখনো আমার পিছু লাগতে আসলে একদম খুন করে ফেলবো।কথাটা মনে রাখিস ব্যাটা গুইসাপের বাদুরে জামাই।
কথাটা বলেই নিজের নাকে একটা ঘষা দিয়ে দৌড়ে পালালো চাঁদনী। চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবন হাসতে হাসতে বললো
– আমায় তো অলরেডি প্রেমের তীর মেরে খুন করেই ফেলেছো জান।(বুকে হাত দিয়ে) আর কি খুন করবে। তোমাকে তো আমার চাই, যে কোনো কিছুর মুল্যে চাই তোমায় আমি।
কথাগুলো বলেই বাকা হাসলো শ্রাবন। শ্রাবনের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে বেরিয়ে শ্রাবনীকে খুঁজতে লাগলো চাঁদনী। আর শ্রাবনীর গুষ্টি উদ্ধার করতে লাগলো।
— শ্রাবইন্নীর ঘরের শ্রাবইন্নী তরে আজকে সামনে পাই একদম কাচা খেয়ে ফেলবো। ফাজিল মাইয়া আমারে ঐ শ্রাবইন্নার কাছে রেখে নিজে উধাও হয়ে গেছে।আজকে তোর একদিন কি আমার ৩২ দিন।
— কিরে দুষ্টুপাখি একা একা কার সাথে বকবক করছিস?
পিছন থেকে শ্রাবনীর কথা শুনে শ্রাবনীর দিকে রাগি চোখে তাকায় চাঁদনী। তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বললো
— এতক্ষণ কার বিয়ে খাইতে গেছিলি হারামি মাইয়া? আমাকে ঐ শ্রাবইন্না খাটাশের মুখের সামনে ফেলে রেখে কই গেছিলি তুই?
— আমি তো তোকে বলেই গেলাম চাঁদ আমি ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম। কিন্তু তুই শ্রাবনের মুখের সামনে ছিলি মানে? ঠিক বুঝলাম না?
শ্রাবনীর কথা শুনে হুশ হলো চাঁদনীর। চাঁদনী কথা ঘুরিয়ে বললো
— বাদ দে কিছু হয়নি। চল তারাতারি মিতুকে দেখতে যাবো।
— হুমম চল,,,,
,
,
মিতুর দুই পাশে বসে আছে শ্রাবনী আর চাঁদনী। দুজনে মিতুর দু হাত শক্ত করে ধরে আছে। আর মিতু হু হু করে কেদে চলেছে একনাগাড়ে। মিতুকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ও অসম্ভব ভয় পেয়েছে। মিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে চাঁদনী বললো
— প্লিজ মিতু এভাবে কাঁদিস না কি হয়েছিলো গত রাতে বল আমাদের। তোর গলাতেই বা কি হয়েছে। তুই এত ভয় পেয়ে আছিস কেনো?
— কা কাল রা রাতে আমার ওপর ভ্যা ভ্যাম্পায়ারের মতো দু দুজন এটাক করেছিলো চাঁদ। আমাদের সিলেটে ভ্যাম্পায়ার আছে। আমি কাল রাতে নিজে চোখে দেখেছি। একজন ছেলে ভ্যাম্পায়ার আর একজন মেয়ে। খুবই ভয়ানক দেখতে ওদের। আমার কথা কেউ বিশ্বাস করছে না চাঁদ। সবাই ভাবছে আমি পাগল হয়ে গেছি। কিন্তু বিশ্বাস কর আমি সত্যিই দেখেছি।
মিতুর কথা শুনে চাঁদনী কিছু বলার আগেই মিতুর মা পাশে থেকে বলে উঠলো
— দেখো চাঁদনীমা এই মেয়েটা সকাল থেকে সেই একি কথা বলে যাচ্ছে। আমরা যদি মেনেও নেই যে সত্যিই কোনো ভ্যাম্পায়ারের মতো কিছু ওকে মারতে এসে থাকে। তাহলে ওকে না মেরে গলায় এভাবে ব্যান্ডেজ করে দিলো কে। ও বলছে ওকে নাকি বারান্দায় এটাক করেছিলো। কিন্তু সকালে ওর রুমে এসে দেখি জানালা বারান্দার গ্রিল সব ভিতর থেকে লাগিয়ে রাখা। আমরা ওর কথার কিছুই বুঝতে পারছি না। ডাক্তার এসে দেখে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে গেছে। তবুও এই মেয়ের চোখে ঘুম নেই। কয়েকদিন পর বিয়ে পাত্র পক্ষ এসব জানতে পারলে কি হবে একবার ভাবতে পারছো।
কথাগুলো বলেই আঁচলে মুখ গুজে কান্না করতে লাগলো মিতুর মা। মিতুর মাকে কি বলে শান্তনা দিবে সে ভাষা চাঁদনী বা শ্রাবনীর কারো জানা নেই। শ্রাবনী সেই কখন থেকে মন মরা হয়ে চুপ করে বসে আছে।মিতু কান্না করতে করতে চাঁদনীর হাত ধরেই ঘুমিয়ে পরলো।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,